
সমর্থকদের জন্য দারুণ এক চমকই উপহার দিল আর্সেনাল। ল্যাটিন আমেরিকার দুই প্রতিভাবান ফুটবলারকে দলে ভেড়ানোর চুক্তি করেছে গানাররা। ইকুয়েডরের যমজ ফুটবলার এডউইন ও হোলগার কুইন্টারোকে ইন্ডিপেন্ডিয়েন্টে দেল ভ্যালে থেকে সই করানোর বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছেছে আর্সেনাল।
ইএসপিএনের একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে, ১৬ বছর বয়সী দুই তারকা এডউইন-হোলগার এই সপ্তাহে লন্ডনে আছে। চুক্তিপত্র স্বাক্ষরসহ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর ভবিষ্যতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর আগস্ট ২০২৭-এ আর্সেনালে যোগ দেবেন।
চুক্তির বিস্তারিত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে খোলাসা করেনি আর্সেনাল। তবে এই পদক্ষেপ আর্সেনালের পরবর্তী প্রজন্মের সেরা প্রতিভা সংগ্রহের চেষ্টা-কে আরও দৃঢ় করল। এর আগে গত অক্টোবরে ইংলিশ ক্লাবটি নিশ্চিত করে যে আরেক ১৬ বছর বয়সী তারকা ভিক্টর ওঝিয়ানভুনাকে দলে ভেড়ানো হচ্ছে। জানুয়ারি ২০২৭-এ ১৮ বছর পূর্ণ করার পর শ্যামরক রোভার্স থেকে আর্সেনালে যোগ দেবেন তিনি।
আর্সেনাল প্রায় এক বছর ধরে ইকুয়ডরের এই জমজ ফুটবলারের ওপর নজর রাখছে। এডউইন কুইন্টারোতে আক্রমণের ডান পাশে খেলেন। দ্রুতগতির এই উইঙ্কারকে তুলনা করা হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারের সঙ্গে। আর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে খেলেন তাঁর ভাই হোলগার।
প্রতিভাবান ফুটবলারদের দলে ভেড়ানোয় বেশ এগিয়ে আর্সেনালের অ্যাকাডেমি স্কাউটিং টিম। মাইলস লুইস-স্কেলি, ইথান এনওয়ানেরি এবং সবশে ম্যাক্স ডোয়ম্যান-এর মতো তারকা তুলে এনেছে গানাররা।
এই মাসে ১৬ বছর পূর্ণ হতে যাওয়া ডোয়ম্যান এরমধ্যেই প্রিমিয়ার লীগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন। গত মাসে স্লাভিয়া প্রাগের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নেমে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক করা সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন।
No posts available.

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির বিপক্ষে ০-৩ গোলের হারে বেশ বড় ধাক্কাই খেয়েছে বার্সেলোনা। ইংলিশ ক্লাবটির মাঠে ঝড়টা বেশি গিয়েছে বার্সা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহোর ওপর দিয়েই। সেই ধাক্কা সামলে নাকি এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি তিনি। প্রতিপক্ষের মাঠে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া আরাউহো এবার মানসিক সুস্থতার জন্য সময় চেয়ে বার্সার কাছে ছুটির আবেদন করল।
গত বুধবার চেলসির বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়া বার্সেলোনা ঘুরে দাড়িয়েছে। সবশেষ লা লিগায় কাতালান ক্লাবটি দিপোর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে। তবে ফিরতে পারেননি ক্লাবটির ডিফেন্ডার আরাউহো। বর্তমানে মানসিকভাবে নাজুক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ২৬ বছর বয়সী উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার। আজ রাতে আতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও দেখা যাবে না তাকে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর খবর অনুযায়ী, আরাউহো বার্সেলোনাকে অনুরোধ করেছেন যেন তাকে কিছু সময় দেওয়া হয়—যাতে তিনি মনস্তাত্ত্বিকভাবে চাপমুক্ত হয়ে নিজের সেরা ছন্দ ফিরে পেতে পারেন।
কঠিন সময়ে বার্সেলোনাকে পাশে পাচ্ছে আরাউহো। নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নির্ধারণ ছাড়াই, পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে সময় দিবে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ক্লাব চায় তিনি শতভাগ প্রস্তুত হয়েই দলে ফিরবে। গত শুক্রবার বার্সার সভাপতি জোয়ান লাপোর্তা তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। ক্লাবটির ফুটবল পরিচালক ডেকো এবং কোচ হান্সি ফ্লিকও তার সম্পূর্ণ পাশে আছেন।
চেলসির বিপক্ষে সাম্প্রতিক লাল কার্ডের পর থেকে—এমনকি তার আগের কিছু সময় ধরেও—নাকি আরাউহো অনুভব করছিলেন যে মানসিকভাবে তিনি নিজের সেরাটা দিতে পারছেন না। দলের ও নিজের ভালোর জন্য বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তায় রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ম্যাচে ফিরতে পারেন বার্সা ডিফেন্ডার।

লা লিগায় অবনমন অঞ্চলে থাকা জিরোনার বিপক্ষে হোঁচট খেয়ে লিগে টানা তিন ম্যাচ ড্র করল রিয়াল মাদ্রিদ। দলের এমন ফলাফলে বিরক্ত কিলিয়ান এমবাপে। ইতোমধ্যে তিনি জানিয়েছেন, রিয়ালের এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া উচিত।
জিরোনার বিপক্ষে ড্রয়ের ম্যাচে একমাত্র গোলটি আসে ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপের পা থেকে। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ফাউলের শিকার হলে স্পটকিক নেন তিনি।
লা লিগার সর্বোচ্চ গোলস্কোরার এমবাপে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবার্ট লেভানডফস্কির (৮) চেয়ে তার চারটি গোল বেশি। এদিন অবশ্য আরও একটি কীর্তি গড়েছেন এমবাপে। ফুটবলের এক ক্যালেন্ডার বছরে ৬০টি গোল করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই রাইট উইঙ্গার।
একবিংশ শতাব্দীতে ক্যালেন্ডার বছরে ৬০-এর বেশি গোল করেছেন ইন্টার মিয়ামির আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি, সৌদি প্রো-লিগের ক্লাব আল হিলালের পর্তুগাল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং পোলিশ ফরোয়ার্ড লেভানডফস্কি।
এক বর্ষপঞ্জিতে ফ্রান্সের হয়ে এর আগে এলিট ক্লাবে নাম লেখান ফন্টেইন। তিনি ১৯৫৮ সালে প্রথম ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়েন।

“২০২৬ বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিতে যদি নেইমার অথবা ভিনিসিয়ুস ৯০ শতাংশ ফিট থাকেন, তবে আমি অন্য প্লেয়ারকে বেছে নেব যে শতভাগ ফিট।”
— ব্রাজিল ফুটবল দলের কোচ কার্লো আনচেলত্তির এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, বিশ্বকাপ নিয়ে কতটা সিরিয়াস তিনি ।
সম্প্রতি ব্রাজিলের টেলিভিশনের রেকর্ড টিভির স্পোর্টস বিষয়ক শো ই-স্পোর্টি রেকর্ডে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইতালিয়ান কোচ সাফ জানিয়েছেন, শতভাগ ফিট একটি দল নিয়েই ২০২৬ বিশ্বকাপে যাবেন তিনি।
আনচেলত্তি বলেছেন,
“তাকে (নেইমার) শতভাগ ফিট থাকতে হবে। অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে, আমাকে শতভাগ ফিট খেলোয়াড় বেছে নিতে হবে। শুধু নেইমার নয়, ভিনিসিয়ুসও (জুনিয়র) হতে পারে। যদি ভিনি ৯০ শতাংশ ফিট থাকে, তাহলে আমি আরেকজন খেলোয়াড়কে ডাকব, যে শতভাগ ফিট, কারণ দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি, বিশেষ করে আক্রমণভাগে। আক্রমণভাগে আমাদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে।”
আনচেলত্তির এই সতর্কবার্তার মূল কারণ হলো নেইমারের ইনজুরি। ক্লাব সান্তোসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি বেশ কয়েক দফায় চোটে পড়েছেন। এখনও চোটের কারণে দলের বাইরে। সেই কারণে এখন পর্যন্ত একবারও অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডকে দলে ডাকেননি আনচেলত্তি।
ইতালিয়ান কোচ বলেছেন,
“আমি মনে করি নেইমারের অসাধারণ প্রতিভা রয়েছে। আমরা যখন একসাথে ছিলাম, তখন তিনি দুর্ভাগ্যবশত চোটে পড়েছিলেন। চোটের কারণে তিনি প্রস্তুতি নিতে পারেননি। নেইমারও অন্যদের সমতুল্য, কারণ তিনি ইতিমধ্যেই অসাধারণ প্রতিভা দেখিয়েছেন।”

লিওনেল মেসি নাকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো—ফুটবল বিশ্বে কে সেরা? দীর্ঘ সময় ধরে চলমান এ ‘কন্ট্রোভার্সি’ যেন শেষ হওয়ার নয়। সেরার তালিকায় ক্রমান্বয়ে যোগ হচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপে ও লামিনে ইয়ামাল। যদিও ফরাসি ও স্পেনের দুই তারকা এসব বিতর্ক থেকে নিজেদের আড়ালে রেখেছেন।
তুলনা ইস্যুতে চুপচাপ থাকলেও প্রায়ই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দুজনকে। যেমন আজ যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিবিএস নিউজ’ এর ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া বার্সেলোনা রাইট উইঙ্গার ইয়ামালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি মেসির মতো হতে চান কিনা। উপস্থাপকের প্রশ্নের উত্তর বেশ গুছিয়ে দেন তিনি। বার্সা উইঙ্গার পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি মেসির মতো হতে চান না। নিজের পথটা তিনি গড়তে চান নিজের মতো করে। আর মেসিও নাকি সেটা জানেন।
মেসিকে নিয়ে তুলনা ইস্যুতে কথার শুরুতেই ইয়ামাল বলেছেন,
“তিনি যা এবং ফুটবলে যা, সে জন্য তাকে সম্মান করি। মাঠে দেখা হলে পারস্পরিক সম্মান থাকবে। আমার কাছে তিনিই ইতিহাসের সেরা।”
ইয়ামাল জানিয়েছেন, তিনি কেবল নিজস্ব পথ অনুসরণ করতে চান। তিনি বলেছেন,
“যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন মেসির পাস নিয়ে অধ্যয়ন করতাম। অন্যরা সুন্দর পাস দিত, কিন্তু মেসির পাসগুলো প্রায়ই গোলে পরিণত হত। আমি সবসময় মনে করতাম, পাস দেওয়া ড্রিবলিং-এর চেয়ে বেশি আকর্ষণীয়।”
বার্সেলোনার ১৮ বছর বয়সী রাইট উইঙ্গার বলেছেন,
“আমি মানুষকে আনন্দ দিতে খেলি। আমি একজন অ্যাথলেট যে বিনোদন দেয়। সব বিশ্বরেকর্ড ভাঙা, লাখো গোল করা বা লাখো ড্রিবল করা আমার লক্ষ্য নয়। আমি খেলাটাই উপভোগ করতে চাই। চাই ছোটরা আমার মতো হোক। হ্যাঁ, অনেক গোল করলে ভালোই হয়। তবে আমার বিশ্বাস, ফুটবল এর চেয়ে আরও বেশি কিছু।”
মরক্কোর হয়ে না খেলে স্পেনের হয়ে খেলার বিষয়ে ইয়ামাল বলেছেন,
“আমি মরক্কোর হয়ে খেলব ভেবেছিলাম। তখন মরক্কো বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠে।”
তবে যখন সুযোগ আসে, অর্থাৎ জাতীয় দল বাছাইয়ের সুযোগ, তখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন ইয়ামাল। তিনি বলেছেন,
“আমার কোনো সন্দেহ নেই যে মরক্কোর প্রতি আমার পূর্ণ ভালোবাসা ও সম্মান রয়েছে। আমি আসলে ইউরোপে খেলতে চেয়েছিলাম।”
নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেছেন,
“বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দেখা হয় ইউরোপিয়ান ফুটবল এবং আমি বিশ্বাস করি এখানকার খেলা আন্তর্জাতিক মানের।”

তিন জাতি সিরিজের শেষ ম্যাচ। তার চেয়েও বড় ইউরোপীয়ান কোনো দলের বিপক্ষে প্রথমবার খেলবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় লাল সবুজের মুখোমুখি হবে আজারবাইজান।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। এএফসি এশিয়ান কাপে নাম লেখানোর পর থেকেই হারের বৃত্তে নারী দল। থাইল্যান্ড সফরেও আফঈদা খন্দকাররা হেরেছে টানা দুই ম্যাচ। এরপর কাঠগড়ায় পিটার বাটলারের হাইলাইন ডিফেন্স।
মাঠের বাইরের ঘটনা নিয়েও বেশ আলোচনা। তা ভুলিয়ে দিতে পারে কেবল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৭৪ নম্বরে থাকা আজারবাইজানের বিপক্ষে জয়। র্যাঙ্কিংয়ে ৩০ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে কাল কোন ছকে মাঠে নামে বাংলাদেশ, সেটি থাকবে দেখার বিষয়।
আজারবাইজান কোচ আসগারোভ সিয়াসাত আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন,
‘বাংলাদেশের ম্যাচের বিষয়ে বলতে গেলে... আমরা তাদের খেলার পরিকল্পনা, দলগত ঐক্য, শক্তিশালী দিক এবং দুর্বল দিকগুলো জানি। জানি যে, তাদের শক্তিশালী দিক হলো তারা আক্রমণে ওঠার সময় তারা দারুণ এবং তাদের দ্রুত গতির খেলোয়াড় আছে।’
প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পায় আজারবাইজান। বাংলাদেশও মালয়েশিয়াকে হারাতে পারত মনে করেন সিয়াসাত,
‘আমি মনে করি, যদি বাংলাদেশ দল তাদের শেষ ম্যাচের সময় পাওয়া সব সুযোগ ব্যবহার করতে পারত, তবে তারা স্কোর পরিবর্তন এবং জিততে পারত।’
ঘরের মাঠ জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩ বছর পর ফেরাটা রাঙাতে পারেননি আফঈদারা। প্রথমবার ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পাবে তো। এর জন্য অবশ্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।