৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৩৭ এম

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে এর চেয়ে বাজে আর কি ঘটতে পারতো? দলের সেরা ডিফেন্ডারের চোট, একবার নয় দু’বার লাল কার্ড দেখা, ১৯ বছর পর এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হার। বিপর্যস্ত, শোচনীয় কিংবা বেহাল হালের মতো শব্দও যেন বর্ণনা করতে পারছে না স্প্যানিশ জায়ান্টদের বর্তমান পরিস্থিতিকে।
প্রায় ৩৬ দিন পর ঘরে ফিরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। অথচ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফেরার আনন্দ ধূলোয় মিশে গেল অধঃপতনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া এক ম্যাচে। লা লিগায় গতকাল রাতে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ০-২ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়ালের জন্য আরও বিব্রতকর বিষয় হচ্ছে প্রতিপক্ষের এক আনাড়ি আর অনিয়মিত খেলোয়াড় তাদের জালে দুই দফা বল পাঠিয়েছে। বদলি নেমে সেল্টা ভিগোর সুইডিশ উইঙ্গার উইলিয়ট সুইডবার্গ জোড়া গোল করেন। আর রিয়ালের দুর্দশা কয়েকগুন বাড়িয়ে লাল দেখেন ফ্রান গার্সিয়া ও আলভারো কারেয়াস।
দুঃস্বপ্নের রাতের শুরুটা হয় মিলিতাওয়ের চোটে
লিগে টানা তিন ম্যাচ ড্র করার পর সবশেষ অ্যাথলেটিক বিলাবাওকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে প্রত্যাবর্তনের আভাস দিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এবার হেরেই গিয়ে জাবি আলোনসোর দল যেন প্রমাণ করল মৌসুমটা এভাবে ধুঁকতে ধুঁকতেই শেষ করতে হবে লস ব্লাঙ্কোসদের। আগামী বুধবার ঘরের মাঠেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে রিয়াল। এই ম্যাচেও ইতিবাচক ফল না এলে বোধহয় চাকরিটাই হারাবেন জাবি আলোনসো।
সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে এই হারে লিগ জয়ের দৌড় থেকেও অনেকটাই ছিটকে গেল রিয়াল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা থেকে পয়েন্ট টেবিলে এখন তারা ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে। ১৬ ম্যাচে ১১ জয়, ৩ ড্র ও ২ হারে রিয়ালের পয়েন্ট ৩৬। রিয়ালের মুখোমুখি হওয়ার আগে লিগে মাত্র তিনবার জয় দেখেছিল সেল্টা ভিগো। এবার লা লিগার সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ১৫ ম্যাচে চার জয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দশ নম্বরে উঠে এল তারা।
অথচ নিজেদের মাঠে লক্ষ্যে শট নেওয়া কিংবা গোলের সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল রিয়ালই। তবে সুযোগ হাতছাড়ার সঙ্গে লাল কার্ডের খড়গ তাদের পুরোপুরি ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপে-ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা মোট ২৩টি শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রাখে। বিপরীতে মোট সাতটি শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রেখে দুইটি গোলে পরিণত করে সেল্টা ভিগো।
নিজেদের হারিয়ে খোঁজা রিয়াল ম্যাচের শুরুতে ছন্দের খোঁজেই ছিল। এর মাঝেই বড় এক ধাক্কা খায় তারা। প্রতিপক্ষের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে আঘাত পান এদের মিলিতাও। পরে তিনি মাঠ ছাড়েন দুই জনের কাঁধে ভর দিয়ে। এসিএলের চোট থেকে ফিরতে না ফিরতেই আবার আবার ছিটকে গেলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। ২৪ মিনিটে তাঁর বদলি নামেন জার্মান ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার।
রিয়ালের আক্রমণভাগ ছিল একেবারেই ভোঁতা। স্বাগতিকরা প্রথম এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ৩৯ মিনিটে। তবে তুরস্কের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আর্দা গুলেরের নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে লিড নেওয়ার সুযোগ এসেছিল সফরকারী দলেরও। তবে শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
রিয়াল মাদ্রিদের দুর্দশার ষোলকলা পূর্ণ করে শেষ দিকে লাল কার্ড দেখেন কারেয়াস
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুরানের বদলি নেমে সেল্ট ভিগোকে এগিয়ে দেন উইলিয়ট সুইডবার্গ। ৫৩ বক্সের ভেতর বাঁ দিক থেকে সারাগোসার পাস পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে ব্যাকহিল ফ্লিকে জালে পাঠান অরক্ষিত সুইডিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
৬৪ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় রেয়াল। পরপর দুই মিনিটে দু’বার হলুদ কাড দেখে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় ফ্রান গার্সিয়াকে। এরপর দশজনের দল নিয়েও গোলের একাধিক সুযোগ তৈরি করে রিয়াল। তবে রাতটা ছিল রিয়ালের জন্য অপয়া। গোল পাওয়া তো দূরের কথা উল্টো যোগ করা সময়ে আরেক দফা হোঁচট খায় রিয়াল।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে উইলিয়টকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন আলভারো কারেরাস। রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে কয়েক সেকেন্ড পর লাল কার্ড দেখেন এই ডিফেন্ডার। পাশাপাশি রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন ফেদেরিকো ভালভের্দে ও রদ্রিগো।
বিধ্বস্ত রিয়ালকে বাগে পেয়ে পরের মিনিটেই স্প্যানিশ জায়ান্টদের কফিরে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়ে জোড়া গোল পূর্ণ করেন উইলিয়ট। রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই ২০০৬ সালের পর রিয়ালের মাঠে জয় পাওয়ার আনন্দে ভাসে সেল্টা ভিগো।
No posts available.
৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৭ এম
৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ এম

খুব কঠিন সময় পার করছে তখন বার্সেলোনা। জাভি হার্নান্দেজের কোচিং কাতালান ক্লাবটি ইউরোপের দ্বিতীয় সারির প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগে খেলতে হয়েছে। তবে সেটা তো লজ্জার কিছু নয়।
২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল, বার্সার সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে অপমানজনক এবং ‘কলঙ্কজনক’ রাতগুলোর একটির স্বাক্ষী হয়েছে এক ম্যাচে। ইউরোপা লিগে জার্মান ক্লাব আইনট্রাখ্ট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে ২-৩ গোলে হারে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। অবশ্য হার-জিত তো ম্যাচে থাকবেই , তাতে লজ্জার কি হলো?
সেই দুঃস্বপ্নের রাতে ফ্রাঙ্কফুর্টের ৩০ হাজার সমর্থক ক্যাম্প ন্যু’কে নিজেদের মাঠ বানিয়ে ফেলেছিল। বার্সার অনেক সমর্থক ওই ম্যাচে নিজেদের টিকিট বেশি দামে ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থকদের কাছে বেচে দেয়। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার জার্মান সমর্থক বার্সেলোনায় ভিড় করে এবং টিকিটের এই ‘কালোবাজারি’ পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে ক্যাম্প ন্যু’এ ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়। পুরো গ্যালারি থেকে সাদা ঢেউ যেন আছড়ে পড়ছিল। ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থকদের সাদা জার্সি আর উল্লাস ধ্বনিতে মনে হচ্ছিল বুঝি কোনো অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলছে বার্সা। সেই ঘটনা বার্সার খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও ক্লাব কর্তাদের মনে গভীর দাগ কেটেছিল।
প্রায় তিন বছর আট মাস পর আবার সেই ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা। আজও ঘরের মাঠে জার্মান ক্লাবটিকে আতিয়েতা দেবে তারা। তবে এবার আর একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হতে দিবে না পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ীরা। বুন্দেসলিগার ক্লাবটির সমর্থকদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যাক আসন বরাদ্দ থাকবে।
আরও পড়ুন
| বিশ্বকাপে নতুন নিয়ম, ম্যাচে থাকবে তিন ধাপের বিরতি |
|
দারুণ ছন্দ নিয়েই ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে মাঠে নামছে বার্সা। সবশেষ তিন ম্যাচে দাপট দেখিয়ে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল। এই তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে আট গোল দিয়েছে রবার্ট লেভানডফস্কি-লামিনে ইয়ামালরা। লা লিগায় পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ থেকে চার পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে তারা।
অবশ্য চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোটেও সুবিধা করতে পারছে না বার্সা। পাঁচ ম্যাচের দুটিতে জয়ের বিপরীতে হেরেছে সমান দুটিতে ড্র হয়েছে অন্যটি। সবশেষ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির কাছে বিধ্বস্ত হয় তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে হলে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বার্সার।
২০২৫-২৬ মৌসুমে ছন্দে নেই ফ্রাঙ্কফুর্ট। বুন্দেসলিগায় ১৩ ম্যাচের ছয়টিতে জিতে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে কেবল একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে ডিনো টপমোলারের দল।
ফ্রাঙ্কফুর্টের রক্ষণভাগ এই মৌসুমে একেবারেই ভঙ্গুর। এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২০ ম্যাচে তারা হজম করেছে ৪৪ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়—আতলেটিতো মাদ্রিদ ও লিভারপুলের কাছে দু’বার ৫-১ ব্যবধানে হার, আটালান্তার কাছে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা। নিজেদের সবশেষ ম্যাচে বুন্দেসলিগায় আরবি লাইপজিগের কাছে ৬-০ গোলে হেরে রীতিমতো ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
প্রতিপক্ষের দূর্বলতার বিপরীতে নিজেরা দারুণ ছন্দে থাকলেও সতর্ক বার্সা কোচ ফ্লিক। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ একটি আলাদা প্রতিযোগিতা, এবং আগের ফলাফল এখানে প্রাসঙ্গিক নয়। ফ্রাঙ্কফুর্ট একটি শক্তিশালী দল, তরুণ ও গতিশীল, এবং বিভিন্ন সিস্টেমে মানিয়ে নিতে সক্ষম। আমরা তিনটি পয়েন্ট নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ স্তরে খেলার চেষ্টা করব। যদিও তাদের শেষ ম্যাচ সেরা ছিল না, আমি তাদের বিপক্ষে সম্ভাব্য বিপদের ব্যাপারে সচেতন।’

আগামী বছরের বিশ্বকাপে নতুন নিয়ম চালু করছে ফিফা। গরমের কথা বিবেচনায় রেখে সব ম্যাচে পানি পানের জন্য প্রথমার্ধের বিরতি ছাড়াও দুই অর্ধে দেওয়া হবে আরও দুটি বিরতি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা ফিফা। এই নিয়ম অনুযায়ী, দুই অর্ধেই ২২ মিনিট খেলা হওয়ার পর ৩ মিনিটের পানি পানের বিরতি ডাকবেন ম্যাচ রেফারি।
মাঠে গরম মোকাবিলার জন্য আগেও ছিল পানি পানের 'কুলিং ব্রেক' নিয়ম। তবে সেটির জন্য শর্ত ছিল, ম্যাচ শুরুর সময় তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলেই কেবল প্রতি অর্ধের ৩০ মিনিট পর দেওয়া হতো কুলিং ব্রেক।
নতুন নিয়মে ম্যাচের আবহ যেমনই হোক, প্রতি অর্ধে ২২ মিনিট পরই ডাকা হবে পানি পানের বিরতি। বিশ্বকাপের প্রধান টুর্নামেন্ট অফিসার মানোলো জুবিরিয়া জানিয়েছেন, ২০ বা ২১ মিনিটে চোটজনিত বিরতি এলে সেটি বিবেচনায় এনে আগেও বিরতি ডাকতে পারবেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকোতে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে হবে বিশ্বকাপের নতুন আসর। অনেকের ধারণা, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে উষ্ণ আসর। তাই আগেভাগেই পানি পানের বিরতির নিয়মের ঘোষণা দিয়ে রাখল ফিফা।

বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। ১৯৩০ সালে প্রথমবার আয়োজিত টুর্নামেন্টের স্বাগতিকও ছিল ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশ। ১৯৫০ সালে ব্রাজিলে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। এরপর আর এই সোনালী ট্রফি ছোঁয়া হয়নি তাদের। কিন্তু দু’বার বিশ্বকাপ জিতেও কেন চার তারকা সংবলিত জার্সি গায়ে মাঠে নামে উরুগুয়ে?
সাধারণত বিশ্বকাপ জয়ীরা তাদের শিরোপার সংখ্যা প্রদর্শন করে জার্সির ওপরে তারকার মাধ্যমে। যেমন, এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিলের জার্সিতে পাঁচটি আছে তারা রয়েছে, আর ইতালি ও জার্মানির জার্সিতে আছে চারটি করে তারা।
কিন্তু লা সেলেস্তে কিংবা উরুগুয়ের জাতীয় দল—তাদের জার্সিতে চারটি তারা ব্যবহার করে, যদিও ইতিহাসে তারা কেবল দু’বার বিশ্ব জয় করেছে।
দুই বার বিশ্বকাপ জয় ছাড়াও উরুগুয়ে ১৯২৪ এবং ১৯২৮ সালের দুটি অলিম্পিক খেতাবও জিতেছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই অলিম্পিক জয় কি জার্সিতে তারকা হিসেবে প্রদর্শন করার সুযোগ আছে?
এখানেই কার্যকর হয় আনুষ্ঠানিক অলিম্পিক নিয়ম। ১৯২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকের আগে কোনো পেশাদার খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করতে পারত না। কিন্তু ১৯২৮ সালের আমস্টারডাম অলিম্পিকের পর একটি নতুন নিয়ম চালু করা হয়, যেখানে কেবল ২৩ বছরের নিচে বয়সের খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করতে পারবে।
এই কারণে, ১৯২৪ ও ১৯২৮ সালের অলিম্পিক খেলা একমাত্র ব্যতিক্রম হিসেবে গণ্য করা হয় যা পেশাদার খেলোয়াড় সংক্রান্ত নিয়মে হিসেবে ধরা হয়। তখন বিশ্বকাপও শুরু হয়নি। ওই দুই অলিম্পিক আয়োজন করা হয়েছিল ফিফার অধীনেই। তাতে ফিফাও উরুগুয়েকে চার তারকা ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
আরও পড়ুন
| গুরুতর মানসিক জটিলতায় বার্সা ডিফেন্ডার, ছাড়তে পারেন ক্লাবও |
|
অবশ্য ২০১০ সালে ফিফা একটি নতুন নিয়ম চালু করে, যেখানে বলা হয় কেবলমাত্র আসল বিশ্বকাপ জিতলেই কোনো জাতীয় দল তাদের জার্সিতে তারকা খোদাই করতে পারবে। উরুগুয়ের ক্ষেত্রে এটি কেবল দুটি জয়।
এখানেই উরুগুয়ে ফুটবল ফেডারেশন ফিফাকে ‘বুদ্ধিদীপ্তভাবে’ পাশ কাটিয়েছে। তারা চারটি তারকা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কোট অব আর্মস-এর অংশ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। অর্থাৎ দুটি অলিম্পিক স্বর্ণপদক ও উরুগুয়ের ফুটবল ফেডারেশনের ঐতিহ্য ও খেতাবের প্রতিক হিসেবে চার তারা রাখার কথা বলে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এ নিয়ে অনেক বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছে উরুগুয়েকে। ২০২২ বিশ্বকাপের আগে উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দলের স্পন্সর ‘পুমা’ জার্সির ওপরে থাকা চারটি তারা সরানোর কথা বলে। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা নাকি এমনটাই নির্দেশ দেয়।
তবে উরুগুয়ের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জার্সি থেকে চার তারা সরাতে অস্বীকৃতি জানায়। এইউএফ জানায়, ফিফা উরুগুয়ের ফুটবল ঐতিহ্যে নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অবাক হয়েছে তারা এবং তাদের অবস্থান ‘খুবই স্পষ্ট’ বলে পুনরায় উল্লেখ করে। এমনকি চার তারকার বৈধতা প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত আছে বলে জানায় এইউএফের পক্ষ থেকে।

লাতিন-বাংলা সুপার কাপের ম্যাচের পর সাংবাদিকদের ওপর হামলার জেরে স্থগিত করা হয়েছে জাতীয় স্টেডিয়ামের বরাদ্দ। ফলে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে আগামী ১১ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দুই ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচ।
জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টার দল ও আর্জেন্টিনার অ্যাথলেটিকো চার্লোন ক্লাব। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ১-১ গোলে ড্র হয় দুই দলের এই ম্যাচ।
খেলা শেষে আয়োজকদের মধ্য থেকে কয়েকজন সদস্য সংবাদকর্মীদের শারীরিকভাবে আঘাত করেন। যেখানে আহত হন টি স্পোর্টসের ফুটবল করেসপন্ডেন্ট রুবেল রেহানসহ আরও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
এই ঘটনার জের ধরে লাতিন-বাংলা সুপার কাপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের জন্য স্টেডিয়ামের বরাদ্দ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এনএসসি সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) মোঃ রুহুল আমিন কর্তৃক সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এই খবর।
আরও পড়ুন
| ডুবন্ত দলকে আরও ডুবিয়ে জিতল ম্যান ইউনাইটেড |
|
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ৫, ৮ ও ১১ ডিসেম্বর তথা তিন দিনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল জাতীয় স্টেডিয়াম। যেখানে শর্ত ছিল, প্রতিটি ম্যাচ শুরুর আগেই টিকেট বিক্রির পূর্ণাঙ্গ হিসাব দিয়েও ৫০ শতাংশ অর্থ এনএসসিতে জমা দিতে হবে।
এছাড়া প্রতিদিন খেলা শেষে নিজ দায়িত্বে স্টেডিয়ামের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু ৫ ও ৮ তারিখের খেলায় দুটি শর্তই লঙ্গন করেছে এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
এর সঙ্গে যোগ হয় সোমবার সাংবাদিকদের শারীরিক লাঞ্ছনার ঘটনা। সব মিলিয়ে স্থগিত করা হয়েছে ১১ তারিখে তাদের মাঠ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত। সেদিন টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে খেলার কথা আর্জেন্টিনার অ্যাথলেটিকো চার্লোন ক্লাব ও ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের।
বরাদ্দ স্থগিত করার পাশাপাশি ৫ ও ৮ তারিখের দুই ম্যাচের টিকেট বিক্রি, স্পন্সরশিপ, সম্প্রচার স্বত্বের পূর্ণাঙ্গ হিসেব দিয়ে তদসংশ্লিষ্ট ৫০ শতাংশ অর্থ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার মধ্যে এনএসসিতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির বিপক্ষে ০-৩ গোলে বার্সেলোনার বিধ্বস্ত হওয়া ম্যাচের আগেই নাকি সমস্যার সূত্রপাত। সম্প্রতি রক্ষণভাগে ভুল করে ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল তাঁর ওপর, সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছিলেন। চেলসির বিপক্ষে তো লাল কার্ড দেখে কাতালান ক্লাবটিকে আরও বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচের পর আর টিকতে পারেননি। তীব্র মানসিক সংকটের কথা বলে ক্লাব থেকে সাময়িক সময়ের জন্য ছুটি চান রোনাল্ড আরাউহো।
বার্সেলোনা ডিফেন্ডারের সমস্যা নাকি ধারণার চেয়ে আরও গুরুতর। উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার আরাউহোর মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মক সংকটে রয়েছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘কোপের’ খবর, সমস্যা এতটাই গুরুতর যে বার্সেলোনার জার্সিতে হয়তো আর দেখা যাবে না ২৬ বছর বয়ী ডিফেন্ডারকে।
এর আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটির আবেদন করেছিলেন আরাউহো। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘অবিরাম উদ্বেগ ও চাপের’ মধ্যে রয়েছেন, বিশেষ করে চেলসির কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হারের পর। কোপের তথ্য অনুযায়ী, আরাউহো সেই ম্যাচের পর থেকে বারবার উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছেন। যার কারণে তিনি একটি ‘অস্থায়ী অবসর’ চেয়েছেন, মানসিক সুস্থতার জন্য।
আরও পড়ুন
| ডুবন্ত দলকে আরও ডুবিয়ে জিতল ম্যান ইউনাইটেড |
|
কোপ-এর সাংবাদিক জুয়ানমা কাস্তানো একটি জোরালো সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক গুরুতর। আমাদের দেখতে হবে, তিনি কি কখনও বার্সেলোনার হয়ে খেলবেন কি না।’ তিনি আরাউহোরর অবস্থাকে ‘নাজুক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং আরও বলেছেন, এই ফুটবলারকে ঘিরে এমন অনিশ্চয়তা বার্সাকে চমকেই দিয়েছে।
কঠিন সময়ে ক্লাবকে পাশে পাচ্ছে আরাউহো। আরাউহোর পাশে পুরোপুরি দাঁড়িয়েছে বার্সেলোনা এবং তারা অবগত আছে যে আরাউহো মানসিক চাপ ও আবেগগত দুর্বলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ক্লাবের কিছু কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী, আরাউহোকে তাঁর ফেরার বিষয়ে তাড়াহুড়া না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফুটবলের আগে মানসিক সুস্থতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
বার্সেলোনা এখনও তার ফেরার কোনো দিনক্ষণ নির্ধারণ করেনি। আরাহোর অনুপস্থিতি কয়েক সপ্তাহের বেশি দীর্ঘায়িত হলে শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে রক্ষণভাগের শক্তি বাড়াতে পারে বার্সা।
চেলসি ম্যাচের বিপক্ষে ম্যাচের পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন আরাউহো। অনেকের মতে তাঁর কারণেই ইংলিশ ক্লাবটির বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে। অবশ্য বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট জোয়ান লাপার্তা প্রকাশ্যে সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন, খেলোয়াড়ের পাশে দাঁড়াতে।