৬ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৫৯ পিএম

বেশ কয়েকজন প্রার্থীর সরে দাঁড়ানো, কয়েকজনের নাম প্রত্যাহারের ফলে আগেই নিশ্চিত ছিল বিসিবির বেশিরভাগ পরিচালকের নাম। সব আগ্রহ ছিল সাবেক ক্রিকেটার কোটার ক্যাটাগরি-৩ এর পরিচালক নির্বাচন নিয়ে।
রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে সোমবার হওয়া ভোটের পর সেখানে জয়লাভ করেছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। তার অন্তর্ভুক্তির ফলে এখন বিসিবির পরিচালনা পরিষদে সাবেক ক্রিকেটারের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ জনে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া নির্বাচনের দিন নিশ্চিত হয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও ফারুক আহমেদের নাম।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মোট ১৫৬টি ভোটের মধ্যে ১১৫ জন ভোট প্রদান করেন কাউন্সিলররা।
এর মধ্যে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রথম ক্যাটাগরিতে ৩৫টি ভোটের মধ্যে পড়েছে ৩০ ভোট। ক্লাব সংগঠকদের দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ৭৬ ভোটের মধ্যে পড়েছে ৪২ ভোট। আর সাবেক ক্রিকেটারদের তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ৪৫ ভোটের মধ্যে পড়েছে ৪৩ ভোট। যেখানে বাতিল হয়েছে ১টি।
জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রথম ক্যাটাগরিতে আগেই নিশ্চিত ছিল ৬ পরিচালকের নাম।
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আসিফ আকবর ও আহসান ইকবাল চৌধুরী, খুলনা বিভাগ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ও জুলফিকার আলী খান, সিলেট বিভাগ থেকে রাহাত শামস ও বরিশাল বিভাগ থেকে শাখাওয়াত হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ভোটের দিন ঢাকা বিভাগ থেকে ১৫টি করে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম। গত রাতে ভোট থেকে সরে যাওয়া এসএম আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান কোনো ভোট পাননি।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মুখলেসুর রহমান। আর রংপুর বিভাগ থেকে জয় লাভ করেন হাসানুজ্জামান। তিনিও ৭ ভোট পান।
ক্লাব ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৪২টি ভোট পান ইশতিয়াক সাদেক, শানিয়ান তানিম ও ফারুক আহমেদ। এর বাইরে নির্বাচিত আদনান রহমান দীপন (৪০), ফায়াজুর রহমান (৪০), আবুল বাশার (৪০), আমজাদ হোসেন (৪১), মোখছেদুল কামাল (৪১), এম নাজমুল ইসলাম (৩৪), মনজুর আলম (৩৯), মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১) ও ইফতেখার রহমান মিঠু (৩৪)।
তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং সাবেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পল। যেখানে ৩৫-৭ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন খালেদ মাসুদ।
এর বাইরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় মনোনীত দুজন পরিচালক হয়েছেন এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
২৫ জনের এই পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা মিলে একজন সভাপতি ও দুজন সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হবে এই ভোট। এরপর রাত ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে তিন জনের নাম।
এখন পর্যন্ত সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এছাড়া সহ-সভাপতি হতে পারেন ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
বিসিবির পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পরিষদ
ক্যাটাগরি - ১
ঢাকা বিভাগ- আমিনুল ইসলাম (১৫), নাজমুল আবেদীন ফাহিম (১৫)
চট্টগ্রাম বিভাগ- আহসান ইকবাল চৌধুরী, আসিফ আকবর
খুলনা বিভাগ- আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী খান
রাজশাহী বিভাগ- মুখলেসুর রহমান (৭)
রংপুর বিভাগ- হাসানুজ্জামান (৭)
সিলেট বিভাগ- রাহাত শামস
বরিশাল বিভাগ- শাখাওয়াত হোসেন
ক্যাটাগরি - ২
ইশতিয়াক সাদেক (৪২), আদনান রহমান দীপন (৪০), ফায়াজুর রহমান (৪০), আবুল বাশার (৪০), আমজাদ হোসেন (৪১), শানিয়ান তানিম (৪২), মোখছেদুল কামাল (৪১), এম নাজমুল ইসলাম (৩৭), ফারুক আহমেদ (৪২), মনজুর আলম (৩৯), মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১), ইফতেখার রহমান মিঠু (৩৪)
ক্যাটাগরি - ৩
খালেদ মাসুদ পাইলট (৩৫)
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
এম ইসফাক আহসান, ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক
*ব্রাকেটে প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা
No posts available.
৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:০৩ পিএম
৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫৩ পিএম
৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:১১ পিএম

২০২৫ সালের শেষটা দারুণ করেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ের পর এখন দলটির সামনে বড় লক্ষ্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
এর আগে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এই বিরতিতে অলস বসে নেই জাতীয় দলের ব্যাটাররা। শনিবার থেকে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে শুরু হয়েছে বিশেষ ব্যাটিং ক্যাম্প, যা চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রথম দিন প্রায় চার ঘণ্টার সেশনে অংশ নেন তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। পুরো সেশন পরিচালনা করেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন ও ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল।
সেশন শেষে গণমাধ্যমে সালাহউদ্দীন জানান, ব্যাটারদের সুনির্দিষ্ট স্কিল উন্নতিই ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্য।
“উন্নতির আসলে শেষ নেই। আপনারা প্রায়ই বলেন আমাদের স্কিলে ঘাটতি আছে- সেটা আমরাও জানি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ব্যস্ততার কারণে কাজ করার সময় পাওয়া যায় না। এই ক্যাম্পটা খেলোয়াড়দের ঘষা-মাজার জন্য। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে ভালো শটও অনেক সময় ফিল্ডারের কাছে চলে যায়- এগুলো সামলানোর দক্ষতা বাড়ানোই লক্ষ্য।”
তিনি জানান, গ্যাপ খুঁজে ব্যাট চালানো, বোলারের গতি ব্যবহার করা, কম ঝুঁকিতে বাউন্ডারি নেওয়ার কৌশল ও সিঙ্গেলের হার বাড়ানোর দিকেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
সেশনে ব্যাটারদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে দেখা গেছে, যা কোচিং স্টাফ ইচ্ছাকৃতভাবেই উৎসাহ দেন।
“টিম মিটিংয়ে কথা বলা, আলোচনায় অংশ নেওয়া, এমনকি নিজেরাই মিটিং লিড করা- এসব করতে বলা হয়। কারণ সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে, খেলেন তো তারাই। খেলোয়াড়রা যত নেতৃত্ব নেবে, তত পরিপক্ব হবে; গেম সেন্সও তত বাড়বে।”
তিনি আরও বলেন, মাঠে তো কোচ সবসময় থাকতে পারেন না। তাই খেলোয়াড়রা যদি নিজেদের ‘নিজস্ব কোচ’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, তা হলে মাঠের পারফরম্যান্স আরও সমৃদ্ধ হবে।
টি-টোয়েন্টিতে ২০২৫ সালটি ছিল বাংলাদেশের সেরা বছর। ৩০ ম্যাচে রেকর্ড ১৫ জয়ের পাশাপাশি দলের ব্যাটাররা করেছে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২৩৯ রান। এসেছে ২৩টি অর্ধশতক, রেকর্ড ২০৬ ছক্কা, বোলাররা তুলে নিয়েছেন ১৮৮টি উইকেট।
বছরজুড়ে দলের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন জানান সালাহউদ্দীন।
“টি-টোয়েন্টিতে আমরা এখন সেই জায়গার কাছাকাছি, যেখানে যেতে চাই। বড় কোনও সাফল্য এখনো পাইনি ঠিকই। কিন্তু নিয়মিত সিরিজ খেলছি, পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছি। ব্যাটাররা তাদের ভূমিকা বুঝতে শুরু করেছে। সামনে দুই মাস যদি এভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে, তাহলে বিশ্বকাপের আগে দল খুব ভালো জায়গায় পৌঁছে যাবে।”

ফের ব্যর্থ ‘বাজবল’ এবার কি তবে নিজেদের দর্শন থেকে বেরিয়ে আসার সময় হলো ইংল্যান্ডের? পার্থ টেস্টের মতো ব্রিসবেন টেস্টেও একই পরিণতি দেখছে ইংলিশরা। আরও একটি বড় হার চোখ রাঙাচ্ছে তাদের। মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের টেস্ট ক্রিকেটের দর্শন।
গ্যাবায় আজ তৃতীয় দিন শেষে জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুড়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের অর্ধেকের বেশি উইকেট তুলে নিয়েছে অসিরা। দিবা-রাত্রির এই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৪ রান করতে ৬ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এখনও বেন স্টোকসের দল পিছিয়ে ৪৩ রানে। ৪ রান করে উইকেটে আছেন স্টোকস। অধিনায়ককে সঙ্গ দিচ্ছেন সমান রান করা উইল জ্যাকস।
অবিশ্বাস্য কিছু না হলে ব্রিসবেন টেস্টে সহজেই জয় পাওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ার। আর তাতে ইংল্যান্ড পিছিয়ে পড়বে ০-২ ব্যবধানে। আর অ্যাশেজের ১৪৩ বছরের ইতিহাসে এর আগে মাত্র একবারই কোনো দল ০-২ থেকে ফিরে এসে সিরিজ জিতেছে।
ব্রিসবেনে দ্বিতীয় দিন ক্যাচ মিসের পসরা সাজানো ইংল্যান্ড স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে সুযোগ করে দেয় লিড বাড়িয়ে নেওয়ার। ৪৪ রানে এগিয়ে থেকে আজ ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া লিড ১৭৭ করে অলআউট হয়। ৬ উইকেটে ৩৭৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা অজিরা থামে ৫১১ করে।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ‘বাজবলেই’ আস্থা রেখে দ্রুত রান তুলে দুই ইংলিশ ওপেনার। ৭.৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪৮ রান তুলে তাঁরা। পতনের শুরুটা হয় বেন ডাকেটকে দিয়ে। ১৮ বলে ১৫ করা বাঁহাতি এই ব্যাটারের স্ট্যাম্প ছত্রখান করে দেন স্কট বোল্যান্ড।
এরপর জ্যাক ক্রলি-ওলি পোপের জুটিতেই কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে ইংল্যান্ড। দলীয় ৯০ রানে পোপে ফেরার পর শেষ হয় দ্বিতীয় উইকেটে তাদের ৪২ রানের জুটি। তারপর ৩৮ রান তুলতে চার ব্যাটারকে হারিয়েছে সফরকারীরা।
৫৯ বলে ৪৪ করা ক্রলি আউট হয়েছেন মাইকেল নাসেরের বলে। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান জো রুট শিকার হয়েছেন মিচেল স্টার্কের। ড্রেসিংরুমের পথ ধরার আগে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ রান। ১২১ রানে ৪ উইকেট হারানো দলের বিপদে হাল ধরতে ব্যর্থ হ্যারি ব্রুক (১৫) আর জেমি স্মিথও (৪)।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে ব্রেন্ডন ডগেট ছাড়া বাকি তিন পেসার স্টার্ক, বোল্যান্ড ও নেসের জোড়া উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সবক’টি উইকেট তুলে নিতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে ইংল্যান্ডের বোলারদের। অজিদের ১১ ব্যাটাররের সবাই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। নবম উইকেটে স্টার্ক-বোল্যান্ডের ৭৫ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়ার রান পাঁচশোর কাছে নিয়ে যায়। টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থ ফিফটি করেন স্টার্ক। ব্রাইডন কার্সের বলে স্টোকসের ক্যাচ হওয়ার আগে ১৪১ বলে ৭৭ করেন তিনি। ফিফটি করা উইকেট কিপার ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি ওয়ানডে ধাঁচের ব্যাটিংয়ে করেন ৬৩ বলে ৬৯। এছাড়া লেজের দিকের ব্যাটার নেসেরের ১৬, বোল্যান্ডের অপরাজিত ২১ ও ডগেটের ১৩ রানে ভর করে বড় লিড পায় অস্ট্রেলিয়া।

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ৮ ও ০ রানে ফেরেন। তবে বিশাখাপতনমে তৃতীয় ও সিরিজ-নির্ধারণী ম্যাচে আজ যেন অন্য মিশনে নেমেছিলেন কুইন্টন ডি কক। অবসর ভেঙে ফিরে তুলে নিয়েছেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
ভারতের বিপক্ষে আজ ৮০ বলে নিজের ২৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন। দলটির বিপক্ষে এটি ডি ককের সপ্তম সেঞ্চুরি। এই মাইলফলকে পৌঁছে তিনি কয়েকটি বিশ্ব রেকর্ড ছুঁলেন, ভেঙেছেন কয়েকটি রেকর্ডও।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ডি ককের সাতটি সেঞ্চুরি-ই নিজ দেশের বাইরে করেছেন। সাত সেঞ্চুরি হলো কোনো ব্যাটারের বিদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির যৌথ রেকর্ডও। তিনি শচীন টেন্ডুলকার, সাঈদ আনোয়ার, রোহিত শর্মাসহ অন্যদের সঙ্গে এই রেকর্ডে যুক্ত হলেন।
সিরিজ এখন ১–১ সমতায়। রাঁচিতে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল ভারত, রায়পুরে জিতে সমতা ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওয়ানডেতে আজ স্বাগতিকদের ২৭১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে প্রোটিয়ারা।
বিদেশের মাটিতে সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরি
৭ – শচীন টেন্ডুলকার (সংযুক্ত আরব আমিরাত)
৭ – সাঈদ আনোয়ার (সংযুক্ত আরব আমিরাত)
৭ – এবি ডি ভিলিয়ার্স (ভারত)
৭ – রোহিত শর্মা (ইংল্যান্ড)
৭ – কুইন্টন ডি কক (ভারত)
*নিরপেক্ষ ভেন্যু মিলিয়ে
উইকেটকিপার হিসেবে নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বাধিক সেঞ্চুরি
৭ – কুইন্টন ডি কক বনাম ভারত
৬ – অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বনাম শ্রীলঙ্কা
৬ – কুমার সাঙ্গাকারা বনাম ভারত
৫ – কুমার সাঙ্গাকারা বনাম বাংলাদেশ
৪ – কুইন্টন ডি কক বনাম শ্রীলঙ্কা
৪ – কুমার সাঙ্গাকারা বনাম ইংল্যান্ড
ভারতের বিপক্ষে সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ডি কক ছুঁলেন জয়াসূরিয়াকে
৭ – কুইন্টন ডি কক (২৩ ইনিংস)
৭ – সানৎ জয়াসূরিয়া (৮৫ ইনিংস)
৬ – এবি ডি ভিলিয়ার্স (৩২ ইনিংস)
৬ – রিকি পন্টিং (৫৯ ইনিংস)
৬ – কুমার সাঙ্গাকারা (৭১ ইনিংস)
উইকেটকিপার হিসেবে সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরি—সাঙ্গাকারাকে ছুঁলেন ডি কক
২৩ – কুমার সাঙ্গাকারা
২৩ – কুইন্টন ডি কক
১৯ – শাই হোপ
১৬ – অ্যাডাম গিলক্রিস্ট
১১ – জস বাটলার
১০ – এবি ডি ভিলিয়ার্স, মহেন্দ্র সিং ধোনি

মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হলে স্কোয়াডে থাকতে পারবেন, এমনটাই জানানো হয় শুবমান গিলকে। শেষ পর্যন্ত সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছেন তিনি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দেখা যেতে পারে হার্ড হিটার ব্যাটারকে।
কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ের সময় ঘাড়ে চোট পেয়েছিলেন গিল। সেই চোট এতটাই তীব্র ছিল যে হাসপাতালের আইসিইউতেও থাকতে হয়েছিল ভারতের টেস্ট ও ওয়ানডের নিয়মিত অধিনায়ককে।
চোট থেকে মুক্তি পেয়ে বেঙ্গালুরুর বিসিসিআইয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পুনর্বাসনে ছিলেন গিল। সেখান থেকে আজ ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬ বছর বয়সি এই ব্যাটার।
সেন্টার অব এক্সেলেন্সের পক্ষ থেকে স্পোর্টস সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন টিমকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গিল সব ফরম্যাটে খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট। আগামীকাল রোববার কুটাকে প্রথম অনুশীলন সেশনে মাঠে নামবেন তিনি।

দিনের আলো তখন নিভু নিভু। শের-ই বাংলায় জ্বালিয়ে হয়েছে ফ্লাডলাইট। মোহাম্মদ ইফরান হোসেনের বলে কাট করতে গিয়ে উল্টো পেছনে ক্যাচ দিলেন ১৬১ রানে থাকা আনিসুল ইসলাম ইমন। কিন্তু সহজতম ক্যাচ গ্লাভসে রাখতে পারলেন না ইরফান শুক্কুর। হতাশায় ডুবল পুরো চট্টগ্রাম।
এটি অবশ্য শুধু একটি মুহূর্তের চিত্র। জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের প্রথম দিনের পুরোটাটেই চট্টগ্রামের ফিল্ডারদের হতাশায় ডোবান ঢাকা বিভাগের ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন। তাকে সঙ্গ আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্শাল আইয়ুব।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ঢাকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৫৬ রান। এর মধ্যে দিনের শেষ সেশনে ৩১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা করেছে ১৬৩ রান। এতেও বোঝা যায়, কতটা দাপট নিয়ে খেলেছেন ইমন ও মার্শাল।
ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ১৮৩ রানে অপরাজিত ইমন। আর ১০৯ রানে নতুন দিন শুরু করবেন মার্শাল।
অথচ টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাটিং করতে পাঠায় চট্টগ্রাম। কিন্তু প্রথম সেশনে কোনো উইকেট নিতে পারেনি তারা। প্রথম সেশনের শেষ দিকে হাতে চোট পাওয়ায় আর মধ্যাহ্ন বিরতির পর ব্যাট করতে নামেননি আশিকুর রহমান শিবলি।
তাই এখন ২৭ রানে আহত অবসর শিবলি। তিনি উঠে গেলে ৭২ রানে ছেদ পড়ে উদ্বোধনী জুটির। পরে ফয়সাল আহমেদ রায়হান ৯ ও জিসান আলম ২২ রান করে আউট হন। দেড়শ পেরোতেই ২ উইকেট হারিয়ে কিছু সময়ের জন্য চাপে পড়ে ঢাকা।
তবে জুটি বেধে চট্টগ্রামকে আর নিয়ন্ত্রণ নিতে দেননি ইমন ও মার্শাল। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করতে ১৩৭ বল খেলেন ইমন। এই মাইলফলক ছুঁতে ১১ চারের সঙ্গে তিনি মারেন ৩টি ছক্কা। পরে ১৯২ বলে পূর্ণ করেন ১৫০ রান।
দিনের একদম শেষ দিকে গিয়ে ১২ চারে ১১৯ বলে চলতি লিগে নিজের তৃতীয় ও প্রথম শ্রেণিতে ২৯তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মার্শাল।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে সিলেটের বিপক্ষে বরিশালের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৬৯ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন ইফতিখার হোসেন ইফতি। এছাড়া হাফিজুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। সিলেটের মহিউদ্দিন তারেক নেন ৩ উইকেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহীকে ২১৯ রানে অলআউট করে দিয়েছে শিরোপার দৌড়ে থাকা ময়মনসিংহ। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৩ রান। রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন নাঈম আহমেদ। হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। বল হাতে ৩ উইকেট নেন আবু হায়দার রনি।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩০২ রান। ৫৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। এছাড়া দলের আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। নাসির হোসেন নিয়েছেন ৩ উইকেট।