৬ অক্টোবর ২০২৪, ৯:২৫ পিএম
ভারতে পেস বিপ্লব হয়ে গেছে বেশ কয়েক বছর হল। তবে দেশটির একজন পেসার নিয়মিতভাবে ১৫০ কি.মি. গতিতে বল করবেন, এই দৃশ্য এখনও বিরলই বটে। গত আইপিএলে ঠিক সেই কাজটাই করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। ভারতীয় ক্রিকেটে এই ডানহাতি পেসার আগমনটা দেখা হচ্ছিল অনেকটা, এলাম, দেখলাম আর জয় করলাম-এর মত। আওয়াজ ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই তাকে দলে নেওয়ার। সেটা না হলেও বাংলাদশের বিপক্ষে চলমান সিরিজে নিজের অভিষেক ম্যাচেই গতির ঝড় তুলেছেন মায়াঙ্ক।
গত আইপিএলে সবচেয়ে বেশি গতিতে বল করা শীর্ষ পাঁচটি ডেলিভারি এসেছিল একজনের কাছ থেকেই, নামটা মায়াঙ্কই। সর্বোচ্চ ছিল ১৫৬.৭ কি.মি.। স্বাভাবিকভাবেই তাই অল্প সময়েই মাতামাতি শুরু হয় তরুণ এই পেসারকে নিয়ে। প্রশংসায় মাতেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবিদন্তি পেসার ডেল স্টেইন সহ আরও অনেকেই। তবে ভারত জাতীয় দলে এতোটাই তীব্র প্রতিযোগিতা যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের জন্য বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষাই করতে হয়েছে ২২ বছর বয়সী মায়াঙ্ককে। তবে অপেক্ষা কাটিয়ে হওয়া অভিষেক ম্যাচে যথারীতি ধরা দিয়েছেন চেনা ছন্দেই।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আক্রমণে আসেন মায়াঙ্ক। ক্রিজে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। এই মুহূর্তে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটারকে কোনো সুযোগই দেননি রান বের করার। স্বপ্নময় প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ওভারটি মেলে মেডেন। এর চেয়ে দারুণ শুরু আর কীইবা হতে পারে একজন বোলারের জন্য! সব মিলিয়ে তৃতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ওভারটি মেডেন নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন মায়াঙ্ক।
দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে দেখা পান কাঙ্ক্ষিত প্রথম উইকেটেরও। ১৪৬ কি.মি গতিতে করা বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। নিজের করা তৃতীয় ওভারে অবশ্য খরুচে ছিলেন মায়াঙ্ক। দুটি চার ও এক ছক্কায় দেন ১৫ রান। এরপর শেষের দিকে কোটার শেষ ওভার করেন মায়াঙ্ক। ওই একটি ওভারে বেশ রান দিলেও চার ওভারে ১ উইকেটে নিতে গুনেন মাত্র ২১ রান।
তার ও অন্য বোলারদের সম্মিলিতে তোপের মুখে ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।