
স্প্যানিশ ক্লাব ডেপোর্তিভো আলাভেস থেকে গ্রীষ্মে দল বদলের মৌসুমে ফরাসি ক্লাব স্ট্রাসবুর্গে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত নামটা অনেকের কাছেই অপরিচিত ছিল। তবে লিগ ওয়ানের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হইচই রটিয়ে দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী জোয়াকিন পানিচেল্লি। ক্লাবটির হয়ে মাঠে নেমেই আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড করছেন গোলের পর গোল।
কনফারেন্স লিগে গতকাল রাতে দল যখন ০-১ গোলে পিছিয়ে তখনই সমতাসূচক গোলটি আসে পানিচেল্লির একক নৈপুণ্যে। পোল্যান্ডের ক্লাব যাগিয়েলোনিয়া বিয়ালিস্টকের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে জাল কাঁপান তিনি।
আরও পড়ুন
| বার্সার আপিল খারিজ, এল ক্লাসিকোতে নিষিদ্ধই থাকছেন ফ্লিক |
|
কোচ লিয়াম রোসেনিওর তরুণ দলের প্রাণভোমরা হয়ে উঠেছেন পানিচেল্লি। লিগ ওয়ানে ২০২৫-২৬ মৌসুমে এখন পর্যন্ত আট ম্যাচে সাত গোল করেছেন। ফরাসি লিগটির এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা রিভার প্লেটের যুবদলের সাবেক এই স্ট্রাইকার। ১৯৬২–৬৩ মৌসুমের পর স্ট্রাসবুর্গের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে লিগের প্রথম আট ম্যাচে সাত গোল করলেন তিনি।
পানিচেল্লির দুর্দান্ত ছন্দে তার দল স্ট্রাসবুর্গসও পয়েন্ট টেবিলে ভালো অবস্থানে আছে। লিগ ওয়ানে শীর্ষে থাকা মার্শেই থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট কম নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে স্ট্রাসবুর্গস। ৮ ম্যাচে তাদের অর্জন ১৬ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা প্যারিস সেন্ট জার্মেই থেকে মাত্র এক পয়েন্ট কম পানিচেল্লির স্ট্রাসবুর্গের।
লিগের শীর্ষ গোলদাতা পানিচেল্লি সবশেষ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন পিএসজির এর বিপক্ষে ৩–৩ ড্র ম্যাচে পানিচেল্লি কাছ থেকে আসে জোড়া গোল। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে আঁজে-র বিপক্ষে দলের ৫–০ গোলের জয়েও দু’বার বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
পিএসজির বিপক্ষে প্রথমে দারুণ এক হেডে দলের সমতাসূচক গোলটি করেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে স্ট্রাসবুর্গের লিড দ্বিগুণ করেন। ‘ওটা আমার দেখা সেরা হেডগুলোর একটি’। ম্যাচ শেষে পানিচেল্লির প্রথম গোলের প্রশংসা এভাবেই করেন কোচ রোসেনিওর।
স্ট্রার্সবুগের কোচ আরও যোগ করেন, ‘আজ (গত শনিবার) রাতে একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে ওর পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য। যেভাবে গোলগুলো করেছে, যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে — অবিশ্বাস্য!
স্ট্রাসবুর্গের খেলায় পানিচেল্লির প্রভাব কতটা সেটা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। ক্লাবটির হয়ে প্রতি ৮৯ মিনিটে এক গোল দিচ্ছেন তিনি। আটটি ম্যাচের সবকটিতেই খেলেছেন (এর মধ্যে সাতটিতে শুরুর একাদশে)। স্ট্রাইকার হিসেবে যেমন স্বচ্ছন্দ, তেমনি সতীর্থ এমানুয়েল এমেগা-র সঙ্গেও দারুণ জুটি গড়েছেন।
পানিচেল্লির পারফরম্যান্সে অবশ্য একেবারেই অবাক হচ্ছেন না কোচ রোনেনিওর। কঠিন পরিশ্রমের ফলই নাকি পাচ্ছে শিষ্য, ‘আমি মোটেও অবাক হইনা। কারণ সে প্রতিদিন অনুশীলনে নিজের সর্বোচ্চটা দেয়। সে কঠোর পরিশ্রম করে, আর ওর সঙ্গে কাজ করাটা সত্যিই আনন্দের।’
২০২৩ সাল থেকে ইংলিশ ক্লাব চেলসির মালিকানা গ্রুপ ব্লু-কো (ব্লুকো) এর নিয়ন্ত্রণে থাকা স্ট্রাসবুর্গ তরুণ প্রতিভা দিয়ে নতুন দল গঠন করছে। আর সেই দলের হয়ে ইতিহাস লিখতেই যেন যোগ দিয়েছেন পানিচেল্লি।
ফুটবলার পরিবারের সন্তান পানিচেল্লি। বেড়ে উঠেছেন আর্জেন্টিনায়। সাবেক ক্লাব রিভার প্লেট-এ তেমন প্রভাব ফেলতে না পারলেও, পরবর্তীতে লা লিগার ক্লাব ডিপোর্তিভো আলাভেস-এ যোগ দেন। সেখানেই হাঁটুর (এসিএল) ইনজুরি তার ক্যারিয়ারে সাময়িক বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন
| আফগানিস্তানের বিপক্ষে হামজাদের ম্যাচ জাতীয় স্টেডিয়ামে |
|
চোট থেকে সেরে উঠে পানিচেল্লি স্পেনের দ্বিতীয় সারির লিগের ক্লাব মিরান্দেস-এ ধারে যোগ দেন। এই ক্লাবেই নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরেন। করেন ২০টিরও বেশি গোল পাশাপাশি আটটি অ্যাসিস্ট।
স্ট্রাসবুর্গে যোগ দেওয়ার পর থেকেই যেন আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন পানিচেল্লি। ক্লাবের হয়ে প্রথম ম্যাচেই করেন গোল, সেই ধারাই বজায় রেখেছেন এখনো। তাঁর সঙ্গে ফরাসি ক্লাবটি চুক্তি রয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত।
দুর্দান্ত এই ছন্দ ধরে রাখলে হয়তো আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির নজরে পড়তে পারেন পানিচেল্লি। কে জানে হয়তো লিওনেল মেসি-জুলিয়ান আলভারেজের সঙ্গে ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেতেও পারেন।
No posts available.

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা হলো অতিরিক্ত ৬ মিনিট। এরমাঝেও আরও বিরতির কারণে সেটি গিয়ে ঠেকল ১৫ মিনিটে। যেখানে একদম শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতে আল নাসরকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে শনিবার রাতে আল ফায়হাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আল নাসর৷ লিগে এ নিয়ে সাত ম্যাচে টানা সাত জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করেছে সৌদি ফুটবলের জায়ান্ট ক্লাবটি।
ম্যাচ জুড়ে দাপট দেখিয়ে খেলে আল নাসর। প্রায় ৬৬ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের কাছেই রাখে তারা। গোলের জন্য করে মোট ১৪টি শট। এর ৫টি ছিল লক্ষ্য বরাবর।
তবে ম্যাচের প্রথম গোলটি করে আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে নামা আল ফায়হাই। স্বাগতিক দর্শকদের চমকে দিয়ে ১৩তম মিনিটে দারুণ দক্ষতায় ফায়হাকে এগিয়ে দেন ডেভিড রেমেসেইরো (জেসন নামে অধিক পরিচিত)।
মিনিট পাঁচেক পর ফায়হার জাল কাঁপান কিংসলে কোম্যান৷ কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় আল নাসর তারকার এই গোল।
তবে ৩৭ মিনিটে ভুল করেননি রোনালদো। হোয়াও ফেলিক্স ও কোম্যানের দারুণ মেলবন্ধনের পর কোম্যানের পাস থেকে ম্যাচে সমতা ফেরান পর্তুগিজ সুপারস্টার।
আরও পড়ুন
| মেসির গোলের পরও জিততে পারল না মায়ামি |
|
এরপর গোলের একাধিক সুযোগ পায় দুই দলই। কিন্তু ম্যাচের স্কোরলাইন বদলাতে পারছিল না তারা। অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে খুলে যায় আল নাসরের ভাগ্য।
আব্দুল্লাহ আল আমরি ডি-বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হলে লম্বা সময় ধরে ভিএআর চেক করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের ১৫তম মিনিটে সেই পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে জেতান রোনালদো৷ জোড়া গোল করে তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

লিওনেল মেসির শেষ সময়ের গোলেও রক্ষা হলো না ইন্টার মায়ামির। রোববার বাংলাদেশ সময় ভোরে মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কাপ প্লে অফের প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগে ন্যাশভিল এফসির কাছে ২-১ গোলে হেরেছে মায়ামি।
২০২১ সালের পর এটাই ন্যাশভিলের প্রথম প্লে-অফ জয়। সেবারও তারা প্রথম রাউন্ডে ২-১ গোলে হারিয়েছিল অরল্যান্ডোকে।
ন্যাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে নবম মিনিটেই পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন স্যাম সারিজ। মায়ামির গোলরক্ষক রোকো রিওস নভো ভুল দিকে ঝাঁপ দিলে সহজেই গোল করেন তিনি।
আরও পড়ুন
| অপ্রতিরোধ্য আর্সেনাল, হোঁচট খেল ইউনাইটেড |
|
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ন্যাশভিল। হানি মুকতারের কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জশ বাওয়ার।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে মায়ামি। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল দলটি। শেষ পর্যন্ত ৯০ মিনিটে গোল করেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। রদ্রিগো দে পলের পাস থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান কমান তিনি।
ন্যাশভিলের বিপক্ষে এটি তার তিন ম্যাচে ষষ্ঠ গোল। তবুও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মায়ামিকে। পুরো ম্যাচে মায়ামির শট ছিল ১০টি, ন্যাশভিলের ৯টি। তবে অন টার্গেটে এগিয়ে ছিল ন্যাশভিল ৫-৩ ব্যবধানে।
এই জয়ে তিন ম্যাচের এই প্লে অফ সিরিজে সমতা ফেরাল ন্যাশভিল। এখন সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে ৮ নভেম্বর, মায়ামির মাঠ ফোর্ট লডারডেলে।
সিরিজের বিজয়ী দল উঠবে কনফারেন্স সেমিফাইনালে, যেখানে প্রতিপক্ষ হবে সিনসিনাটি বা কলম্বাস ক্রু।

শুক্রবার ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গত মৌসুমের গোল্ডেম বুট জিতেছেন কিলিয়ান এমবাপে। এর পরদিনই জোড়া গোলে যেন জানান দিলেন নতুন মৌসুমের জন্যও প্রস্তুত তিনি।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চলতি মৌসুমেও দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন এই তারকা। তার নৈপুণ্যে লা লিগায় বড় জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভ্যালেন্সিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে তারা।
রিয়ালের হয়ে জোড়া গোল করেছেন এমবাপে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে লা লিগায় ১১ ম্যাচে তার গোল এখন ১৩টি। দলের বাকি দুটি গোল করেছেন জুড বেলিংহাম ও আলভারো কারেরাস।
আরও পড়ুন
| অপ্রতিরোধ্য আর্সেনাল, হোঁচট খেল ইউনাইটেড |
|
এই জয়ের ফলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভিয়ারিয়ালের চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপে। ৩১ মিনিটে আরদা গুলারের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই ফরোয়ার্ড।
এরপর আরও একটি পেনাল্টির সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। তবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট রুখে দেন ভ্যালেন্সিয়ার গোলরক্ষক।
এক মিনিট পরই বিরতির ঠিক আগ মূহুর্তে গোল করেন বেলিংহাম। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে বল জালে পাঠান ইংলিশ তারকা। প্রথমার্ধ শেষে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে পুরো সময় নিয়ন্ত্রণে রেখেও গোল পাচ্ছিল না রিয়াল। শেষ পর্যন্ত ৮২ মিনিটে দারুণ এক শটে গোল করেন কারেরাস, ৪-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের।
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকোতে বদলি হিসিবে ম্যাচ থেকে উঠানোর কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভিনিসিয়ুস। তবে এই ম্যাচে শুরু থেকেই খেলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন
| প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা ইয়ামালের |
|
এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১০ জয় ও ৩০ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। এনফিল্ডে আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে তারা।
দিনের অন্য ম্যাচে রায়ো ভায়েকানোকে ৪-০ গোলে হারিয়ে বার্সেলোনাকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভিয়ারিয়াল। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৩। ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বড় দলগুলোর হারের সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে আর্নেনাল। সবশেষ টানা পাঁচ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আরও জেঁকে বসেছে গানাররা। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মিকেল আর্তেতার দল টানা নয় ম্যাচে জয় পেল। একই সময়ের অন্য ম্যাচে টানা তিন জয়ের পর ড্র করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আজ বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। প্রতিপক্ষের মাঠে ভিক্টর ইয়োকেরেসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুন করেন ডেকলান রাইস।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করল আর্সেনাল। এক ম্যাচ কম খেলে দুই নম্বরে থাকা বোর্নমাউথের পয়েন্ট ১৮। আর চলতি মৌসুমে লিগে ষষ্ঠ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে বার্নলে।
নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে বল দখলে ভালোই লড়েছে বার্নলি। তবে আক্রমণে সফরকারীদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। ৫৪ শতাংশ বল দখলে রেখে ১১টি শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রাখে আর্সেনাল। যেখানে পুরো ম্যাচে মাত্র দুটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন ইয়োকেরেস। আরেকবার কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদ করল আর্সেনাল। রাইসের নেওয়া কর্নার থেকে হেডে গোল করেন সুইডিশ ফরোয়ার্ড। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করা গোলটি আসে আগের গোলের যোগানদাতার নৈপুণ্যে। ইয়োকেরের নিঁখুত পাস থেকে বল পান লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ক্রস করলেন িএই উইঙ্গার, সেখান থেকে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান রাইস।
মূল্যবান এক পয়েন্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের
প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে খালি হাতেই ফেরার দিকে এগোচ্ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ৮১ মিনিটে ৮১তম মিনিটে আমাদ দিয়ালো দুর্দান্ত এক ভলিতে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে করম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
নটিংহ্যামের মাঠ সিটি গ্রাউন্ডে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথমে ক্যাসেমিরোর গোলে এগিয়ে যায় রুবেন আমোরিমের দল। বিরতির পর দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে বসে রেড ডেভিলরা। এরপর শেষ দিকে দলকে গুরুত্বপূর্ণি একটি পয়েন্ট এনে দেওয়া গোলটি করেন দিয়ালো।
এই ড্রয়ের পর ১০ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে ইউনাইটেড। বিপরীতে অবনমন অঞ্চলে থাকা ফরেস্ট ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে অবস্থান করছে।
প্রথমার্ধে কাসেমিরোর হেডে থেকে করা গোলে টানা চতুর্থ জয় পেতে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচের চিত্র পুরো উল্টে যায়। ৪৮ মিনিটে ডানদিক থেকে রায়ান ইয়েটসের ক্রসে ফরেস্ট অধিনায়ক মরগান গিবস-হোয়াইট ইউনাইটেডর রাইট-ব্যাক আমাদকে পরাস্ত করে বল দখলে নিয়ে দলকে সমতায় ফেরান।
দুই মিনিট পরই আবার আক্রমণ ফরেস্টের। ডানদিক থেকে আরেকটি বিপদজনক ক্রস ইউনাইটেডের রক্ষণ হুমকির মুখে পড়ে। ইগর জেসুসের হেড কয়েকজন খেলোয়াড়ে থেকে বক্সে পড়লে ঠাণ্ডা মাথায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রেড ডেবিলদের গোলকিপার সানে ল্যামেন্সকে পরাস্ত করেন নিকোলো সাভোনা।
পিছিয়ে পড়ে সমতাসূচক গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে থাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৮১ মিনিটে আসে সুযোগ। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, তারপরই আমাদ এক লাফিয়ে ওঠা বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকেই প্রথম ছোঁয়ায় ভলিতে বল জালে পাঠান।
জয়সূচক গোলটিও পেয়ে যেতে পারত আমোরিমের দল। শেষ মুহূর্তে আমাদের আরেকটি শট জয় ফরেস্টের মুরিলো গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে দলকে রক্ষা করেন।

ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন লামিনে ইয়ামাল। চোট, ছন্দহীনতা, বিতর্ক কিংবা ব্যাক্তিগত জীবন সবখানেই হোঁচট খাচ্ছেন বার্সেলোনার তারকা উইঙ্গার। এবার প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন ইয়ামাল।
স্পেনের সংবাদ মাধ্যমের খবর, প্রেমিকা নিকি নিকোলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ইতি টেনেছেন ইয়ামাল। ‘আরটিভিই কাতালুনিয়া’ এর সাংবাদিক জাভিয়ার দে হোয়োসকে ইয়ামাল নিশ্চিত করেছেন, আর্জেন্টাইন গায়িকা নিক্কির সঙ্গে তিন মাসের প্রেমের সম্পর্ক শেষ হয়েছে তাদের।
এল ক্লাসিকোর কদিন পরই ইতালির মিলানের একটি পার্টিতে দেখা যায় ইয়ামালকে। সেখানে সেখানে ইতালীয়ান সামাজিক মাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার আনা জেগনোসোর সঙ্গে ছিলেন ১৮ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফুটবলার। গুঞ্জন উঠেছে নতুন প্রেমের সম্পর্কের কারণে নিকোলের সঙ্গে সম্পর্ক ইতি টেনেছেন ইয়ামাল।
অবশ্য স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম ইয়ামালের যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, সেখানে বার্সা তারকা নতুন প্রেমের কথা অস্বীকার করেন। বার্সা তারকা বলেছেন, ‘আমরা (ইয়ামাল ও নিকি) এখন আর একসঙ্গে নেই। এটি কোনো অবৈধ সম্পর্কের কারণে হয়নি। আমরা কেবল আলাদা হয়ে গিয়েছি, বিষয়টি এখানেই শেষ। যা কিছু বাইরে আসছে, তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করিনি বা কারও সঙ্গে কিছু করছি না।’
সম্প্রতি মাঠের বাইরের বিষয় নিয়েই বেশি আলোচনায় আসছেন ইয়ামাল। মাঠে চিরচেনা ইয়ামালকে গত কয়েক ম্যাচেই দেখছে না সমর্থকরা। চোটও বেশ ভুগাচ্ছে তাকে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্তের’ একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পিউবালজিয়া চোটে পড়া ইয়ামাল হয়তো আর শতভাগ ফিট হয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন না।