
মাঠের ফুটবলে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র তার সমালোচকদের সেভাবে সুযোগ দেন না। তবে তার গোল উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদেরই সাবেক ফুটবলার পেদ্রাক মিয়াতোবিচ। তিনিও আপত্তি তুলেছেন ভিনিসিয়ুসের উদযাপন নিয়েই। মাত্রাতিরিক্ত উদযাপন করে ভিনিসিয়ুস নিজের ক্ষতি করছেন বলেই মন্তব্য করেছেন ইউগোস্লোভিয়ার সাবেক এই ফরোয়ার্ড।
রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও গোলের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিয়ুস। পেনাল্টি থেকে গোল করে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ইঙ্গিত করে উদযাপন করেন ব্রাজিল তারকা। যা সমর্থকদের ক্ষেপিয়ে তুলে বেশ। যদিও এই চিত্র ভিনিসিয়ুসের জন্য নতুন না। মাঠে নিয়মিতই এমন উদযাপন করে থাকেন তিনি। যার ফলে সমর্থকদের রোষানলেও পড়তে হয় তাকে। অনেকে তো এটাও মনে করেন, তার বিরুদ্ধে চলমান বর্ণবাদী আচরণের পেছনে এই উদযাপনই দায়ী।
তবে মাঠের উদযাপন রিয়াল সমর্থকদের বিব্রত করছে বলেই মানছেন মিয়াতোবিচ। “আমরা তার গোল নিয়ে খুশি, এরপর আমরা উদযাপন নিয়ে হতাশ হয়েছি। তার এটা করার কী দরকার? সে নিজের অনেক ক্ষতি করছে এতে। আমি অনেক রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকের সাথেই কথা বলেছি, তারা ওকে ভালোবাসে কিন্তু এমন উদযাপনে আমরা সবাই বিব্রত।”
লি লিগার অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতে হরহামেশাই ভিনিসিয়ুস বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন। যা নিয়ে লা লিগা কিংবা তার ক্লাব রিয়াল সবসময়ই পাশে দাঁড়িয়েছে। রিয়াল সমর্থকরাও প্রিয় ফুটবলারকে এমন আচরণ থেকে রক্ষা করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছিলেন সরব।
মাঠে সমর্থকদের চাপ সামলাতে এমন উদযাপন করলেও এতে বিপরীত ঘটনা ঘটছে বলেই মানছেন মিয়াতোবিচ। তার দাবি এতে নিজের ওপর উল্টো চাপ তৈরি করছেন ভিনিসিয়ুস। “সে নিজের দিকে নিজেই ঢিল ছুড়ছে। তার আশেপাশে কি হচ্ছে তা জেনেও সে নিজের ওপর চাপ তৈরি করছে। তার উচিত আরও শান্ত থাকা।”
No posts available.
৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২১ পিএম
৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯:২২ পিএম

একটু পরই চ্যাম্পিয়নস লিগে মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় শুরু হওয়া শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের আগে অতিথিদের দুঃস্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন অল রেডস ক্যাপ্টেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক।
গত বছরের নভেম্বরের অ্যানফিল্ডে মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়নস লিগের সে ম্যাচে লস ব্লাঙ্কোসদের ২-০ গোলে হারায় লিভারপুল। নতুন মৌসুমে ফের মুখোমুখির আগে ভ্যান ডাইক বলেন,
"চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যানফিল্ডে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচের চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। এমন রাতগুলোর জন্যই আমরা খেলি। গতবার যেমনটা করেছিলাম, এবারও তেমন কিছু করতে চাই।"
২০২৫-২৬ মৌসুমে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই লিভারপুল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে হারের পর অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ায় আর্নে স্লটের দল। ভ্যান ডাইক বলেন,
"অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে সমর্থকদের দারুণ সমর্থন পেয়েছি। ফলাফল আমাদের পক্ষে না থাকলে অনেক সমালোচনা হয়, কিন্তু সেদিন সবাই প্রথম মিনিট থেকেই সমর্থকরা আমাদের পাশে ছিল। এটা দলের জন্য অনেক বড় প্রেরণা।"
ভিলার বিপক্ষে গোল করে লিভারপুলের হয়ে নিজের ২৫০তম গোল পূর্ণ করেছেন মোহাম্মদ সালাহ। এ নিয়ে ভ্যান ডাইক বলেন,
"২৫০ গোল এক কথায় অবিশ্বাস্য অর্জন। লিভারপুলের মতো ক্লাবে এটা করা বিশাল ব্যাপার। সালাহর নিবেদন ও পেশাদারিত্ব সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। আশা করি, আজ রাতেও সে স্কোরশিটে নাম তুলবে।"

বিখ্যাত সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গ্যানকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সাক্ষাৎকারে ‘কে সেরা’ প্রশ্ন টানা হয়। লিওনেল মেসির সঙ্গে নিজের তুলনা প্রসঙ্গে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড স্পষ্ট জানালেন,
‘মেসি আমার চেয়ে ভালো, এই মতের সঙ্গে আমি একমত নই। এখানে আমি বিনয়ী হতে চাই না।’
প্রায় একই সময়ে মেসি-রোনালদোর সঙ্গে তুলনা করে প্রশ্ন করা হয়েছিল নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডকে। ম্যানচেস্টার সিটি তারকা জানালেন, ফুটবল বিশ্বের দুই তারকার রেকর্ডের ধারে কেউ যেতে পারবে না। তার মতে, মেসি-রোনালদো কিংবদন্তিতুল্য।
চলতি মৌসুমের (নভেম্বর থেকে) এখন পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটি ও নরওয়ের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মোট ২৬ গোল করেছেন হলান্ড। এ নিয়ে তার ক্যারিয়ারের মোট গোলসংখ্যা ৩২৭। এতসবের পরও মেসি-রোনালদোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে তিনি।
৩৮ বছর বয়সি মেসির জাতীয় ও ক্লাবের হয়ে গোল সংখ্যা ৮৯২। ৪০ বছর বয়সী রোনালদোর ৯৫২। অর্থাৎ ১ হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে খুব বেশি দূরে নেই দুজনই।
হলান্ডকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি আদৌ নিজেকে দুই কিংবদন্তীর কাতারে দেখেন কিনা। উত্তরে হলান্ড বলেন,
‘আমি তাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। কেউই তাদের কাছাকাছি যেতে পারবে না।’

ফুটবলে বিশেষ অবদান ও ব্রিটিশ সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ নাইট উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ডেভিড বেকহ্যাম। বার্কশায়ারে আজ রাজা তৃতীয় চার্লসের হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন এই ফুটবল কিংবদন্তি।
ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গর্বের উপাধি ‘নাইটহুড’। চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজা তৃতীয় চার্লসের জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশিত সম্মাননা তালিকায় বেকহ্যামের নাম ছিল। পুরস্কার গ্রহণের পর থেকে তাঁর নামের আগে যুক্ত হয়েছে ‘স্যার’।
পুরস্কার গ্রহণের পর বেকহ্যাম বলেন,
‘আমি এর চেয়ে বেশি গর্বিত হতে পারতাম না। সবাই জানে, আমি দেশকে কতটা ভালোবাসি। সব সময়ই বলেছি, রাজপরিবার আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেক হয় বেকহ্যামের। দেশের হয়ে মোট ১১৫ ম্যাচ খেলেছেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছয় বছর ছিলেন ‘থ্রি লায়ন্স’-এর অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ ও দুটি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছেন তিনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাডেমি থেকে উঠে আসা বেকহ্যাম ১৯৯২ সালে প্রথম দলে সুযোগ পান। ক্লাবটির হয়ে ১১ বছর খেলার পর ২০০৩ সালে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। চার বছর স্পেনে খেলার পর ২০০৭ সালে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিতে। ক্লাবটিতে থাকার সময় দুই দফা ধারে খেলেছিলেন এসি মিলানে। ২০১৩ সালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনে খেলা শেষ করে বিদায় নেন পেশাদার ফুটবল থেকে।
বাইরেও বেকহ্যামের প্রভাব বিশাল। পূর্ব লন্ডনে জন্ম নেওয়া এই তারকা ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০০৫ সাল থেকে ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে তাঁর নামে একটি তহবিলও গঠন করা হয়।
২০২৪ সালে রাজা তৃতীয় চার্লসের শিক্ষা কর্মসূচি ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কিংস ফাউন্ডেশনের দূত হন বেকহ্যাম। বর্তমানে ৫০ বছর বয়সী বেকহ্যাম ইংল্যান্ডের লিগ টু ক্লাব স্যালফোর্ড সিটির সহ-মালিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস ক্লাব ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক।

২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর নারীদের খেলাধুলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে তালেবান সরকার। নিরাপত্তাহীনতায় অনেক নারী ফুটবলার দেশান্তরী হয়েছেন। ফিফার উদ্যোগে চলতি বছর তাঁদের নিয়ে গঠিত হয়েছে শরণার্থী দল।
চলতি মাসে চার জাতির ফিফা ইউনাইটস সিরিজে প্রথম জয় পায় আফগান শরণার্থী দলটি। এই দলের খেলোয়াড় মানুজ নুরি সম্প্রতি এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর তিনি ‘আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন’।
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের আগে দেশটিতে চুক্তিবদ্ধ নারী ফুটবলারের সংখ্যা ছিল ২৫। তাঁদের অধিকাংশই বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বাস করছেন। শরণার্থী নারী দল গঠনে সিডনি, লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিভা অন্বেষণের ক্যাম্প আয়োজন করে ফিফা। এসব ক্যাম্প থেকে বাছাই করে গঠন করা হয়েছিল ২৩ সদস্যের দল। সেখান থেকে ফিফা ইউনাইটস সিরিজে অংশ নেন ফুটবলাররা।
মরক্কোতে হওয়া ফিফা ইউনাইটসে আফগান শরণার্থী দলের হয়ে প্রথম গোল করেন নুরি। তাঁদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে চাদের বিপক্ষে গোলটি করেন তিনি। যদিও চাদ ও তিউনিসিয়ার কাছে হেরেছিল তারা, তবে লিবিয়ার বিপক্ষে ৭–০ গোলের বড় জয় পায় আফগান শরণার্থী দল।
তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ১২ বছরের ঊর্ধ্ব মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। নারীদের খেলাধুলাতেও আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা। এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুরি প্রশ্ন তুলেছেন আফগানিস্তানে মেয়েদের পড়াশোনা ও খেলাধুলায় নিষেধাজ্ঞার পরও দেশে থাকার বিষয়টি নিয়ে—
‘নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, আমি কি এমন দেশে থাকতে চাই, যেখানে মানুষ চায় মেয়েদের পড়াশোনা, ফুটবল খেলা বা কোনো কিছুই করতে নিষেধ করুক,’
প্রশ্ন করেন তিনি।
পারিবারিক চাপ থাকা সত্ত্বেও নুরি আফগানিস্তান জাতীয় নারী ফুটবল দলে খেলেছিলেন। তবে তালেবান আবার ক্ষমতায় আসার পর তিনি ট্রফি ও মেডেলগুলো বাড়ির পেছনের উঠোনে পুঁতে রেখে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। দলের আরেক খেলোয়াড় নিলাব মোহাম্মাদি বলেন,
‘ফুটবল শুধু একটি খেলা নয়, এটা জীবন আর আশার প্রতীক।’
আফগান শরণার্থী দলকে এখনো সরকারি প্রতিনিধিত্বকারী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি ফিফা। তবে দলের খেলোয়াড়রা সেই স্বপ্ন দেখছেন।

অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফেরাটা সুখকর কিছু হয়নি ভারতীয় কিংবদন্তী ফুটবলার সুনীল ছেত্রীর জন্য। দুই ম্যাচ বাকি থাকতে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে তাঁর দল। যে কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ নভেম্বর নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে ছেত্রী আসবেন না। এমন খবরই প্রকাশ করেছে ভারতীয় মিডিয়া।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়ার কিছু নেই ভারতের। তবে লাল সবুজের বিপক্ষে মর্যাদার লড়াইয়ে হারতে চায় না প্রতিবেশি দেশটি। সে কারণেই শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে বাংলাদেশে আসার ইঙ্গিত দেন দলটির হেড কোচ খালিদ জামিল। কেননা একই সময়ে তাদের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলা রয়েছে। যে কারণে নতুন খেলোয়াড় নিয়ে বাংলাদেশের আসার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। শেষ পর্যন্ত খালিদ জামিলের সিদ্ধান্ত কেমন হয় সেটিই দেখার অপেক্ষা।
সিদ্ধান্ত আসার অপেক্ষা সুনীল ছেত্রীর কাছ থেকেও। কেননা গত মার্চে তিনি অবসর ভেঙে দলে ফিরেছিলেন কেবল এএফসি বাছাইয়ে ভারতে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে। সেটি হয়নি। যে কারণে ভারতীয় ফুটবলে নিজের জায়গা ছেড়ে দিতে পারেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৯৫ গোল করা ছেত্রী।
ভারতীয় মিডিয়ার গুঞ্জন- নিজের জায়গায় ভবিষ্যতের জন্য ফুটবলার খোজার পক্ষে ছেত্রী। এই পরামর্শ তিনি খালিদ জামিলকে দেবেন বলেও শোনা যায়। বর্তমানে সুপার কাপের ম্যাচ খেলা নিয়ে ব্যস্ত ৪১ বছর বয়সি ফুটবলার।