পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে বিশ্বকাপের পথ আরও সুগম করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সেই আনন্দের দিনে এসেছে আরেকটি সুখবর। অসুস্থতা কাটিয়ে আবারও দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নিগার সুলতানাদের প্রধান কোচ সরোয়ার ইমরান।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মধ্যেই মাইনর স্ট্রোকে আক্রান্ত হন সরোয়ার ইমরান। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে গত বুধবার ছাড়পত্র দেওয়ার পরপরই অনুশীলনে যোগ দেন ৬৬ বছর বয়সী এই কোচ।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয়ের পুরোটা সময় দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। খেলোয়াড়দের মনোবল ধরে রাখতে ড্রেসিংরুমে থেকেছেন সরোয়ার।
নারী দলের টিম ম্যানেজার এসএমন গোলাম ফাইয়াজ ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘ডাক্তার তাকে (সরোয়ার) নজরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সেই নির্দেশনা মেনে চলছি। তবে তিনি শিষ্যদের নিরুৎসাহিত করতে চাননি বলেই দ্রুত কাজে ফিরেছেন।’
গত ফেব্রুয়ারিতে সরোয়ার ইমরানকে নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার অধীনে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
No posts available.
৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৪৯ পিএম
৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭:১৪ পিএম
৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭:০১ পিএম
আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খানের বোলিংয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও পরপর দুই ম্যাচে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন নুরুল হাসান সোহান। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে গেল বাংলাদেশ।
এই ফরম্যাটে এ নিয়ে টানা ৪টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। এর আগে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টানা ৩ সিরিজ জিতেছিল তারা।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন শামীম হোসেন। অধিনায়ক জাকের আলি ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩২ রান।
তবে ২১ বলে ৩১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মূলত সোহান। আগের ম্যাচেও ১৩ বলে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৭/৫ (অতল ২৩, ইব্রাহিম ৩৮, গুরবাজ ৩০, তারাখিল ১, রসুলি ১৪, ওমরজাই ১৯*, নবী ২০*; শরিফুল ৪-০-১৩-১, নাসুম ৪-০-২৫-২, সাইফ উদ্দিন ৪-০-২২-০, মোস্তাফিজ ৪-০-৪০-০, রিশাদ ৪-০-৪৫-২)
বাংলাদেশ: ১৯.১ ওভারে ১৫০/৮ (তামিম ২, ইমন ২, সাইফ হাসান ১৮, জাকের ৩২, শামীম ৩৩, সোহান ৩১*, নাসুম ১১, সাইফ উদ্দিন ৪, রিশাদ ২, শরিফুল ১১*; মুজিব ৪-০-১৮-১, ওমরজাই ৩.১-০-২৩-৪, রশিদ ৪-০-২৯-২, নুর ৪-০-৪০-১, নবী ৩-০-৩২-০, আহমেদজাই ১-০-৮-০)
ফল: বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী
বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের পর দুই ওপেনারের ব্যাটেই হেসেখেলে জয় পেল ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে নারী বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত হলো ইংলিশ মেয়েদের।
ইংল্যান্ডের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে কোনো জবাবই ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০.৪ ওভারে ৬৯ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। মেয়েদের বিশ্বকাপে বলের হিসেবে দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ত ইনিংস এটি।
মামুলি সংগ্রহ পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা বল হাতে নূন্যতম প্রতিরোধও করতে পারেনি। দুই ওপেনার টেমি বিউমন্ট (৩৫ বলে ২১) ও অ্যানি জোন্সের (৫০ বলে ৪০) ৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩৫ ওভার ও ১০ উইকেট হাতে রেখেই সহজ লক্ষ্য সহজেই তাড়া করে ইংল্যান্ড। ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন বাঁ হাতি স্পিনার লিনসে স্মিথ।
গুয়াহাটির বারাসাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ইংলিশ অধিনায়ক নাত স্কিভার-ব্রুন্ট। ব্যাটে নেমে ৯ রান থেকে শুরু হয় প্রোটিয়াদের আসা-যাওয়ার মিছিল। পেস কিংবা স্পিন কোনো বলেই সুবিধা করতে পারছিলেন না লারা উলফার্টের দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডারের ব্যাটার সিনালো জাফতা ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেনি আর কোনো ব্যাটার। ৩৬ বলে ২২ রান করে পঞ্চাশের আগে দলকে গুটিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচান এই উইকেটকিপার ব্যাটার। লিনসে স্মিথের ৩ উইকেটের সঙ্গে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাত স্কিভার-ব্রুন্ট, সোফি একলেসটন ও চার্লি ডিন।
৬৯ রানের সংগ্রহ পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বল হাতে বেশি কিছু করার সুযোগ ছিল না। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি প্রোটিয়া বোলাররা। ছোটো লক্ষ্য তাড়ায় কোনো ভুল করেননি দুই ইংলিশ ওপেনার। বড় জয়ে নেট রান রেটও বেশ বাড়িয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ ও ভারতের মতো প্রথম ম্যাচ জয়ে শুরু করা স্কিভার-ব্রুন্টের দলের রান রেট ৩.৭৭৩।
এনসিএলে টি-টোয়েন্টিতে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে খুলনা। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বরিশালকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এখন পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি বরিশাল।
টস জিতে বরিশালকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় খুলনা। টপ অর্ডার ভালো শুরু এনে দিলেও মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় ৭ উইকেটে ১৩৭ রান থেমে যায় বরিশালের ইনিংস। এনামুল হক বিজয়ের ফিফটিতে ১৩৮ রানের লক্ষ্য ২১ বল বাকি থাকতেই তাড়া করে খুলনা। এনসিএলে এটি হ্যাটট্রিক জয় মোহাম্মদ মিঠুনের দলের।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করে বরিশালের ওপেনাররা। আজমীর আহমেদ ও ইফতেখার আহমেদ ইফতি জুটিতে যোগ করেন ৩৭ রান। আজমীর আউট হওয়ার আগে করেন ২৪ রান।
দলীয় ৮১ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় বরিশালের। ইফতি ৩৪ রানে নাহিদুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তারপর ব্যাটিং ধসে স্কোরটা বেশি বড় করতে পারেনি তারা। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বরিশাল। ৭ উইকেটে ১৩৭ রান তুলতে পারে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বিজয়ের ৪৭ বলে অপরাজিত ৭২ রানে সহজেই ম্যাচ জিতে খুলনা। ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। আরেক ওপেনার ইমরানুজ্জান আউট হবার আগে করেন ৩০ রান।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে খুলনা। ৫ ম্যাচে ৩ জয়ে খুলনার অর্জন ৭ পয়েন্ট। ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার নিচে বরিশাল।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো শুক্রবার দ্বিতীয়টিতেও অনিশ্চিত তাওহিদ হৃদয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে জ্বরে ভুগছেন বাংলাদেশের মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার।
বাংলাদেশ দলের এক কর্মকর্তা ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, মাঠে পৌছানোর পর হৃদয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
"এখনও নিশ্চিত না (দ্বিতীয় ম্যাচে হৃদয়কে পাওয়া যাবে কিনা)। সে এন্টিবায়োটিক নিচ্ছে এবং এখনও অসুস্থ। তবে গতকাল বা দুই দিন আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে।"
"তাই আমরা মাঠে পৌঁছানোর পর হৃদয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরির ক্রমাগত পরামর্শের সঙ্গে ফিজিওর তত্ত্বাবধানে আছে সে।"
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে হৃদয়ের অনুপস্থিতিতে একাদশে ফেরানো ফেরার সুযোগ পান তানজিদ হাসান তামিম। চমৎকার ফিফটিতে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন বাঁহাতি ওপেনার।
আহমেদাবাদ টেস্টে দুই দিন শেষেই ম্যাচ জয়ের বন্দোবস্ত করে ফেলেছে ভারত। লোকেশ রাহুল, ধ্রুব জুরেল ও রবীন্দ্র জাদেজার সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রানপাহাড় গড়েছে তারা। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের লিড ২৮৬ রানের।
ক্যারিবিয়ানদের মাত্র ১৬২ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রথম দিনে ২ উইকেটে ১২১ রান করেছিল ভারত। দ্বিতীয় দিনে আর ৩ উইকেট হারিয়ে এর সঙ্গে ৩২৭ রান যোগ করেছে স্বাগতিকরা। এখন পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪৪৮ রান।
নতুন দিনে প্রথম ঘণ্টা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন শুবমান গিল ও রাহুল। চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৯৪ বলে ফিফটি করেন অধিনায়ক গিল। এরপর আর টিকতে পারেননি। ফলে ৯৮ রানে ভাঙে তৃতীয় উইকেট জুটি।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহুল। দেশের মাটিতে এটি তার মাত্র দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৯৯ রানের ইনিংস। প্রায় ৯ বছর পর আবার ঘরের মাঠে পেলেন তিন অঙ্কের স্বাদ।
বিরতির পর ফিরে প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান রাহুল। ১৯৭ বলের ইনিংসে ১২ চারে ১০০ রান করেন তিনি।
এরপর শুরু হয় জুরেল ও জাদেজার ম্যারাথন জুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৩৩১ বলে ২০৬ রান যোগ করেন তারা দুজন।
ছয় ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান জুরেল। দিনের মাত্র ৫ ওভার বাকি থাকতে আউট হন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ১৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২১০ বলে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
দিন শেষে একপ্রান্তে অবিচল জাদেজা। এরই মধ্যে তিনি তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ১৭৬ বলে ১০৪ রান নিয়ে নতুন দিনে ব্যাট করতে নামবেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
নিজের ৫টি ছক্কার সবগুলোই জোমেল ওয়ারিকানের বলে মেরেছেন জাদেজা। এখন টেস্ট ক্যারিয়ারে তার ছক্কা মোট ৮০টি। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে টপকে গেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ভারতের ব্যাটারদের মধ্যে ৯০ ছক্কা নিয়ে সবার ওপরে রিশাভ পান্ত।