সব প্রতিযোগিতায় দুরন্ত গতিতে ছুটে চলা৷ বার্সেলোনার বিপক্ষে এই মৌসুমে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে পার করতে হচ্ছে কঠিন সময়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বিশাল ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে বলেই মানছেন অনেকেই। তবে কোচ তো সেভাবে ভাবতে পারেন না। জার্মান দলটির কোচ নিকো কোভাচ তাই আশা রাখছেন, মিরাকেল ঘটাবেন তারা।
২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রানার্সআপ ডর্টমুন্ড গত সপ্তাহে প্রথম লেগে স্রেফ উড়ে যায় বার্সেলোনার কাছে। হেরে যায় ৪-০ গোলে। চলতি বছর এখনও হারের দেখা না পাওয়া হান্সি ফ্লিকের দলকে অবিশ্বাস্য ব্যবধানে হারিয়ে দেওয়া তাই কেবল সম্ভব মিরাকেল ঘটলেই।
বাস্তবতা মেনে তাই তেমন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকার কথাই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ডর্টমুন্ড কোচ।
“আমরা পরিস্থিতিটা খুব ভালোভাবেই জানি। প্রথম লেগের চেয়ে আগামীকাল সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ম্যাচ উপহার দিতে চাই এবং ম্যাচটি জিততে চাই। মিরাকেল ঘটার সম্ভাবনা সব সময় থেকেই যায়। তবে আমরা এটাও জানি, বার্সেলোনা এই বছর এখনও প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচই হারেনি।”
প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মূল হন্তারক হন ক্লাবটিরই সাবেক স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদভস্কি। জোড়া গোল করেন পোলিশ তারকা। যেমন দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি, তাতে ফিরতি লেগেও হতে পারেন প্রতিপক্ষের বিপদের বড় কারণ। চোটের জন্য সেই লড়াইয়ে ডর্টমুন্ড নাও পেতে পারে অধিনায়ক এমের ক্যানকেও।
সব চ্যালেঞ্জ ছাপিয়ে আশাবাদী কোভাচ লড়ে যেতে চান শেষ পর্যন্ত।
“আগামীকাল প্রথম মিনিট থেকে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ভক্তদের সমর্থন নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ, জয় তুলে নেওয়ার মত পারফরম্যান্স দেখানোর শক্তি পাব।”
ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন দেশটির জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার নিকোলা পাকরিভাচ।
শুক্রবার রাতে ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এইচএনএস) নিশ্চিত করে পাকরিভাচ প্রয়াণের খবর। তার বয়স হয়েছিল ৩৯।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চারটি গাড়ির সংঘর্ষে অন্য গাড়ির আরও একজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় পাকরিভাচ চতুর্থ স্তরের ক্লাব এনকে ভোজনিকের তার তিন সতীর্থের সাথে ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন
নতুন খেলোয়াড় কেনায় সিটির ভোগান্তি দেখছেন গার্দিওলা |
![]() |
এইচএনএস এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছে পাকরিভাচের মৃত্যুতে।
“আমরা যখন এমন মর্মান্তিক এবং অকল্পনীয় দুর্ঘটনায় একটি তরুণ জীবন হারাই, তখন সান্ত্বনার ভাষা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। এই অপূরণীয় ক্ষতির জন্য আমরা নিকোলার পরিবার এবং তার প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করতে চাই। এইচএনএস এবং ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল পরিবার এই কঠিন মুহুর্তে তাদের পাশে থাকবে।”
ক্রোয়াট ক্লাব দিনামো জাগরেবের সাবেক মিডফিল্ডার পাকরিভাচ ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন। ক্লাব পর্যায়ে তিনি লিগ ওয়ানের দল এএস মোনাকো এবং অস্ট্রিয়ার সালজবার্গের হয়েও খেলেছেন।
নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন মৌসুমে জেগেছে শিরোপাহীন থাকার সম্ভাবনা। প্রবল প্রতাপশালী ম্যানচেস্টার সিটিকে এই মৌসুমে লড়তে হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের সেরা চারে থাকতেই। ফলে সংশয় জেগেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন নিয়ে। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা মনে করেন, ঠিক এই কারণে নতুন খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে তাদের বিড়ম্বনার মুখ পড়তে হতেও পারে।
শনিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে পয়েন্ট টেবিলে সিটির অবস্থান পঞ্চম (৫৫)। হাতে ম্যাচ আছে আর ছয়টি। তিন ও চারে আছে যথাক্রমে নিউক্যাসল ইউনাইটেড (৫৯) ও নটিংহ্যাম ফরেস্ট (৫৭)। ইংলিশ চারটি ক্লাব সরাসরি সুযোগ পাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার। সিটির সামনে তাই চ্যালেঞ্জ রয়েছে ভালোই সেরা চারে থাকার জন্য।
আরও পড়ুন
৩৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার |
![]() |
আর এটা প্রভাব ফেলতে পারে নতুন খেলোয়াড় দলে আনার ক্ষেত্রেও, এমনটাই শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন গার্দিওলা।
“এটা আমরা যেসব খেলোয়াড়দের চাই এবং তাদের হাতে আমরা ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে কিনা, তার ওপর নির্ভর করবে। যদি তাদের আরও প্রস্তাব থাকে, তাহলে আমি নিশ্চিত খেলোয়াড়রা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা দলগুলোর দিকেই তাকাবে।”
গত ও এই মৌসুমে সিটি ছেড়েছেন কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আগামী গ্রীষ্মে ঠিকানা বদল করবেন কেভিন ডে ব্রুইনা সহ কয়েকজন। ফলে দল ঢেলে সাজাতে নতুন খেলোয়াড় দলে টানার বিকল্প নেই সিটির সামনে।
সুত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, লেভারকুসেন ফরোয়ার্ড ফ্লোরিয়ান উর্টজকে ডে ব্রুইনার পজিশনে ক্লাবে আনার চেষ্টা করবে সিটি। যদিও তার দিকে নজর আছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখেরও, যাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই।
আরও পড়ুন
লা লিগার তামাশায় ‘বাকরুদ্ধ’ বার্সা কোচ |
![]() |
দলবদল নিয়ে তাই কিছুটা অনিশ্চিয়তা দেখছেন গার্দিওলা।
“সম্ভবত খেলোয়াড়রা সাধারণ প্রক্রিয়া মেনেই আসেন। তবে এমন কিছু লোকও আছে, যারা বলে দেয় যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে না খেললে তারা সেখানে যাবে না। আমি জানি না আসলে ব্যাপারটা। আমি পরবর্তী মৌসুমের জন্য সম্ভাব্য কোনো খেলোয়াড়ের সাথে কথা বলিনি। তাই আমি জানি না। এই ব্যাপারে।”
চলতি মৌসুমে লা লিগার ঠাসা সূচী ও ম্যাচের ক্লান্তিকর সময় নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক চলছে শুরু থেকেই। মৌসুমের শেষ ভাগে এসে এটি ক্রমেই বাড়ছে আরও। টানা ম্যাচ খেলার মধ্যে থাকা বার্সেলোনা এই মুহুর্তে পার করছে অবিশ্বাস্য এক সময়। লা লিগা যেভাবে দলগুলোর কথা চিন্তা না করে সূচি সাজাচ্ছে, তাতে বিরক্ত কোচ হান্সি ফ্লিক। তার কাছে বিষয়টি স্রেফ তামাশাই মনে হচ্ছে।
তিন প্রতিযোগিতায় শিরোপার লড়াইয়ে থাকা বার্সেলোনাকে এই মাসে ১০ দিনের মধ্যে খেলতে হচ্ছে ৪টি ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই স্কোয়াডে তাতে যোগ হচ্ছে বাড়তি ক্লান্তি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ফিরতি লেগে তা স্পষ্ট হয়ে যায়, যেখানে বার্সেলোনা হেরে যায় ৩-১ গোলে।
ওই ম্যাচের ৭২ ঘন্টা পার না হতেই স্প্যানিশ সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় লা লিগার ম্যাচ খেলতে হবে বার্সেলোনাকে, যা বিরক্ত করেছে ফ্লিককে।
“আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কারণ, এই পরিস্থিতি অবিশ্বাস্য। বুন্দেসলিগা বা প্রিমিয়ার লিগে তারা তাদের ক্লাবগুলোর যত্ন নেয়। প্রতিটি লিগ তাদের ক্লাবগুলোকে রক্ষা করে, বিশেষ করে তাদের একটি দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলে। এটা অবিশ্বাস্য, আমাদের বিশ্রামের জন্য সময়ই নেই।”
এর আগে তিন দিনের মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলতে রাজি হতে চায়নি রিয়াল মাদ্রিদও। দলটি এরপর এমন সূচিতে না খেলার হুশিয়ারিও দিয়েছিল। বার্সেলোনার জন্য কাজটা চ্যালেঞ্জিং, কারণ ২৬ এপ্রিল তাদের কোপা দেল রের ফাইনাল খেলতে হবে রিয়ালের বিপক্ষে। তার চার দিন বাদে আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের ম্যাচ।
এমন সময়ে শনিবার সেল্টা ভিগোর সাথে ম্যাচটির সময় নিয়ে ক্ষুব্ধ ফ্লিক।
“আমি অজুহাত তৈরি করতে বা অভিযোগ করতে চাই না। তবে আমি খুশি যে আমাদের রবিবার দুপুর ২ টা খেলতে হচ্ছে না। আমাকে একটি কারণ দেখান। আমার কাছে এটা স্রেফ একটা রসিকতা এবং এটি স্প্যানিশ ফুটবলকে প্রভাবিত করে।”
লিগ মৌসুমের শুরুতেই কোচ পরিবর্তন হতে যাচ্ছে করিন্থিয়াসে। দলের বাজে পারফরম্যান্সের জেরে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিতে চাকরি হারিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ রামন ডিয়াস।
গত বৃহস্পতিবার ক্লাবটি ঘোষণা করে যে, চুক্তি বাতিল করা হয়েছে প্রধান কোচ রামনের সাথে।
রামনের কোচিংয়ে ব্রাজিলের লিগ ব্রাসিলিরাও-তে শুরুটা একেবারেই খারাপ হয়েছিল করিন্থিয়াসের। চার ম্যাচে অর্জন মাত্র চার পয়েন্ট।
আরও পড়ুন
নতুন খেলোয়াড় কেনায় সিটির ভোগান্তি দেখছেন গার্দিওলা |
![]() |
গত মার্চেই অবশ্য তার অধীনে দলটি জিতেছিল পলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। তবে ব্রাজিলের শীর্ষ লিগে একেবারেই ছন্দহীন ফুটবল খেলছে দলটি। সবশেষ ফ্লুমিনেন্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে গেছে তারা।
লিগ ছাড়াও কোপা সুদামেরিকানাতেও করিন্থিয়াসের পড়তি ফর্মও কোচের বরখাস্ত হওয়ার পেছনে অবদান রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরের জুলাইয়ে করিন্থিয়াসের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান রামন। তার হাত ধরে দলটি রেলিগেশন এড়াতে সক্ষম হওয়ার পর প্রথম মৌসুমেই জেতে পলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপ। এরপরও টিকতে পারলেন না বেশিদিন।
ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে এখন কাজ চালিয়ে যাবেন করিন্থিয়াসের অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ অরল্যান্ডো রিবেইরো।
একজন ফুটবলারের সম্ভাব্য যা যা জেতার বা অর্জন করার স্বপ্ন থাকে, তার সবই হয়ে গেছে পূর্ণ। বিধাতা লিওনেল মেসিকে দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছেন দুহাত ভরেই। সব জিতেও ছিল যে একটা আক্ষেপ, তাও মিটেছে বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে মেসির কাছে তাই মনে হচ্ছে, বিশেষ আর কিছু চাওয়ার নেই তার।
বার্সেলোনায় বেড়ে ওঠা মেসি তার ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই কাটিয়েছেন সেখানেই। নিজের সেরা সময়ে বদলে দিয়েছেন ক্লাবের ইতিহাসও। ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত রেকর্ডেও হয়েছেন অনন্য। ঠিকানা বদল হলেও এখন ছুটছেন চেনা গতিতেও। সাথে জাতীয় দলের হয়ে যোগ হয়েছে একটি বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকাও। রেকর্ড ৮টি ব্যালন ডি’অর তো রয়েছেই।
আরও পড়ুন
ইয়ামালের মাঝে নিজের ছায়া দেখছেন মেসি |
![]() |
আর কিছু কি চাওয়ার আছে মেসির? সিমপ্লেমেন্তে ফুটবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অকপটে জানিয়েছেন সেই কথাও।
“এখানে আমি আর কিছু চাইতে পারি না। আমার কেবল বিশ্বকাপ জেতাটাই বাকি ছিল। আমি সব কিছুই জিতেছি, আমি সবকিছু অর্জন করে ফেলেছি।”
২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর মেসি আভাস দিয়েছিলেন, এটাই হতে পারে তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে কোচ ও সতীর্থরা বারবার বলেছেন, আরেকটি বিশ্বকাপে তাকে চান তারা। স্পষ্ট করে কিছু না বললেও মেসি এখনও যেভাবে খেলছেন, তাতে আগামী বছরের বিশ্বকাপে তার অংশ নেওয়া খুবই সম্ভব। গত বছরের কোপা আমেরিকার পারফরম্যান্স যে পালে দিয়েছে বাড়তি হাওয়া।
তবে মেসি এখনও কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখতে পাচ্ছেন।
"এই বছরটা আমি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেব, তা দেখার মূল বিষয় হতে যাচ্ছে। আমি যদি আপনাকে বলি যে, আমি এটা নিয়ে ভাবছি না, তাহলে সেটা বড্ড ভুল হবে।”
২ দিন আগে
২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে