ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার জো রুট। চলতি বছর স্পর্শ করেছেন টেস্ট ক্রিকেটে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক। তবে অস্ট্রেলিয়ায় তার পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে ২৭ ইনিংসে এখনও দেখা পাননি তিন অঙ্কের দেখা।
তবে এবার এটি বদলে যাবে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটার ও ধারাভাষ্যকার ম্যাথু হেইডেন। তার বিশ্বাস, সামনের অ্যাশেজে অবশ্যই তিন অঙ্কের দেখা পাবেন রুট। তাই ধরে ফেললেন বড় এক বাজি!
আলোচনা ‘অল ওভার বার ক্রিকেট’ পোডকাস্টে৷ যেখানে একজন প্যানেলিস্ট তার সর্বকালের সেরা অ্যাশেজ একাদশে রুটকে রাখেননি। যা পছন্দ হয়নি হেইডেনের৷
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়ে জিতল ইংল্যান্ড |
![]() |
তাই অ্যাশেজে যদি রুট এবার সেঞ্চুরি করতে না পারেন, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) নগ্ন হয়ে হাঁটবেন, বলেছেন হেইডেন।
“ইংল্যান্ড দলের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ক্রিকেটার জো রুট। বিশ্বাস করতে পারছি না, আপনি তাকে একাদশে রাখেননি। (অ্যাশেজে) তার গড় ৪০, সর্বোচ্চ স্কোর ১৮০ রানের। গ্রীষ্মের শেষে (অ্যাশেজের পর) দেখা হবে, যদি সে সেঞ্চুরি না করে, আমি মেলবোর্নে নগ্ন হয়ে হাঁটব।”
অস্ট্রেলিয়ায় ২৭টি টেস্ট ইনিংসে জো রুট করেছেন ৮৯২ রান, গড় ৩৫.৬৮, যেখানে আছে ৯টি ফিফটি। তিনবার তিনি ৮০ এর বেশি রান করেছেন, তবে সেঞ্চুরি নেই একটিও।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে অসাধারণ ফর্মে আছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। টেন্ডুলকার–অ্যান্ডারসন ট্রফিতে ৯ ইনিংসে করেছেন ৫৩৭ রান, গড় ৬৭.১২।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক রুট। টেস্টে তার রান ১৩ হাজার ৫৪৩, সামনে ১৫ হাজার ৯২১ রান নিয়ে কেবল শচীন টেন্ডুলকার।
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে ভেসে গেল তামিম-আবরারদের আরেকটি ম্যাচ |
![]() |
পার্থে আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ লড়াই। অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া শেষ তিনটি অ্যাশেজ হেরেছে ইংল্যান্ড। ২০১১ সালের পর থেকে কোনো টেস্ট জিততে পারেনি তারা।
No posts available.
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:১২ পিএম
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৬ এম
ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে রয়েছেন লিটন কুমার দাস। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে- নিজের শেষ চার ইনিংসে তিন ফিফটি। নিজেদের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুটি, সেই ছন্দ টেনে এনেছেন এশিয়া কাপেও। হংকংয়ের বিপক্ষে খেলেছেন ৫৯ রানে দারুণ এক ইনিংস।
হংকং ম্যাচে লিটন হয়ে যান টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ছক্কার রাজা। পাশাপাশি এই সংস্করণে রান সংগ্রাহকের তালিকায় ছাড়িয়ে যান মাহমুউল্লাহ রিয়াদকে। এই স্টাইলিশ ব্যাটার এখন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। লিটনের ওপরে শুধুই সাকিব আল হাসান।
আরও পড়ুন
ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়ের ভেতর পাঁচ লড়াই |
![]() |
লিটনের নামের পাশে ১০৯ ইনিংসে এখন ২৪৯৬ রান। আজ এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। লিটনের সামনে এবার সুযোগ সাকিবকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রানের রাজা হওয়ার। সাকিবের ১২৭ ইনিংসে ২৫৫১ রান।
সাকিবকে ছাড়িয়ে যেতে লিটনের প্রয়োজন আর ৫৫ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ৭৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সম্প্রতি লঙ্কানদের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে তাদের বোলারদের সম্পর্কে ভালো ধারনাও আছে তাঁর।
এর আগে নেদারল্যান্ডস সিরিজে সাকিবকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির রেকর্ডও গড়েন ৩০ বছর বয়সী লিটন। এশিয়া কাপে সেমিফাইনালের পথ মসৃণ করতে হলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে হবে বাংলাদেশের। আর অধিনায়ক লিটন দাসকে হতে হবে- ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট।
গাজার শিশুদের প্রাণহানি ও দুর্ভিক্ষের বিরুদ্ধে আবারও সরব হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজা। ইসরায়েলের ওপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, প্রায় ২৩ মাসের যুদ্ধে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একটি ফিলিস্তিনি শিশু ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। নিহত শিশুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ হাজার। জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিটিও বলেছে, গাজার শিশুরা তীব্র অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষে অকল্পনীয় কষ্ট সহ্য করছে। খাজা বললেন, 'একটি শিশুর মৃত্যু হলেও বেশি, প্রতিটি শিশুর জীবন সমান মূল্যবান।'
খাজা বলেন, 'এটা দুঃখজনক। দুই বছর ধরে এটা চলছে। আগে শিশুরা হত্যা হচ্ছিল, এখন শিশুরা অনাহারে মরছে। আগে বলা হতো দুর্ঘটনা, এখন সবাই দেখতে পাচ্ছে একটি জনগোষ্ঠীকে অনাহারে মারার বিষয়টি দুর্ঘটনা নয়। পার্থক্য এখানেই।'
আরও পড়ুন
কী হলো মিরাজের, নেই এনসিএল টি-টোয়েন্টির শুরুতে |
![]() |
২০২৩ সালের বক্সিং ডে টেস্টে গাজার মানুষের প্রতি সংহতি জানাতে পোশাকে শান্তির প্রতীক 'পায়রা' ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন খাজা। তবে আইসিসি তা অনুমোদন করেনি। পরে তিনি বিগ ব্যাশ লিগে নিজের ব্যাটে সেই প্রতীক ব্যবহার করেন।
ফিলিস্তিনি শিশুদের দুর্দশা সংবাদমাধ্যমে সেইভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে না বলেন মনে করেন খাজা। বললেন, 'আমি প্রথম এমসিজিতে কথা বলেছিলাম কারণ আমি মনে করেছি ফিলিস্তিনি শিশুদের দুর্দশা সংবাদমাধ্যমে সেইভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে না, যেমনটা ইউক্রেনের ক্ষেত্রে হচ্ছিল। ইউক্রেনের শিশুরা আমাদের মতো দেখতে, তারা শ্বেতাঙ্গ। আর এখানে ভিন্ন রংয়ের মানুষ মরছে। আমি মনে করেছি এখানে এক ধরনের বর্ণবৈষম্য কাজ করছে।'
ফিলিস্তিনে কম সহায়তা দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন খাজা, 'তারা তো শিশু। একটি শিশুর মৃত্যু মানেই বেশি। প্রতিটি শিশুর জীবন সমান মূল্যবান। অথচ সরকার ইউক্রেনকে সাহায্য দিয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার, গাজাকে দিয়েছে মাত্র ১৩০ মিলিয়ন।'
শ্বেতাঙ্গ না হওয়ায় অনেক বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন বলে জানান খাজা, 'ছোটবেলায় অনেক বৈষম্যের শিকার হয়েছি। শুধু আমি শ্বেতাঙ্গ নই বলেই আমি অস্ট্রেলিয়ান নই এটা আমাকে সহ্য করতে হয়েছে, এমনকি ক্রিকেটেও।'
খাজা মনে করেন খেলোয়াড়রা প্রায়ই ভয়ে মুখ খোলেন না। কিন্তু তিনি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেন, 'অনেক সময় খেলোয়াড়রা কথা বলতে খুব ভয় পান। তারা ভয় পান যে কী ঘটতে পারে অথবা চুক্তি হারাতে পারে। আমার মনে হয় আমি সবসময় সম্মানের সাথে কথা বলতে পেরেছি যাতে আমি যা বলতে চাইছি তা তুলে ধরতে পারি ‘
প্রতিবাদ করা কখনো থামাবেন না বলেন খাজা, 'আমি কখনোই নিজের স্বার্থে এসব বলিনি। এতে আমার কোনো আর্থিক লাভ নেই। আমি করি কারণ এটা সঠিক কাজ। আমি থামব না। যেসব ক্রীড়াবিদকে আমি সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করি, তাদের একজন মুহাম্মদ আলি। মানুষ তাকে শুধু বক্সিংয়ের জন্য নয়, রিংয়ের বাইরের কাজের জন্যও মনে রাখে।'
আরও পড়ুন
সল্ট-বাটলারের তাণ্ডবে রেকর্ডবইও চোখ কচলাচ্ছে |
![]() |
খাজা তার দুই মেয়েকে নিয়ে গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা এবং শিশুদের করুণ পরিণতি নিয়ে কথা বলেছেন তারা। তবে রাজনীতিতে নামার সম্ভাবনা একবারেই উড়িয়ে দিলেন না খাজা, 'মানুষ বলে খেলা আর রাজনীতি আলাদা, কিন্তু ক্রিকেটের মাধ্যমে আমি অনেক রাজনীতিককে চিনি। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসার বিষয়ে না বলব না, আবার হ্যা ও বলছি না।'
২১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে অ্যাশেজ সিরিজ। যেখানে ওপেনিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভরসা উসমান খাজা। ক্রিকেট থেকে অবসরের আগেই সম্প্রতি ফক্স ক্রিকেটের সঙ্গে ধারাভাষ্যের জন্য চুক্তি করেছেন ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার। অ্যাশেজ শেষে ধারাভাষ্যে যোগ দিতে পারেন তিনি।
ভারত-পাকিস্তানের
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় না লম্বা সময় ধরে। তবে কোনো টুর্নামেন্টেরে সৌজন্যে যখন দেখা
হয় দুই দলের- রোমাঞ্চে কোনো কমতি থাকে না। কাল এশিয়া কাপ দেখা হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর।
এক
বছরেরও বেশি সময় পর ভারত-পাকিস্তানের লড়াই। সবশেষ গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা
হয়েছিল দুই দলের। তার পর অনেক বদল এসেছে উভয় শিবিরেই। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা যেমন
ভারতের দলে আর নেই, পাকিস্তান থেকেও বাদ পড়েছেন বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাঁরা না
থাকলেও ঝাঁঝ ঠিক আগের মতোই আছে।
অভিজ্ঞ-তারুণ্যের
মিশ্রণে লড়াইয়ের ভেতরেও আছে পাঁচ লড়াই। যাঁর ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন
কী হলো মিরাজের, নেই এনসিএল টি-টোয়েন্টির শুরুতে |
![]() |
অভিষেক
শর্মা বনাম শাহিন শাহ আফ্রিদি
ভারতের
নতুন ‘পাওয়ার হিটার’ অভিষেক শর্মা এরই মধ্যে আস্থা অর্জন
করেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে। প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে নামছেন তিনি। আর পাওয়ার-প্লেতে
সামলাতে হবে অভিজ্ঞ শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। নতুন বলে শাহিনের ইয়র্কার-মুভমেন্ট যেকোনো
ব্যাটারকেই সমস্যায় ফেলতে পারে। শুরুতেই এই লড়াই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন তিনি।
রোহিত-কোহলিরাও শাহিনকে দেখে-শুনে খেলতেন।
সূর্যকুমার
যাদব বনাম সুফিয়ান মুকিম
ব্যাটিংয়ে
ভারতের মেরুদণ্ডের একটি অংশ সূর্যকুমার। মাঝের ওভারে পাকিস্তানের স্পিনারদের সামলাতে
হবে তাঁকে। সূর্যকুমারের পরীক্ষা নিতে পারেন তরুণ চায়নাম্যান স্পিনার সুফিয়ান মুকিমের।
১৭টি টি-টোয়েন্টি খেলে মুকিম এরই মধ্যে সবার নজর কেড়েছেন। অচেনা ভ্যারিয়েশন সামলানো
‘স্কাই’-এর জন্য বড় পরীক্ষা হতে পারে। নিজেদের প্রথম ম্যাচেও ওমানের
বিপক্ষে মুকিম ৩ ওভারে ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
জসপ্রীত
বুমরাহ বনাম সাইম আয়ুব
ভারতের
বোলিং আক্রমণের নেতা বুমরাহর প্রধান দায়িত্ব থাকবে পাকিস্তানের ওপেনার সাইম আয়ুবকে
থামানো। আয়ুব দ্রুত রান তুলতে পারলে পাকিস্তানের বড় স্কোরের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্যদিকে
বুমরাহ নতুন বলে কিংবা ডেথ ওভারে উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পারেন। ফলে
বুমরাহ-আয়ুবের লড়াইয়ের দিকে নজর থাকবে।
আরও পড়ুন
সল্ট-বাটলারের তাণ্ডবে রেকর্ডবইও চোখ কচলাচ্ছে |
![]() |
বরুণ
চক্রবর্তী বনাম ফখর জামান
পাকিস্তানের
বড় ম্যাচের নায়ক হিসেবে পরিচিত ফখর জামান ভারতের বিপক্ষে সবসময়ই ভয়ঙ্কর। তবে এবার তাঁকে
মোকাবিলা করতে হবে ভারতের রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে। বরুণের ভ্যারিয়েশন পড়া সহজ
নয়, আর সেটিই হতে পারে পাকিস্তানের জন্য বিপদ। বরুণের দায়িত্ব থাকবে পাকিস্তানের মিডল
অর্ডারকে শান্ত রাখা।
মোহাম্মদ
হারিস বনাম কুলদীপ যাদব
ভালো ছন্দে ছিলেন না মোহাম্মদ হারিস। তবে ওমানের বিপক্ষে তাঁর ঝোড়ো ইনিংসে ভালো সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। কিন্তু সামনে অপেক্ষা করছে ভারতের উইজার্ড কুলদীপ যাদব। কাল ম্যাচে পাকিস্তান আগে ব্যাট করুক বা পরে, হ্যারিসকে দ্রুত ফেরানোর লক্ষ্য থাকবে ভারতের। আর সেই কাজে সহায়তা করতে পারেন কুলদীপ। প্রথম ম্যাচে আমিরাতের বিপক্ষে ৭ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকটে।
এশিয়া কাপে কাল মাঠে গড়াবে ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ লড়াই। তার আগে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম সতর্ক করেছেন সালমান আলি আগাদের। তাঁর মতে ভারতের দুই স্পিনার - বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন।
একটি টেলিভিশন শোতে আকরাম বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হতে পারে ভারতের স্পিন আক্রমণ। বুমরাহকে হয়তো সামলানো সম্ভব, কিন্তু বরুণ আর কুলদীপ ব্যাটারদের ভোগাতে পারে। যদি কোনো ব্যাটার বলটা পিচ করার পর পড়তে যায়, তবে বুঝতে হবে ওর কোনো ধারণাই নেই কী ঘটছে।’
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে ভেসে গেল তামিম-আবরারদের আরেকটি ম্যাচ |
![]() |
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই কুলদীপ ও বরুণের স্পিন ভেলকিতে ৫৪ রানে গুটিয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইয়ে আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে কুলদীপ যাদব মাত্র ২.১ ওভার বল করে ৭ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। আর বরুণ চক্রবর্ত্তী দেন মাত্র ৪ রান, পান একটি উইকেট। সেই ম্যাচে ভারত সহজেই জয় পায় ৯ উইকেটে।
এদিকে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের স্মৃতিচারণও করেছেন আকরাম। মনে করিয়ে দিয়েছেন ১৯৮৬ সালের শারজাহর সেই ম্যাচের কথা, যেখানে জাভেদ মিয়াঁদাদ চেতন শর্মাকে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন। আকরাম হাসতে হাসতে বলেন, ‘ওই ছক্কার কৃতিত্ব আমারও একটু আছে, কারণ মিয়াঁদাদ আমার ব্যাট ব্যবহার করেছিল।’
কাল দুবাইয়ে দেখা হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের। আকরামের মতে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের মোড় ঘুরে দিতে পারে ভারতের স্পিন আক্রমণই।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে শুরুর ৩৬ ঘণ্টারও কম সময় বাকি থাকতে পরিবর্তন আনা হলো স্কোয়াডে। খুলনার মূল দল থেকে স্ট্যান্ডবাইয়ে পাঠানো হলো মেহেদী হাসান মিরাজকে। আর ঢাকা মেট্রোতে স্ট্যান্ডবাই থেকে মূল দলে সুযোগ পেলেন আইচ মোল্লা।
অথচ এনসিএল টি-টোয়েন্টির জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মিরাজ। ধারণা করা হচ্ছিল, টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই খুলনার হয়ে খেলতে দেখা যাবে অভিজ্ঞ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারকে। সেই ধারাবাহিকতায় খুলনার প্রাথমিক স্কোয়াডেও ছিল তার নাম।
কিন্তু হঠাৎ কী হলো যে, মূল দল থেকে স্ট্যান্ডবাইয়ে চলে গেলেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ছুটি নিয়েছেন মিরাজ। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে খেলবেন তিনি।
আরও পড়ুন
সল্ট-বাটলারের তাণ্ডবে রেকর্ডবইও চোখ কচলাচ্ছে |
![]() |
টি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে এই খবর নিশ্চিত করেছেন খুলনার প্রধান কোচ তুষার ইমরান।
“মিরাজ আসলে কিছু দিনের ছুটি নিয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচ খেলবে না। আপনারা হয়তো জানেন, সম্প্রতি সে বাবা হয়েছে। তাই পরিবারের সঙ্গে ছিল ওই সময়টায়। তাই এখন এনসিএলের দুটো ম্যাচ খেলবে না। এরপর সে দলের সঙ্গে যোগ দেবে।”
গত ৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হন মিরাজ। তখন জাতীয় দল থেকেও ছুটি নিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। যে কারণে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিলেন না তিনি। পরে এশিয়া কাপের দলেও জায়গা পাননি।
তাই দেশে থেকে নিজের বোলিং নিয়ে কাজ করেছেন মিরাজ, প্রস্তুতি নিয়েছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টির জন্য।
এখন তিনি প্রথম দুই ম্যাচে না থাকায় কপাল খুলেছে রবিউল হকের। রংপুর বিভাগ থেকে খুলনায় আসা এই পেসার শুরুতে ছিলেন স্ট্যান্ডবাই তালিকায়। তাকে এখন মূল দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু মিরাজ ফিরলে কী হবে? রবিউল কি আবার চলে যাবেন স্ট্যান্ডবাই তালিকায়?
এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আভাস দেন, মিরাজ ও রবিউল একসঙ্গেই থেকে যাবেন স্কোয়াডে।
“রবিউলকে মূল স্কোয়াডে নেওয়ার ভাবনা আগে থেকেই ছিল আমাদের। এখন মিরাজ ছুটি নেওয়ায় সেটা কিছুটা সহজ হয়েছে। মিরাজকে স্কোয়াডে রেখেই যদি রবিউলকে ফেরাতাম, তাহলে প্রথম দুই ম্যাচে খুলনা দলে একজন ক্রিকেটার সুযোগ কম পেত।”
আরও পড়ুন
রুট সেঞ্চুরি না করলে ‘নগ্ন হয়ে হাঁটবেন’ হেইডেন |
![]() |
“মিরাজ ফিরলে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো, কাকে বাইরে পাঠানো যায়। এরই মধ্যে আমাদের মধ্যে সে আলোচনা হয়েছে। তবে আগেভাগে নামটা বলা ঠিক হবে না। খুলনার প্রথম দুই ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর তখন বোঝা যাবে, কাকে স্কোয়াডের বাইরে রাখা হবে।”
এদিকে নানা সমালোচনার পর ঢাকা মেট্রো দলে সুযোগ পেয়েছেন আইচ মোল্লা। শুরুতে স্ট্যান্ডবাইয়ে ছিলেন ২৩ বছর বয়সী সম্ভাবনাময় ব্যাটার। তাকে মূল দলে ফেরাতে স্ট্যান্ডবাইয়ে পাঠানো হয়েছে অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্শাল আইয়ুবকে।
রাজশাহীতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন রোববার সকালের ম্যাচে স্বাগতিক দলের সঙ্গে খেলবে গতবারের রানার্স-আপ ঢাকা মেট্রো। খেলা শুরু সকাল সাড়ে ৯টায়। বগুড়ার মাঠে একই দিন দুপুর দেড়টায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুরের প্রতিপক্ষ সিলেট।
খুলনার প্রথম ম্যাচ সোমবার, চট্টগ্রামের বিপক্ষে। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু দুপুর দেড়টায়।