২১ জুলাই ২০২৫, ৪:৫২ পিএম

ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও এই ঘটনায় সহমর্মিতা প্রকাশ করা হচ্ছে, যেখানে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে আছড়ে পড়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় অন্তত একজনের মৃত্যু এবং অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর আহত ও দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন
| উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৯ |
|
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিসিবি এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছে।
“ঢাকার মাইলস্টোন কলেজের সামনে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের খবরে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আহত ও নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ভয়াবহ ঘটনার শিকার হওয়ার সবার জন্য আমাদের প্রার্থনা রইল।”
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালও বিবৃতিতে জানিয়েছেন শোকাবহ প্রতিক্রিয়া।
“উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত ও শোকাহত। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। নিহত ও আহতদের পরিবার এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশ করছি।”
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই সেখানে আগুন ধরে যায়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করে।
২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১:৩১ পিএম

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ফুটসাল নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হলো ব্রাজিল। ফিলিপাইনের ম্যানিলার ফিলস্পোর্টস অ্যারেনা-তে দর্শক ঠাসা গ্যালারির সামনে পর্তুগালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে সেলেসাও নারীরা। আসরে অপরাজিত থেকে শিরোপা জিতল ব্রাজিল। আসরে সর্বোচ্চ ৭ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছেন সেলেসাওদের এমিলি মারকন্ডেস।
১৬ দেশের অংশগ্রহণে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয় নারী ফুটবলার বিশ্বকাপ। সেমিফাইনালে হারের পর তৃতীয় হয়েছে স্পেন এবং চতুর্থ আর্জেন্টিনা। গত ২১ নভেম্বর শুরু হওয়া টুর্নামেন্ট গতকাল ব্রাজিলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে পর্দা নামল। প্রতিযোগিতার সেরা গোলকিপারের পুরস্কার জিতেছেন পর্তুগালের আনা ক্যাথারিনা। ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ব্রাজিল।
হাইভোল্টেজ ফাইনালে ম্যাচের শুরু থেকেই গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। তবে পর্তুগালের চেয়ে আক্রমণে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। লুইস কনসেসাওর ব্রাজিল দল পুরো ম্যাচ জুড়ে পর্তুগিজ গোলরক্ষক আনা কাটারিনা পেরেইরার কঠিন পরীক্ষ নিয়েছে। বেশ কয়েকটি অসাধারণ সেভ করে দলকে লড়াইয়েও রাখেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সাম্বাদের থামাতে ব্যর্থ হন।
ম্যাচের ৯ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ব্রাজিলকে প্রথম গোলটি এনে দেন এমিলি। এরপর সমতায় ফেরার চেষ্টা চালায় পর্তুগালও। যদিও প্রথামার্ধে তাদের নেওয়া ৪টি শট জালের স্পর্শ পায়নি। বিপরীতে শুরু অর্ধে ব্রাজিলের অনটার্গেট শট ছিল ৮। এরমধ্যে একটি রূপ নেয় গোলে।
আরও পড়ুন
| চোট, জোড়া লাল কার্ড আর বিব্রতকর হারে ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন রিয়ালের |
|
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান ২-০ করে ব্রাজিল। ম্যাচের ২২ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে আমানদিনহার গোলে লিড বাড়ায় তারা। এরপর ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালায় পর্তুগিজ। তবে উল্টো ম্যাচের শেষদিকে আরেকটি গোল হজম করে পর্তুগাল। ৪০ মিনিটের খেলায় ৩৭ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে তৃতীয় গোলটি করেন দেবরা ভেনিন। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলেই জয় নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের।
এর আগে সেমিফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ব্রাজিল। অন্যদিকে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে পর্তুগাল। ফাইনালের আগে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেন। গোল্ডেন বুট জেতেন ব্রাজিলের এমিলি।
ব্রাজিল কোচ উইলসন সাবোইয়া পর্তুগালের বিপক্ষে এই জয়কে শুধু একটি ট্রফি জয়ে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমি সত্যিই খুশি। খেলোয়াড়রা অসাধারণ, কোচিং স্টাফও চমৎকার। এই জয় একটি বড় ছাপ রেখে যাচ্ছে আমাদের দল। কারণ, এটি স্কুল, ক্লাব ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফুটসালকে আরও জনপ্রিয় করবে। এর ফলে আরও ভালো কোচ এবং খেলোয়াড় জন্মাবে।’
পর্তুগাল কোচ কনসেসাওরও তার দলের জন্য শুধুই গর্ব প্রকাশ করেছেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। তারা ভালো খেলেছে। আমাদের একটি অবিশ্বাস্য প্রতিযোগিতা ছিল। আমরা গর্বিত এই পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরে। ব্রাজিল খুব শক্তিশালী একটি দল, একক নৈপুণ্যে দলকে জেতানো অনেকেই আছে তাদের। আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে খুব গর্বিত। আমরা পর্তুগিজ নারী ফুটসাল এবং পর্তুগিজ জনগণকে যথাযোগ্য সম্মান জানিয়েছি।’

অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন, দ্রুতই ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলার কথা তাঁর। তবে জন সিনা রেসলিং ছাড়লেও সেটি কখনোই পুরোপুরি ছেড়ে যাওয়া হবে না, বলছেন সাবেক ডব্লিউডব্লিউই উইমেনস চ্যাম্পিয়ন ন্যাটালিয়া নিডহার্ট। রেসলিং–জগতে অবদান ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে জন সিনাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। পর্দা বা রিংয়ের বাইরে জন সিনার অন্য এক প্রশংসিত রূপের কথা জানিয়েছেন ন্যাটালিয়া।
বাস্টেড ওপেন রেডিওর সাক্ষাৎকারে ন্যাটালিয়া সিনার ব্যাপারে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। শুরুর দিক থেকেই তরুণ রেসলারদের পাশে থাকার জন্য সিনাকে কৃতিত্ব দেন ন্যাটালিয়া, ‘প্রথম ম্যাচ শুরু হতেই… যেই ম্যাচেই তিনি না থাকেন, সেগুলোও তিনি দেখতেন। ম্যাচ শেষে যে-ই ব্যাকস্টেজে ফিরত, জন তাদের সঙ্গে বসে কথা বলত, আলোচনা করত।’
রিয়্যালিটি শো টোটাল ডিভাসের সাফল্যেও সিনার বড় অবদান আছে বলে মনে করেন ন্যাটালিয়া। বললেন, ‘আমরা মেয়েরা শো’টা সফল করতে চেয়েছিলাম, আর জনও চাইত। সে নিজেকে সামনে এনে সহায়তা করেছে। শোর সাফল্যের বড় অংশ ছিল জন। টিজে (টায়সন কিড) চোট পেয়ে হাসপাতালে থাকার পর জন আমাদের দুজনকে ডিনারে নিয়ে গিয়েছিল। সে টিজেকে বুঝিয়েছিল— ও এখনো গুরুত্বপূর্ণ, কেউ তাকে ভুলে যায়নি।’
আরও পড়ুন
| সফল নারী কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজনে প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশ |
|
ডব্লিউডব্লিউইর কঠিন সময়গুলোতে সিনার ইতিবাচক ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন ন্যাটালিয়া। তাঁর ভাষায়, ‘এটা এমন এক বিষয়, যা আমরা প্রায়ই বলি না… কারণ ঘটনাটা খুবই ট্র্যাজিক। কিন্তু জন ডব্লিউডব্লিউই কে এমনভাবে সহায়তা করেছে, যা বিশাল। আমি ওর সঙ্গে কাজ করেছি বলে গর্ব করি, ট্যুরে একসঙ্গে থাকতে পেরে গর্ব করি, বন্ধুর মতো ওকে চিনি বলেও গর্ব করি।’
রেসলিংকে ‘হোটেল ক্যালিফোর্নিয়ার’ সঙ্গে তুলনা করে সিনার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন ন্যাটালিয়া। সাবেক ডব্লিউডব্লিউই উইমেনস চ্যাম্পিয়ন বলেন, ‘রেসলিং এমন জায়গা, তুমি চাইলে বেরিয়ে যেতে পারো, কিন্তু কখনোই পুরোপুরি ছাড়তে পারবে না। জন রেসলিংয়ের ভেতরেই রয়ে গেছে। সে সবসময়ই এই শিল্পের অংশ হয়ে থাকবে।’
দ্রুতই জন সিনার বিদায়ী ইভেন্ট শুরু হচ্ছে। ১৩ ডিসেম্বর রিংয়ে শেষ বারের মতো প্রতিযোগিতায় নামার কথা যুক্তরাষ্ট্রের এই রেসলারের।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভোরের পাতা পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক জহির উদ্দিন ভূঁইয়া (৫৩) নিহত হয়েছেন। রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে খিলগাঁও ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জহিরকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বিকেল ৫টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, তাঁর বাবা অফিসে রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ফোনে দুর্ঘটনার খবর দেন পথচারীরা। তাঁকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে বাবাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তিনি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত সাংবাদিক জহির উদ্দিন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা গ্রামের শামসুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি সবুজবাগ থানাধীন বাসাবো ১৭ নং গলির নিজের বাসায় থাকতেন। তিনি দুই মেয়ে ও এক সন্তানের জনক ছিলেন।

সোমবার ঢাকায় শেষ হয়েছে ১০ দিনব্যাপী নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। সফল এই আয়োজন বিশ্ব কাবাডি অঙ্গন দীর্ঘ দিন মনে রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। আয়োজনের কৃতিত্বের দাবিদার সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন (বিকেএফ) এবং তাদের সহযোগিরা।
এর আগে ২০১২ সালে ভারতের পাটনায় প্রথমবার হয়েছিল নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পর বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন আবারও নারী কাবাডিকে বিশ্বমঞ্চে ফিরিয়ে এনেছে।
বিশ্বকাপ খেলে যাওয়া ইরানের খেলোয়াড় আসমা ফাখরি বলেন,
‘বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে। এখানকার মানুষ খুবই আন্তরিক। এখানে সবাই মিলে সময়টা খুব উপভোগ করেছি। আশা করি ভবিষ্যতে সব দেশ বাংলাদেশকে অনুসরণ করে এমন আয়োজন করবে।’
শিরোপা জয়ী ভারতীয় নারী কাবাডি দলের কোচ তেজস্বিনী বাইয়ের কণ্ঠেও ঝরেছে বাংলাদেশের প্রশংসা,
‘চমৎকার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ।আয়োজন ছিল শীর্ষমানের। এখানকার জল-হাওয়া, আবাসন, খাবার ভীষণ উপভোগ্য। আমি মনে করি বাংলাদেশ প্রমাণ দিয়েছে তারাও বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনের সামর্থ্য রাখে।’
আসরের ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল চাইনিজ তাইপে। গত আসরের মতো এবারও শিরোপা গেছে ভারতের ঘরে। তবে আগের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া চাইনিজ তাইপের ফাইনালে আসাটা ছিল বড় চমক। দলটির কোচ ডেভিড সাই—তাইপের প্রথম জাতীয় দলের খেলোয়াড়।
২০০৯ সালে কাবাডিতে হাতেখড়ির পর ডেভিড ভারতের প্রো-কাবাডি লিগে টানা দুই মৌসুম খেলেছেন। দীর্ঘ সময়ে ভারতে থেকে কাবাডি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজ দেশে তাইপেকে পরাশক্তিতে রূপ দিতে বড় ভূমিকা রাখছেন তিনি।
বাংলাদেশের আয়োজন নিয়ে ডেভিড বলেন,
‘ব্যবস্থাপনা সত্যিই চমৎকার। একদম বিশ্বমানের আয়োজন। তাইপেতে কাবাডি জনপ্রিয় নয়, সেখানে কোনো সমর্থনও নেই। বাংলাদেশ অসাধারণ কাজ করেছে। বিশ্বাস করি এর ফলে অন্য দেশও এমন আয়োজন করতে উৎসাহ পাবে।’
চাইনিজ তাইপের আই মিন লিন টুর্নামেন্টের সেরা রেইডারের খেতাব জিতেছেন। তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন,
‘বাংলাদেশের আতিথেয়তায় আমি অবাক হয়েছি, কারণ সংবাদে যা শুনেছিলাম তা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে অনেক মানুষ, এবং সবাই বাংলাদেশকে উৎসাহ দিচ্ছে। এটা দেখে মনে হয়েছে— আমাদের দেশের মানুষও যদি আমাদের এভাবেই সমর্থন দেয়, আমরাও বহুদূর এগিয়ে যাব।’
প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে এসে কেনিয়ার অধিনায়ক মার্সি আকিনিয়ি ওবিয়েরো বলেন,
‘এখানকার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। আবহাওয়া কেনিয়ার মতোই। মনে হচ্ছে যেন নিজের দেশে আছি। এটি আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ, সবচেয়ে বড় মঞ্চ। আমাদের লক্ষ্য ছিল এখানে আনন্দ করা এবং প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করা।’
জার্মানিও প্রথমবার অংশ নেয় বিশ্বকাপে। তাদের অধিনায়ক এমা অ্যাটলে বলেন,
‘অসাধারণ ছিল সবকিছু। প্রথমে কোর্টে ঢোকার সময় আমরা নার্ভাস ছিলাম, কিন্তু এখন খুব উপভোগ করছি।’
সবচেয়ে জোরালো প্রশংসা এসেছে একেএফ (এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন)- এর মহাসচিব মোহাম্মদ সারওয়ার রানার কাছ থেকে, ‘ব্যবস্থাপনা একেবারে বিশ্বকাপের মানের— বরং তার চেয়েও বেশি। বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে যে ভবিষ্যতে তারা বড় বড় কাবাডি আসর আয়োজন করতে সক্ষম।’
কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হলেও গুরুত্বের দিক থেকে ফুটবল-ক্রিকেটের সমান মনোযোগ পায় না। তবে এবার বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন প্রতি ম্যাচেই প্রচুর দর্শক আনতে সক্ষম হয়েছে। নিরাপত্তার কড়াকড়ির মাঝেও তারা বিনামূল্যে দর্শকদের গ্যালারিতে জায়গা করে দিয়েছে।

ভারতের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো নারী কাবাডি বিশ্বকাপের। রোমাঞ্চকর ফাইনালে চায়নিজ তাইপেকে ৩৫–২৮ পয়েন্টে হারিয়েছেন ভারতের সাঞ্জু দেবীরা।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ প্রথমার্ধে ২০–১৬ পয়েন্টে এগিয়ে বিরতিতে যায় ভারত। বিরতির পর ব্যবধান কমানো দূরে থাক, উল্টো ম্যাচ থেকে ধীরে ধীরে ছিটকে যায় চায়নিজ তাইপে। ম্যাচ শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে চায়নিজ তাইপে ফেরার আভাস দিলেও ভারতের স্কোর আর ধরতে পারেনি।
খালি হাতে বিশ্বকাপ শেষ করেনি বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা জিতেছে ব্রোঞ্জ। ব্যক্তিগতভাবে আসরের সেরা ডিফেন্ডারের পুরস্কার জিতে টুর্নামেন্টটি স্মরণীয় করে রেখেছেন স্মৃতি আক্তার।
দলীয় পুরস্কারের পাশাপাশি তিনটি ব্যক্তিগত পুরস্কার দেওয়া হয়েছে সমাপনীতে। তৃতীয় ব্যক্তিগত পুরস্কার জিতেছেন চাইনিজ তাইপের মিন লিন, যিনি আসরের সেরা রেইডার হয়েছেন।
সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মাহবুব-উল-আলম।। চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি আব্বাস আভারসেজি, প্রো কাবাডির লিগ কমিশনার অনুপম গোস্বামী ও আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের পরিচালক তেজস্বী সিং গেলত।