শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ইনিংসের প্রথম বলেই ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মারলেন অভিষেক শর্মা। পরে চতুর্থ ওভারে আবরার আহমেদের বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে পাঠালেন সীমানার ওপারে। একইসঙ্গে তিনি গড়ে ফেললেন বিশ্ব রেকর্ড।
আবরারের বলে মারা ছক্কাটি ছিল অভিষেকের ক্যারিয়ারের ৫০তম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ২০ ইনিংস ব্যাটিং করে ৫০টি ছক্কা মারলেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার। এটিই দ্রুততম ৫০ ছক্কার রেকর্ড।
এই রেকর্ডে অবশ্য তার সঙ্গী আছেন এভিন লুইস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি ওপেনারও ক্যারিয়ারের ২০ ইনিংসেই ৫০টি ছক্কা মেরেছিলেন।
আরও পড়ুন
সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে বেথেলের সিরিজ জয় |
![]() |
তবে বলের হিসেবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর সবাইকে ছাড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন অভিষেক। ছক্কার ফিফটি করতে তার লেগেছে মাত্র ৩৩১ বল।
এত দিন রেকর্ডটি ছিল এভিন লুইসের। বাঁহাতি এই ব্যাটার ৩৬৬ বলে মেরেছিলেন ৫০ ছক্কা। তালিকার পরের নামগুলো আন্দ্রে রাসেল (৪০৯), হযরতউল্লাহ জাজাই (৪৪৯০) ও সূর্যকুমার যাদব (৫১০)।
আর ইনিংসের হিসেবে অভিষেক ও গিলের পরে আছেন জাজাই (২), ক্রিস গেইল (২৫) ও সূর্যকুমার যাদব (২৯)।
No posts available.
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
তৃতীয় ওভারের শেষ বল। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বাউন্ডারি মারলেন শুবমান গিল। পরে পঞ্চম ওভারের শেষ বল। এবার হারিস রউফের পুল করে চার মেরে দিলেন গিল। দুবারই বোলারের সঙ্গে যেন লেগে গেল নন স্ট্রাইকে থাকা অভিষেক শর্মার।
আর সেটি কিনা ভালো লাগেনি ভারতীয় ওপেনারের। তাই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মুখের কথার জবাব দিতে নিজের ব্যাটকেই সবচেয়ে বড় অস্ত্র বানিয়ে নিলেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার। বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে দলকে এনে দিলেন সহজ জয়।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় মাত্র ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছেন অভিষেক। তার টর্নেডোতেই উড়ে গেছে পাকিস্তান। ১৭২ রানের লক্ষ্যে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন
অভিষেক ঝড়ে উড়ে গেল পাকিস্তান |
![]() |
সহজ জয়ে অভিষেকের হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ২১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৯৭.২১ স্ট্রাইক রেটে ৭০৮ রান করেছেন বাঁহাতি ওপেনার। পাকিস্তানের বিপক্ষেও ঝড়ো ফিফটির ম্যাচেও তার স্ট্রাইক ১৮৯.৭৪!
তাই প্রেজেন্টেশনে জানতে চাওয়া হয়, এত বেশি স্ট্রাইক রেটে খেলার পেছনে রহস্য কী? উত্তরে পাকিস্তানের বোলার-ফিল্ডারদের অহেতুক বাকবিতণ্ডার কথা বলেন অভিষেক।
“আজকের জন্য বিষয়টা খুবই সিম্পল ছিল। তারা যেভাবে বিনা কারণে আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল, আমার সেটি একদমই ভালো লাগেনি।”
“তাই আমার মনে হয়েছে, আমি আমার ব্যাট দিয়েই এসবের জবাব দিতে পারি। আর অবশ্যই ম্যাচটি জিতে (জবাব দিতে পারি)। শুধু এটিই ঘুরছিল আমার মাথায়। তাই দলের জন্য ভালো কিছু করতে চাচ্ছিলাম।”
আরও পড়ুন
ছক্কার ফিফটি করে অভিষেকের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কায় ওড়ান অভিষেক। সব মিলিয়ে চারটি ওভারে প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন তিনি। ছোট্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে প্রায় ২৭ বার কোনো ওভারের প্রথম বল সীমানার বাইরে পাঠালেন তিনি।
আরও পড়ুন
ভারতের বাজে ফিল্ডিং, ফারহানের ফিফটি, পাকিস্তানের ১৭১ |
![]() |
ওভারের শুরুতে চড়াও হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দলের পক্ষ থেকে পাওয়া স্বাধীনতার কথা বলেন অভিষেক।
“আমার মনে হয়, এটি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন কাউকে এরকম খেলতে দেখবেন... এজন্য তার অবশ্যই অধিনায়ক ও কোচের সমর্থন দরকার। তারা আমাকে অনেক সাপোর্ট করে।”
“এই ইন্টেন্টটা তারা প্রতি ম্যাচে দেখতে চায়। আমিও সেভাবেই অনুশীলন করি। যেন শুরুতেই মারতে পারি। আমি এভাবেই খেলব এবং দিনটি আমার হলে দলের জয় নিশ্চিত করব।”
সুযোগ পেয়েও প্রতিশোধ নিতে পারল না পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বের মতো এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচেও ভারতের কাছে হারল তারা। অভিষেক শর্মার ঝড়ের সামনে কোনো জবাবই দিতে পারেনি সালমান আলি আগার দল।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত। আগে ব্যাট করে ১৭১ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় এশিয়া কাপের আটবারের চ্যাম্পিয়নরা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের এটি ১২তম জয়। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এ নিয়ে টানা ৬ ম্যাচ জিতল তারা।
আরও পড়ুন
নির্বাচিত হলে ক্রিকেট ছেড়ে দেবেন তামিম |
![]() |
ভারতের জয়ের নায়ক অভিষেক ৬ চার ও ৫ ছক্কায় খেলেছেন ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এছাড়া শুবমান গিলের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৪৭ রান।
রান তাড়ায় শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে দেন অভিষেক। এরপর আর থামাথামি নেই। অভিষেকের সঙ্গে যোগ দেন শুবমান গিল।
দুজনের ঝড়ে পঞ্চম ওভারে পঞ্চাশ করে ফেলে ভারত। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রান হয় তাদের সংগ্রহ।
আরও পড়ুন
ছক্কার ফিফটি করে অভিষেকের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
৪টি করে চার-ছক্কা মেরে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করে ফেলেন অভিষেক। দশম ওভারে পূর্ণ হয় ভারতের একশ রান।
দশম ওভারের চতুর্থ বলের হঠাৎ দেওয়া হয় পানি পানের বিরতি। এরপর প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান ৮ চারে ২৮ বলে ৪৭ রান করা গিল। তার বিদায়ে ভাঙে ৫৯ বলে ১০৬ রানের ইনিংস।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি ভারতের সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি। ২০১২ সালে গৌতম গম্ভীর ও অজিঙ্কা রাহানে ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন।
আরও পড়ুন
সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে বেথেলের সিরিজ জয় |
![]() |
পরের ওভারে সূর্যকুমার যাদবকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন হারিস রউফ। তবু দলের ওপর চাপ আসতে দেননি অভিষেক। ফাহিমের ওভারে দুটি চার মারেন তিনি। পরের আবরার আহমেদের বল ওড়ান ছক্কায়।
ঠিক পরের বলে মারব কি ছাড়ব, দোটানায় পড়ে লং অনে ক্যাচ দেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার। মাত্র ১৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা কমে ভারতের ঝড়। রানের চাহিদা খুব বেশি না থাকায় ঝুঁকিও নিতে হয়নি তিলক ভার্মা ও সাঞ্জু স্যামসনের।
তবু সহজে তেমন রান করতে পারেননি তারা দুজন। ২৫ রানের জুটি গড়তে ২৬ বল খেলেন তিলক ও স্যামসন। ১৭তম ওভারে রউফের বলে বোল্ড হন ১৭ বলে ১৩ রান করা স্যামসন।
আরও পড়ুন
ভারতের বাজে ফিল্ডিং, ফারহানের ফিফটি, পাকিস্তানের ১৭১ |
![]() |
এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি তিলক ও হার্দিক পান্ডিয়া। ২টি করে চার-ছক্কায় ১৯ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিলক। ৭ বলে ৭ রান করেন হার্দিক।
এর আগে ভারতের বাজে ফিল্ডিংয়ের পূর্ণ সুবিধা পায় পাকিস্তান। ইনিংসে ৪টি ক্যাচ ছেড়ে দেন ভারতের ফিল্ডাররা। দুবার জীবন পেয়ে দলের সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন সাহিবজাদা ফারহান।
ভারতের পক্ষে বল হাতে সফল পার্ট টাইম মিডিয়াম পেসার শিবাম দুবে। ছয় নম্বরে বোলিংয়ে এসে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট দুইটি নেন তিনি।
পাকিস্তানের ইনিংসটি ভাগ করা যায় তিন ভাগে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফারহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান করে তারা।
আরও পড়ুন
শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলেন ভারতীয় ওপেনার |
![]() |
এরপর ব্যাটারদের চেপে ধরেন দুবে ও কুলদিপ যাদব। পরের ৭ ওভারে মাত্র ৩৮ রান করতে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
পরে শেষ ৩ ওভারে আবার ঝড় তুলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ, সালমান আলি আগারা। শেষটা নিজেদের প্রত্যাশামাফিক করে ৩ ওভারে ৪২ রান নেয় সালমানের দল।
ম্যাচের প্রথম ওভারেই হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ফারহানের ক্যাচ ছেড়ে দেন অভিষেক শর্মা। তখনও রানের খাতা খোলেননি ফারহান।
নিজের পরের ওভারে ফাখার জামানকে আউট করেন হার্দিক। উইকেটের পেছনে সাঞ্জু স্যামসনের ক্যাচটি নিয়ে সংশয় ছিল আম্পায়ারদের। রিপ্লে দেখে টিভি আম্পায়ার জানান, বলের নিচেই ছিল স্যামসনের আঙুল।
আরও পড়ুন
টি-টোয়েন্টিতেও দুঃস্বপ্নের অভিষেক বেকারের |
![]() |
এরপর বরুণ চক্রবর্তীর বলে সাইম আইয়ুবের ক্যাচ ছাড়েন কুলদিপ যাদব। ৪ রানে জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ২১ রানে আউট হন আগের তিন ম্যাচে টানা শূন্য রানে ফেরাম সাইম।
অষ্টম ওভারে আবার জীবন পান ফারহান। বরুণের বলে ওয়াইড লং অনে আবার ক্যাচ নিতে পারেননি অভিষেক। এবার ৩২ রানে ছিলেন ফারহান। দুবার জীবন পেয়ে ৩৪ বলে ফিফটি করেন পাকিস্তান ওপেনার।
ফিফটির পর কমে যায় ফারহানের রানের গতি। শেষ ১১ বলে মাত্র ৮ রান করতে পারেন তিনি। দুবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ফারহান। এর আগে হুসাইন তালাতকেও আউট করেন ভারতের পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
১৮তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভারে ১৭ রান খরচ করেন দুবে। পরের ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে ইনিংসের চতুর্থ ক্যাচ ছেড়ে দেন শুবমান ফিল। এবার ৬ রানে জীবন পান ফাহিম আশরাফ।
আরও পড়ুন
সিরিজ জিততে বেথেল-বাটলারদের চাই ১৫৫ রান |
![]() |
পরে শেষ ওভারে একটি করে চার-ছক্কা হজম করে ১৪ রান দেন হার্দিক। ৮ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ফাহিম।
নিজের বাজে দিনে ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেছেন বুমরাহ। তার ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় খরুচে বোলিং। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫০ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৭ রান দিয়েছিলেন বুমরাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭১/৫ (ফারহান ৫৮, ফাখার ১৫, সাইম ২১, তালাত ১০, নাওয়াজ ২১, সালমান ১৭*, ফাহিম ২০*; হার্দিক ৩-০-২৯-১, বুমরাহ ৪-০-৪৫-০, বরুণ ৪-০-২৫-০, কুলদিপ ৪-০-৩১-১, অক্ষর ১-০-৮-০, দুবে ৪-০-৩৩-২)
ভারত: ১৮.৫ ওভারে ১৭৪/৪ (অভিষেক ৭৪, গিল ৪৭, সূর্যকুমার ০, তিলক ৩০*, স্যামসন ১৩, হার্দিক ৭*; আফ্রিদি ৩.৫-০-৪০-০, সাইম ৩-০-৩৫-০, আবরার ৪-০-৪২-১, রউফ ৪-০-২৬-২, ফাহিম ৪-০-৩১-১)
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী
২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে তামিম ইকবাল। ৩৬ বছর বয়সী এই পোষ্টার বয় এখন চালিয়ে যাচ্ছেন শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট। বিপিএল এবং ডিপিএলে এখনও তার কদর অনেক। তার ক্যাপ্টেন্সিতে বিপিএলে ফরচুন বরিশাল পেয়েছে শিরোপা। ওল্ড ডিওএইচএস-এর কাউন্সিলর হয়ে এখন তামিম বিসিবির আসন্ন নির্বাচনী ময়দানে রাত-দিন কাটাচ্ছেন প্রচারণায়। অলিখিত ভাবে একটি প্যানেলকে দিচ্ছেন নেতৃত্ব। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক এবং ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট সংগঠকদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে পরিচালক পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচিত হলে ক্রিকেট ছেড়ে দিবেন বলেও আগাম ঘোষণা দিয়েছেন তামিম-
'আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে সবাই জানে, যে আমি যদি বিসিবিতে নির্বাচিত হই, তাহলে আমি আর ক্রিকেট খেলব না। কিন্তু কোথাও লেখা নেই যে আমি খেলতে পারব না। নির্বাচিত হলে ক্রিকেটের সাথে সম্পর্ক থাকবে না। তারপর যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে, তাই আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমি নির্বাচিত হলে, তাহলে এই দেশে ক্রিকেটের সাথে আমার কোনও সম্পৃক্ততা থাকবে না। তবে, যদি অন্য কোথাও কোনও চ্যারিটি ম্যাচ হয়, তাহলেও আমি তাতে অংশগ্রহণ করতে স্বাধীন।'
আরও পড়ুন
ছক্কার ফিফটি করে অভিষেকের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন। তার ইচ্ছায় নির্বাচনী তপশিলে বার বার পরিবর্তন এসেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন-
' আমি যদি ভুল করে না থাকি, তাহলে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর, সকল বিষয় অবশ্যই এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কাউন্সিলর মনোনয়নের সময়সীমা প্রথমে ১৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং হঠাৎ করেই বিসিবির পরিচালকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি বার্তা আসে যে কাউন্সিলর প্রেরণের সময়সীমা বাড়ানো হবে, প্রথমে ১৯ সেপ্টেম্বর এবং তারপর ২২ সেপ্টেম্বর। প্রথম যখন কাউন্সিলর নাম প্রেরণের তারিখ পরিবর্তন করা হয়, তখন তিন-চারজন পরিচালকের কিছুটা সম্মতি ছিল, কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন পিছিয়ে দেয়া হয়, তখন অন্য কারও সাথে পরামর্শ না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।'
আরও পড়ুন
সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে বেথেলের সিরিজ জয় |
![]() |
জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের স্বাক্ষর নিয়ে পরীক্ষিত সংগঠকরা কাউন্সিলর ফরম জমা দেয়ার পরও কেনো তাদের ফরম বাতিল করে এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণের চিঠি যুবও ক্রীড়া মন্ত্রানালয়কে দিলেন বিসিবি সভাপতি, তার সমালোচনা করেছেন তামিম-
' জেলা প্রশাসনের স্বাক্ষর সহ কাউন্সিলর মনোনয়ন জমা দেওয়ার রেওয়াজ আছে। এরকম অনেক রিসিভিং কপি আমাদের হাতে আছে। ঠিক এমন সময় কাউন্সিলর প্রেরনে সময়সীমা বাড়ানো হয়। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর বিসিবি সভাপতি এ ধরণের চিঠি দেন কীভাবে ? গঠণতন্ত্র অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পর বিসিবি সভাপতি এই ধরনের কোনও চিঠিতে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। কিন্তু বাস্তবে, তিনি স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। যদি তিনি নির্বাচন সম্পর্কে কিছুই জানেন না, তাহলে তিনি কীভাবে এত বিস্তারিত নির্দেশনা দেন?'
আরও পড়ুন
ভারতের বাজে ফিল্ডিং, ফারহানের ফিফটি, পাকিস্তানের ১৭১ |
![]() |
যুবও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে নির্বাচনকেন্দ্রীক একটার পর একটা অগঠণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এমনটাই মনে করছে তামিম-
' বুলবুল ভাই কিছুদিন আগে বলেছেন, উপদেষ্টা চাইলে তিনি বিসিবিতে নির্বাচন করবেন। এই কথা বলে কিন্তু তিনি তার অবস্থান পরিস্কার করেছেন।'
আইসিসি সরকারের হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধী, তা বুলবুলকে মনে করিয়ে দিতে চান তামিম-
'বিসিবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আইসিসিতে কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে উনি অনেক ভাল জানেন। উনি যে বিসিবির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছেন, এ ব্যাপারে একজনও দ্বিমত পোষন করবেন না।'
ডাবলিনে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ১৫৫ রানের লক্ষ্য ১৭.১ ওভারে পৌঁছে অতিথিরা। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করলো ইংল্যান্ড। পাশাপাশি দেশটির সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জিতলেন জ্যাকব বেথেল।
শুরুর ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে রান চাকা সচল করেন ফিল সল্ট ও জর্ডান কক্স। দু’জনে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে সল্ট ২৩ বলে ২৯ রান করেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে টম ব্যান্টনকে নিয়ে ছোটেন কক্স। ৩১ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন এই ডানহাতি ব্যাটার। বেঞ্জামিন হোয়াইটের বলে বোল্ড হওয়ার আগে চারটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে ৫৫ রান করেন কক্স। বাকি কাজটুকু সারেন টম ব্যান্টন। ২৬ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ব্যান্টন।
আরও পড়ুন
ভারতের বাজে ফিল্ডিং, ফারহানের ফিফটি, পাকিস্তানের ১৭১ |
![]() |
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে হাত খুলে খেলতে থাকেন দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ও রস অ্যাডায়ার। পল স্টার্লিং ৭ রানে ফিরলে ভাঙে ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৫২ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার অ্যাডায়ার। বাইশ গজ ছাড়ার আগে ডান হাতি এই ব্যাটার স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ২৩ বলে ৩৩ রান। এরপর হ্যারি ট্যাক্টর ২৭ বলে ২৮ রান করে ইনিংস টেনে লম্বা করেন । শেষদিকে গ্যারেথ ডিলানির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে (২৯ বলে ৪৮ রান) ১৫৪ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড।
এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ফিরতি লড়াইয়ে ১৭১ রানের সংগ্রহ পেল পাকিস্তান। ম্যাচ জিততে তাই চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ভারতের সামনে।
ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে ১৭০ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে মাত্র একটি। ২০২২ সালের এশিয়া কাপে ভারতের করা ১৮১ রান টপকে জিতেছিল পাকিস্তান।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বাজে ফিল্ডিংয়ের পূর্ণ সুবিধা পেয়েছে পাকিস্তান। সব মিলিয়ে ৪টি ক্যাচ ছেড়েছেন ভারতের ফিল্ডাররা। দুবার জীবন পেয়ে দলের সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন সাহিবজাদা ফারহান।
ভারতের পক্ষে বল হাতে সফল পার্ট টাইম মিডিয়াম পেসার শিবাম দুবে। ছয় নম্বরে বোলিংয়ে এসে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট দুইটি নেন তিনি।
আরও পড়ুন
টি-টোয়েন্টিতেও দুঃস্বপ্নের অভিষেক বেকারের |
![]() |
পাকিস্তানের ইনিংসটি ভাগ করা যায় তিন ভাগে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফারহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান করে তারা।
এরপর ব্যাটারদের চেপে ধরেন দুবে ও কুলদিপ যাদব। পরের ৭ ওভারে মাত্র ৩৮ রান করতে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
পরে শেষ ৩ ওভারে আবার ঝড় তুলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ, সালমান আলি আগারা। শেষটা নিজেদের প্রত্যাশামাফিক করে ৩ ওভারে ৪২ রান নেয় সালমানের দল।
আরও পড়ুন
সিরিজ জিততে বেথেল-বাটলারদের চাই ১৫৫ রান |
![]() |
ম্যাচের প্রথম ওভারেই হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ফারহানের ক্যাচ ছেড়ে দেন অভিষেক শর্মা। তখনও রানের খাতা খোলেননি ফারহান।
নিজের পরের ওভারে ফাখার জামানকে আউট করেন হার্দিক। উইকেটের পেছনে সাঞ্জু স্যামসনের ক্যাচটি নিয়ে সংশয় ছিল আম্পায়ারদের। রিপ্লে দেখে টিভি আম্পায়ার জানান, বলের নিচেই ছিল স্যামসনের আঙুল।
এরপর বরুণ চক্রবর্তীর বলে সাইম আইয়ুবের ক্যাচ ছাড়েন কুলদিপ যাদব। ৪ রানে জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ২১ রানে আউট হন আগের তিন ম্যাচে টানা শূন্য রানে ফেরাম সাইম।
আরও পড়ুন
বিসিবির নির্বাচন পিছিয়েছে ২ দিন, ভোটকেন্দ্র হোটেল সোনারগাঁ |
![]() |
অষ্টম ওভারে আবার জীবন পান ফারহান। বরুণের বলে ওয়াইড লং অনে আবার ক্যাচ নিতে পারেননি অভিষেক। এবার ৩২ রানে ছিলেন ফারহান। দুবার জীবন পেয়ে ৩৪ বলে ফিফটি করেন পাকিস্তান ওপেনার।
ফিফটির পর কমে যায় ফারহানের রানের গতি। শেষ ১১ বলে মাত্র ৮ রান করতে পারেন তিনি। দুবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ফারহান। এর আগে হুসাইন তালাতকেও আউট করেন ভারতের পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
১৮তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভারে ১৭ রান খরচ করেন দুবে। পরের ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে ইনিংসের চতুর্থ ক্যাচ ছেড়ে দেন শুবমান ফিল। এবার ৬ রানে জীবন পান ফাহিম আশরাফ।
পরে শেষ ওভারে একটি করে চার-ছক্কা হজম করে ১৪ রান দেন হার্দিক। ৮ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ফাহিম।
আরও পড়ুন
আজও হাত মেলাননি সূর্যকুমার-সালমান আগা |
![]() |
নিজের বাজে দিনে ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেছেন বুমরাহ। তার ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় খরুচে বোলিং। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫০ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৭ রান দিয়েছিলেন বুমরাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭১/৫ (ফারহান ৫৮, ফাখার ১৫, সাইম ২১, তালাত ১০, নাওয়াজ ২১, সালমান ১৭*, ফাহিম ২০*; হার্দিক ৩-০-২৯-১, বুমরাহ ৪-০-৪৫-০, বরুণ ৪-০-২৫-০, কুলদিপ ৪-০-৩১-১, অক্ষর ১-০-৮-০, দুবে ৪-০-৩৩-২)