আইসিসির এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। গেল মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্স করায় এই স্বীকৃতি মিলেছে মিরাজের। জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের পেসার বেন শিয়ার্সকে পেছনে ফেলে সেরা হন তিনি।
গত এপ্রিলে সিলেট ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ ১–১ ব্যবধানে ড্র করে বাংলাদেশ। এই দুই টেস্টে ৩ ইনিংসে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আলো ছড়ান মিরাজ। ব্যাট হাতে ৩৮.৬৬ গড়ে এক সেঞ্চুরিসহ করেন ১১৬ রান। আর বল হাতে ৪ ইনিংসে নেন সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট। যেখানে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই ফাইফার নেন মিরাজ। আবার দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন ৫ উইকেট।
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের পর তৃতীয় বাংলাদেশি পুরুষ হিসেবে আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন মিরাজ। ২৭ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারে এটিই প্রথম আইসিসির মাসসেরার তকমা।
আরও পড়ুন
সকালে গেছেন কোচ, সন্ধ্যায় যাবেন অধিনায়ক |
![]() |
আইসিসির ওয়েবসাইটে মিরাজের সেরা হবার খবরের পাশাপাশি জানানো হয় এই খবর শোনার পর মিরাজের প্রতিক্রিয়াও। আইসিসিকে মিরাজ জানান নিজের আনন্দ অনুভূতির কথা।
‘আইসিসির মাসসেরা হওয়া অবিশ্বাস্য সম্মান। যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য আইসিসির পুরস্কারই সর্বোচ্চ, আর বৈশ্বিকভাবে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়াটা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। এসব মুহূর্ত আমার ক্যারিয়ারের যাত্রা মনে করিয়ে দেয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে ২০১৬ অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় হওয়া ছিল আমার জন্য অনেক বড় প্রেরণা। এই পুরস্কারটিও তেমনই বিশেষ কিছু। আইসিসির এমন স্বীকৃতি আমাকে দেশের জন্য আরও ভালো করার প্রেরণা দেয়। সেই সঙ্গে সতীর্থ, কোচ ও ভক্তদেরও আমি ধন্যবাদ জানাই, এই পুরস্কার তাদেরও।’
ছেলেদের পাশাপাশি প্রতিযোগিতা হয়েছিল নারী ক্রিকেটারদের মধ্যেও। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউজ ও পাকিস্তানের অধিনায়ক সানা ফাতিমাকে পেছনে ফেলে এপ্রিল মাসের সেরা নারী ক্রিকেটার নির্বাচিত হন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইস। পাকিস্তানে গত মাসে অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ রান করার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন ব্রাইস।
১৪ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
জেক-ফ্রেজার ম্যাকগার্ক এবারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আর খেলবেন না, এই খবরটি আসার সাথে সাথে তার বদলি হিসেবে চমক হিসেবেই আসে মুস্তাফিজুর রহমানের নাম। তবে সেখানে বড় এক বিস্ময় তার নামের পাশের ‘প্রাইস ট্যাগ’। কারণ, নিলামে ভিত্তি মূল্য ২ কোটি রুপি থাকলেও যে বাংলাদেশ পেসারকে দলে পেতে দিল্লিকে গুনতে হচ্ছে ৬ কোটি রুপি!
কয়েকটি কারণেই বিষয়টি ধাঁধার জন্ম দিয়েছে। প্রথমত জেক-ফ্রেজারকে মেগা নিলাম থেকে ৬ কোটি রুপিতেই নিয়েছিল দিল্লি। একই নিলামে ২ কোটি ভিত্তি মূল্যে অবিক্রীত থেকে যান মুস্তাফিজুর। ফলে প্রাথমিক ধারণা হতেই পারে যে অজি ব্যাটারের বিক্রিত মূল্যই হয়ত পেতে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি পেসার।
আরও পড়ুন
দিল্লীতে ডাক মুস্তাফিজের, এন ও সি কি মিলবে? |
![]() |
তবে ঠিক এভাবে একজন খেলোয়াড়ের মূল্য বাড়ার যৌক্তিক সুযোগ নেই, তাও কয়েকটি ম্যাচ যখন বাকি। তাছাড়া জেক-ফ্রেজারের বদলি হলেও তার সমান মূল্যে মুস্তাফিজুর বেতন পাবেন, ব্যাপারটা তাও নয়। অন্তত অন্যান্য এমন বদলির চুক্তিগুলো তাই বলে।
ফলে যা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, তা হল মুস্তাফিজুরকে পেতে দিল্লিকে লড়াই করতে হয়েছে অন্য দলগুলোর সাথেও। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউডের মত তারকা পেসাররা এই আইপিএলে আর না ফেরার কয়েকটি দলই খুঁজছে অভিজ্ঞ একজন আন্তর্জাতিক মাপের বোলার, যিনি আইপিএলে পরীক্ষিত।
আর এই ক্যাটাগরিতে মুস্তাফিজুর তো সবদিক থেকেই দারুণ এক পছন্দ। তাছাড়া পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে ধোয়াশা থাকায় তাকে এই মাসের ১৯ তারিখের পর থেকে পাওয়ার রয়েছে ভালো সম্ভাবনা।
সেই কারণেই ভিত্তি মূল্য ২ কোটি রুপিতে মুস্তাফিজুরকে আর কিনতে পারেনি দিল্লি। ইনসাইড বিডিংয়ে বেড়ে যায় দাম, যা গিয়ে ঠেকে ৬ কোটি রুপিতে। যা কিনা আবার যার বদলি হলেন, সেই জেক-ফ্রেজারের মূল্যের ঠিক সমান। এক্ষেত্রে ব্যাপারটা এটাও হতে পারে, চলে যাওয়া খেলোয়াড়ের জন্য বরাদ্দ মূল্যটাই দিল্লি গুনে গুনে খরচ করেছে আরেকজনের জন্য।
তবে মেগা নিলামে যেখানে কয়েক দফায়ও মুস্তাফিজুরের জন্য যেখানে একটা দলও আগ্রহ দেখায়নি, সেখানে এখন তাকে নিয়ে কয়েকটি দলের কাড়াকাড়ি চমক জাগানিয়াই বটে। তবে আইপিএল ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির বিশাল অভিজ্ঞতার কারণে তাকে নিয়ে বাড়তি চাহিদাই হয়ত তৈরি হয়েছে। সাথে রয়েছে বাঁহাতি পেসারদের কদর, যা বিশ্ব ক্রিকেটে এখনও রয়েছে বেশ।
আরও পড়ুন
পিএসএলে খেলবেন সাকিব |
![]() |
দিল্লির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মুস্তাফিজুরকে দলে টানার খবর জানাতেই তাদের সেই পোস্ট ভেসে গেছে বাংলাদেশী সমর্থকদের ভালোবাসায়। তবে খুব শীঘ্রই ‘দা ফিজ’-কে আইপিএলে দেখার সম্ভাবনা কমই। কারণ, বুধবার রাতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে রওনা দিয়েছেন তিনি।
সিরিজ শেষ হবে আগামী ১৯ মে, যার দুই দিন আগে শুরু হবে আইপিএলের বাকি অংশ। অন্যদিকে বিসিবি জানিয়েছে, মুস্তাফিজুর বা দিল্লি কেউই তাদের সাথে তার আইপিএলে দল পাওয়া বা খেলা নিয়ে যোগাযোগ করেনি। তাতে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তার অনাপত্তিপত্র পাওয়া নিয়ে।
সীমান্তে ভারতের সাথে অস্থিরতার কারণে সাময়িক বিরতির পর শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএলে) দল পেলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডারকে দলে টেনেছে লাহোর কালান্দার্স।
ক্লাবটির পক্ষ থেকে বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আর টি স্পোর্টসকে সাকিব জানিয়েছেন, টুর্নামেন্টের বাকি অংশ খেলতে পাকিস্তানে যেতেও আপত্তি নেই তার।
আরও পড়ুন
দিল্লীতে ডাক মুস্তাফিজের, এন ও সি কি মিলবে? |
![]() |
সাকিবের এই পাকিস্তানে যেতে আপত্তি না থাকার কারণেই হয়ত এই সময়ে এসে দল পেয়েছেন তিনি। গত এপ্রিল থেকে চলতি মাসের শুরু পর্যন্ত ভারতের সাথে সীমান্তে উত্তেজনার কারণে স্থগিত হয়ে যায় পিএসএল। শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসরের বাকি অংশ হওয়ার কথা থাকলেও পরে সেটা বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় পাকিস্তানেই তা আয়োজনের।
আর সেখানেই বেঁধেছে বিপত্তি। কারণ, বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই এই মুহূর্তে পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি নন। বিশেষ করে সেই খেলোয়াড়রা, যারা ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধময় পরিবেশে অনেকটাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন।
লাহোরের বিদেশী খেলোয়াড়দের প্রায় অধিকাংশই তাই আর পিএসএল খেলতে আসতে চাচ্ছেন না। সেই শূন্যতা পূরণ করতেই তাই দলটি অভিজ্ঞ সাকিবকে দলে নিয়েছে, যিনি এখন পুরোপুরিভাবেই ফ্রি আছেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া সাকিব জাতীয় দলের হয়ে শেষবার খেলেছেন গেল বছর টেস্টে। এই ফরম্যাট ও ওয়ানডে থেকে অবসর না নিলেও নানা বাস্তবতায় ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এর মাঝে যোগ হয়েছিল গত বছর বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটি, যা তিনি মাসখানেক আগে শুধরে নিয়েছেন।
সাকিব ফিরছেন এবার পিএসএল দিয়ে, যেখানে তিনি আগেও খেলেছেন। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে সাবেক বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার ১৪ ম্যাচ খেলেছেন।
আরও পড়ুন
দুই পেসারকে পেছনে ফেলে আইসিসির সেরা মিরাজ |
![]() |
পিএসএলে মোট ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ১৬.৩৬ গড়ে ও ১০৭.১৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৮১ রান। আর বল হাতে ৮ উইকেট নিয়েছেন ওভার প্রতি ৭.৩৯ রান দিয়ে।
লাহোরের হয়ে সাকিবের সম্ভাব্য প্রথম ম্যাচ হতে পারে আগামী ১৮ মে, যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে তারই সাবেক দল পেশোয়ার জালমি।
প্রতিবার আইপিএলে বাঙালি ক্রিকেট ভক্তরা চাতক পাখির মত চেয়ে থাকে কোন টাইগার ক্রিকেটারকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে দেখতে। ২০২৫ এর আসরে টাইগার ভক্তদের সেই আশা পূরণ হয়নি। নিলামে নাম থাকলেও কোন ফ্র্যঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায়নি মু্স্তাফিজ, রিশাদদের নিয়ে। তবে সেই আক্ষেপ ঘুচল এবার আইপিএলের পরের অংশে এসে।
টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে দেখা যাবে আইপিএলে। তার পুরোনো দল দিল্লী ক্যাপিটালসের হয়ে খেলবেন ফিজ। দলটির সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিশ্চিত করা হয় খবরটি। অস্ট্রেলিয়ার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাগার্কের বদলি হিসেবে ডাক পেয়েছেন মুস্তাফিজ।
আরও পড়ুন
সকালে গেছেন কোচ, সন্ধ্যায় যাবেন অধিনায়ক |
![]() |
এবারের মেগা অকশনে ২ কোটি ভিত্তিমূল্যে থাকা ফিজকে দিল্লী চুক্তি করেছে ৬ কোটি রুপিতে। আর তাতে মোস্তাফিজই বনে গেছেন বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকায় আইপিএলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটার। এর আগে ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ৬ লাখ ডলারে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সে সময়ের বাজারদরে তা চার কোটি টাকার কাছাকাছি ছিল।
৮ মে দিল্লী ও পাঞ্জাবের ম্যাচ অমিমাংসীত অবস্থায় থমকে যায় আইপিএল। কারণ ছিল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের অস্থিরতা। যার কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে আসা অনেক বিদেশীরাই ফিরে গেছেন দেশে। তেমনি ফ্রেজার ম্যাগার্কও আর ফিরছেন না। অস্ট্রেলিয়ার সামনেই রয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। আর সেই সুবাদেই জায়গা মিলছে মুস্তাফিজের। দিল্লীর হয়ে ৬ ম্যাচ খেলা জ্যাক ফ্রেজার ম্যাগার্ক না ফেরায় ফিজকে দলে নিয়েছে দিল্লী।
আসরের লিগ পর্বে এখনো তিন ম্যাচ বাকি রয়েছে দিল্লীর। ১৮ তারিখ গুজরাটের বিপক্ষে, ২১ মে মুম্বাই ও ২৪ মে পাঞ্জাবের সঙ্গে হবে আধুরা থেকে যাওয়া সেই ম্যাচ, যেই ম্যাচ চলাকালীনই থমকে যায় আইপিএল।
২০১৬ সালে হায়দ্রাবাদের হয়ে আইপিএল অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। ১ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে সেবার তাকে দলে নিয়েছিল হায়দরাবাদ। সে বছরই ১৭ উইকেট নিয়ে হায়্রদ্রাবাদের শিরোপা জেতায় রেখেছিলেন ভূমিকা। হয়েছিলেন প্রথম ও একমাত্র বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে ইমার্জিং প্লেয়ার অফ দ্য সিজন। পরের বছরও খেলেছিলেন একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে।
২০১৮তে ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে জার্সি গায়ে ওঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। এরপর ২০২১ সালে ফিজ ছিলেন রাজস্থানের ডেরায় ১ কোটি রুপিতে। আর ২০২২ এ ভিত্তিমূল্য ২ কোটিতে দলে নেয়ার পর পরের বছরও তাঁকে রেখে দেয় দিল্লী। শেষবার ২০২৪ এও ২ কোটি ভিত্তিমূল্যে মুস্তাফিজ ছিলেন ধোনির চেন্নাইয়ে।
আরও পড়ুন
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আগে আইপিএল ‘খেলবেন’ কামিন্স-হেড |
![]() |
আইপিএলে প্রথম বছরই ১৬ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ১৭ টি উইকেট। পরের বছর হায়দ্রাবাদের হয়েই ১ ম্যাচে সুযোগ হয়েছিল, কিন্তু কোন উইকেট পাননি। এরপর মুম্বাই, রাজস্থান, দিল্লীর হয়েও ছড়িয়েছিলেন আলো। আর শেষ বার ২০২৪এ চেন্নাইয়ে মাত্র পুরো সিজন না খেলেও মাত্র ৯ ম্যাচেই ছিলেন দুর্দান্ত। নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট।
১৩ পয়েন্টে এই মুহুর্তে আইপিএল ২০২৫ এর টেবিলের পাঁচে রয়েছে দিল্লী ক্যাপিটালস। বিদেশী পেসারদের মাঝে দিল্লীতে খেলেছেন মিচেল স্টার্কদের মত প্লেয়াররা। তবে যুদ্ধের রেশের পর পরিবর্তিত সূচিতে অনেক নামেই যখন পরিবর্তন আসছে আমরা মুস্তাফিজকে দেখতেই পারি আরো একবার দিল্লীর জার্সিতে। তবে এখানেও বড় প্রশ্ন থাকছে, পাকিস্তান ও আরব আমিরাত সিরিজ খেলতে জাতীয় দলের সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন মুস্তাফিজ। তাই মুস্তাফিজের দিল্লীতে হোম কামিং মুহুর্ত দেখতে, চেয়ে থাকতে হবে সেই বিসিবির এনওসির দিকে।
আরব আমিরাতের সঙ্গে দুই ম্যাচের টি টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে বুধবার সকালে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের একাংশ। সকাল ১০টায় প্রথম ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন ১০ জন খেলোয়াড় ও কয়েকজন কোচিং স্টাফ, যার মধ্যে রয়েছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও।
পরের ধাপের সদস্যরা সন্ধ্যা ৭টায় রওনা দেবেন। যেখানে থাকবেন অধিনায়ক লিটন দাস নাজমুল হোসেন শান্ত, মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৭ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবার কথা ১৯ মে। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
আরও পড়ুন
সকালে গেছেন কোচ, সন্ধ্যায় যাবেন অধিনায়ক |
![]() |
আরব আমিরাতের সঙ্গে এই সিরিজটি দিয়েই ২০২৬ আইসিসি টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরু করবে বাংলাদেশ। লিটন দাসের অধিনায়ক হিসেবে পূর্ণকালীন দায়িত্বে থাকা এই সিরিজে তাঁর সঙ্গে সহ অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন শেখ মেহেদী হাসান।
মূলত পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি টুয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। সেই সিরিজের জন্য আরব আমিরাত হয়ে পাকিন্তানের যাবার সময় সেখানেও দুটি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
তবে সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে সেই সিরিজের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। যদিও ওই সিরিজের জন্য পরিবর্তিত সূচি দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে এ ব্যাপারে।
১৩ মে ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম
আইপিএলের সাময়িক বিরতি ও পরিবর্তিত সূচির কারণে বিদেশী খেলোয়াড়দের সময় মত পাওয়া নিয়ে সব দলই আছে চ্যালেঞ্জিং সময়েরর মধ্যে। তবে কিছুটা নির্ভার থাকতে পারে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। কারণ, আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল সামনে থাকলেও আইপিএলের বাকি অংশ খেলার জন্য সম্মতি দিয়েছেন দলটির দুই অজি তারকা প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেড, এমনটাই দাবি ইএসপিএনক্রিনইফোর।
পাকিস্তানের সাথে সীমান্ত উত্তেজনার কারণে গত ৯ মে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে অধিকাংশ বিদেশী ক্রিকেটাররাই আইপিএল নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ভারত ছেড়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে যান।
আরও পড়ুন
কোহলি : টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন! |
![]() |
ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতি দেওয়ায় আগামী ১৭ মে থেকে আইপিএল পুনরায় শুরু হবে। ফলে সব দল নেমে পড়েছে দল গুছিয়ে নেওয়ার কাজে। তবে হায়দ্রাবাদের দুই ক্রিকেটার কামিন্স ও হেড ১১ জুন লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দলে থাকায় তাদের খেলা নিয়ে ছিল শঙ্কা।
তাছাড়া হায়দ্রাবাদ এরই মধ্যে প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ায় তারা ফাইনালের প্রস্তুতি রেখে আইপিএলে ফিরবেন কিনা, সেটাও ছিল দেখার বিষয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দুজনই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানিয়েছেন যে, তারা বাকি অংশ খেলতে ভারতে ফিরে যাবেন। কামিন্সের ম্যানেজার নীল ম্যাক্সওয়েল মঙ্গলবার বলেছেন,
“ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক হিসেবে প্যাটের একটি দায়িত্ব আছে। সে ফিরে আসার কথা ভাবছে।”
২০২৪ সালে রানার্সআপ হওয়া হায়দ্রাবাদ এবার ১১ ম্যাচে মাত্র তিনটি জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে অষ্টম স্থানে রয়েছে। দলটির ম্যাচ বাকি আছে আর তিনটি, যা শেষ হবে আগামী ২৫ মে।