১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১:০৬ পিএম

গত মে মাসে ৩৮ পেরিয়েছে মুশফিকুর রহিমের বয়স। ছয় মাস পেরিয়ে এখন ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট খেলার অপেক্ষায় বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। দুর্দান্ত মাইলফলকের উপলক্ষ্যের মাঝেও একই সমান্তরালে আছে ভিন্ন আলোচনা। আর কত দিন খেলতে দেখা যাবে মুশফিককে?
এরই মধ্যে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন মুশফিক। এখন শুধু সাদা পোশাকেই জাতীয় দলে দেখা যায় তাকে। কিন্তু ৩৯ ছুঁইছুঁই মুশফিক আর কত দিন খেলবেন টেস্ট ক্রিকেট, সেই প্রশ্নও উঠছে জোরেশোরে।
শততম টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের কাছে জানতে চাওয়া হলো এর উত্তর। সরাসরি অবশ্য কিছু বলেননি ক্যারিবিয়ান এই কোচ। বরং অভিজ্ঞ ব্যাটারের কাছেই রেখেছেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার।
শুরুতে সিমন্স বলেছেন, যত দিন পারফর্ম করবেন, ততদিন খেলতে থাকবেন মুশফিক।
আরও পড়ুন
| টেস্টের শতক: যে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় মুশফিক |
|
“না (মুশফিকের ভবিষ্যত সম্পর্কে কথা হয়নি)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের সময় যখন আমি এলাম, মুশফিককে একটা কথাই বলেছি, ‘এই সময়ে তোমার কাজ শুধু প্রতিটি দিন, প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ উপভোগ করা। কারণ সিদ্ধান্ত তোমার। যখন তুমি পারফর্ম করতে থাকবে, তখন সিদ্ধান্ত তুমিই নেবে কত দিন খেলবে। তাই পারফরম্যান্স জরুরি।’ তো যখন সে পারফর্ম করতে থাকবে, পেশাদারত্বই তাকে বিদায়ের সময় পর্যন্ত এগিয়ে নেবে।”
পরে ভিন্ন আরেক প্রশ্নে বাংলাদেশের প্রধান কোচ জানান, তিনটি জিনিস ঠিক করে দেবে মুশফিকের ক্যারিয়ারের সামনের পথ। যেগুলো এখন আছে সাবেক অধিনায়কের পক্ষেই।
“আমার মতে, আপনাকে কিছু জিনিস বিবেচনা করতে হবে। প্রথমত আপনাকে ফিটনেস দেখতে হবে। মুশফিক হয়তো দলের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটারদের একজন। আর সে যদি পারফর্ম করতে থাকে। তিন ম্যাচ আগেই সে শ্রীলঙ্কায় সেঞ্চুরি করেছে। তো সে পারফর্মও করছে। এই দুইটি বড় মানদণ্ড।”
“আমি বলব সব মিলিয়ে তিনটি ব্যাপার। আপনি যত দিন পারফর্ম করছেন, আপনার ফিটনেস আর খেলা চালিয়ে নেওয়ার তাড়না। তো এই মুহূর্তে তিনটিই আছে তার মধ্যে। তাই এই বিষয়ে (অবসর) সে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে।”
এখন পর্যন্ত ৯৯ টেস্ট খেলে ১২ সেঞ্চুরি ও ২৭ ফিফটিতে ৩৮.০২ গড়ে মুশফিকের সংগ্রহ ৬ হাজার ৩৫১ রান। বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ৩টি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এবার দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একশ টেস্ট খেলবেন তিনি।
No posts available.
১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৪৬ পিএম

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিভিন্ন কমিটিতে বড় ধরনের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পরিবর্তনগুলো জানিয়েছে বিসিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিবির নারী বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান করা হয়েছে রুবাবা দৌলাকে। এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করা আব্দুর রাজ্জাক রাজ এখন থেকে থাকবেন ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্বে।
রাজ্জাককে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাই পারফরম্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে। এই পদে তিনি জায়গা নিচ্ছেন খালেদ মাসুদ পাইলটের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে।
খালেদ মাসুদকে দেওয়া হয়েছে গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান পদে। তিনি এই পদে দায়িত্ব নেবেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের জায়গায়। বুলবুল বোর্ডের নির্বাচনের পর থেকে এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন।
বিসিবি জানিয়েছে, বোর্ডের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও সুশৃঙ্খল করতেই এই পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চলতি বছর বাংলাদেশের বড় চমক সাইফ হাসান। জাতীয় দলে ফেরার পর থেকে দারুণ ছন্দে আছেন এই ব্যাটার। এবার উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পুরস্কারও তিনি পেয়ে গেলেন বিসিবির কাছ থেকে।
লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়কত্ব পেলেন সাইফ। আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলের নেতৃত্বে থাকবেন লিটন। আর ডেপুটি হিসেবে তাকে সহযোগিতা করবেন ২৬ বছর বয়সী সাইফ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এই খবর জানিয়েছে বিসিবি। অন্য দুই ফরম্যাটের সহ-অধিনায়কের নামও ঘোষণা করা হয়েছে।
ওয়ানডেতে এখন মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে খেলছে বাংলাদেশ। গত জুনে এক বছরের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
আর টেস্টে বর্তমানে অধিনায়কত্বের ভার আছে শান্তর কাঁধে। চলতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র শেষ হওয়া পর্যন্ত এই ফরম্যাটের দায়িত্ব তার। যেখানে এখন থেকে ডেপুটি হিসেবে তিনি পাচ্ছেন মিরাজকে।

এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচেও হারল সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত-ওমানের কাছে ব্যর্থ হওয়ার পর আজ পাকিস্তান শাহীনসের কাছেও ধরাশায়ী হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
কাতারের রাজধানী দোহায় গ্রুপ ‘বি’ এর ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৫৯ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জয় বন্দরে পৌঁছে পাকিস্তান শাহীনস। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন মাজ সাদাকাত। তিনি ১৫ বলে ৩৭ রান করেন।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আমিরাতের অধিনায়ক আলিশান শারাফু। আহমেদ তারিককে নিয়ে ওপেনিং শুরু করেন তিনি। তাদের যাত্রা অশুভ করে দেন শাহীদ আজিজ।
আরও পড়ুন
| বাবরকে নিয়ে রমিজের বড় ইউ-টার্ন |
|
দলীয় ১ রানের মাথায় ক্যাচ তুলে দেন তারিক। ডাক মেরে ফেরেন তিনি। তিন রানের মাথায় ক্যাপ্টেন নিজেই এলবিডব্লিউর শিকার হন।
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর আর দাঁড়াতে পারেনি আরব আমিরাত। দলীয় ২৪ রানের মধ্যে টপঅর্ডারের আরও দুটি উইকেট হারিয়ে বসে তাঁরা। তবে সর্বোচ্চ বিপর্যয় দেখা যায় ৪২ রানের মাথায়। ৫৯ রানের আগ পর্যন্ত আর ৬টি উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তোলেন সুফিয়ান মুকিম। মাস সাদাকাত, আহমেদ দানিয়াল দুটি করে উইকেট তোলেন। বাকিগুলো ছিল শাহীদ আজিজ, আরাফাত মিনহাস ও মুহাম্মদ সাহজাদের।
সাদামাটা লক্ষ্যের বিপরীতে নেমে দলীয় ৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে পাকিস্তানের। পঞ্চম ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে সাজঘর মুখো হন মোহাম্মদ নাইম। বাকি পথ পাড়ি দেন মাজ সাদাকাত ও গাজী গৌরি। দুজনের ৫৫ রানের পার্টনারশিপে আসরে তৃতীয় জয়ের দেখা পায় পাকিস্তান। মাজ ১৫ বলে ৩৭ এবং গাজী ১২ বলে ১৬ রান করেন।

সম্প্রতি লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪৯তম ওভারের প্রথম বলের সময়। সে সময় বাবর আজমের রান ছিল মাত্র ১। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার সেনুরান মুথুসামির বলে ক্যাচ আউটের আবেদন মেনে তাঁকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন বাবর। ঠিক তখনই ধারাভাষ্য দিতে দিতে রমিজ রাজা বলে বসেন, ‘এই আউট, এখন নাটক করবে।’
তার কিছু দিন আগে দলের বাইরে থাকলেও বাবরের সমালোচনা করেন রমিজ। তবে সম্প্রতি আবার ছন্দে ফিরেছেন বাবর। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজও বড় ইউ-টার্ন নিয়েছেন। সম্প্রতি তারকা বাবরকে ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। গত কয়েক বছরের তীব্র সমালোচনার মাঝেও বাবরের ধৈর্য ও মানসিক শক্তি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি।
রমিজ রাজা বলেন, বাবর সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে ওয়ানডে সিরিজে ৮০৭ দিন ও ৮৩ ইনিংসের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতক করেছেন। এটি তাঁর ছন্দে ফেরার রূপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রমিজ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানান, তিনি সম্প্রতি বাবরের সঙ্গে একটি ক্যাফেতে দেখা করেন, যেখানে বাবর ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সমালোচনার ভিড়ের চাপ এবং দলের জায়গা নিয়ে মন্তব্য নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। রমিজ বাবরকে পরামর্শ দেন,
‘আপনার খেলার দিকে মনোযোগ দিন, বাইরের কথায় প্রভাবিত হবেন না। কেবল মাঠে পারফর্ম করতে হবে।’
রমিজ বলেন,
‘বাবর তার শ্রদ্ধাশীল আচরণ ও ধৈর্য ধরে রেখেছেন, যেখানে মিডিয়া ও ভক্তদের চাপ থাকলেও তিনি কখনো মুখোমুখি বিবাদে জড়াননি। তার খেলার ধরন এবং শৈলী বিশ্ব ক্রিকেটে দেখার মতো।’
রমিজ উল্লেখ করেন,
‘বাবরের ব্যাটিং স্টাইল এমন, প্রতিরোধের সময়ও দেখা মজা লাগে। তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং লম্বা সময় ব্যাটিং করাই গুরুত্বপূর্ণ।’
রমিজ অবশ্য বাবরের শুধু সমালোচনাই করেন না, বরং আস্থাও রাখেন বেমি। তাঁর সমর্থন দেখা যায় ২০২১ সালে তিন ফরম্যাটেই বাবরের অধিনায়ক হওয়ার সময়। চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যাওয়ার পরেও তিনি বাবরের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন।

চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম খেলতে নেমেই দারুণ এক সেঞ্চুরি করলেন তানজিদ হাসান তামিম। সহজাত ব্যাটিংয়ে ৭ চারের সঙ্গে ৮ ছক্কায় তিনি খেললেন ১৪০ রানের ইনিংস। তবে ম্যাচে অবশ্য ফল আসেনি। ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শেষ হয়েছে রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যকার চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ। ব্যাটারদের দাপটের ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে হয়েছে মোট ৪টি সেঞ্চুরি। তামিম ছাড়াও তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন সানজামুল ইসলাম, আশিকুর রহমান শিবলি ও প্রিতম কুমার।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সানজামুলের ১১২ রানের সৌজন্যে ২৯৮ রান করে রাজশাহী। বল হাতে ঢাকার পক্ষে ৫ উইকেট নেন অফ স্পিনার আশরাফুল ইসলাম সিয়াম।
জবাবে ঢাকা বিভাগের শিবলির ব্যাট থেকে আসে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১২১ রান। এছাড়া আনিসুল ইসলাম ইমন খেলেন ৯৭ রানের ইনিংস। ৮৪ রানের লিড নিয়ে ৩৮২ রানে অলআউট হয় ঢাকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ঝড় তোলেন তামিম। ৭ চারের সঙ্গে ৮ ছক্কা মেরে ১৫১ বলে খেলেন ১৪০ রানের ইনিংস। এছাড়া প্রিতম কুমারের ব্যাট থেকে আসে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১৫১ বলে ১৩৬ রান। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ২২০ রানের জুটি।
ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে মাত্র ৬৭.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬০ রান তুলে ইনিংস ছেড়ে দেয় রাজশাহী।২৭৭ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১০৯ রান করে ঢাকা। পরে ড্র মেনে নেয় দুই দল। এবার ৪৪ রান করেন আনিসুল ইসলাম ইমন।
চার ম্যাচে ঢাকার এটি চতুর্থ ড্র। সমান ম্যাচে রাজশাহী জিতেছে একটি, হেরেছে দুইটি আর ড্র হয়েছে অন্যটি।
এছাড়া চতুর্থ রাউন্ডের অন্য দুই ম্যাচে তিন দিনেই ফল এসে গেছে। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লা. লে. শহীদ মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চট্টগ্রামকে ২৫১ রানে হারিয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। আর বগুড়ার মাঠে বরিশালের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জিতেছে রংপুর।
সিলেটে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্টের কারণে এক দিন পরে শুরু হয়েছে স্বাগতিক সিলেট ও খুলনার মধ্যকার ম্যাচ। আপাতত তিন দিন শেষে ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে সেটি।