ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষায় থাকেন ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের জন্য। দুই দেশের জাতীয় দলের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হয় না লম্বা সময় ধরে। তবে সে অপেক্ষা পুরোয় বিভিন্ন টুর্নামেন্টের সৌজন্যে- মাঝেমধ্যে দেখা হয় তাদের। সবশেষ এশিয়া কাপে দেখা হয়েছিল তিনবার।
নভেম্বরের শুরুতে আবারও দেখা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের! তবে এবার জাতীয় দল নয়, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে খেলবে তারা। আগামী ৭ নভেম্বর হংকংয়ের টিন কোয়াং রোড রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে মাঠে নামবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
চারটি পুলে তিনটি করে মোট ১২ দল খেলবে টুর্নামেন্ট। ৫ ওভারের ম্যাচে খেলবেন ছয় ক্রিকেটার। পুল ‘সি’তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও কুয়েত। আব্বাস আফ্রিদিকে অধিনায়ক করে এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন দিনেশ কার্তিক। দলে থাকবেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও।
আরও পড়ুন
ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংয়ে উঠে বুমরাহর খুব কাছে পাকিস্তানি স্পিনার |
![]() |
কার্তিক মুখিয়ে আছেন হংকং সিক্সেসে ঝড় তুলতে। ভারতের অধিনায়ক বলেন, ‘ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য বড় সম্মানের। হংকং সিক্সেস এমন এক টুর্নামেন্ট, যার ইতিহাস ও মর্যাদা দুই-ই দারুণ সমৃদ্ধ। আমি চাই, আমরা এমন ক্রিকেট খেলি যা উপভোগ করবে প্রতিটি দর্শক—দুঃসাহসী, আনন্দমুখর ক্রিকেট।’
পাকিস্তান দলে আছে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল। অলরাউন্ডার আব্বাস আফ্রিদির সঙ্গে খাজা নাফে, আবদুল সমাদ, মোহাম্মদ শাহজাদরা আছেন।
ক্রিকেট হংকংয়ের চেয়ারম্যান বুরজি শফ বলেছেন, ‘দীনেশ কার্তিকের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে আমরা স্বাগত জানাতে পেরে উচ্ছ্বসিত। তাঁর নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা এই টুর্নামেন্টে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে এবং সারা বিশ্বের ভক্তদের আকর্ষণ করবে।’
পুল এ: আফগানিস্তান, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
পুল বি: অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত
পুল সি: ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত
পুল ডি: বাংলাদেশ, হংকং, শ্রীলঙ্কা
No posts available.
২২ অক্টোবর ২০২৫, ৮:১৩ পিএম
২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৪৩ পিএম
ক্রিকেট শুধু খেলা নয়—এ এক অনন্ত দৃশ্যকাব্য। যেখানে বল-বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকে পাহাড়, সমুদ্র, আকাশ, ইতিহাসের গন্ধ আর সবুজ ঘাসের শান্ত ছোঁয়া। পৃথিবীর নানা প্রান্তে এমন কিছু মাঠ আছে, যেগুলো ক্রিকেটের সঙ্গে প্রকৃতির মেলবন্ধনের অনন্য উদাহরণ।
যুক্তরাজ্যের ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট থ্রি সিক্সটি ফাইভ’ বিশ্বের সবচেয়ে মনোরম সাতটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তালিকা করেছে। সেখানে বাংলাদেশেরও একটি স্টেডিয়াম জায়গা পেয়েছে। দেখে নেই সাতটি স্বপ্নের ক্রিকেট মঞ্চ,।
নিউল্যান্ডস, কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
টেবিল মাউন্টেনের বিশাল ছায়ার নিচে ঘুমিয়ে থাকা এই মাঠ যেন এক স্বর্গীয় চিত্রপট। পাহাড়ের নিচে সবুজ কার্পেটের মতো আউটফিল্ড, পাশে ঐতিহাসিক প্যাভিলিয়ন—সব মিলিয়ে নিউল্যান্ডস যেন ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এক শিল্পকর্ম।
সূর্যাস্তের সোনালি আলো যখন মাঠে পড়ে, আর পাহাড়ের কোলঘেঁষা ব্রিউয়ারির গন্ধ মিশে যায় বাতাসে, তখন বোঝা যায় কেন নিউল্যান্ডসকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ক্রিকেটভূমিগুলোর একটি।
অ্যাডিলেড ওভাল, অস্ট্রেলিয়া
ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিলনে গড়া অ্যাডিলেড ওভাল যেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট আত্মা। শতবর্ষ পুরোনো স্ট্যান্ড, ক্লাসিক স্কোরবোর্ড, আর চারপাশে ইউক্যালিপটাস গাছের ছায়া—সব মিলে এক অপার্থিব আবহ। রিভার টরেন্সের তীরে বসে শহরের স্কাইলাইন পেছনে রেখে ক্রিকেট দেখা—এ এক অন্যরকম আনন্দ, এক উৎসবমুখর স্মৃতি।
ধর্মশালা এইচপিসিএ স্টেডিয়াম, ভারত
হিমালয়ের কোলে, ১৪৫০ মিটার উঁচুতে গড়া এই মাঠটিকে এক কথায় বলা যায়—স্বপ্নের মঞ্চ। ধৌলাধর পর্বতমালার তুষারাবৃত শিখর মাঠের পেছনে এমনভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, যেন প্রকৃতি নিজেই দর্শক হয়ে এসেছে।
শীতল পাহাড়ি হাওয়া, নীল আকাশ আর সবুজ ঘাসের মিশেলে ধর্মশালা স্টেডিয়াম এমন এক সৌন্দর্য উপহার দেয়, যা ক্রিকেটের গণ্ডি ছাড়িয়ে যায় শিল্পে।
গওয়াদর ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পাকিস্তান
আরব সাগরের নীল জলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এই স্টেডিয়াম প্রকৃতির বিস্ময়। চারপাশে খাড়া পাথুরে পাহাড়, নিচে ফিরোজা রঙের সমুদ্র, আর মাঝখানে সবুজ মাঠ—এই দৃশ্য যেন পৃথিবীর প্রান্তে খেলা কোনো স্বপ্নের ম্যাচ।
এখনও আন্তর্জাতিক খেলা হয়নি এখানে, কিন্তু গওয়াদর ইতিমধ্যেই পৃথিবীর সবচেয়ে ফটোজেনিক ক্রিকেট মাঠের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বাংলাদেশ
চা-বাগানের ঢালু পাহাড় আর সবুজ বনভূমির মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা এই মাঠটি বাংলাদেশের গর্ব। সকালে কুয়াশা ভেজা আলোয় বা সন্ধ্যার ম্লান সূর্যকিরণে সিলেটের এই স্টেডিয়াম যেন সবুজের রাজ্যে এক পরীদেশ। এখানে খেলা মানে শুধু ক্রিকেট নয়—এ যেন প্রকৃতির সঙ্গে এক সুরেলা মিলন।
ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সেন্ট লুসিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কারিবীয় নীল সাগর, পাম গাছ আর বালুকাবেলার মাঝখানে গড়া এই মাঠ একেবারেই আলাদা। সেন্ট লুসিয়ার উষ্ণ আবহ, সমুদ্রের গর্জন আর দর্শকদের নাচে ভরা গ্যালারি—সব মিলিয়ে এখানে প্রতিটি ম্যাচ এক উৎসব। এ যেন ক্রিকেটের নয়, জীবনেরই এক প্রাণোচ্ছ্বল রঙিন অধ্যায়।
লর্ডস, লন্ডন, ইংল্যান্ড
‘হোম অব ক্রিকেট' —এই নামই বলে দেয় সব কিছু। সেন্ট জনস উডের নরম আলোয় দাঁড়িয়ে থাকা লর্ডস ইতিহাস আর মর্যাদার প্রতীক।
প্যাভিলিয়নের বারান্দা থেকে দেখা মাঠের দৃশ্য, পরিপাটি সবুজ আউটফিল্ড আর আধুনিক মিডিয়া সেন্টারের সৌন্দর্য মিলে লর্ডসকে বানিয়েছে চিরন্তন এক কবিতা। এখানে প্রতিটি বল, প্রতিটি শব্দ যেন ইতিহাসের অংশ।
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাল জিম্বাবুয়ে। টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে ১২ বছর পর জয় পেলেন ক্রেইগ আরভিনরা। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালের পর এই প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জিতল দলটি। আফগানিস্তানকে ইনিংস ও ৭৩ রানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিল জিম্বাবুয়ে।
হারারাতে আজ ইব্রাহিম জাদরান ২৫ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৭ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শুরু করেন। শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন গুরবাজ (৯ রান)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা।
আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। বাহির শাহ করেন ৩২ রান। শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নেন রিচার্ড এনগারাভা। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও তানাকা চিভাঙ্গা। এই তিন পেসারের তোপেই ভেঙে পড়ে আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। মুজারাবানি তিনটি ও চিভাঙ্গা নেন দুটি উইকেট। ফলে ইনিংস ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তান ১২৭ রানে গুটিয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে বেন কারানের (১২১) সেঞ্চুরিতে ৩৫৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম জিম্বাবুইয়ান ওপেনার হিসেবে ঘরের মাঠে লাল বলের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
২৩২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে আফগানিস্তান, তবে এবারও ব্যাটিংধসের শিকার হয় তারা। সবকটি উইকেট হারিয়ে দলটি স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে মাত্র ১৫৯ রান। অর্থাৎ আবারও তারা ৭৩ রানে পিছিয়ে থেকে গুটিয়ে যায়। তাতেই ইনিংস ও রান ব্যবধানে আফগানদের হারানোর কীর্তি গড়লো জিম্বাবুয়ে।
হারারেতে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে আগামী ২৯ অক্টোবর।
চলতি বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখেই ষষ্ঠ মৌসুম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। আজ এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কাতে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম সংস্করণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, বিশ্বকাপের সব ভেন্যুকে বড় টুর্নামেন্টের মান বজায় রাখার মতো অবস্থায় রাখতে হবে। সে জন্যই এলপিএল পেছানো হয়েছে।
এই সময়ে স্টেডিয়ামগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন, খেলোয়াড়দের সুবিধা আধুনিকীকরণ, সম্প্রচার সুবিধা বৃদ্ধি এবং মিডিয়া সেন্টারের মান উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। বর্তমানে দেশটির তিনটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে সংস্কার কাজ চলমান। কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম নারী বিশ্বকাপের ১১টি ম্যাচ আয়োজনের পর পুনরায় পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কাজ শুরু হবে।
এসএলসি জানিয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বিশ্বমানের সুবিধা নিশ্চিত করতেই কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে উপযুক্ত সূচি অনুযায়ী এলপিএলের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে সিসিডিএম-এর আওতাভুক্ত সব ধাপের ক্রিকেট লিগ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশন। গত ৮ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে লিগ বর্জনের ঘোষনায় দুশ্চিন্তায় পড়ার কথা সিসিডিএম'র নব গঠিত কমিটির। তবে বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রথম বিভাগের ক্লাবসমূহের প্রতিনিধিরা লিগে খেলতে রাজি হয়েছেন। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-
'আমরা ক্যালেন্ডার শুরু করব প্রথম বিভাগ দিয়ে। কোনো ক্লাবের পক্ষ থেকে আপত্তি আসেনি। কোনো কোনো ক্লাব লিগের সময়সূচি নিয়ে লিগ আয়োজনের কথা বলেছে। তবে তারা সবাই লিগ খেলবে। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। আমরা অতি শীঘ্রই দলবদল এবং লিগ শুরুর তারিখ ঘোষণা করব। নভেম্বর থেকে প্রথম বিভাগ শুরু করতে চাই। জাতীয় লিগ, বিপিএলের পরে প্রিমিয়ার ডিভিশন শুরু করব।'
প্রথম বিভাগের ক্লাবগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ক্লাবসমূহের প্রতিনিধিদের মধ্যে ৩ জন নভেম্বরের পরিবর্তে জানুয়ারিতে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান।
প্রথম বিভাগ আগে শুরু করার কারন ও বলেছেন তিনি-
'প্রিমিয়ার ডিভিশনে যদি কেউ খেলতে না পারে, সে প্রথম বিভাগে খেলতে পারে। প্রথম বিভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ কেউ পরের বছর প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলছে। প্রথম বিভাগে বেটার উইকেট দেয়াটা আমাদের লক্ষ্য। কারণ, মৌসুমের শুরুতে উইকেট ভাল থাকে। আমাদের সময়টা অনেক কম। এপ্রিল মাসের মধ্যে সবগুলো লিগ সম্পন্ন করতে চাই। আগামী বছর কবে কোন লিগ শুরু করব, তা আগেভাগে জানিয়ে দিব।'
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কিংস এরেনায় বাংলাদেশের পেশাদার ফৃুটবল লিগ এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বেশ ক'বছর ধরেই। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পর এবার বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সুদৃশ্য ক্রিকেট গ্র্যাউন্ডকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ভেন্যু হিসেবে পেতে যাচ্ছে সিসিডিএম। সভা শেষে এ তথ্য দিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-
'প্রথম বিভাগের জন্য ৫ টা মাঠ দরকার। আমরা ৭টি মাঠ পেয়ে গেছি। বসুন্ধরায় এবার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ম্যাচ হবে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের সিলিকন, পিকেএসপির এক এবং দুই নম্বর গ্র্যাউন্ড, কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার মাঠ পাচ্ছি। এনএসসিএলের কারণে বিকেএসপির মাঠ দুটি পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।'
ছুঁতো খুঁজে ক্রিকেটারদের জিম্মি করার যে প্রবণতা ক্লাবসমূহের, এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সিসিডিএম। এমন পরিকল্পনার কথা বলেছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান-
' শুধু আর্থিক ব্যাপারেই নয়, কিছু চেঞ্জ এবার সিসিডিএম করবে। অর্গানাইজারদের নিয়েও আমরা কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।'
সভায় অংশ নিয়ে ৫০% বর্ধিত অ্যাপিয়ারেন্স মানি বরাদ্দের সুখবর পেয়েছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাব প্রতিনিধিরা। বর্ধিত প্রাইজমানি, ট্রান্সপোর্ট অ্যালাউন্স এবং জার্সির খরচের অনুদানের নিশ্চয়তাও পেয়েছেন উপস্থিত ক্লাব প্রতিনিধিরা। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিসিবির সহ সভাপতি ফারুক আহমেদের উপস্থিতিতে সভাটি প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে। সিসিডিএম'র সাবেক সদস্য সচিব ফায়জুর রহমান মিতু ২১ বছর পর সিসিডিএম-এ ফিরেছেন। নব গঠিত সিসিডিএম'র ভাইস চেয়ারম্যান মিতু নিজের এই প্রত্যাবর্তনে দারুণ খুশি। বিসিবির অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলামও ছিলেন এই সভায় উপস্থিত।
রাওয়াপিন্ডি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার লেজের ব্যাটাররাই এলোমেলো করে দিল পাকিস্তানের পরিকল্পনা-কৌশল। ২৩৫ রানে প্রোটিয়াদের ৮ উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকেরা। পাকিস্তানের লিড নেওয়া তখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সফরকারীদের দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার সেনুরান মাথুসামি ও কাগিসো রাবাদার ফিফটিতে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪০৪ রান।
শেষ ২ উইকেট জুটিতে ৭১ ও ৯৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উল্টো ৭১ রানের লিড পায় তারা। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান করেছিল ৩৩৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে শান মাসুদের দল। তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে তুলেছে তারা ৯৪ রান। লিড় দাঁড়াল তাদের ২৩।
৬০ রানে ৪ উইকেটট হারায় পাকিস্তান। দলের বিপর্যয়ে ছন্দে ফেরার খোঁজে থাকা বাবর আজম দিন শেষে ৪৯ রানে অপরাজিত আছেন। তাঁর সঙ্গে ১৬ রান থেকে কাল চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামবেন মোহাম্ম রিজওয়ান।
সিমন হারমারের ঘূর্ণি জাদুতে ১৬ রানে তিন টপ অর্ডারের উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমাম-উল হক ৯, আব্দুল্লাহ শফিক ৬ ও অধিনায়ক শান মাসুদ ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। সৌদ শাকিলের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
পঞ্চম উইকেটে বাবর ও রিজওয়ান ৮৯ বলে ৩৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন। ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে টানছেন বাবর। ৮৩ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। মেরেছেন ৭টি চার। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে হারমার ৩টি ও কাগিসো রাবাদ নিয়েছেন ১ উইকেট।