২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্তকে যখন জিজ্ঞাসা করা হল বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে, তিনি অকপটে বলে দিলেন যেকোনো দলকেই হারাতে পারেন তারা। একজন অধিনায়কের মনোবল, দলের প্রতি, খেলোয়াড়দের প্রতি বিশ্বাসটা এমনই তো থাকা দরকার। তবে সমস্যা হল, সাম্প্রতিক ওয়ানডে ফর্ম, শেষ সময়ের প্রস্তুতি বা ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড - একটিও যে নেই বাংলাদেশের পক্ষে। শান্তকে তাই নিজের কথার প্রমাণ দেখাতে হবে মাঠের ধ্রুপদী পারফরম্যান্স দিয়েই।
আর সেই কাজ করার অনুপ্রেরণা তারা নিতে পারেন ২০০৭ সাল থেকে। সেবারই যে প্রথম ও শেষবার আইসিসি ইভেন্টে ভারতকে হারাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। শক্তিমত্তার দিক থেকে এই দলের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও, সেবারও দলটি ছিল একই বাস্তবতায়। শচিন-দ্রাবিড়-জহিরদের তারকায় ঠাসা ভারতকে মাটিতে নামিয়ে এনেছিল হাবিবুল বাশার সুমনের দল। এরপর কেটে গেছে ১৮টি বছর, সাদা বলের ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে আইসিসি ইভেন্টে কয়েকবারই দেখা হয়েছে এই দুই দলের। তবে বাংলাদেশ আর পায়নি জয়ের দেখা।
এবার কি ঘুচবে সেই হাহাকার? উত্তরটা নাহয় সময়ের হাতেই তোলা থাক। তবে বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচ মানেই এখন যে বাড়তি উত্তাপ, সেটা ধরে রাখার জন্য হলেও শান্তদের জয়টা খুব দরকার। একটি দল যদি বারবার জিতেই যায়, সেই ম্যাচ দিয়ে দর্শকদের মাঝেও আবেদন একটা সময়ের পর কমে যেতে বাধ্য। সেদিক থেকে চিন্তা করলে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটিতেও যথারীতি ফেভারিট হিসেবেই নামছে ভারত।
কারণটা স্পষ্ট, দলটিকে যে ধরা হচ্ছে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবেও। এবং সেটা জাসপ্রিত বুমরাহ ছিটকে যাওয়ার পরও। অন্যদিকে বাংলাদেশকে নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না সমর্থকরাও। কারণ, দলের বেশ কিছু জায়গা নিয়েই রয়ে গেছে অনিশ্চয়তা। খোদ অধিনায়ক শান্তই তো নেই রানের মধ্যে। মুশফিকুর রহিমের মত অভিজ্ঞরাও নেই রানে।
যদিও ২০২২ সালে দুই দলের মধ্যকার সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে জয় ছিল বাংলাদেশের, তবে এরপর কেটে গেছে অনেক সময়। শক্তির জায়গা যেমন কমেছে, তেমনি ফর্মেরও হয়েছে পতন। গেল বছর আফগানিস্তানের কাছে দুবাইতে ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাওয়া বাংলাদেশ পরে ক্যারিবিয়ানে গিয়ে হয় ধবলধোলাই, যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবার এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি। এটাই বলে দিচ্ছে, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ফর্ম একেবারেই ভালো নয়।
এর সাথে যোগ হবে পর্যাপ্ত ওয়ানডে না খেলার বিষয়টি। বাংলাদেশ বাদে বাকি সাতটি দলই এই টুর্নামেন্ট শুরুর দুই মাস আগে খেলেছে ওয়ানডে, যাতে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বেশি বেশি মানিয়ে নেওয়া যায়। তবে দেড় মাসের বিপিএল খেলার কারণে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ২০ ওভারের ক্রিকেটের প্রস্তুতি নিয়েই নেমে পড়তে হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। কোচ-অধিনায়ক যতই পেশাদারিত্বের কথা বলুন না কেন, প্রস্তুতির দিক থেকে এটা ব্যবধান তো গড়ে দিতেই পারে।
এরপর যে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে, যা আদতে ‘বি’ দল হিসেবেও চালিয়ে দেওয়া যায়… তাদের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে নিজেদের মধ্যে খেলা ম্যাচে ৩৯৬ রান করা দলটি আনকোরা ‘এ’ দলের বিপক্ষে টেনেটুনে করতে পারে মাত্র ২০২ রান। কেউই ফিফটি করতে পারেননি। বোলাররাও ছিলেন হতাশাজনক, প্রতিপক্ষ ম্যাচ জিতে যায় মাত্র ৩৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই।
ওই ম্যাচে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম দুজনই ব্যর্থ হয়েছেন। চোটের কারণে ক্যারিবিয়ান সফর মিস করা শান্ত বিপিএলেও ম্যাচ পাননি সেভাবে। চিন্তা বাড়িয়ে এই ম্যাচে তিনি ফেরেন অল্পেই। তাওহীদ-মুশফিক-জাকের আলিরাও ছিলেন একই দলে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, ব্যাটিং প্রস্তুতিটা একেবারেই ভালো হয়নি দলের। সাথে ওপেনার, অধিনায়ক শান্তর ফর্ম ও ছয়-সাতে কে খেলবেন, তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গেছে।
ওই ম্যাচে তিন পেসার নাহিদ রানা, তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে তারা কেউই বলার মত কিছু করতে পারেননি। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৫.৫ ওভারে গুনেছেন ৫৫ রান। একই ম্যাচে, যেখানে আবার পাকিস্তান ‘এ’ দলের লেগ স্পিনার ওসামা মির নেন ৪ উইকেট!
সব দিক মিলিয়ে তাই ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতিটা সম্ভাব্য ভালো হয়নি। মোটামুটি হয়েছে, সেটা বলাও কঠিন। ব্যাটিং অর্ডারে সেভাবে কেউই ফর্মে না থাকায় বোলারদের ওপর চাপটা তাই বেশি থাকতে পারে পুরো আসরেও। ইয়ান বিশপের মত অনেকেই যেভাবে বাংলাদেশে পেস আক্রমণ নিয়ে বাড়তি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন, তাতে ভারতের বিপক্ষে দারুণ কিছু করতে হলে তাদের সবাইকে নিজেদের ২০০ ভাগ ঢেলে দিতে মাঠে।
বোলারদের ব্যাটাররাও কি সেই একই কাজটা করে দেখাতে পারবেন? ২০০৭ সালের মত আরেকটা রুপকথার গল্প কী দুবাইতে রচনা সম্ভব? উত্তরটা জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসের পর্দায়, দুপুর ৩টায়।
৩ আগস্ট ২০২৫, ১:২১ পিএম
২ আগস্ট ২০২৫, ৭:২২ পিএম
জুলিয়ান উডকে এখন ত্রাতা মানছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আলোচিত এই পাওয়ার হিটিং কোচ বদলে দেবেন জাতীয় দলের ব্যাটারদের, আর তাতেই মিলবে টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য- এমনটাই আশাবাদ বোর্ড পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের।
বিপিএলের কল্যাণে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেট আগেভাগেই পরিচিত হয়েছে এই বৃটিশ কোচের সাথে। এবার ফিল সিমন্স তাকে জাতীয় দলের জন্য ডেকেছেন, তাতে সাড়াও দিয়েছেন উড। আপাতত তিন সপ্তাহের জন্য দায়িত্ব পাচ্ছেন, সফলতার ওপর নির্ভর করছে উডের চাকরির ভবিষ্যত! মূলত এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি নিয়ে কাজ করবেন এই বিশেষজ্ঞ পাওয়ার হিটিং কোচ। ১০ আগস্ট ঢাকায় পা রাখার কথা রয়েছে জুলিয়ানের। তিনি আসার আগেই নিজের আশাবাদ জানিয়ে রাখলেন আকরাম খান-
“ভাল কোচ একজন ক্রিকেটারকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে আমাদের এখানে ভাল মানের কোচ রয়েছে। খেলোয়াড়রা অনেক কিছু শিখতে পারছে তাদের কাছ থেকে। আমাদের পাওয়ার প্লে’র দুর্বলতা রয়েছে। অনেক সময় প্রথম ৬ ওভারে ৬০/৭০ রান তুলতে হয়। জুলিয়ান উড ঠিক এই জায়গাটিতে কাজ করবেন। আমি নিশ্চিত খেলোয়াড়রা বিষয়গুলা বুঝতে পারবে তার কাছ থেকে।"
সামনে বড় দু’টি টি-টোয়েন্টি আসর, প্রথমটি এশিয়া কাপ, আর দ্বিতীয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ! এই বৈতরণী পার হওয়ার টোটকা দেবেন জুলিয়ান উড, সেটা বোঝা যাচ্ছে আকরামের কথায়-
“উডের কাছ থেকে দ্রুত শিখতে হবে ক্রিকেটারদের, যেন বাংলাদেশ দলের মাঠের পারফর্মেন্সে তার ছাপ থাকে। টি-টোয়েন্টিতে আমরা এখন বেশ ভাল খেলছি, পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতি হলে আমরা নেক্টট লেভেলের দর হয়ে উঠতে পারি।“
জুলিয়ান উড আসার আগেই তাকে ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। পারভেজ ঈমন, তানজিদ তামিম, নাঈম শেখ, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলীরাও নিজেদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করছেন পাওয়ার হিটিং গুরুর দীক্ষা নেয়ার জন্য!
ফ্লোরিডার লাওডার হিলে দারুণ এক রাত গেল জেসন হোল্ডারের। বল হাতে ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার, ডি জে ব্রাভোকে ছাপিয়ে তিনিই এখন ক্যারিবীয়দের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ শিকারী! এতো ছিল পাকিস্তান ইনিংসের ঘটনা। এরপর ব্যাট হাতে শেষ বলে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ফাইন লেগ দিয়ে সীমানা ছাড়া করে নাটকীয় জয় উপহার দেয়া দলকে, যা কিনা ৯ ম্যাচ পর অবশেষে একটি জয় ক্যারিবীয়দের জন্য। লো-স্কোরিং ম্যাচে পাকিস্তান করেছিল মাত্র ১৩৩ রান, যা ২ উইকেট হাতে রেখে পার হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যে জয়ে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হতাশার শুরু ছিল পাকিস্তানের। প্রথম ওভারে স্কোর বোর্ডে ছিল মাত্র ২৪ রান, ঝরে পড়ে ৩ উইকেট। সাইম আইয়ুব, শাহেবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ হারিসরা ছিলেন ব্যর্থ। ফখর জামানের ইনিংসটা থামে ২০ রানে। এরপর অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও হাসান নাওয়াজ গড়েন ৬০ রানের জুটি। নাওয়াজ ৪০ ও সালমান করেন ৩৮ রান। হোল্ডারের চার উইকেটের পাশে গুদাকেশ মোতি শিকার করেন ২ উইকেট। ডোয়াইন ব্রাভোর ৭৮ উইকেট ছাড়িয়ে হোল্ডারের আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন উইকেটের সংখ্যা ৮১!
জবাবে সিরিজ হারের শঙ্কা স্পষ্ট হয়ে ওঠে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ে। ১০০ রান না উঠতেই প্যাভিলিয়নে ৭ ব্যাটসম্যান, শেষ ১৯ বলে দরকার ৩৬ রান। জেসন হোল্ডারের ১০ বলে ১৬ জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করতে সহায়তা করে ক্যারিবীয়দের। ম্যাচসেরা ঐ হোল্ডারই। এই জয় ক্যারিবীয়দের মরূভূমিসম জয়ের তৃষ্ণায় বিশাল এক প্রাপ্তি! সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে টানা ৮ ম্যাচ হেরেছে তারা। একই ভেন্যুতে আগামীকাল ভোর ৬টায় সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টি!
স্কোর: পাকিস্তান ১৩৩/৯ (হাসান নাওয়াজ ৪০, সালমান আগা ৩৮, জেসন হোল্ডার ৪/১৯); ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৫/৮, গুদাকেশ মোতি ২৮, জেসন হোল্ডার ১৬*, মোহাম্মদ নাওয়াজ ৩/১৪); ম্যাচসেরা: জেসন হোল্ডার
নাটকীয় সমাপ্তির দিকে এখন ওভাল টেস্ট। এই টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে কঠিন এক সমীকরনের সামনে দাঁড়িয়ে দু'দল। জিততে হলে ভারতের দরকার ৯ উইকেট। ইংল্যান্ডের সেখানে দরকার ৩২৪ রান। প্রথম ইনিংসে ২৩ রানের লিড নিয়েও টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের চ্যালেঞ্জটা কঠিন করে দিয়েছে ভারত। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৭৮ রান তাড়া করে জয়ের অতীত আছে ইংল্যান্ডের। ২০২২ সালে বার্মিংহাম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেট জয়ের ছবিটা তাই চোখের সামনে ভেসে উঠছে ইংল্যান্ড সমর্থকেদের। চলমান টেস্ট সিরিজে হেডিংলিতে ৩৭১ তাড়া করে ৫ উইকেটে জয়ের তরতাজা স্মৃতি থেকেও টনিক নিতে পারে ইংল্যান্ড।
ওভাল টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ড নিজেদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে বাজে ফিল্ডিং এবং ক্যাচ ড্রপে। একটি দুটি নয়, ৬টি ক্যাচ ইংল্যান্ড ফিল্ডারদের হাত থেকে ফসকে গেছে। যার মধ্যে স্লিপে পড়েছে ৪টি ক্যাচ। অন্য ২টি লং অন এবং গালিতে। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি (২৮৬ মিনিটে ১৪ চার, ২ ছক্কায় ১১৮) উদযাপন করেছেন জসওয়াল ভাগ্যের কৃপায়। একটি-দুটি নয়, তার তিনটি ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন ইংল্যান্ড ফিল্ডাররা।জসওয়ালের পার্টনার আকাশদ্বীপের ৬৬ রানেও আছে একবার লাইফ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুইজন ১০৭ রান যোগ করে ভারতকে লড়াইয়ে রেখেছেন। দ্বিতীয় দিন শেষে ৭৫/২ স্কোর নিয়ে কতো স্কোরই বা প্রত্যাশা করেছে ভারত ? তৃতীয় দিন ৮ উইকেটে ৩২১ রান যোগ করে ভারতের স্কোর ৩৯৬ পর্যন্ত টেনে নেয়ার পেছনে অবদান টেল এন্ডারদের। ৭ম উইকেট জুটির ৬০, ১০ম উইকেট জুটির ৩৯ রানে তা সম্ভব হয়েছে। জাদেজার ৫৩, ওয়াশিংটন সুন্দরের ৫৩ রানের ইনিংসও ইংল্যান্ডকে চতুর্থ ইনিংসে বড় পরীক্ষায় দিয়েছে ফেলে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারি ইংল্যান্ড পেসার অ্যাটকিনসন দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/১২৭)। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট শিকারি পেসার জস টং দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৫ উইকেট (৫/১২৫)।
চতুর্থ ইনিংসে ৩৭৪ রানের চ্যালেঞ্জে পড়ে তৃতীয় দিনের অন্তিম সময়ে সিরাজের ইয়র্কারে ক্রাউলি বোল্ড হয়েছেন (১৪)। বেন ডাকেট আছেন ৩৪ রানে ব্যাটিংয়ে। তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৫০/১।
গত বছর থেকেই বাংলাদেশের স্থানীয় কোচদের নিয়ে সব পর্যায়েই দেখা মিলছে বাড়তি কদরের। তাদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা অভিজ্ঞ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এখন জাতীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বয়সভিত্তিক ও নারী দলেও ক্রমেই বাড়ছে তাদের কাজের পরিধি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্ট ইউনিটের হেড অব অপারেশন্স হাবিবুল বাশার মনে করেন, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দেশি কোচদের চাহিদা তৈরি হবে।
আর সেই লক্ষ্যেই নতুন নতুন কোচ তৈরির কাজেও নেমেছে বিসিবি। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এখন তাই চলছে তিনদিনব্যাপী 'লেভেল-এ' কোচিং কোর্স, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন বয়সের অনেকেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন নিজেকে কোচ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে।
শনিবার এই কোচিং কোর্সের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাবিবুল। সাবেক বাংলাদশ অধিনায়ক জানান কোর্স নিয়ে ইতিবাচক কথা। “লেভেল-ওয়ান কোর্সের জন্য অনেক আবেদন এসেছে। আমরা যদি কোচদের মান উন্নত করতে পারি, তাদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও কিন্তু তাদের একটা চাহিদা তৈরি হতে পারে।”
ক্রিকেটকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে এই ধরনের কোর্সের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন বাশার। “যারা এই কোর্সে অংশ নিচ্ছেন, তারা মূলত গ্রাসরুট পর্যায়ে কাজ করেন। আমরা যদি তাদের আধুনিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিতে পারি, তাদের জ্ঞান ও দক্ষতায় উন্নতি ঘটাতে পারি, তাহলে এর সুফল বাংলাদেশের ক্রিকেটই পাবে। ভবিষ্যতে আমরা আরও বেশি সংখ্যক এমন প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করব।”
এখন দেশি কোচদের যে একটা জাগরণ চলছে, কয়েক বছর আগেও সেটা সেভাবে দেখা যেত না। ফলে সাবেক ক্রিকেটারদের সেভাবে এই পেশায় আশার ব্যাপারে আগ্রহ দেখা যেত না। ফলে বিসিবিকে একটা লম্বা সময় নির্ভর করতে হয়েছে বিদেশী কোচদের ওপরই।
এই চিত্রে বড় পরিবর্তন দেখছেন এখন ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করা হাবিবুল। “আগে যেখানে খেলোয়াড়রা খেলা শেষে কোচিংয়ের দিকে আসতে চাইতেন না, এখন সেই চিত্র বদলে গেছে। এখন অনেক সাবেক ক্রিকেটার, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার, এমনকি যারা এখনও খেলছেন বা খেলা থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছেন, তারাও কোচ হওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটা খুব ভালো ব্যাপার।”
বোলার হিসেবে আগ্রাসী হলেও প্রাসিধ কৃষ্ণ ব্যাটারদের সেভাবে মৌখিকভাবে আক্রমণ করেন না। ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে জো রুটকেও করেছিলেন নিরীহ এক প্রশংসাসূচক মন্তব্য। কে জানত, এই একটি বাক্যই শেষ পর্যন্ত ইংলিশ তারকা ব্যাটার জো রুটের উইকেটের পথ খুলে দেবে! ভারত পেসার জানালেন, সামান্য এই ঘটনায় রুটের তীব্র প্রতিক্রিয়া তাকেও অবাক করেছে।
বিরতির আগে প্রথম ইনিংসে রুট যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ১২৯, অবস্থান বেশ ভালোই। তবে সেই অবস্থান দ্রুতই বদলে যায়। প্রাসিধ, আকাশ দীপ ও মোহাম্মদ সিরাজ বল হাতে দাপট দেখান, যার শুরুটা হয় রুটের উইকেট দিয়ে।
প্রাসিধের করা প্রথম বলটি গ্লাভসে লাগে রুটের। এরপর একটি ওবল-সিম ডেলিভারি সরাসরি রুটের রক্ষণের ফাঁক গলে চলে যায় কিপারের হাতে।। এমন সময়ই প্রাসিধ বলে বসেন, ‘তুমি তো দারুণ ছন্দে আছো!’
বিস্ময়করভাবে এই কথাতেই চটে যান রুট। পরের বলে বাউন্ডারি মারার পর প্রাসিধকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনাকে এগিয়ে এসে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তিনি প্রাসিধকে সতর্ক করেন অতিরিক্ত আগ্রাসন দেখানোর জন্য। এই আলোচনা চলে দুই মিনিটেরও বেশি সময় ধরে।
দিনের খেলা শেষে প্রাসিধ বলেন, কাজটা পরিকল্পনা করেই করেছেন তারা।
“আমি বুঝতেই পারিনি রুট এতটা রেগে যাবে। সামান্য একটা কথাই তো বললাম, আর এরপর ব্যাপারটা গালিগালাজ পর্যন্ত গড়াল। আমরা আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম যে, তাকে একটু কথাবার্তায় জড়িয়ে রাগিয়ে দিতে হবে। তবে সামান্য এই কথা বলাতেই যে এত বড় প্রতিক্রিয়া হবে, সেটা আমরা ভাবিনি।”
তবে সেই প্রতিক্রিয়ার প্রভাব পড়ে রুটের ব্যাটিংয়ে। এই ঘটনার পর খুব বেশি সময় টিকে থাকতে পারেননি তিনি। মোহাম্মদ সিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে করেন ২৯ রান। ২৪৭ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। দিন শেষে ২ উইকেটে ৭৫ করা ভারতের লিড ৫২ রানের।
১১ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে