২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ পিএম

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্তকে যখন জিজ্ঞাসা করা হল বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে, তিনি অকপটে বলে দিলেন যেকোনো দলকেই হারাতে পারেন তারা। একজন অধিনায়কের মনোবল, দলের প্রতি, খেলোয়াড়দের প্রতি বিশ্বাসটা এমনই তো থাকা দরকার। তবে সমস্যা হল, সাম্প্রতিক ওয়ানডে ফর্ম, শেষ সময়ের প্রস্তুতি বা ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড - একটিও যে নেই বাংলাদেশের পক্ষে। শান্তকে তাই নিজের কথার প্রমাণ দেখাতে হবে মাঠের ধ্রুপদী পারফরম্যান্স দিয়েই।
আর সেই কাজ করার অনুপ্রেরণা তারা নিতে পারেন ২০০৭ সাল থেকে। সেবারই যে প্রথম ও শেষবার আইসিসি ইভেন্টে ভারতকে হারাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। শক্তিমত্তার দিক থেকে এই দলের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও, সেবারও দলটি ছিল একই বাস্তবতায়। শচিন-দ্রাবিড়-জহিরদের তারকায় ঠাসা ভারতকে মাটিতে নামিয়ে এনেছিল হাবিবুল বাশার সুমনের দল। এরপর কেটে গেছে ১৮টি বছর, সাদা বলের ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে আইসিসি ইভেন্টে কয়েকবারই দেখা হয়েছে এই দুই দলের। তবে বাংলাদেশ আর পায়নি জয়ের দেখা।
এবার কি ঘুচবে সেই হাহাকার? উত্তরটা নাহয় সময়ের হাতেই তোলা থাক। তবে বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচ মানেই এখন যে বাড়তি উত্তাপ, সেটা ধরে রাখার জন্য হলেও শান্তদের জয়টা খুব দরকার। একটি দল যদি বারবার জিতেই যায়, সেই ম্যাচ দিয়ে দর্শকদের মাঝেও আবেদন একটা সময়ের পর কমে যেতে বাধ্য। সেদিক থেকে চিন্তা করলে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটিতেও যথারীতি ফেভারিট হিসেবেই নামছে ভারত।
কারণটা স্পষ্ট, দলটিকে যে ধরা হচ্ছে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবেও। এবং সেটা জাসপ্রিত বুমরাহ ছিটকে যাওয়ার পরও। অন্যদিকে বাংলাদেশকে নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না সমর্থকরাও। কারণ, দলের বেশ কিছু জায়গা নিয়েই রয়ে গেছে অনিশ্চয়তা। খোদ অধিনায়ক শান্তই তো নেই রানের মধ্যে। মুশফিকুর রহিমের মত অভিজ্ঞরাও নেই রানে।
যদিও ২০২২ সালে দুই দলের মধ্যকার সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে জয় ছিল বাংলাদেশের, তবে এরপর কেটে গেছে অনেক সময়। শক্তির জায়গা যেমন কমেছে, তেমনি ফর্মেরও হয়েছে পতন। গেল বছর আফগানিস্তানের কাছে দুবাইতে ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাওয়া বাংলাদেশ পরে ক্যারিবিয়ানে গিয়ে হয় ধবলধোলাই, যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবার এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি। এটাই বলে দিচ্ছে, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ফর্ম একেবারেই ভালো নয়।
এর সাথে যোগ হবে পর্যাপ্ত ওয়ানডে না খেলার বিষয়টি। বাংলাদেশ বাদে বাকি সাতটি দলই এই টুর্নামেন্ট শুরুর দুই মাস আগে খেলেছে ওয়ানডে, যাতে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বেশি বেশি মানিয়ে নেওয়া যায়। তবে দেড় মাসের বিপিএল খেলার কারণে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ২০ ওভারের ক্রিকেটের প্রস্তুতি নিয়েই নেমে পড়তে হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। কোচ-অধিনায়ক যতই পেশাদারিত্বের কথা বলুন না কেন, প্রস্তুতির দিক থেকে এটা ব্যবধান তো গড়ে দিতেই পারে।
এরপর যে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে, যা আদতে ‘বি’ দল হিসেবেও চালিয়ে দেওয়া যায়… তাদের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে নিজেদের মধ্যে খেলা ম্যাচে ৩৯৬ রান করা দলটি আনকোরা ‘এ’ দলের বিপক্ষে টেনেটুনে করতে পারে মাত্র ২০২ রান। কেউই ফিফটি করতে পারেননি। বোলাররাও ছিলেন হতাশাজনক, প্রতিপক্ষ ম্যাচ জিতে যায় মাত্র ৩৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই।
ওই ম্যাচে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম দুজনই ব্যর্থ হয়েছেন। চোটের কারণে ক্যারিবিয়ান সফর মিস করা শান্ত বিপিএলেও ম্যাচ পাননি সেভাবে। চিন্তা বাড়িয়ে এই ম্যাচে তিনি ফেরেন অল্পেই। তাওহীদ-মুশফিক-জাকের আলিরাও ছিলেন একই দলে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, ব্যাটিং প্রস্তুতিটা একেবারেই ভালো হয়নি দলের। সাথে ওপেনার, অধিনায়ক শান্তর ফর্ম ও ছয়-সাতে কে খেলবেন, তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গেছে।
ওই ম্যাচে তিন পেসার নাহিদ রানা, তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে তারা কেউই বলার মত কিছু করতে পারেননি। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৫.৫ ওভারে গুনেছেন ৫৫ রান। একই ম্যাচে, যেখানে আবার পাকিস্তান ‘এ’ দলের লেগ স্পিনার ওসামা মির নেন ৪ উইকেট!
সব দিক মিলিয়ে তাই ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতিটা সম্ভাব্য ভালো হয়নি। মোটামুটি হয়েছে, সেটা বলাও কঠিন। ব্যাটিং অর্ডারে সেভাবে কেউই ফর্মে না থাকায় বোলারদের ওপর চাপটা তাই বেশি থাকতে পারে পুরো আসরেও। ইয়ান বিশপের মত অনেকেই যেভাবে বাংলাদেশে পেস আক্রমণ নিয়ে বাড়তি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন, তাতে ভারতের বিপক্ষে দারুণ কিছু করতে হলে তাদের সবাইকে নিজেদের ২০০ ভাগ ঢেলে দিতে মাঠে।
বোলারদের ব্যাটাররাও কি সেই একই কাজটা করে দেখাতে পারবেন? ২০০৭ সালের মত আরেকটা রুপকথার গল্প কী দুবাইতে রচনা সম্ভব? উত্তরটা জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসের পর্দায়, দুপুর ৩টায়।
No posts available.
৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০০ এম

টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করে অক্টোবর মাসের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে জায়গা পেয়েছেন রশিদ খান। যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দুই স্পিনার নোমান আলি ও সেনুরান মুত্থুসামি।
এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার অক্টোবরের 'প্লেয়ার অব দা মান্থ' মনোনয়ন প্রকাশ করেছে আইসিসি। নারী ক্রিকেটে অক্টোবরের সেরার দৌড়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে গার্ডনার, ভারতের স্মৃতি মান্ধানা ও দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ। কুড়ি ওভারের তিন ম্যাচে ওভারপ্রতি মাত্র ৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন রশিদ।
আরও পড়ুন
| গ্যালারিতে ক্যাচ নিলেই বল রেখে দিতে পারবেন দর্শকরা |
|
পরে ওয়ানডেতে দেখা যায় রশিদের বিধ্বংসী রুপ। প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে তিনি নেন ৩টি করে উইকেট। আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে একাই গুঁড়িয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং। তিন ম্যাচে ওভারপ্রতি তার খরচ ছিল মাত্র ২.৭৩ রান।
এমন পারফরম্যান্সের পর স্বাভাবিকভাবেই মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে আছেন রশিদ। যেখানে তাকে লড়তে হবে পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলি ও দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার সেনুরান মুত্থুসামির সঙ্গে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেন নোমান। পরের ইনিংসে তার শিকার ৪ উইকেট। পরের ম্যাচে দুই ইনিংসেই ২টি করে উইকেট নেন তিনি।
কম যাননি মুত্থুসামিও। লাহোরে প্রথম টেস্টে হেরে যাওয়া ম্যাচে ১১ উইকেট নেন তিনি। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে খেলেন ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার হাতেই ওঠে সিরিজ সেরার পুরস্কার।
এছাড়া সদ্য সমাপ্ত নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়ে অক্টোবরের সেরার দৌড়ে আছেন গার্ডনার, মান্ধানা ও উলভার্ট। বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ৩২৮ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন গার্ডনার।
বিশ্বকাপের সাত ম্যাচে দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে ৩৮১ রান করেছেন স্মৃতি। আর অক্টোবর মাসে উলভার্টের ব্যাট থেকে এসেছে ৮ ইনিংসে ৪৭০ রান।

ক্রিকেট মাঠে দর্শক আগমনের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য নতুন 'দর্শক ক্যাচ' নিয়ম চালু করছে অস্ট্রেলিয়া। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিগ ব্যাশ লিগের সামনের আসরে গ্যালারিতে ক্যাচ নিতে পারলেই বল রেখে দিতে পারবেন দর্শকরা।
মেজর লিগ বেসবলে অনেক দিন ধরেই চলছে এই দর্শক ক্যাচ নিয়ম। যেখানে গ্যালারিতে বসে যে ক্যাচ নিতে পারলে আর বল ফেরত দিতে হয় না দর্শকদের। ছেলে ও মেয়েদের বিগ ব্যাশে সেই নিয়মই চালু করতে যাচ্ছে আয়োজকরা।
তবে পুরো ম্যাচের জন্য অবশ্য এই নিয়ম কার্যকর থাকবে না। ম্যাচের দুই ইনিংসের প্রথম ওভারে ছক্কা হয়ে গ্যালারিতে যাওয়া বল ক্যাচ নিতে পারলে, সেই বল বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন দর্শকরা। ক্রিকেটে এর আগে কখনও এমন নিয়ম দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন
| বিক্রি হচ্ছে কোহলিদের আরসিবি, মার্চের মধ্যেই নতুন মালিক |
|
গত জুলাইয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকিং পার্টনার হওয়া 'ওয়েস্টপ্যাক' এই উদ্যোগের স্পন্সর হয়েছে। আগামী রোববার নারী বিগ ব্যাশের প্রথম ম্যাচ থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে এই নিয়ম।
বিগ ব্যাশের গত মৌসুমের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ছেলেদের টুর্নামেন্টে প্রতি ২ ম্যাচে একবার করে প্রথম ওভারে গ্যালারিতে গিয়েছে বল। আর মেয়েদের খেলায় প্রতি ১০ ম্যাচে একবার প্রথম ওভারে গ্যালারিতে আছড়ে পড়েছে ছক্কা।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিবারই মাঠে ফেরত দিতে হয়েছে বল। তবে রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া মেয়েদের বিগ ব্যাশ লিগে, প্রথম ওভারে গ্যালারিতে বসে ক্যাচ নিতে পারলেই সেটি রেখে দিতে পারবেন যে কোনো দর্শক।
আয়োজকদের আশা, এই নিয়ম চালুর মাধ্যমে গ্যালারিতে দর্শকদের খেলা উপভোগের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। তারা জানিয়েছে, মেজর লিগ বেসবলের দর্শক ক্যাচ নিয়ম থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
| বার্মিংহাম ফিনিক্সের হেড কোচ শেন বন্ড |
|
এই নিয়মে, প্রতি ইনিংসে ওয়েস্টপ্যাক ব্র্যান্ডেড বল দিয়ে খেলা শুরু হবে। একইসঙ্গে আম্পায়াররা নিজেদের পকেটে একটি বাড়তি বল রাখবেন। গ্যালারিতে যাওয়া বল যদি কোনো দর্শক ক্যাচ নিতে পারেন, তাহলে ওই বাড়তি বল দিয়ে খেলা শুরু করা হবে।
ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য, প্রতি ইনিংসের প্রথম ওভার শেষ হওয়ার পর নতুন কুকাবুরা বল দিয়ে বাকি ১৯ ওভার খেলা হবে। গ্যালারিতে যদি কোনো দর্শক ক্যাচ নাও নিতে পারেন, তবুও দ্বিতীয় ওভার শুরু হবে নতুন কুকাবুরা বল দিয়েই।
স্লো ওভার রেট পেনাল্টির ক্ষেত্রেও ম্যাচ অফিসিয়ালরা সব কিছু মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। আগের মৌসুমের মতো এবারও প্রতি ইনিংসের শুরুতে টাইমার চালু করা হবে। সেই সময় শেষ হওয়া মাত্র, যত বলই বাকি থাকুক, একজন ফিল্ডার ৩০ গজের ভেতরে আনতে হবে ফিল্ডিং দলের।
এরপর ছেলেদের বিগ ব্যাশের জন্য ৫ মিনিট ও মেয়েদের বিগ ব্যাশের জন্য ৫ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড বেঁধে দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে যদি বাকি ওভার করতে না পারে, তাহলে বাকি থাকা বলগুলোতে পাওয়ার প্লের মতো অর্থাৎ বৃত্তের বাইরে দুজন ফিল্ডার রেখে বোলিং করতে হবে।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় দল, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে।
দলটির মালিক প্রতিষ্ঠান ডিয়াজিও বুধবার বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) জমা দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্য তাদের।
অর্থাৎ ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নতুন মালিকানা পেতে পারেন বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার, স্মৃতি মান্ধানারা।
ডিয়াজিওর ভারতীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড স্পিরিটস লিমিটেড (ইউএসএল) জানিয়েছে, তাদের পূর্ণ মালিকানাধীন সংস্থা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড (আরসিএসপিএল)-র বিনিয়োগ পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরসিএসপিএলের ব্যবসায়িক দলের মধ্যে রয়েছে আইপিএল ও ডব্লিউপিএল- এই দুই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া পুরুষ ও নারী দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী প্রভীন সোমেশ্বর বিবৃতিতে বলেন, 'আরসিবি আমাদের জন্য মূল্যবান সম্পদ। তবে এটি আমাদের পানীয় ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। তাই দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক লক্ষ্য ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
ঘোষণাটি মূলত শেয়ারবাজারের নিয়ম অনুযায়ী করা হলেও, বিশ্লেষকদের মতে এর অর্থ স্পষ্ট- ডিয়াজিও সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে আরসিবির মালিকানা ছাড়তে চায়।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান আরসিবি কেনার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, আদানি গ্রুপ, জিন্দাল পরিবারের জেএসডব্লিউ গ্রুপ, সিরাম ইনস্টিটিউটের আদার পুনাওয়ালা, দেবয়ানি ইন্টারন্যাশনালের রবি জয়পুরিয়ার নাম আলোচনায় আছে।
আরসিবি বিক্রির গুঞ্জন অবশ্য নতুন নয়। গত জুনে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে মর্মান্তিক পদদলিতের ঘটনায় ১১ সমর্থকের মৃত্যু এবং বহু আহত হওয়ার পর থেকেই দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়।
শেয়ারহোল্ডারদের চাপ, মূল ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের বাইরে থাকা এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রভাব- সব মিলিয়ে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রির পথে হাঁটছে ডিয়াজিও। আইপিএলের ইতিহাসে এটি হতে পারে সবচেয়ে বড় মালিকানা হস্তান্তরগুলোর একটি।

ইংল্যান্ডের দা হান্ড্রেডের দল বার্মিংহাম ফিনিক্সের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিলেন শেন বন্ড। দুই বছরের চুক্তিতে সাবেক সতীর্থ ড্যানিয়েল ভেট্টোরির স্থলাভিষিক্ত হলেন নিউ জিল্যান্ডের গতিতারকা।
বার্মিংহাম ছেড়ে সানরাইজার্স লিডস দলের দায়িত্ব নেবেন ভেট্টোরি। তবে এখনও সেটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কোচিংয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে বন্ডের। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং কোচ ছিলেন তিনি। এরপর থেকে রাজস্থান রয়্যালসে একই দায়িত্বে আছেন সাবেক কিউই তারকা।
এছাড়া বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডার ও এসএটোয়েন্টিতে পার্ল রয়্যালসের হেড কোচ হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে বন্ডের।
বার্মিংহাম ফিনিক্সের মালিকানা বদলের পর বন্ডকে প্রধান কোচ বানানোর মাধ্যমে প্রথম বড় সিদ্ধান্ত নিল দলটি। এখন ওয়ারউইকশায়ার ও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ফার্ম নাইটহেড ক্যাপিট্যালের যৌথ প্রযোজনায় পরিচালিত হয় ক্লাবটি।
২০০২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে খেলেছিলেন বন্ড। সেবার ৪ ম্যাচে ১২ উইকেট নেন তিনি।
বন্ড ছাড়াও হান্ড্রেডের কোচিং প্যানেলে এবার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। ট্রেন্ট রকেটস ছেড়ে এরই মধ্যে লন্ডন স্পিরিটে যোগ দিয়েছেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ওভাল ইনভিন্সিবলস ছেড়ে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের গ্লোবাল দায়িত্ব নিয়েছেন টম মুডি। সানরাইজার্স লিডস ছেড়েছেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ।

এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির জন্য বেশ শক্তিশালী দল সাজিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তারকা অলরাউন্ডার দুনিথ ভেল্লালাগের নেতৃত্বে ১৫ জনের দলে রাখা হয়েছে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৯ ক্রিকেটারকে।
কাতারের দোহায় আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ। ২০১৩ সাল থেকে চলতে থাকা ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের নামই এবার বদলে করা হয়েছে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ।
এই টুর্নামেন্টে এক সময় ছিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলানোর নিয়ম। যেখানে বেশি বয়সের কয়েকজন খেলতে পারতেন। তবে বয়সের বাধ্যবাধকতা এখন তুলে দেওয়া হয়েছে। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলো মূলত এখন তাদের 'এ' দল পাঠায়। সহযোগী সদস্যরা খেলে জাতীয় দল নিয়ে।
ভেল্লালাগে ছাড়াও শ্রীলঙ্কার রাইজিং স্টারস দলে আছেন এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া রমেশ মেন্ডিস, নিশান মাদুশকা, মিলান রত্নায়েকে, বিজয়কান্ত বিয়াসকান্ত, সাহান আরাচিগে, নুয়ানিদু ফার্নান্দো, প্রমোদ মাদুশান ও লাসিথ ক্রুসপুল।
এছাড়া ভিশেন হালামবাগেকে রাখা হয়েছে দলে। সম্প্রতি জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন হালামবাগে। তবে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নি তার।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে 'এ' গ্রুপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গী বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও হংকং। আগামী ১৫ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কা রাইজিং স্টারস স্কোয়াড
দুনিথ ভেল্লালাগে (অধিনায়ক), ভিশেন হালামবাগে, নিশান মাদুশকা (উইকেটরক্ষক), নুয়ানিদু ফার্নান্দো, লাসিথ ক্রসপুল, রমেশ মেন্ডিস, কাভিন্দু ডি লিভেরা, সাহান আরাচিগে, আহান বিক্রমসিংহে, প্রমোদ মাদুশান, গারুকা সানকেথ, ইসিথা বিজেসুন্দারা, মিলান রত্নায়েকে, বিজয়কান্ত বিয়াসকান্ত, ট্রাভিন ম্যাথিউ।