৩০ অক্টোবর ২০২৪, ৭:৪৭ পিএম
সম্প্রতি ঘোষিত হয়ে যাওয়া ব্যালন ডি’অর বিজয়ীদের নিয়ে আলোচনা এখনও বেশ চলমান। তবে বছরের পর বছর ধরে এই খেতাবটি নিয়ে লড়ে গেছেন যে দুজন, তারা যেন না থেকেও চলে আসছেন কথার প্রসঙ্গে। লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো যে ব্যালন ডি’অরকে একরকম নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিলেন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে। ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা দুজনকেই কিংবদন্তি মানলেও সেরার ভোটে এগিয়ে রেখেছেন সাবেক শিষ্য মেসিকেই।
পেশাদার ফুটবলে মেসি ও গার্দিওলার শুরুটা প্রায় হাত ধরাধরি করে। একজন খেলোয়াড় ও আরেকজন কোচ হিসেবে। বার্সেলোনার সোনালি সময়ে গার্দিওলার দুর্দান্ত সব অর্জনে বড় ভূমিকা রাখা মেসি তিনি ক্লাব ছাড়ার পরেও ছিলেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল। এখন পর্যন্ত রেকর্ড ৮ বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। গত প্রায় ২০ বছরে তার সাথে টেক্কা দিয়ে এই খেতাব জয়ে লড়ে গেছেন কেবল রোনালদো। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা এটি জিতেছেন পাঁচবার।
টটেনহ্যামের বিপক্ষে লিগ কাপের রাউন্ড অফ ১৬ ম্যাচের আগে গার্দিওলার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল সর্বকালের সেরা দুই ফুটবলার সম্পর্কে। দুজনকে প্রশংসায় ভাসান এই স্প্যানিয়ার্ড। “কেউই মেসিকে হারাতে পারেনি, শুধুমাত্র ক্রিস্তিয়ানো ছাড়া। ক্রিস্তিয়ানো একটা দানব ছিল। আর সেই দানবের ওপরে অবস্থান মেসির। দুজনেই গত ২০ বছরে অবিশ্বাস্য কিছু করেছে।”
গতবার ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি এবার পাননি মনোনয়নও। আর বেশ আগে থেকেই এই বিবেচনার বাইরে আছেন সৌদি ক্লাব আল নাসরে খেলা রোনালদো। তাদের অনুপস্থিতিতে এবার বর্ষসেরার এই খেতাব জিতেছেন সিটি ও স্পেনের মিডফিল্ডার রদ্রি।
নিজের ক্লাবের খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি রদ্রির এই জয় গার্দিওলার কাছে আরও বিশেষ কারণ, অবশেষে একজন স্প্যানিশ ফুটবলার যে জিতলেন ব্যালন ডি’অর। মেসি-রোনালদোদের রাজত্বের সময়ে সেরা ফুটবল খেলেও যা জেতার সুযোগ হয়নি দুই সাবেক মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেসজ ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।
যদিও এবার প্রায় সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, এটি জিততে যাচ্ছেন রিয়াল ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে এটি গেছে রদ্রির হাতে। তাতে বেশ খুশি গার্দিওলা। “হয়ত জাভি ও ইনিয়েস্তাও এটার প্রাপ্য ছিল। তাই আমি মনে করি গতকাল রদ্রি স্প্যানিশ ফুটবলের বিশ্বব্যাপী যা প্রাপ্য, সেটাই পেয়েছে। পেয়েছেন।
১৯৯০ সালের পর প্রথম ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে এবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন রদ্রি। তার আগে শেষবার এই পজিশনে যারা খেলেন, তাদের মিধ্যে এটি জিতেছিলেন জার্মানির লোথার ম্যাথাউস। আর আলফ্রেডো ডি স্টেফানো ও লুইস সুয়ারেজের পর তৃতীয় স্প্যানিশ খেলোয়াড় হিসেবে কাঙ্ক্ষিত এই পুরস্কার জিতেছেন রদ্রি।
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:৪৬ পিএম
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:১৮ পিএম
অর্ধেক মৌসুম প্রায় শেষ। বছরের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে নিজ নিজ দলের হয়ে ছন্দে আছেন ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের তারকা ফরোয়ার্ডরা। লিভারপুলের হয়ে অদম্য গতিতে ছুটছেন মোহামেদ সালাহ, বার্সেলোনার হয়ে ফর্মে আছেন রাফিনিয়া-রবার্ট লেভানদফস্কিরা। বুন্দেসলিগায় রাজত্ব চলছে হ্যারি কেইনের। সাম্প্রতিক সময়ে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপেও। সব মিলিয়ে এবারে গোল্ডেন বুট জেতার লড়াইটা তাই বেশ জমে উঠেছে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, বক্সিং ডে-এর আগে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে যারা এগিয়ে আছেন, তাদের তালিকা।
রবার্ট লেভানদফস্কি - ১৬
চলতি মৌসুমে উড়ন্ত শুরু পেয়েছেন লেভানদফস্কি। বার্সেলোনার মত শুরুটা ভালো করলেও শেষ চার ম্যাচে পাননি কোনো গোলের দেখা। বরং সহজ সব সুযোগ হাতপছাড়া করে হচ্ছেন সমালোচিত।
আরও পড়ুন
গোল্ডেন বুট জিতলেন ফাইনালের নায়ক লাউতারো, সেরা খেলোয়াড় হামেস |
সমালোচনা ঝেঁকে ধরলেও অর্ধেক মৌসুম শেষে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা পোলিশ এই স্ট্রাইকার। লা লিগায় ১৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৬ গোল। নামের পাশে আছে দুই অ্যাসিস্ট। তাতে অর্ধেক মৌসুম শেষে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।
মোহাম্মেদ সালাহ - ১৫
লিভারপুলের সাথে এই মৌসুমে চুক্তিটা শেষ হওয়ার কথা মোহামেদ সালাহর। চুক্তির মেয়াদ কয়েক মাস বাকি থাকলেও এখনো নতুন চুক্তির প্রস্তাব মেলেনি। তবে প্রতিটা ম্যাচেই মিশরীয় তারকা মনে করিয়ে দিচ্ছেন নতুন চুক্তিটা তার প্রাপ্য।
সালাহ ৩২ বছর বয়সে ছুটছেন দুর্বার গতিতে। এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচে করে ফেলেছেন ১৫ গোল। নামের সাথে আছে ১১ অ্যাসিস্ট। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সালাহ গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে আছেন বেশ ভালোভাবেই।
হ্যারি কেইন - ১৪
গেল মৌসুমের মত এই মৌসুমেও হ্যারি কেইন ছুটছেন একই ছন্দে। ইংলিশ অধিনায়ক এরই মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখে হয়ে করে ফেলেছেন ১৪ গোল। বুন্দেস লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার উপরের নামটা ইংল্যান্ড অধিনায়কেরই। আর ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলের হিসেবে কেইন আছেন তিন নম্বরে।
আর্লিং হলান্ড - ১৩
মৌসুমের শুরুটা দারুণ করেছিলেন আর্লিং হলান্ড। তবে সময় যত গড়িয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি যেমন হোঁচট খেয়েছেন, তেমনি হোঁচট খেয়েছেন হলান্ডও। যদিও গোলের দিক থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই নরওয়ে তারকা। ১৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩ গোল। এর মধ্যে প্রথম পাঁচ ম্যাচেই ছিল ১০ গোল। মৌসুমের বাকি সময়ে হলান্ডের সামনে সুযোগ আছে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
আরও পড়ুন
ফাইনালে গোল না পেলে এককভাবে গোল্ডেন বুট পাবেন না কেইন-ওলমো |
মার্কস থুরাম - ১২
সেরি আ-তে মার্কাস থুরাম আছেন দারুণ ছন্দে। এরই মধ্যে ১৬ ম্যাচ খেলে করে ফেলেছেন ১২ গোল সেই সাথে আছে ৬ অ্যাসিস্টও। তার সমান সংখ্যক গোল আছে আতালান্তা স্ট্রাইকার মাতেও রেতেগির। আতালান্তার চলন্ত মৌসুমের সাফল্যের অন্যতম কারিগর ইতালিয়ান এই স্ট্রাইকার।
রাফিনিয়া - ১১
চলতি মৌসুমে নিজেকে যেন নতুন করে চিনিয়েছেন রাফিনিয়া। প্রতিটা ম্যাচেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ১১ গোল, সাথে আছে ৮ অ্যাসিস্ট। তাতে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
জনাথন ডেভিড - ১১
লিগ আ এবার কিছুটা জৌলুস হারিয়েছে। পিএসজির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার কিলিয়ান এমবাপের বিদায়ে স্বাভাবিকভাবেই ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে এখন নেই শীর্ষ মাপের তারকা। ১৫ ম্যাচে ১১ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন লসের স্ট্রাইকার জনাথন ডেভিড।
কিলিয়ান এমবাপে - ১০
পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে লা লিগায় এমবাপের শুরুটা হয়েছিল ভুলে যাওয়ার মতই। চোট আর সহজ সব সুযোগ মিসে ফরাসি অধিনায়ক নিয়মিতই ছিলেন শিরোনামে। তবে গেল কয়েক ম্যাচে এমবাপের খেলায় দেখা মিলছে চেনা ছন্দ। সব মিলিয়ে লা লিগায় এমবাপে ১৬ ম্যাচ খেলে ১০ গোলের পাশাপাশি করেছেন ২ অ্যাসিস্টও।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে চার লিগেই চলছে শীতকালীন ছুটি। ব্যতিক্রম কেবল প্রিমিয়ার লিগে। বড় দিনের ছুটিতেও প্রিমিয়ার লিগে আছে ব্যস্ত সূচি। অবশ্য এমনটা নতুন। বক্সিং ডে ম্যাচ নিয়ে ইংলিশ সমর্থকদের উন্মাদনা বেশ আগে থেকেই।
দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রিমিয়ার লিগ কতৃপক্ষ রাখে বড় দলগুলোর ম্যাচ। ২৬ ডিসেম্বর যার শুরুটা হবে এভারটন ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচ দিয়ে। নিজেদের হারিয়ে খোঁজা সিটিজেনদের সুযোগ মিলছে বক্সিং ডে তে নিজেদের খুঁজে পাবার।
ম্যাচ আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-লিভারপুলেরও।
বক্সিং ডি তে মাঠে নামছেন যারা
মানচেস্টার সিটি- এভারটন
বার্নমাউথ- ক্রিস্টাল প্যালেস
চেলসি- ফুলহাম
নিউক্যাসেল ইউনাইটেড- অ্যাস্টন ভিলা
নটিংহাম ফরেস্ট- টটেনহাম হটস্পার
সাউদাম্পটন- ওয়েস্ট হাম
উলভস- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
বছরের এই সময়ে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর থাকে বাড়তি ব্যস্ততা। বক্সিং ডে ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে দর্শকদের পাশাপাশি নিজেরাও ক্রিসমাস উদযাপনের দারুণ এক উপলক্ষ্য পান খেলোয়াড়রা। স্বাভাবিকভাবেই একটা আনন্দময় আবহ বিরাজ করে ক্লাবগুলোর মধ্যে। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কঠিন সময় পার করা রুবেন আমোরিমের মনে নেই সেই আনন্দ। পর্তুগিজ কোচ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিসমাস নিয়ে ভাবার সময় নেই তার।
আমোরিম গত মাসে যখন ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেন, তখন প্রিমিয়ার লিগের দলটি ছিল ১৪তম স্থানে। তার কোচিংয়ে ছয় ম্যাচে দুটিতে জয়, তিনটিতে হার এবং একটি ড্র করেছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দলটি। ফলে ক্রিসমাস ডে-তে ইউনাইটেড থাকবে ১৩তম স্থানে, যা ১৯৮৬ সালের পর মৌসুমের এই সময়ে দলটির সবচেয়ে বাজে অবস্থান। সবশেষ দুই ম্যাচে টানা হেরে যাওয়ায় বক্সিং ডে-তে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ম্যাচে চাপেই থাকবে ইউনাইটেড।
ফলে ক্রিসমাস নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তা করার সুযোগ পাচ্ছেন না আমোরিম।
“আমি শুধু জিততে চাই। আমি ক্রিসমাসকে আসলেই পাত্তা দিই না। পরের ম্যাচটা জিততে হবে, আমি শুধু সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। এটাই এখন আমার একমাত্র চিন্তা।”
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগেই কেবল বক্সিং ডে ম্যাচ হয়। নিজের মনে খুশির আবহ না থাকলেও এই ম্যাচ জিতে ভক্তদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চান আমোরিম।
“আমরা বক্সিং ডে-তে ভক্তদের কিছু আনন্দ উপহার দিতে আমরা (ইংল্যান্ডে) বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান। আমরা যেভাবেই হোক, ম্যাচটা জিততে চাই।”
প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে টানা দুই হারের অভিজ্ঞতা হয়েছে ইউনাইটেডের। এরিক টেন হাগের স্থলাভিষিক্ত হওয়া আমোরিমের জন্য তাই নতুন অধ্যায়ের শুরুটা হয়ে গেছে বেশ কঠিন। রক্ষণ থেকে আক্রমণ, সব জায়গাতেই সংগ্রাম করতে হচ্ছে দলটিকে। তারকা স্ট্রাইকার মার্কাশ রাশফোর্ডও নেই ছন্দে, ফলে তাকে শেষ তিন ম্যাচে স্কোয়াডের বাইরে রেখেছেন আমোরিম।
কী করলে দলের সমস্যার সমাধান হবে, সেটা যেন ধরতে পারছেন না ৩৯ বছর বয়সী এই কোচ নিজেও।
“এটা আমাদের ক্লাবের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে একটি। আমাদের এটা মোকাবেলা করতে হবে এবং শক্তিশালী হতে হবে। আমার যদি জানা থাকত, তাহলে আমি এই ক্লাবের সব সমস্যার সমাধান করে ফেলতাম।”
ম্যানচেস্টার সিটিকে নাম লেখানোর পর থেকেই ছিলেন স্বপ্নের ফর্মে। গোলের পর গোল করে গড়েছেন রেকর্ড, অবদান রেখেছেন শিরোপা জয়ে। তবে চলতি মৌসুমে শেষ দুই মাসে আর্লিং হলান্ডকে দেখা যাচ্ছে না চেনা ছন্দে। আর একই সময়ে তার দলও পার করছে নিজেদের ইতিহাসেরও অন্যতম কঠিন একটা সময়। নরওয়ে তারকার ওপর অতি নির্ভয়তা আর তার ভালো না খেলার কারণেই কি তাহলে সিটি উল্টো পথে হাঁটছে? গার্দিওলার অবশ্য এতে আপত্তি রয়েছে। সিটি কোচ মন করেন, দল হিসেবেই তারা খারাপ করছেন।
হলান্ড এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা ভালোই করেছিলেন। তবে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ১০ গোল করার পর ভুগতে হচ্ছে তাকে। শেষ ৮ ম্যাচে জালের দেখা পান মাত্র তিন বার। দলের মূল স্ট্রাইকারের এমন পড়তি ফর্ম চাপে ফেলে দিয়েছে সিটিকে। লিগে নিজেদের শেষ আট ম্যাচে গত চারবারের চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে মাত্র এক বার। পয়েন্ট টেবিলে এই মুহূর্তে অবস্থান সপ্তম।
আরও পড়ুন
ক্ষিপ্ত গার্দিওলা বললেন, ‘হ্যাঁ, আসলেই আমি ডে ব্রুইনাকে খেলাতে চাই না’ |
তবে এভারটনের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, হলান্ডের ফর্মই তাদের বাজে পারফর্যান্সের একক কারণ নয়।
“এটা পুরো দলের ব্যাপার, স্রেফ একজন খেলোয়াড়ের নয়। অতীতে আমরা যখন অনেক গোল করেছিলাম এবং আর্লিং আমাদের অনেক সাহায্য করতে পেরেছিল, সেটা সম্ভব হয়েছিল দলের কারণেই। যখন আপনার রক্ষণে, মাঝমাঠে, সব জায়গাতেই সমস্যা নয়, সেটা পুরো দলের কারণেই হয়।”
সমালোচকরা তো বটেই, হলান্ড নিজেও সম্প্রতি বলেছেন যে, সিটির বর্তমান দুরবস্থার জন্য তার ফর্মও অনেকটা দায়ী। কারণ তিনি আগের মত গোল করে দলের জন্য অবদান রাখতে পারছেন না। তবে হলান্ড নিজে এটা বললেও চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের কয়েকজনকে না পাওয়ার প্রভাব ভালোভাবেই দৃশ্যমান হচ্ছে দলটির খেলায়।
আরও পড়ুন
সিটির আরেকটি হার, নিজের সামর্থ্য নিয়েই সন্দেহ হচ্ছে গার্দিওলার |
আর এই কারণেই হলান্ডের ওপর দায় চাপাতে অপারগ গার্দিওলা।
“এটা যদি শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড়ের কারণেই হত, তাহলেতো ভালোই হত। তবে ব্যাপারটা তেমন নয়। আর্লিং আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সামনেও সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণই থাকবে। আমরা নিজেদের কাজগুলো আরও ভালভাবে করার চেষ্টা করব, আর তাকে সেরা উপায়ে কাজে লাগানোরও।”
বড় দিনের উদ্যাপন চলছে বিশ্বজুড়ে। নেই ফুটবলের তেমন ব্যস্ততা। তাতে সমর্থকদের নজর এখন প্রিয় ফুটবলারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে। কে কীভাবে বড় দিন উদ্যাপন করছেন, সেদিকেই তাকিয়ে সমর্থকরা।
যেখানে কিছুটা চমকই দেখিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আল নাসর তারকা বড় দিন উদ্যাপন করতে বেছে নিয়েছেন ফিনল্যান্ডকে। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে পর্তুগাল অধিনায়ক পরিবার নিয়ে সময়টা বেশ উপভোগই করছেন।
খালি গায়ে বরফে ঘেরা পুলের সামনে দাঁড়িয়ে দিয়েছেন ছবিও। ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন “ম্যারি ক্রিসমাস। যেটা বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। টুইটারে তার পোস্ট করা সেই ছবি এখন পর্যন্ত ইনাটারেকশন পেয়েছে ৮১ মিলিয়ন।
অন্যদিকে ক্লাব ফুটবলে ব্যস্ততা না থাকায় লিওনেল মেসি বিশ্রামেই কাটাচ্ছেন। তবে ক্রিসমাসের আগে ইন্টার মায়ামি ছেড়ে পরিবার নিয়ে আর্জেন্টিনায় গিয়েছেন মেসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো কোনো ছবি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক শেয়ার করেননি।
তবে তার স্ত্রী আন্তনেলা রুকুজ্জো পরিবারের সবাইকে নিয়ে পোস্ট করেছেন ছবি। যেখানে লাল টি-শার্ট পরা বেশ হাসিখুশি এক মেসিরই দেখা মিলেছে। এছাড়া চুলের মধ্যেও কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন মেসি। যা সমর্থকরা বেশ পছন্দই করছেন।
অন্যদিকে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজের বড় দিনের উদযাপনে যুক্ত হয়েছে বাড়তি মাত্রা। যেখানে তিনি তার স্ত্রীর সাথে ক্রিসমাসের ছবি শেয়ার করে জানান দিয়েছেন বাবা হতে চলছেন তিনি।
এছাড়া সব বড় তারকাই সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে নিজেদের বড় দিন উদ্যাপনের সুন্দর সব মুহূর্ত শেয়ার করছেন। সমর্থকরাও সেটা বেশ পছন্দ করছেন।
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে