
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। আর দুর্দান্ত ছন্দে রীতিমতো উড়ছে বায়ার্ন মিউনিখ। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় দুই ক্লাবের লড়াই মাঠে গড়ানোর আগেই তাতে আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে রোমাঞ্চ।
বাংলাদেশ সময় আজ রাত দু’টায় মুখোমুখি হচ্ছে বায়ার্ন-পিএসজি। ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে বাভারিয়ানদের আথিয়েতা দেবে ফরাসি জায়ান্টরা।
পিএসজির মুখোমুখি হওয়ার আগে অনেকটা হুমকি দিয়ে রাখলেন বায়ার্নের অভিজ্ঞ গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যার। জার্মান ক্লাবটির গোলকিপার বলছেন, পিএসজিকে কিভাবে আঘাত করতে হয় সেটা ভালোভাবেই জানায় আছে তাদের।
লুইস এনরিকের দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নির্ভার নয়্যার ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা পিএসজির বিপক্ষে খেলতে ভালোবাসি এবং জয়ের জন্যই মাঠে নামব।’ দুইবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী নয়্যার আরও বলেন, বায়ার্নের স্পষ্ট পরিকল্পনা আছে কিভাবে পিএসজিকে বিপদে ফেলা যায়।
আরও পড়ুন
| ৪৮ দলের যুব বিশ্বকাপে জয়ে শুরু আর্জেন্টিনার |
|
চলতি মৌসুমে প্রতিটি ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বায়ার্ন। মৌসুমের শুরু থেকে টানা ১৫ জয়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে রেকর্ডই করে বসে ভিনসেন্ট কোম্পানির দল। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের ১৩ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড নিজেদের করে নেয় তারা। ১৫ ম্যাচে বায়ার্ন গোল করেছে ৫৪টি।
ঘরোয়া লিগে বায়ার্নের মতো এতটা আধিপত্য দেখাতে পারেনি পিএসজি। এরপরও ১১ ম্যাচের সাতটিতে জয়ে, একটিতে তিনটিতে আর এক ম্যাচে হেরেছে ফরাসি ক্লাবটি।
ম্যাচে নিজেদের কৌশল নিয়ে নয়্যার বলেছেন, ‘আমরা দুটো দলই বল দখলে রাখতে ভালোবাসি, এটা সবার জানা। হয়তো আমরা রক্ষণে খুব বেশি সময় নিতে পছন্দ করি না। তবে পাল্টা আক্রমণের যখন সুযোগ আসবে, সতর্ক থাকতে হবে এবং দ্রুত ও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রক্ষণভাগও মজবুত করতে হবে। ঠিক এভাবেই আমরা প্যারিসের দলটাকে আঘাত করতে চাই।’
বায়ার্নের এই মৌসুমে দলের মূল চালিকা শক্তি হ্যারি কেন। এই ১৫ ম্যাচের জয়যাত্রায় ২২ গোল করেছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। শুধু গোল করায় নয়, মাঝমাঠে নেমে আক্রমণের সুযোগ তৈরিতেও সাহায্য করছেন তিনি।
No posts available.
৪ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৩৪ পিএম
৪ নভেম্বর ২০২৫, ৬:০৬ পিএম
৪ নভেম্বর ২০২৫, ৬:০২ পিএম

আগামী ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি গড়াবে রাত ৮ টায়। আগামীকাল থেকে অনলাইন প্লাটফর্ম কুইকেটে পাওয়া যাবে এই ম্যাচের টিকিট। দুপুরে ২টা থেকে কুইকেটের ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন সমর্থকেরা।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে এই তথ্য দিয়েছে। সাধারণ দর্শকদের জন্য টিকেটের দাম রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা। ভিআইপি টিকিটের জন্য (ক্লাব হাউস ২) গুনতে হবে ১০০০ টাকা।
এই ম্যাচের পর এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৮ নভেম্বর মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে টিকিট নিয়ে এখনো কিছু জানায়নি ফেডারেশন।
এর আগে ঘরের মাঠে হংকং, চায়নার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের টিকিট বিক্রি করেছিল কুইকেট।

ঘরের মাঠে নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের জন্য ২৬ জনের স্কোয়াড কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। সেখানে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলার আছেন ১০ জন। তবে এই তালিকায় নেই কিউবা মিচেলের নাম। আরও একবার তাঁকে বিবেচনায় রাখেননি বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর পর আজ দেশে আসেন কাবরেরা। প্রথম দিনই দলকে অনুশীলন করিয়েছেন; তার আগে এসেছেন সাংবাদিকদের সামনে মিডিয়া সেশনে। সেখানেই ওঠে কিউবার প্রসঙ্গ। ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলারকে নিয়ে কোচের ভাষ্য,
‘একসঙ্গে খুব বেশি খেলোয়াড় নিলে প্রশিক্ষণের মান কমে যায়। ২৫-২৭ জনের বেশি হলে ট্রেনিংয়ের গুণগত মান ধরে রাখা যায় না। তাঁর মধ্যে প্রতিভা আছে, ভবিষ্যতে সে অবশ্যই জাতীয় দলে সুযোগ পাবে। তবে এখনই সে প্রস্তুত নয়।’
ভারত ম্যাচের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। বেশ কিছু কারণে তেমনটা হয়নি। যে কারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করে বাফুফে। যাদের বিপক্ষে গত সেপ্টেম্বরেও ম্যাচ খেলে আসেন জামাল ভূইয়ারা। দুই ম্যাচের প্রীতি সিরিজের প্রথমটিতে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। এরপর ৯ তারিখের ম্যাচটি মাঠে গড়ায়নি দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে।
এবার নেপালকে চ্যালেঞ্জিং প্রতিপক্ষ মনে করছেন কোচ কাবরেরা। দলটির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সম্পর্কে কাবরেরা বলেন,
‘তারা শক্ত প্রতিপক্ষদের বিপক্ষেও ভালো লড়াই করছে। সেপ্টেম্বরে নেপালে গিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলার পরিকল্পনা ছিল, তবে কিছু কারণে তা হয়নি। তাই নেপালের ম্যাচ আমাদের জন্য ভালো চ্যালেঞ্জ।’
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ছাড়া বাংলাদেশের এএফসি এশিয়ান কাপে ম্যাচ আছে ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। নেপালিদের বিপক্ষে জয়ের পর ওই দুই ম্যাচেও জয় চান কাবরেরা,
‘লক্ষ্য খুব পরিষ্কার— নেপালের বিপক্ষে জিততে চাই। এরপর ভারতকে এবং সিঙ্গাপুরকে হারানোই মূল উদ্দেশ্য।’

নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সামনে রেখে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার থেকে। সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে শুক্রবার মাঠের প্রস্তুতিতে নামেন জামাল ভূইয়ারা। ক্যাম্প শুরুর পাঁচ দিন পর আজ মঙ্গলবার দলের সঙ্গে যোগ দেন হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
ঢাকায় নেমেই আজ দলের অনুশীলন সেশনে ছিলেন কাবরেরা। তার আগে মিডিয়া সেশনে এসেছিলেন স্প্যানিশ কোচ। প্রত্যাশিতভাবে কাবরেরার কাছে জানতে চাওয়া হয়- ক্যাম্প শুরুর আগে কেন ফুল স্কোয়াড ঘোষণা করা হল না। এমন প্রশ্নে দ্বায় বাফুফের কোর্টে ঠেলে দিলেন তিনি। জাতীয় স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাবরেরা বলেন,
‘আমার মনে হয় এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি যথারীতি ক্যাম্পের আগে তালিকা দিই। তাই আমি জানি না… আপনারা সাদমানের (বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার, সাদমান সাকিব) সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
এবারই নয়, এর আগেও বেশ কয়েকবার ক্যাম্পের আগে দেওয়া হয়নি স্কোয়াড লিস্ট। সেটি কোচের নির্দেশে কিনা জানতে চাইলে আবারও নিজের জায়গায় অটল থাকেন কাবরেরা,
‘না, না, এটা কোচদের নির্দেশ নয়। আমি সবসময় ক্যাম্পের আগে তালিকা দিয়ে থাকি, সবসময়।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিবে বলেছেন, 'এখন পর্যন্ত মিডিয়া বিভাগের হাতে জাতীয় দলের তালিকা আসেনি।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন স্কোয়াড না দিলেও বিভিন্ন মাধ্যমে স্কোয়াডের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখা গেছে। ক্যাম্পে এই মুহূর্তে ১৪জন ফুটবলার নিয়ে অনুশীলন হচ্ছে। কাবরেরাই জানান বসুন্ধরা কিংস তাদের খেলোয়াড় ছাড়বে আগামী ৭ নভেম্বর। তবে ক্লাবটির এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন তিনি, ‘তাদের সিদ্ধান্তে আমার সম্মান আছে। ৭ তারিখের পর আমরা ২৪ জন নিয়ে অনুশীলন করতে পারব। আর হামজা খুব সম্ভবত ১০ তারিখ আসবে।
আগামী ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশকে মোকাবিলা করবে নেপাল। ১৮ তারিখ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবেন জামাল ভূইয়ারা।

ফুটবল মাঠে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো ইউরোপিয়ান ফুটবল। ম্যাচ চলাকালে মাঠেই সাইডলাইনের পাশে হার্ট অ্যাটাক করে প্রাণ হারালেন সার্বিয়ার শীর্ষ লিগের দল এফকে রাদনিকি ১৯২৩ ক্লাবের কোচ ম্লাদেন জিজোভিচ।
সোমবার এফকে ম্লাদস্ত লুকানির বিপক্ষে ছিল এফকে রাদনিকির ম্যাচ। খেলা চলাকালে ২২তম মিনিটে হঠাৎ সাইডলাইনে লুটিয়ে পড়েন জিজোভিচ। প্রাথমিক শুশ্রূষা দেওয়ার পর কালক্ষেপণ না করে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
কিন্তু সেখানে নিয়ে বাঁচানো যায়নি কোচকে। তখনও মাঠে চলছিল খেলা। কিন্তু ৪১তম মিনিটে কোচের মৃত্যুর খবর এলে নিস্তব্ধতা নেমে আসে মাঠে। স্থগিত ঘোষণা করা হয় ম্যাচ। তখনও ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল জিজোভিচের দল।
পূর্ব ইউরোপে সাফল্যময় সময় কাটিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে এফকে রাদনিকির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ৪৪ বছর বয়সী জিজোভিচ। গত মৌসুমে তার কোচিংয়ে ইউয়েফা কনফারেন্স লিগে শেষ ১৬তে পৌঁছায় বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ক্লাব এফকে বোরাক।

লিভারপুলে দেখা গেল এক আবেগঘন দৃশ্য। রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়েরা জতার স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে যান। ফুলের তোড়া অর্পণ করেন চারজন- ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড, জাবি আলোনসো, ডিন হুইসেন ও এমিলিও বুত্রাগেনো।
তবে সবচেয়ে আবেগময় মুহূর্তটি আসে আর্নল্ডের কাছ থেকে। লিভারপুলের সাবেক এই তারকা নিজ হাতে রেখে যান একটি লাল প্লেস্টেশন কন্ট্রোলার এবং একটি হাতে লেখা বার্তা, যা জতার গেমিংপ্রেমের প্রতীক হিসেবে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
আর্নল্ডের সেই বার্তায় লেখা ছিল,
‘আমার বন্ধু দিয়োগো (জতা), তোমাকে ভীষণ মিস করি। তোমার প্রতি ভালোবাসা এখনও একই রকম অটুট। তুমি আর আন্দ্রের স্মৃতি চিরকাল বেঁচে থাকবে। তোমার কথা ভাবলেই মুখে হাসি ফুটে ওঠে। একসঙ্গে কাটানো সময়গুলো কখনও ভুলব না। প্রতিদিন তোমাকে মিস করি, বন্ধু। চিরকাল ২০ নম্বর। ওয়াইএনডব্লুএ ভালোবাসা রইল, ট্রেন্ট ও পরিবার।’
লিভারপুলে খেলার সময় জতার সঙ্গে গভীর বন্ধন গড়ে উঠেছিল আর্নল্ডের। সেই সম্পর্কের প্রতিফলন দেখা যায় তাঁর প্রতিটি শব্দে। এটি ছিল না তাঁর প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন। জতার মৃত্যুর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন এক বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
আর্নল্ড লিখেছিলেন,
‘যখন মাথা ও হৃদয় কাউকে হারানোর সত্যিটা মানতে পারে না, তখন ভাষা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। দিয়োগো, তোমার পরিবারই ছিল তোমার পৃথিবী। তাদের জন্যই আজ আমরা সবাই বিধ্বস্ত। আমি তোমাকে সবসময় হাসিমুখে মনে রাখতে চাই—একজন দুর্দান্ত সতীর্থ, প্রকৃত বন্ধু। চিরকাল ২০ নম্বর। শান্তিতে থেকো, দিয়োগো।’
গত গ্রীষ্মে লিভারপুলের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জতা গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। স্তব্ধ হয়েছিল ফুটবলবিশ্ব। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এখন খেললেও অ্যানফিল্ডে ফেরার এই সফরে সতীর্থের প্রতি ট্রেন্টের ভালোবাসার দারুণ এক বহিঃপ্রকাশ।