ফুটবল

‘দুর্ঘটনার রাজা’ গোল করেছেন ১৩টি, নিজের জালে ১০টি

 
লাইছ ত্বোহা
লাইছ ত্বোহা
ঢাকা

১২ আগস্ট ২০২৫, ৪:১৭ পিএম

news-details

রেকর্ড যদি হয় গৌরবময়, অর্জনের তালিকায় নিজের নাম দেখলেই তো উচ্ছ্বাস জাগার কথা। যদি নামটা ‘অপ্রত্যাশিত’ কোনো রেকর্ডের তালিকায় যোগ হয়, নিশ্চয় সেটি রাবার বা ইরেজার দিয়ে মুছে দিতে চাইবেন। কিন্তু রিচার্ড ডান কী করবেন? ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে গোল করেছেন ১৩টি, আর নিজের জালেই বল পাঠিয়েছেন ১০ বার!


চাইলেও রিচার্ড অপছন্দের তালিকা থেকে নিজের নামটা মুছতে পারবেন না। ফুটবলে সবচেয়ে বেশি আত্মঘাতী গোলের রেকর্ডটি তাঁর নামের পাশেই। এ জন্যই নাকি এক সাক্ষাৎকারে মজা করে রিচার্ড বলেছিলেন, ‘অন্তত আমি প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছি—যদিও সেটা ভুল কারণে!’


১৯৭৯ সালে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন শহরের বাইরে পশ্চিমাঞ্চলীয় টালঘাট এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন রিচার্ড। ফুটবল ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের বাইরে পুরো সময়টা কেটেছে তাঁর প্রিমিয়ার লিগে। এভারটনের বয়সভিক্তিক দলের পর ২০০০ সাল থেকে পেশাদার ফুটবলও শুরু হয় ক্লাবটির সিনিয়র দলে। তারপর খেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটি, অ্যাস্টন ভিলায় এবং ২০১৫ সালে অবসর নেন কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স (কিউপিআর) থেকে। ২০১৪-১৫ মৌসুম অবনমনের পর কিউপিআর আর প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করতে পারেনি।


আরও পড়ুন

দোহায় ‘অতিরিক্ত’ গরম, তবু সেরাটা দিতে প্রস্তুত তপু বাহিনী দোহায় ‘অতিরিক্ত’ গরম, তবু সেরাটা দিতে প্রস্তুত তপু বাহিনী


রিচার্ড জাতীয় দল আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৮০ ম্যাচে করেছেন ৮ গোল। এই সেন্টার-ব্যাক খেলার মাঠে ছিলেন কঠোর, পরিশ্রমী ও নিঃস্বার্থ। কিন্তু তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমন এক রেকর্ড, যা শুনে অনেকেই অবাক হন। ইংলিশ লিগে খেলেছেন সব মিলিয়ে ৬০২ ম্যাচ। ১৩ গোলের সঙ্গে নিজের জালে ১০ গোল। রসিকতা করে কেউ আবার রিচার্ডকে ‘আত্মঘাতী গোলের রাজা’ বা ‘দুর্ঘটনার রাজা’ বলেও ডাকেন।


২০০০ সালে এভারটন থেকে ৩.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ম্যানসিটি দলে ভেড়ায় রিচার্ডকে। আত্মঘাতী গোলের গল্পের শুরুটাও ইতিহাদের ক্লাবটিতেই। অদ্ভুত ব্যাপার ছিল, যখনই রিচার্ড নিজের জালে বল জড়াতেন, তাঁর দল কখনো সেই ম্যাচ জিততে পারেনি। ঠিক অর্ধেক আত্মঘাতী গোলই এসেছে খেলার শেষ ১৫ মিনিটে। ছিল বেশ কষ্টদায়ক কিছু মুহূর্তও।


২০০৪ সালে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলছিলেন রিচার্ড এক ম্যাচে প্রতিপক্ষের দ্রুত আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে নিজের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে ফেলেন। তার গোলের পর আলবিয়নের সঙ্গে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র করে সিটি।


২০০৫ সালে ওয়েন রুনির ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে ডান ভলিতে বল নিজের জালে পাঠিয়ে দেন রিচার্ড। ২-০ গোলে ম্যানচেস্টার  ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচটি হেরে যায় সিটি। ৬টি আত্মঘাতী গোল করেছেন সিটিতে থাকাকালীন। 


কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৯৩তম মিনিটে নিজেদের জালে জড়িয়ে বসেন রিচার্ড। তখন খেলছিলেন অ্যাস্টন ভিলার হয়ে। তাঁর আত্মঘাতী গোলে প্রায় জেতা ম্যাচটা সমতায় শেষ হয়!


রিচার্ড ১০ নম্বর আত্মঘাতী গোলটা করেন ২০১৪ সালের অক্টোবরে। যখন তিনি খেলছিলেন কিউপিআরে। নিজেদের জালে বল জড়ানোয় লিভারপুল ম্যাচটি জিতে যায় ৩-২ গোলে।


আরও পড়ুন

কিউবার অভিষেক ম্যাচে জয়ের জন্য নামবে বসুন্ধরা কিংস কিউবার অভিষেক ম্যাচে জয়ের জন্য নামবে বসুন্ধরা কিংস


সর্বোচ্চ লাল কার্ড

শুধু আত্মঘাতী গোল নয়, প্রিমিয়ার লিগের সর্বাধিক লাল কার্ড পাওয়া খেলোয়াড়ও রিচার্ড। ৮টি লাল কার্ড দেখে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন সাবেক ফরাসি ফুটবলার প্যাত্রিক ভিয়েইরার সঙ্গে। ২০০৮-০৯ মৌসুমেই তিনটি লাল কার্ড দেখেন রিচার্ড। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে লাল কার্ড পেতেন, যখন দল বেকায়দায় পড়ে যেত।


রক্ষণের ফুটবলাররা নিজেদের দুর্গ রক্ষা করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফেলেন। ফুটবলে এটি স্বাভাবিক ঘটনার মধ্যেই পড়ে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে, প্রতিপক্ষের ক্রস ব্লক করতে গিয়ে, এমনকি ট্যাকল করার সময়ও বল গিয়ে জড়ায় নিজের জালে। ফুটবলপ্রেমীরা রিচার্ডকে নিশ্চয় মনে রাখবেন শুধু দুর্ভাগ্যের জন্য নয়, তাঁর লড়াকু মনোভাবের জন্যও।

bottom-logo

ফুটবল

অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১২ আগস্ট ২০২৫, ৭:৫০ পিএম

news-details

ডারউইনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল সফরকারীরা। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের সেঞ্চুরির পর কোরবিন বোশ-কাগিসো রাবাদাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় পেতে বেশ সহজই হয়েছে প্রোটিয়াদের।


নিজেদের মাঠে অজিরা দেখল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের হার। ২০২২ সালে সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে সর্বোচ্চ ৮২ রানে হেরেছে তারা।


মারারা স্টেডিয়ামে বাঁচানোর ম্যাচে ব্রেভিসের সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২১৮ রান তোলে সফরকারীরা। ২১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৭.৪ ওভারে ১৬৫ রানে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।


আরও পড়ুন

ব্রেভিসের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের রেকর্ড ব্রেভিসের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের রেকর্ড


অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ বলে ৫০ রান করেন টিম ডেভিড। অ্যালেক্স কেরি ২৬ ও মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। বড় লক্ষ্য তাড়ার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে বোশ ও কেউনা মাফাকা ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।


তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প উপায় ছিল না তাদের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ।


পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেটে ৫০ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৭ রানে হারায় তারা তৃতীয় উইকেট। চার নম্বরে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ব্রেভিস। চতুর্থ উইকেটে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে ৫৭ বলে ১২৬ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়েন তিনি।


২২ বলে ৩১ রানে ফেরেন স্টাবস। তবে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৪২ বলে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রেভিস। তাঁর চেয়ে কম ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ডেভিড মিলারের নামের পাশে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান ব্রেভিসই।


আরও পড়ুন

প্রথমবার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সাদারল্যান্ড প্রথমবার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সাদারল্যান্ড


৫৬ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রেভিস। ইনংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও ১২টি চার। কুড়ি ওভারের সংস্করণে প্রোটিয়াদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসও এটি। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাফ ডু প্লেসিস করেছিলেন ১১৯ রান। যার সৌজন্যে ২০ ওভারে ২১৮ রান স্কোরে জমা করে প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে জোহানেসবার্গে করেছিল ২০৪ রান। এবার সেটি ছাড়য়ে গেল তারা। ২টি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও বেন ডারশুইস।

bottom-logo

ফুটবল

লম্বা বিরতির পর ব্যস্ততা শুরু হচ্ছে জামালদের

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১২ আগস্ট ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম

news-details

লম্বা বিরতির পর আবারও ব্যস্ততা শুরু হচ্ছে জাতীয় ফুটবল দলের। সবশেষ গত ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। সেই ম্যাচের পর প্রায় দুই মাস ছিল না কোনো ম্যাচ কিংবা ক্যাম্প।


অবশেষে আগামীকাল থেকে আবার শুরু হবে জামালদের ব্যস্ততা। ‎সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে ক্যাম্প শুরু করতে যাচ্ছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে মাঠের অনুশীলন শুরু হবে আগামী পরশু থেকে।


নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচ দুটি মাঠে গড়াবে আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে নেপাল আছে ১৭৬ নম্বরে, বাংলাদেশ আছে ১৮৪ নম্বরে। র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে এই দুটি ম্যাচ খেলবে মূলত এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে। 


আরও পড়ুন

চ্যালেঞ্জ লিগের চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না আবাহনী, হেরে বিদায় চ্যালেঞ্জ লিগের চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না আবাহনী, হেরে বিদায়


বসুন্ধরা কিংসের জাতীয় দলের ফুটবলাররা এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে দোহায় আছেন। সেখান থেকে ফিরে ১৫ আগস্ট ক্যাম্পে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। 


৩৬ দিন ছুটি কাটিয়ে গত সোমবার ঢাকায় এসেছেন বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। খেলোয়াড়দের আগেই টিম হোটেলে উঠেছেন তিনি।


নিজ নিজ ‎ক্লাবের ব্যস্ততার কারণে হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমকে নেপালের বিপক্ষে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ। যদিও জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান জানিয়েছেন, দুজনকে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন কোচ কাবরেরা।


আরও পড়ুন

‘দুর্ঘটনার রাজা’ গোল করেছেন ১৩টি, নিজের জালে ১০টি ‘দুর্ঘটনার রাজা’ গোল করেছেন ১৩টি, নিজের জালে ১০টি


আগামী ‎অক্টোবরে হোম ও অ্যাওয়ের ভিত্তিতে হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৯ অক্টোবর জাতীয় স্টেডিয়ামে আর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ। 


বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে এক পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের তিনে। হংকং দুই ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট অর্জন করে দুইয়ে আছে।

bottom-logo

ফুটবল

চ্যালেঞ্জ লিগের চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না আবাহনী, হেরে বিদায়

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১২ আগস্ট ২০২৫, ৭:১০ পিএম

news-details

ঘরের মাঠে খেলা। হারলে বিদায়, জিতলে গ্রুপ পর্বে ওঠার সুযোগ। নিজেদের সমর্থকদের সামনে চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছিল ঢাকা আবাহনী। কিন্তু কিরগিস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের সঙ্গে পেরে উঠল না আকাশি-নীলরা। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ স্টেজ থেকেই হেরে বিদায় নিল মারুফুল হকের দল।


আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে মুরাস ইউনাইটেডকে আতিথেয়তা দেয় আবাহনী। যেখানে অতিথিদের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে আবাহনী। গোলশূন্য প্রথামার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে হয় দুটি গোল। দুই গোলই আসে মুরাসের মিডফিল্ডার আতায় ঝুমাশেভের থেকে।


ষষ্ঠ মিনিটে মুরাসের গোল মিস। পোস্টের সামনে থেকে নেওয়া ওলে মারচুকের বা পায়ের নিচু শট বেড়িয়ে যায় বক্সের ডান পাশ ঘেষে। অথচ শট গোলে রাখতে পারলে নিশ্চিত গোল পেতে পারতেন এই ফরোয়ার্ড, আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা তখন অনেকটাই বাম দিকে ছিলেন।


আরও পড়ুন

মুরাসকে ‘মেন্টালি’ ধংস করবে আবাহনী মুরাসকে ‘মেন্টালি’ ধংস করবে আবাহনী


এই সময় একের পর এক আক্রমণের পর গোল ১০ম মিনিটে গোল পেতে পারত মুরাস; এ যাত্রায় আবাহনীকে বাঁচিয়ে দেন মিতুল। পোস্টে চাভেল গোমেসের গতিময় সোজা শট ফিস্ট করে বের করে দেন তিনি। দুই মিনিট পর পোস্টের সামনে থেকে আলিগুলভ মাকসাতের শট কর্নারের বিনিময়ে আরেকবার ঠেকিয়ে দেন মিতুল।


অতিথিদের তীব্র আক্রমণের সামলে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেয় আবাহনী। ১৩ মিনিটে শাকিল হোসেনের গতিময় শট ঠেকিয়ে দেন মুরাসের গোলরক্ষক ওরেস কোস্তিক। মোরছালিনের ফিরতি শট প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বেরিয়ে যায়। কর্নার পায় আবাহনী। ৫ মিনিট পর বামপ্রান্ত দিয়ে দুজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে ওঠেন সুলেমান দিয়াবাতে। বক্সে এক ডিফেন্ডারের বাধার সম্মুখীন হন, উঠে নিজেকে সামলে শট নিলে বল যায় বক্সের সামান্য ওপরে দিয়ে।


২১ মিনিটে আরেকবার গোল সেভ করেন মিতুল। পরের মিনিটে বল নিয়ে একাই উপরে উঠছিলেন আল আমিন। তবে তাঁর পেছনে ছিলেন অ্যান্দ্রি বাতসুলা। সামনে গোলরক্ষক একা, তবে পোস্টে শট নেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে কর্নারের বিনিময়ে পেছন থেকে বল ক্লিয়ার করেন মুরাসের ওই ইউক্রেনীয় ডিফেন্ডার। দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয় আবাহনীর।


৩০ মিনিটে মুরাসের ডিফেন্ডারদের ভালোই পরীক্ষা নেয় আবাহনী। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে মুরাসের কয়েকজনকে কাটান দিয়াবাতে। বাধার সামনে এক দফায় মাটিতে পরেও যান, তবে উঠে দাড়িয়ে বাম দিকে ক্রস দেন ইব্রাহীমকে দেখে। পোস্টের একদম কাছ থেকেই এই ফরোয়ার্ডের শট ছিল না লক্ষ্যে। বল কাপায় বক্সের পেছনের জাল। ওই সময় পর্যন্ত ম্যাচের সবচেয়ে ভালো সুযোগটা হাতছাড়া করে আবাহনী। গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।


আরও পড়ুন

দোহায় ‘অতিরিক্ত’ গরম, তবু সেরাটা দিতে প্রস্তুত তপু বাহিনী দোহায় ‘অতিরিক্ত’ গরম, তবু সেরাটা দিতে প্রস্তুত তপু বাহিনী


প্রথমার্ধে আটকে রাখা মুরাসের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল হজম করে বসে আবাহনী। ৪৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে খানিকটা জায়গা করেই লম্বা ক্রস দেন মুরাসের ইউক্রেনিয়ান ডিফেন্ডার বাতসুলা। আবাহনীর গোলমুখ অনেকটা আনমার্কিংয়ে থাকা আতায় ঝুমাশেভ সেই ক্রস থেকে হেডে আবাহনীর জাল কাঁপান। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় অতিথিরা।


গোল হজমের পর মুরাসের রক্ষণে চাপ বাড়ায় আবাহনী। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখাই মেলেনি। ম্যাচে সমতায় ফেরার আশায় থাকা আবাহনীকে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে চূড়ান্ত হতাশয়া ডুবিয়ে দেয় মুরাস। ৯০ মিনিটে দলটির হয়ে ব্যবধান দিগুণ করেন আতায় ঝুমাশেভ। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ডান পায়ে জোরাল শটে মিতুলকে পরাস্ত করেন এই মিডফিল্ডার। ম্যাচে দুটি গোলই করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হেরে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেরার স্মৃতি সুখকর রাখতে পারল না আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।

bottom-logo

ফুটবল

দোহায় ‘অতিরিক্ত’ গরম, তবু সেরাটা দিতে প্রস্তুত তপু বাহিনী

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১২ আগস্ট ২০২৫, ১:১৫ পিএম

news-details

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের (প্রিমিলিনারি রাউন্ড) খেলায় রাতে মাঠে নামছে বাংলাদেশের জায়ান্ট ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। প্রতিপক্ষ সিরিয়ান ক্লাব আল কারামাহ। কাতারের দোহায় সুহেইম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায়। 


কিংস অধিনায়ক তপু বর্মণ জানিয়েছেন, সেরাটা দিতে তারা প্রস্তুত। যদিও আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে কিংস শিবিরের; তবে পেশাদার খেলোয়াড়দের এ নিয়ে চিন্তার সুযোগ নেই, সেটিই মনে করিয়ে দিয়েছেন কিংস অধিনায়ক।


চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচকে সামনে রেখে কাতারে দুই দিন মাঠের অনুশীলন করে বসুন্ধরা কিংস। সোমবার অনুশীলন ছিল ম্যাচ ভেন্যুতে। সেখানে বর্তমান তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে। যার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্টই হচ্ছে বলে জানান অধিনায়ক তপু। 


আরও পড়ুন

‘দুর্ঘটনার রাজা’ গোল করেছেন ১৩টি, নিজের জালে ১০টি ‘দুর্ঘটনার রাজা’ গোল করেছেন ১৩টি, নিজের জালে ১০টি


সোমবার রাতে কিংসের পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, 

"আসলে কালকে (রোববার) আমাদের প্রথম ট্রেনিং সেশন হয়, তো অনেক গরম ছিল, আমি যত দূর জানি সেটা ৪০ ডিগ্রির ওপরে ছিল, এটা প্রত্যেক ফুটবলারের জন্য কষ্টের ছিল। সবাই বলতেছিল, অনেক গরম।”

 

মঙ্গলবারের ম্যাচে আল কারামাহকে হারাতে পারলে আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ স্টেজে উঠবে বসুন্ধরা কিংস। পরিস্থিতি যতই প্রতিকূলে থাকুক খেলায় নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতে চান ৩১ বছর বয়সি ডিফেন্ডার তপু। 


“আমরা প্রফেশনাল খেলোয়াড়। সব জায়গায় মানিয়ে নিতে হবে এবং সব জায়গায় ভালো খেলতে হবে। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি।”

এই ম্যাচকে সামনে রেখে কাতারে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের নতুন মিডফিল্ডার কিউবা মিচেল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই অভিষেক হতে পারে এই মিডফিল্ডারের। 


এর আগে দেশি খেলোয়াড়দের নিয়েই গত শনিবার কাতারে যায় টানা পাঁচবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন কিংস। সেখানে পরে যোগ দেন দলের চার বিদেশি ফুটবলার- রাফায়েল, টনি, সানডে ও ডরিয়েলটন। 


আরও পড়ুন

রক্ষণ সামলানোর পক্ষে নই: বাটলার রক্ষণ সামলানোর পক্ষে নই: বাটলার


দলের কম্বিনেশন নিয়ে তপু বলেন, ‘প্রতিটি খেলোয়াড় সিরিয়াস, আসলে আমরা এখানে জয়ের জন্য এসেছি। আমাদের টিম কম্বিনেশনটাও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। আমরা এক সঙ্গে অনুশীলন করেছি। আমরা সবাই দেখেছি সবাই খুব পজিটিভ এবং আশা করি একটা ভালো ফল আনতে পারব এই ম্যাচ থেকে।’


এর আগে ঢাকায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় দুই সপ্তাহের মতো অনুশীলন করে কিংস শিবির। সেখানে নিজেদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে বলেও জানান তপু বর্মণ। এখন সবটা মাঠে বাস্তবায়ন করার পালা।


bottom-logo

ফুটবল

বিজয়ীর বেশে ঢাকায় ফিরেছেন আফঈদা-সাগরিকারা

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১২ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৩ এম

news-details

আরও একটি সফল টুর্নামেন্ট শেষে বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। লাওসে এএফসি অনুর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে মূল পর্ব নিশ্চিতের পর সোমবার দিবাগত রাত দেড়টায় ঢাকায় পৌঁছান আফঈদা খন্দকার, মোসাম্মৎ সাগরিকা, তৃষ্ণা রাণী, উমেহলা মারমা ও স্বপ্না রানীরা। 


মেয়েদের বরণ করে নিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তার সঙ্গে আরও ছিলেন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির ৪ সদস্য- আমিরুল ইসলাম বাবু, টিপু সুলতান, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল করীম ও শাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহীন। 


বাফুফের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে মেয়েদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তবে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়নি। সেটি দেয়া হবে না কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এর আগে এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত করায় গত ৭ জুলাই মধ্যরাতে হাতিরঝিলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিনিয়র দলকে সংবর্ধনা দিয়েছিল বাফুফে। সাগরিকাদের সাফল্যটাও একই, কিন্তু বাফুফের পক্ষ সিনিয়র দল নিয়ে সেই সময় যতটা না আয়োজন ছিল তা লক্ষ্য করা যায়নি সাগরিকাদের বেলায়।


প্রসঙ্গত, আগামী বছর এপ্রিলে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অ-২০ নারী এশিয়ান কাপ। ১২ দলের এই আসরে প্রথমবারের মতো খেলবে বাংলাদেশ। লাওসে ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে লাল সবুজের দল নিশ্চিত করে মূল পর্বে খেলার টিকিট। যেখানে ৬ আগস্ট প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে তিমুর লেস্কের বিপক্ষে জয় ৮-০ ব্যবধানে। 


তবে শেষ ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশকে হারতে হয় ৬-১ ব্যবধানে। তা সত্ত্বেও গ্রুপ থেকে ৬ পয়েন্ট এবং গোলগড়ে (+৬) এগিয়ে থাকায় সেরা তিন রানার্সআপের কোটায় এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা পায় বাটলারের দল। 


অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ ছাড়াও খেলবে থাইল্যান্ড (স্বাগতিক), ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডান, চাইনিজ তাইপে, উজবেকিস্তান, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম ও উত্তর কোরিয়া।

bottom-logo