৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম
২০১২ থেকে ২০১৮- ছয় বছরের মধ্যে এশিয়া কাপের ৪ আসরের ৩টিতে ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর থেকে শুধুই হতাশা। মাঝে গ্রুপ পর্বেও থেমেছে তাদের যাত্রা। এবার আরেকটি নতুন আসরে যাওয়ার আগে নিজেদেরকে ভালোভাবে প্রস্তুত বলছেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপের নতুন আসর। টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিন হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। সেই মিশনে যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে লিটনের দল।
সব কিছু ঠিক থাকলে, আগস্ট মাসে ভারতের বিপক্ষে খেলতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু হুট করেই সেই সফর স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তাই তড়িঘড়ি করে নেদারল্যান্ডসকে ডেকে এনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
তিন ম্যাচে দুই ভাইয়ের ৪ সেঞ্চুরি |
![]() |
শক্তি-সামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে প্রত্যাশিত ফলই পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ন্যুনতম লড়াইও করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সে খুব সহজেই জয় পায় স্বাগতিকরা।
বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য কোনো ফল আসেনি। সিরিজে প্রথম আগে ব্যাট করে ১৮.২ ওভারে ১৬৪ রান করে বাংলাদেশ। এরপর বৃষ্টির কারণে আর খেলায় যায়নি। তাই এশিয়া কাপের আগে শেষ ম্যাচে বোলারদের অনুশীলনের সুযোগ মেলেনি।
তবে সার্বিকভাবে দলের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট লিটন। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের পুরোপুরি প্রস্তুত ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“আমার মনে হয়, এশিয়া কাপের জন্য আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত। শুরুতেই বলেছি, আমরা যে ক্যাম্পটা করেছি সেটা শুধু এই সিরিজের জন্য নয়। আমাদের সামনে যত সিরিজ থাকবে, সেগুলোর জন্যও যেন প্রস্তুত থাকতে পারি। এত ভালো ক্যাম্প আমি কখনও দেখিনি।”
“ফিটনেস তো মিরপুরেও করা যায়। তবে যে ধরনের অনুশীলন আমরা করতে চেয়েছি, সেটা সিলেটেই শুধু পাওয়া গেছে। তাই আমার কাছে মনে হয়, সব মিলিয়ে আমাদের এই জার্নিটা খুব ভালো ছিল।”
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তেমন পরিবর্তন করেনি বাংলাদেশ। তবে সব ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়ার জন্য বুধবারের ম্যাচটিতে ৫টি পরিবর্তন করে বাংলাদেশ।
যার ফলে সিরিজে প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পান তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, নুরুল হাসান সোহান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনই কোনো ম্যাচে কিছু করতে পারেননি।
বৃষ্টির বাগড়া না এলে হয়তো শেষ ম্যাচে বোলিংয়ের সুযোগ পেতেন সাইফ উদ্দিন। সেটি নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ আছে লিটনের। তবে সার্বিকভাবে ইতিবাচক থাকার কথাই বলেন তিনি।
আরও পড়ুন
হৃদয় বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, ওকে নিয়ে চিন্তিত নই: লিটন |
![]() |
“সব দিক দিয়ে আমার মনে হয়েছে, পজিটিভ। যারা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে, ভালো খেলেছে। শুধু সাইফ উদ্দিন কিছুই করতে পারেনি। বাকি সবার অন্তত একটা হলেও ম্যাচের সুযোগ হয়েছে। আমার মনে হয় অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি ম্যাচে কতটা ডেলিভার করতে পারছেন। ম্যাচ খেললে আপনার উন্নতি বাড়বে, গেম সেন্স বাড়বে।”
এসময় এশিয়া কাপে নিজেদের লক্ষ্যের কথাও বলেন লিটন।
“এশিয়া কাপে অধিনায়ক হিসেবে আমার লক্ষ্য ভালো ক্রিকেট খেলা। ভালো ক্রিকেট খেলার ওপরে তো কিছু নেই। আর ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলেই ম্যাচে জয় আসবে।”
No posts available.
২১ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২৫ পিএম
২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৬ এম
পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে জিতেও ট্রফি অধরা রইল ভারতের। কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এশিয়া কাপের 'ট্রফি বিতর্ক' এখনো চলমান। এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এএসসি) প্রধান মহসিন নাকভিকে ই-মেইল পাঠিয়ে ট্রফি ভারতের হাতে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিত সাইকিয়া মঙ্গলবার ইন্ডিয়া টুডেকে জানান, নাকভির কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে তোলা হবে। সাইকিয়া বলেন, 'আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। নকভির কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেলে আইসিসিকে বিষয়টি জানাব।'
আরও পড়ুন
টানা দুই সেঞ্চুরির পর ছিটকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক |
![]() |
এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতীয় দল নাকভির হাত থেকে ট্রফি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। ক্ষুব্ধ হয়ে নাকভি পুরো পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বাতিল করেন এবং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ট্রফিটি সরিয়ে নিতে। বর্তমানে ট্রফিটি এএসসির দুবাই অফিসে রয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বরের এএসসি বৈঠকে নাকভির আচরণের নিন্দা জানায় বিসিসিআই। বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা বলেন, 'এশিয়া কাপ ট্রফি ভারতের প্রাপ্য। এটি অবিলম্বে বিজয়ী দলের হাতে তুলে দিতে হবে।'
বিসিসিআই সচিব সাইকিয়া নাকভির আচরণকে 'অপেশাদার ও খেলাধুলার চেতনার পরিপন্থী' বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'আমরা সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেব না। কিন্তু তাই বলে তিনি সেটি নিয়ে চলে যাবেন—এটি একেবারেই অনুচিত ও অখেলোয়াড়সুলভ।'
এর আগে নাকভি এএসসির সদস্য দেশগুলোর কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেও ভারতের কাছে ট্রফি পৌঁছে দিতে অস্বীকৃতি জানান। বরং তিনি বলেন, ভারতের অধিনায়ককে দুবাইয়ে এসে ট্রফি নিতে হবে। বিসিসিআই এই শর্তকে 'অযৌক্তিক' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। টানা দুই সেঞ্চুরির পর অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি চোটে ছিটকে গেছেন। বিশ্বকাপে নিজেদের পরের ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন না তিনি।
গত শনিবার অনুশীলনে কাঁধের মাংসপেশীর চোটে পড়েন হিলি। দলের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আগামী শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
হিলির অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তাহলিয়া ম্যাকগ্রা। ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন হিলি। চার ম্যাচে ২৯৪ রান করে দলটির সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। ভারতের বিপক্ষে ১০৭ বলে ১৪২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন। সেটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম এবং ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। সেই ইনিংসেই নারী ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
তারপর বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস খেলে টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন হিলি।
মূল ম্যাচের শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ৫ রান। বোলিংয়ে সাইফ হাসান। প্রথম দুই বলে রান নিতে ব্যর্থ আকিল হোসেন। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিনি স্ট্রাইক দিলেন সেট ব্যাটার শাই হোপকে। তবে হোপও ১ রানের বেশি নিতে পারলেন না।
সমীকরণ দাঁড়াল ২ বলে ৩ রান। বড় শট মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেলেন আকিল। শেষ বলে উড়িয়ে মারলেন শেষ ব্যাটার খ্যারি পিয়েরে। স্কয়ার লেগের দিকে গিয়ে ক্যাচ নিতে পারলেন না নুরুল হাসান সোহান। এরই মধ্যে ২ রান নিয়ে নিলেন হোপ ও পিয়েরে।
ফলে টাই হয়ে যায় ম্যাচ। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এই প্রথম টাই হলো বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ।
সুপার ওভারে বোলিংয়ের দায়িত্ব নেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন শাই হোপ। পরের বলে মোস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন শেরফান রাদারফোর্ডকে। ক্রিজে আসেন ব্র্যান্ডন কিং। পরের তিন বলে ৫ রান নিয়ে নেন হোপ ও কিং।
শেষ বলে মোস্তাফিজের কাটার হোপের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় ফাইন লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে। ফলে ১০ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সফরকারীদের হয়ে বোলিংয়ে আসেন আকিল হোসেন। ব্যাটিংয়ে নামেন সাইফ ও সৌম্য সরকার। প্রথম বলই আকিল করেন ওয়াইড। পরেরটি 'নো' বল করেন তিনি। সৌম্য নিয়ে নেন ২ রান। পরে ফ্রি হিটে আসে ১ রান। স্ট্রাইক পান সাইফ।
সাইফ প্রথম বল খেলেন ডট। পরের বলে ১ রান নিয়ে সৌম্যকে ব্যাটিং দেন তিনি। ৩ বলে ৫ রানের সমীকরণে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ আউট হন সৌম্য। পরে ব্যাটিংয়ে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। লেগ বাই থেকে ১ রান নেন তিনি।
শেষ বলে বাকি থাকে ৪ রান। ওয়াইড করে বসেন আকিল। পরের বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি সাইফ। তাই সুপার ওভারে ১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২১৩/৭ (সাইফ ৬, সৌম্য ৪৫, হৃদয় ১২, শান্ত ১৫, মাহিদুল ১৭, মিরাজ ৩২, নাসুম ১৪, সোহান ২৩, রিশাদ ৩৯; আকিল ১০-১-৪১-২, চেজ ১০-২-৪৪-০, পিয়েরে ১০-০-৪৩-০, মোতি ১০-০-৬৫-৩, আথানেজ ১০-৩-১৪-২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২১৩/৯ (আথানেজ ২৮, কিং ০, কার্টি ৩৫, অগাস্ত ১৭, হোপ ৫৩*, রাদারফোর্ড ৭, মোতি ১৫, চেজ ৫, গ্রিভস ২৬, আকিল ১৬, পিয়েরে ২*; নাসুম ১০-০-৩৮-২, মিরাজ ১০-১-৩৮-০, মোস্তাফিজ ৮-০-৪০-০, তানভির ১০-০-৪২-২, রিশাদ ১০-০-৪২-৩, সাইফ ২-০-৯-১)
ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারানোর ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিলেন। গতকাল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নিশ্চিত হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাঁর জায়গায় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদিকে।
রিজওয়ানকে সরানোর কোনো কারণ জানায়নি পিসিবি। তবে এমন সিদ্ধান্ত মোটেও ভালো লাগেনি পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমিরের। সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় বর্তমান পরিস্থিতিতে পিসিবির এই সিদ্ধান্ত যথোপযুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেন আমির।
রিজওয়ানের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে বলে মনে করেন আমির, ‘আমি মনে করি না যে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করা হয়েছে। সে তো কোনো বাজে ওয়ানডে অধিনায়ক ছিল না।”
আরও পড়ুন
অভাবনীয় হারের ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্যোতির রেকর্ড |
![]() |
রিজওয়ানের নেতৃত্বে বড় দুই দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমির বলেন, ‘রিজওয়ান দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতিয়েছে — এমন কৃতিত্ব তো আমাদের অনেক বড় বড় অধিনায়কও অর্জন করতে পারেননি। এসব আমরা ভুলে গেলে চলবে না।’
রিজওয়ান পাকিস্তানের হয়ে ২০টি ওয়ানডে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। এর মধ্যে তার নেতৃত্বে ৯টি জয়ের বিপরীতে দল হেরেছে ১১টিতে, জয় শতাংশ ৪৫। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর, অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ের সফরের আগে তাকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি উভয় ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অবশ্য টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি রিজওয়ান। তাঁর অধিনায়কত্বে পাকিস্তান চারটি ম্যাচ হারের পর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় । নিউজিল্যান্ড সফরের আগে রিজওয়ানের জায়গায় অলরাউন্ডার সালমান আলি আগা-কে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয় পাকিস্তান।
গত বছর রিজওয়ানের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে পাকিস্তান সিরিজ জিতলেও এ বছর পারফরম্যান্স অনেকটাই নিম্নগামী। বিশেষ করে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম পর্বেই ছিটকে যাওয়াটা বড় ব্যর্থতা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
তবে বারবার অধিনায়কত্ব পরিবর্তন আনা মোটেও ভালো কিছু নয় বলছেন আমির, ‘অধিনায়কত্ব এক সিরিজ ভালো বা খারাপ হলেই মাপা উচিত নয়। আমরা সবাই সাবেক খেলোয়াড়, বিশ্লেষক — এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আমরা আমাদের ক্রিকেটে স্থিতিশীলতা রাখতে দিই না।’
আমির আরও বলেন, “একজন অধিনায়ক রাতারাতি তৈরি হয় না। একজনকে প্রস্তুত করতে দুই-তিন বছর সময় লাগে। কিন্তু এখানে এক সিরিজ খারাপ গেলেই তাকে বদলে দেওয়া হয়। আমি মনে করি না এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। রিজওয়ান একজন স্মার্ট অধিনায়ক, তার মধ্যে নেতৃত্বের স্বাভাবিক গুণ আছে।’
আরও পড়ুন
রিজওয়ানকে সরিয়ে পাকিস্তানের নেতৃত্বে শাহীন আফ্রিদি |
![]() |
রিজওয়ানের জায়াগায় শাহীনকে অধিনায়ক করার প্রসঙ্গে আমির বলেন, ‘যদি শাহীনকে অধিনায়ক করতেই হতো, তাহলে তাকে আগে সহ-অধিনায়ক বানানো যেত এবং সেখান থেকে বিচার করা যেত সে কেমন করছে । বিশেষ করে ওর ফিটনেস বিবেচনায় রেখে।’
পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রথম পরীক্ষা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজ। আগামী ৪ নভেম্বর হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
জয়ের ৪ বলে প্রয়োজন ৯ রান। বড় শটের বিকল্প ছিল না নিগার সুলতানা জ্যোতির। মিড অফের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলেনও বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু সীমানা পার করতে পারলেন না। ধরা পড়ে গেলেন লং অফে। মাথা নিচু করে ধীরে পায়ে তিনি ফিরে গেলেন ডাগ আউটে।
সেখানে দাঁড়িয়ে দেখলেন বাকি ৩ বলে দলের অভাবনীয় এক পরাজয়। তীরে এসে তরী ডোবানোর গল্পে জ্যোতির দায়ও অনেক। তবে এর মাঝেই ব্যাট হাতে একটি রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ওয়ানডেতে রান তাড়ায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক এখন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
চামারি আতাপাত্তুর বলে ক্যাচ আউট হওয়া বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৬ চারে ৯৮ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। দলকে জেতাতে না পারলেও, রুমানা আহমেদকে টপকে ওয়ানডে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন জ্যোতি।
আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে ২০১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ৯৪ বলে ৭৫ রান করেছিলেন রুমানা। সেই ম্যাচটিও অবশ্য জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সেদিন ৯ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানে থেমেছিল সালমা খাতুনের দল।
প্রায় এক যুগ পর রুমানাকে ছাড়িয়ে দলকে জেতানোরও সুযোগ ছিল জ্যোতির সামনে। শেষ ১২ বলে ৬ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১২ রান। আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত ৯ বলের মধ্যে ২ বল স্ট্রাইকে ছিলেন জ্যোতি।
অথচ অধিনায়ক যদি দায়িত্ব নিয়ে শেষের দুই ওভারে বেশিরভাগ বল খেলতে পারতেন, তাহলে হয়তো ভিন্নও হতে পারত ম্যাচের ফল।