৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ এম

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির বিপক্ষে ০-৩ গোলে বার্সেলোনার বিধ্বস্ত হওয়া ম্যাচের আগেই নাকি সমস্যার সূত্রপাত। সম্প্রতি রক্ষণভাগে ভুল করে ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল তাঁর ওপর, সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছিলেন। চেলসির বিপক্ষে তো লাল কার্ড দেখে কাতালান ক্লাবটিকে আরও বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচের পর আর টিকতে পারেননি। তীব্র মানসিক সংকটের কথা বলে ক্লাব থেকে সাময়িক সময়ের জন্য ছুটি চান রোনাল্ড আরাউহো।
বার্সেলোনা ডিফেন্ডারের সমস্যা নাকি ধারণার চেয়ে আরও গুরুতর। উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার আরাউহোর মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মক সংকটে রয়েছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘কোপের’ খবর, সমস্যা এতটাই গুরুতর যে বার্সেলোনার জার্সিতে হয়তো আর দেখা যাবে না ২৬ বছর বয়ী ডিফেন্ডারকে।
এর আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটির আবেদন করেছিলেন আরাউহো। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘অবিরাম উদ্বেগ ও চাপের’ মধ্যে রয়েছেন, বিশেষ করে চেলসির কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হারের পর। কোপের তথ্য অনুযায়ী, আরাউহো সেই ম্যাচের পর থেকে বারবার উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছেন। যার কারণে তিনি একটি ‘অস্থায়ী অবসর’ চেয়েছেন, মানসিক সুস্থতার জন্য।
আরও পড়ুন
| ডুবন্ত দলকে আরও ডুবিয়ে জিতল ম্যান ইউনাইটেড |
|
কোপ-এর সাংবাদিক জুয়ানমা কাস্তানো একটি জোরালো সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক গুরুতর। আমাদের দেখতে হবে, তিনি কি কখনও বার্সেলোনার হয়ে খেলবেন কি না।’ তিনি আরাউহোরর অবস্থাকে ‘নাজুক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং আরও বলেছেন, এই ফুটবলারকে ঘিরে এমন অনিশ্চয়তা বার্সাকে চমকেই দিয়েছে।
কঠিন সময়ে ক্লাবকে পাশে পাচ্ছে আরাউহো। আরাউহোর পাশে পুরোপুরি দাঁড়িয়েছে বার্সেলোনা এবং তারা অবগত আছে যে আরাউহো মানসিক চাপ ও আবেগগত দুর্বলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ক্লাবের কিছু কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী, আরাউহোকে তাঁর ফেরার বিষয়ে তাড়াহুড়া না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফুটবলের আগে মানসিক সুস্থতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
বার্সেলোনা এখনও তার ফেরার কোনো দিনক্ষণ নির্ধারণ করেনি। আরাহোর অনুপস্থিতি কয়েক সপ্তাহের বেশি দীর্ঘায়িত হলে শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে রক্ষণভাগের শক্তি বাড়াতে পারে বার্সা।
চেলসি ম্যাচের বিপক্ষে ম্যাচের পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন আরাউহো। অনেকের মতে তাঁর কারণেই ইংলিশ ক্লাবটির বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে। অবশ্য বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট জোয়ান লাপার্তা প্রকাশ্যে সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন, খেলোয়াড়ের পাশে দাঁড়াতে।
No posts available.

শিগগিরই ক্লাব সান্তোসের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে নেইমার জুনিয়রের। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে। কয়েকদিন আগেও সাবেক বার্সেলোনা তারকা জানিয়েছেন, কোথায় যাবেন এবং ভবিষ্যত কেমন হবে, তা অজানা তাঁর।
নেইমারকে জড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন বেড়েছে। ব্রাজিল ও ইউরোপ ভিত্তিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইন্টার মিয়ামিতেই যেতে পারেন নেইমার। সাবেক সতীর্থ লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজও চাচ্ছেন, তিনি যেন মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) পা বাড়ান।
এরইমধ্যে আজ সান্তোসের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো তেইশেইরা জানিয়েছেন, নেইমার স্বদেশি ক্লাবেই থাকবেন। তিনি বলেন,
“নেইমারের চুক্তি নবায়ন এখন সান্তোসের জন্য অগ্রাধিকার। তবে সবকিছুই বাজেটের ওপর নির্ভর করছে। আমরা এমন বাজেট রেখেছি যা আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে। আমরা আলোচনা চালাচ্ছি যাতে নেইমারের বর্তমান চুক্তি ২০২৬ পর্যন্ত মানিয়ে নেওয়া যায়।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা কিছু চুক্তি নবায়ন নিয়ে ভাবছি, বিশেষ করে নেইমারের। আমরা আত্মবিশ্বাসী এ ব্যাপারে। নেইমারের পরিকল্পনাও আগামী বছরের বিশ্বকাপ কেন্দ্র করে। এই সংলাপের উদ্দেশ্য যাতে সে আমাদের সঙ্গেই থাকে।”
চুক্তি নবায়ন কিংবা নতুন ক্লাব নিয়ে এখন পর্যন্ত চুপচাপ নেইমার। চুক্তি নবায়ন বা নতুন ক্লাব—এসবের কিছু নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছেন না তিনি। সামনে ২০২৬ বিশ্বকাপ। ফুটবল বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নেইমারকে নিজের ফিটনেসের দিকে নজর দেওয়া উচিত। ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কেউ যদি পুরোপুরি ফিট না থাকে, তবে দলের সঙ্গে নেবেন না।
নেইমার নিজের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে হাটুর অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যদিও চোট ও সার্জারির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি। তবুও তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের ব্রাজিল স্কোয়াডে থাকবেন।
নেইমার এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের হলুদ জার্সিতে তিনটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। ২০১৪ সালে চারটি গোল করেছিলেন, কিন্তু চোটে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারেননি। তার অনুপস্থিতিতে ব্রাজিল সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭–১ গোলে হারে। ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে তিনি দুইটি করে গোল করেছেন, কিন্তু ব্রাজিল দুবারই কোয়ার্টার ফাইনালে ছিটকে যায়।
বর্তমানে ৩৩ বছর বয়সী নেইমার ২০২৩ সালের পর থেকে জাতীয় দলে খেলেননি। ব্রাজিল দলে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, এস্তেভাও ও রাফিনিয়ার মতো তরুণ ও অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড রয়েছে। তবুও নেইমার আশা করছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন এবং আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আরও বড় কিছু অর্জন করবেন।

লিওনেল মেসি বলুন কিংবা ডেভিড ব্যাকহাম—ইন্টার মিয়ামির প্রতিটি সদস্যই এখন খোশমেজাজে। সদ্যই তাঁরা এমএলএস শিরোপা জিতেছে। মেজর লিগ সকার জয়ের পর দলের প্রাণভোমরা লিও সম্পর্কে অজানা সব তথ্য হাজির করেছেন ইন্টার মিয়ামির কর্ণধার ব্যাকহাম।
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক জানিয়েছেন, তাঁর চাওয়া—মেসি যেন ক্যারিয়ার শেষে ইন্টার মিয়ামির সঙ্গেই থাকেন। এতে তিনি ভীষণ খুশি হবেন।
আজ এক সাক্ষাৎকারে ব্যাকহাম আরও জানান, মেসির মতো বার্সেলোনাকে কেউ এত ভালোবাসে না। কাতালান ক্লাবের প্রতি আর্জেন্টাইন জাদুকরের ভালোবাসা সবার ঊর্ধ্বে। তিনি এখনো বার্সাকে ভালোবাসেন।
ব্যাকহাম বলেছেন,
“আমি চাই অবসরের পরও মেসি মিয়ামিতেই থাকুক। তবে সে আমাকে জানিয়েছে, ক্যাম্প ন্যুর কাছাকাছি কোথাও স্থায়ীভাবে থাকতে চায়। বার্সেলোনাকে এত ভালোবাসতে মেসির মতো আর কোনো ফুটবলারকে দেখিনি। মেসির পায়ে বার্সার লোগো রয়েছে। পানির বোতলেও বার্সার লোগো থাকে।”
এ সময় এমএলএস জয় নিয়ে ব্যাকহাম বলেছেন,
“বহু নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছি; কিন্তু মিয়ামির ওপর সব সময় আমার বিশ্বাস ছিল। জানতাম, আমাদের দল একদিন ঠিক এই জায়গায় পৌঁছাবে। আমার সহযোগীরা দুর্দান্ত। জানতাম, সবকিছুই সম্ভব। আমাদের জার্সির পিছনেই লেখা রয়েছে— ‘স্বপ্ন দেখার স্বাধীনতা’।”
দলকে প্রথমবার এমএলএস কাপ জিতিয়ে উচ্ছ্বসিত মেসিও। তিনি বলেছেন,
“মৌসুমটা দুর্দান্ত কাটল। শেষ চারটি ম্যাচে আমরা যেভাবে প্রেসিং ফুটবল খেলেছি, সেটা।”

১৬ ডিসেম্বর কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ফেডারেশন কাপের বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান ম্যাচ। ওই দিন কুমিল্লা স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান থাকায় ম্যাচটি জাতীয় স্টেডিয়ামে সরিয়ে আনা হয়েছে।
আজ (বুধবার) বিকেলে লিগ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডানের ম্যাচ দর্শকশূন্য করার পরিকল্পনা করছে বাফুফে। বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত সস্থার যুক্তি, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন পুলিশ বা নিরাপত্তা কর্মী পাওয়া কঠিন। বেশি দর্শক সমাগম হলে সেটার ব্যবস্থাপনা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ শুরু হয়। ২০২৫ সালে ৪ জুন বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ দিয়ে সংস্কারের পর খেলা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলেও ঘরোয়া ফুটবলের খেলা এখনো সেখানে হয়নি। বিশেষ পরিস্থিতিতে বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডানের ম্যাচ জাতীয় স্টেডিয়াম আনতে বাধ্য হচ্ছে লিগ কমিটি।
আজকের মিটিংয়ে আরেকটি আলোচ্যসূচি ছিল প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ। গত আসরের সাত দলের সঙ্গে নতুন তিন দল খেলাঘর, চট্টগ্রাম সিটি ফুটবল ক্লাব, শুকতারা নারায়ণগঞ্জ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার অনুমতি পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ক্লাব শুকতারা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছে। অবনমন হওয়ার পর ফুটবল থেকে হারিয়ে যায়, আবার ফিরে আসছে দীর্ঘদিন পর।
এক সময় বাফুফে নিয়ম করেছিল নতুন ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলতে হলে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। সেখান থেকে সরে এখন ১৫ লাখ টাকা হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের দলবদল শুরু হওয়ার কথা। কমলাপুর, গাজীপুর, ফর্টিজ, বসুন্ধরার মাঠকে সম্ভাব্য অনুশীলন ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়েছে।

গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে আইন্ট্রখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। ক্যাম্প ন্যুতে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর জোড়া গোল করে স্বাগতিকদের জয় এনে দেন জুলস কুন্দে।
জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে তিন মিনিটের ঝড়ে জোড়া গোল করে বার্সাকে মূল্যবান তিনটি পয়েন্ট এনে দেন কুন্দে।
ম্যাচের ৫০তম মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের ক্রসে হেডে সমতা টানেন কুন্দে। মিনিট তিনেকের মধ্যেই আবারও তার ম্যাজিক। লামিনে ইয়ামালের ক্রসে আরেকটি হেডে ব্যবধান করেন ২-১।
ম্যাচ শেষে দ্বিতীয় গোল সম্পর্কে কুন্দে বলেন,
‘বক্সে ঢুকে দেখতে চেয়েছিলাম কী ঘটে। সত্যি বলতে আমিও একটু চমকে গেছি। তবে মাঝে মধ্যে কিছুটা ভাগ্যেরও দরকার হয়।’
ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করার আশা বাঁচিয়ে রাখল বার্সেলোনা।
৬ ম্যাচে ৩ জয়, এক হার ও দুই ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে হ্যান্সি ফ্লিকের দলের অবস্থান এখন পয়েন্ট টেবিলের ১৪ নম্বরে।
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার এবারের আসরে ৬ ম্যাচে এ নিয়ে চারবার হার দেখা ফ্রাঙ্কফুর্ট ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ৩০ নম্বরে আছে।

২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার চলতি আসরে বাতিলের খাতায়। মোহাম্মদ সালাহর অসহায়ত্ব সত্যিই দেখার মতো! ২০২৫-২৬ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ১৩ ম্যাচে মাত্র ৪টি গোল পেয়েছেন মিশরীয় তারকা। অথচ গত মৌসুমে একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে দ্বিগুণের বেশি গোল করেছেন তিনি।
কথা উঠেছে, ক্রমান্বয়ে সালাহর সঙ্গে দুরত্ব বেড়ে চলেছে কোচ আর্নে স্লটের। এক সময় কোচ-শিষ্যের মধুর সম্পর্ক থাকলেও তা ফাটলের দিকে। সুযোগটা কাজে লাগাতে মরিয়া সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল ইত্তিহাদ ও আল হিলাল।
গুঞ্জন, সালাহ পেতে বড় অঙ্কের অফার করেছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব। এমনকী গত দুই বছর ধরে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিশরের ফরোয়ার্ডকে পেতে। তবে তার আগে সালাহর মনোভাব বুঝতে চায় তারা। যদিও সালাহ মোটেও চান না, এই মুহূর্তে ইউরোপ ছাড়তে।
এসপিএলের ক্লাবগুলোয় আগে অভিজ্ঞ এবং ক্যারিয়ার অন্তিমলগ্নে থাকা ফুটবলারদের দিকে নজর দিত। এখন ইয়ং স্টারদের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফুটবলার হলেও টিনএজের ফুটবলার বেশি ভিড়াচ্ছে ক্লাবগুলো। সে বিবেচনায়, সৌদিতে সালাহর চাহিদা দিনকে দিন কমছে।
আল ইত্তিহাদ জানিয়েছে, ২০২৩ সালে তারা সালাহকে পেতে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে রাজি ছিল। যদিও চুক্তিটি ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষদিকে হওয়ায় দুপক্ষ সমঝোতায় যেতে পারেনি। তারচেয়েও বরং মিশরীয় তারকা আগ্রহ দেখাননি।
দলে অবস্থান এবং ট্রান্সফার ইস্যুতে সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছেন সালাহ। সেখানে তিনি বলেছেন,
‘আমি এই ক্লাবের (লিভারপুল) জন্য সবই করেছি। বিশেষ করে গত সিজনে সর্বোচ্চটা দিয়েছি। অথচ আমি বেঞ্চে, দলের বাইরে। জানি না কেন।’
সালাহ আরও বলেছেন,
‘মনে হচ্ছে, তারা আমাকে বাসের নিচে ফেলে দিল। সেটাই মনে হচ্ছে আমার কাছে। আমি একদমই পরিষ্কার যে, কেউ এখন চাচ্ছে আমাকের অপবাদ দিতে।’
সালাহর সঙ্গে সম্পর্ক দারুণ আর্নে স্লটের। এর আগে শিষ্যকে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। স্লট জানিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে। সালাহর গোলখরা নিয়েও খুব একটা ভাবেন না স্লট। অথচ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবই বদলে গেল। প্রিয় ছাত্র এখন বেঞ্চে।
সালাহ বলেছেন,
‘বহুবার বলেছি, তাঁর (স্লট) সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। কিন্তু আমি জানি না কেন আমি বেঞ্চে। কেউ একজন চাচ্ছে না আমি ক্লাবে থাকি।’
তিনি যোগ করেছেন,
‘গ্রীষ্মে আমি প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলাম, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি টানা তিন ম্যাচ বেঞ্চে বসে আছি। তাই বলতে পারি না যে তারা প্রতিশ্রুতি রেখেছে।’
কথা উঠেছে, রাগ প্রকাশ করায় ৩৩ বছর বয়সী সালাহকে ইন্টার মিলানের ম্যাচ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শাস্তি না হলেও ব্রাইটনের ম্যাচে তার খেলা অনিশ্চিত।
স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, সৌদি আরবের উচ্চপদস্থ ফুটবল কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক সালাহর এজেন্টের। সে হিসেবে একটা সময় সালাহ সৌদিতে যোগ দিতেও পারেন। এর জন্য অবশ্য সালাহর আগ্রহটাই প্রাধান্য। তিনি যখন চাইবেন, তখনই পা রাখবেন সৌদিতে।