
লম্বা সময় সামলাচ্ছেন আর্জেন্টিনার দায়িত্ব। লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে বদলে যাওয়া দলটি দুহাত ভরে কেবল সাফল্যই পাচ্ছে না, উপহার দিচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফুটবলও। সেই ধারায় ব্রাজিলকে উড়িয়ে দিয়ে সবার আগে লাতিন আমেরিকা থেকে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কোচ স্কালোনির আশা, নিজেদের খেলা উপভোগ করে এভাবেই এগিয়ে যাবে তার দল।
২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জয় দিয়ে শুরু হয় স্কালোনির কোচিংয়ের আর্জেন্টিনার সোনালি যুগের। কাতার বিশ্বকাপ জয়ে সেটা পায় পূর্ণতা। তবে সেখানেই না থেমে থেকে মেসি-আলভারেজরা এগিয়ে গেছেন সমানতালে। জিতেছেন আরেকটি কোপা আমেরিকাও। বাছাইয়ে ব্রাজিলকে বুধবারের ম্যাচে লিওনেল মেসি সহ কয়েকজন তারকা ছাড়াই যেভাবে ৪-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা, তা বলে দেয় দলটার ভিত কত মজবুত এখন।
আরও পড়ুন
| পরিকল্পনা কাজে না লাগানোর হতাশা ব্রাজিল কোচের |
|
দুর্দান্ত এক জয়ের পর স্কালোনি শোনালেন তৃপ্তির কথা। “আমি চাই ছেলেরা এই মুহূর্তটি উপভোগ করুক। আমরা জানি না এই সময়টা কতোটা স্থায়ী হবে, তবে একটা পর্যায়ে গিয়ে এটা একটা মোড় তো নেবেই। আশা করি এই ধারাটা দীর্ঘ সময় স্থায়ী হবে। সেই পর্যন্ত আমাদের উচিত এই ছেলেদের খেলা উপভোগ করা। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
হাইভোল্টেজ ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে হুলিয়ান আলভারেজের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৮ মিনিট পর লিড বাড়ান এনজো ফার্নান্দেস। বিরতির আগে ব্রাজিল ব্যবধান কমালেও ৩৭তম মিনিটে স্কোরলাইন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। আর দ্বিতীয়ার্ধে ৪-১ গোলের জয় নিশ্চিত করেন গুইলিয়ানো সিমিওনে। বাছাইয়ে ব্রাজিলের এটিই এখন সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড।
স্কালোনি মনে করেন, সব পরিস্থিতিতেই মানিতে পারে দল, আর এটাই গড়ে দিচ্ছে ব্যবধান। “এটা একটা দলগত জয়, কারণ আমরা একটা দল হিসেবে খেলেছি। আর সেই কারণেই আমরা ব্রাজিলকে বিপদের কারণ হতে দেইনি। এই ধরণের খেলোয়াড়দের বিপক্ষের জয়ের এটাই একমাত্র উপায়। আমার মনে হয় আমরা একটা দুর্দান্ত ম্যাচ খেলেছি। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, একেকটি দলকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হয়, সেটা জানা। এমন কিছু খেলা থাকবে, যেখানে আমাদের সংগ্রাম করতে হবে এবং কিছু ম্যাচ থাকবে, যেখানে আমরা সহজেই ফলাফল পাবো। আমাদের এটা দেখাতে হবে যে, আমরা ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলতে সক্ষম।”
দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিলে ১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান আর্জেন্টিনার।
আরও পড়ুন
| ‘২০১৩ সালে মেসি-রোনালদোর চেয়ে আমিই সেরা ছিলাম’ |
|
No posts available.
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৩৬ পিএম
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৩২ এম

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিটের উচ্চমূল্য নিয়ে সমালোচনার মুখে অবশেষে নতুন কমদামের টিকিট ক্যাটাগরি ঘোষণা করেছে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচের জন্য ৬০ মার্কিন ডলারের একটি বিশেষ টিকিট চালু করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত এই নতুন টিকিট ক্যাটাগরির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাপোর্টার এন্ট্রি টিয়ার’। ফিফা জানিয়েছে, ১০৪টি ম্যাচেই ফাইনালসহ—এই ৬০ ডলারের টিকিট পাওয়া যাবে। তবে টিকিটের সংখ্যা সীমিত থাকবে।
ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো নিজেদের জাতীয় দলকে অনুসরণ করতে আসা সমর্থকদের আরও ভালোভাবে সহায়তা করা। নতুন এই টিকিট মূলত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা দেশগুলোর সমর্থকদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। প্রতিটি জাতীয় ফুটবল ফেডারেশনের মোট টিকিট বরাদ্দের ১০ শতাংশ এই ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে।
এর আগে ইউরোপভিত্তিক সমর্থক সংগঠন ফুটবল সাপোর্টার্স ইউরোপ (এফএসই) বিশ্বকাপ ২০২৬-এর টিকিট মূল্যকে ‘অত্যধিক’ ও ‘আকাশছোঁয়া’ বলে সমালোচনা করে। তাদের দাবি ছিল, কাতার বিশ্বকাপ ২০২২-এর তুলনায় ২০২৬ সালের টিকিটের দাম প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। এমনকি তারা একে বিশ্বকাপের ঐতিহ্যের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও আখ্যা দেয়।
আরও পড়ুন
| এবারও পুসকাস অ্যাওয়ার্ড জিতলেন আর্জেন্টাইন তারকা |
|
তবে ৬০ ডলারের টিকিট ঘোষণার পরও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় এফএসই। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ফিফার এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলেও তা যথেষ্ট নয়। তাদের মতে, এটি মূলত বৈশ্বিক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রশমনের একটি কৌশল মাত্র।
এফএসই আরও বলেছে, প্রকাশিত বরাদ্দ অনুযায়ী প্রতি ম্যাচে ও প্রতি দলে সর্বোচ্চ কয়েকশ’ সমর্থকই এই সুবিধা পাবেন। বাকি বিপুল সংখ্যক দর্শককে আগের মতোই ইতিহাসের যেকোনো বিশ্বকাপের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে টিকিট কিনতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী সমর্থক ও তাদের সঙ্গীদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থার অভাব নিয়েও সমালোচনা করেছে সংগঠনটি।
এই ইস্যুতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও মন্তব্য করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, কম দামের টিকিট ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও ফিফার আরও এগোনো উচিত। তাঁর মতে, টিকিট এমন হওয়া দরকার যাতে প্রকৃত সমর্থকরা বিশ্বকাপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়েন।
ফিফা জানিয়েছে, জাতীয় ফুটবল সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন এই ৬০ ডলারের টিকিট প্রকৃত ও নিবেদিত সমর্থকদের মধ্যেই বরাদ্দ দেওয়া হয়। পাশাপাশি নকআউট পর্বের টিকিট কিনে দল বাদ পড়লে, রিফান্ডের সময় প্রশাসনিক ফি মওকুফ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
ফিফার দাবি, বিশ্বকাপ টিকিটের চাহিদা ইতোমধ্যেই রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি টিকিটের আবেদন জমা পড়েছে। সব ধরনের টিকিটের জন্য প্রথম ধাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ জানুয়ারি।

পুনেতে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচ খেলছিলেন জশস্বী জয়সওয়াল। গতকাল রাজস্থানের বিপক্ষে ম্যাচে মুম্বাইয়ের হয়ে খেলা এই ব্যাটার হঠাৎ তীব্র পাকস্থলির পীড়ায় আক্রান্ত হন। পরে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় ভারতীয় ব্যাটারকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন জানিয়েছে, অ্যাকিউট গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস-এর কারণে জয়সওয়ালকে অ্যাদিত্য বিরলা হাসপাতাল-এ ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ২৩ বছর বয়সী এই টপ অর্ডারের ব্যাটরের আল্ট্রাসাউন্ড ও সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাকে। আপাতত বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জয়সওয়ালকে।
মুশতাক আলি ট্রফিতে তাঁর দল মুম্বাই তিন উইকেটের জয় নিশ্চিত করে। এই প্রতিযোগিতার গ্রুপ বি এর ম্যাচে অজিঙ্কা রাহানের অপরাজিত ৭২ এবং সরফরাজ খানের ২২ বলে ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস রোমাঞ্চকর জয় পায় মুম্বাই। সরফরাজের ইনিংসে ছিল ৭টি ছয় ও ৪টি চার।
আরও পড়ুন
| হঠাৎ অসুস্থ স্মিথ, ভাগ্য খুলল খাজার |
|
মুম্বাইয়ের ৪১ রানের ওপেনিং জুটি শেষ হয় জয়সওয়াল আউট হলে। ২৩ বছরের এই ব্যাটার ১৬ বল খেলে ১৫ রান করেন। ব্যাট করার সময় বোঝা যাচ্ছিল, অস্বস্তি হচ্ছে তাঁর। খেলার শেষ দিকে যশস্বীর যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মুস্তাক আলি ট্রফিতে দারুণ ছন্দেই আছেন জয়সওয়ার। তিনটি ম্যাচে ১৪৫ রান করেছেন তিনি। ৪৮.৩৩ গড় ও ১৬৮.৬ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবে শরীরের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিযোগিতার পরের ম্যাচগুলিতে যশস্বীর খেলার সম্ভাবনা কম।
আপাতত ভারতের হয়েও জয়সওয়ালের খেলার নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাননি তিনি। জানুয়ারিতে নিউ জ়িল্যান্ডের বিপক্ষে এক দিনের ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলবে ভারত। এই সিরিজেও দলে না ফিরলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁর জায়গা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাতে একেবারে আইপিএলেই আবার মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে তাকে।

চোখধাঁধানো গোলে ফুটবল সমর্থকদের বিনোদনের খোরাক জোগানো ফুটবলারকে দেওয়া হয় বিশেষ স্বীকৃতি। পুরুষ ক্যাটাগরির সেরা গোলের পুরস্কার ‘পুসকাস অ্যাওয়ার্ড’। আর গত বছর থেকে নারীদেরকে আলাদা করে সেরা গোলের জন্য দেওয়া হচ্ছে ‘মার্তা পুরস্কার’।
সবশেষ গত মৌসুমে পুসকাস অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন আলেক্সান্দ্রো গার্নাচো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুর্দন্ত এক বাইসাইকেল কিকে গোল করে সেরা গোলের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এবারও এক আর্জেন্টাইন ফুটবলারের হাতে উঠল এই পুরষ্কার। আর্জেন্টাইন প্রিমেরা ডিভিশনের ক্লাব ইনডিপেন্ডিয়েন্টের উইঙ্গার সান্তিয়াগো সাংটিয়াগো মন্টিয়েল পেলেন সেরা গোলের পুরষ্কার।
২০২৫ সালের পুসকাস জয়ের দৌড়ে ছিলেন বার্সেলোনার লামিন ইয়ামাল ও আর্সেনালের ডেক্লান রাইসের মতো তারকা ফুটবলার। স্প্যানিওলের বিপক্ষে ইয়ামালের বাঁ পায়ের বাঁকানো শট এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে রাইসের ফ্রি-কিক সেরা গোলের আলোচনায় ছিল।
তবে সেরা গোলের মনোনয়ন পাওয়া ১১ জনের সবাইকে ছাপিয়ে যান মন্টিয়েল। ইনডিপেন্ডিয়েন্ট রিভাদাভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটি কর্নার হেডে ক্লিয়ার করে রিভাদাভিয়ার ফুটবলার। তবে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে যান মন্টিয়েল। এরপর বলের দিকে মুখ না ঘুরিয়ে, অসাধারণ এক ওভারহেড কিক করেন ২৫ বছর বয়সী উইঙ্গার। তাঁর ওই বাইসাইকেল শট ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি প্রতিপক্ষের গোলকিপার। ওই ম্যাচে মন্টিয়েলের গোলটিতেই ১-০ গোলে জয় নিশ্চিত হয় তাঁর ক্লাব ইন্ডিপেন্ডিয়েন্টের।
মেয়েদের বিভাগে বছরের সেরা গোলের পুরষ্কার জিতেছেন মেক্সিকোর মিডফিল্ডার লিজবেথ ওভালে। নারীদের ফুটবলে সর্বকালের সবচেয়ে দামী এই ফুটবলার পুসকাসের সমতুল্য মার্তা অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। মন্টিয়েলের মতো লিজবেথও ওভারহেড কিকে গোল করে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন। গত মার্চে মেক্সিকান লিগে গুয়াদালাজারা বিপক্ষে ম্যাচে টাইগ্রেসের হয়ে গোলটি করেন তিনি।

গত ১৩ মে এর ঘটনা। ইরাকের স্টার্স লিগে আল-হুদুদ ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচের আগে জাখোর সমর্থকেরা স্বরণীয় এক মুহূর্তের জন্ম দেন। গ্যালারি থেকে মাঠে নানা ধরনের প্রায় প্রায় ৩০ হাজার খেলনা ছুঁড়ে মারছেন দর্শকরা। পরে সেগুলো সংগ্রহ করে ওই অঞ্চলের অসুস্থ শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
মানবিক এই উদ্যোগ কেবল কুর্দিস্তান অঞ্চল নয় ক্রীড়াঙ্গনেই ব্যাপক সাড়া ফেলে। সম্প্রীতি, ঐক্য ও দৃঢ়তার মূল্যবোধকে আরও জোরদার করা জাখোর সমর্থকরা পেল ফিফার বেস্ট ফ্যান অ্যাওয়ার্ড। গতকাল রাতে ‘দা বেস্ট’ ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডসে এই স্বীকৃতি পায় ইরাকের ক্লাবটি।
ফিফার বেস্ট ফ্যান অ্যাওয়ার্ড জেতার পর ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের জাখো শহরজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক উদ্যাপন। এই সম্মান জাখো এসসি ও পুরো কুর্দিস্তান অঞ্চলের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রও পড়ুন
| পিএসজিকে হারিয়ে ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা পাচ্ছেন এমবাপে |
|
পুরস্কারের ঘোষণা আসার পরপরই জাখোর বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন। শিশু ও তরুণদের ধ্বনি-স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শহর। তাদের উচ্ছ্বাসে ফুটে ওঠে জাখো এসসির প্রতি গর্ব, ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন—যা ক্লাব ও সমর্থকদের গভীর সম্পর্কেরই প্রতিফলন।
ক্লাবের অধিনায়ক আহমেদ ইব্রাহিম বলেন, ‘শিশুদের সাহায্য করার জন্য মাঠে খেলনা নিক্ষেপ ছিল একটা দুর্দান্ত কাজ। আমাদের অঞ্চলে অনেক শিশু আছে যাদের চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন। এই ধরনের কাজ এবং ভক্তরা যে অর্থ উত্তলন করেন, তা ওই শিশুদের সহায়তা করে।’
২০১৬ সাল থেকে ফিফা বেস্ট ফ্যান অ্যাওয়ার্ডে বিশ্বের সেরা ক্লাবের সমর্থকদের স্বীকৃতির প্রচলন শুরু হয়। এই পুরষ্কার এমন ফুটবল সমর্থকদের জন্য, যাঁরা খেলার সীমা ছাড়িয়ে মানবিক দায়বদ্ধতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

শেষ পর্যন্ত জয় হলো কিলিয়ান এমবাপেরই। প্যারিস সেন্ট জামের্ইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফরোয়ার্ডের পক্ষে রায় দিল আদালত।
ফরাসি ক্লাবটি থেকে পাওনা বেতন উদ্ধারের লড়াইয়ে জিতলেন এমবাপে। প্যারিসের একটি শ্রম আদালত পিএসজি-কে নির্দেশ দিয়েছে তাদের সাবেক খেলোয়াড় এমবাপেকে ৬ কোটি ইউরো বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫২ কোটি টাকা বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে।
পিএসজি ছাড়ার পর থেকেই সাবেক ক্লাবের সঙ্গে রেষারেষি শুরু হয়ে যায় এমবাপের। গত নভেম্বরে প্যারিস শ্রম আদালতে দীর্ঘকাল ধরে চলা বিরোধের পর এমবাপ্পে তার প্রাক্তন ক্লাব থেকে ২৬৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে। এরপর পিএসজিও এমবাপের বিরুদ্ধে ‘মানহানি’র পাল্টা অভিযোগ করেছিল।
২৬ বছর বয়সী রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড এমবাপে এই নয়-আঙ্কের অর্থ দাবি করেছিলেন চুক্তি বিরোধ ও ক্লাবের অসদাচরণের প্রতিশোধ হিসেবে। তবে আদালত মঙ্গলবার শুধুমাত্র ওই পরিমাণের অর্থের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এমবাপেকে প্রদান করার রায় দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, এমবাপেকে প্রদত্ত অধিকাংশ অর্থ ছিল বোনাস, তাঁর বেতন নয়।
আরও পড়ুন
| তৃতীয় সারির দলের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে শেষ ষোলোতে বার্সা |
|
এমবাপের আইনজীবী ফ্রেডেরিক ক্যাসেরো এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এক বিবৃতি তিনি বলেন, ‘আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। বেতন না দেওয়ার পর এটি প্রত্যাশিত ফল। এই রায় নিশ্চিত করেছে যে, যেকোনো প্রতিশ্রুতি পূরণ করা আবশ্যক। এটি একটি সহজ সত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে: পেশাদার ফুটবল শিল্পেও শ্রম আইন সবার জন্য প্রযোজ্য। এমবাপ্পে সাত বছর ধরে তার ক্রীড়াগত ও চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব সতর্কতার সঙ্গে পালন করেছেন, শেষ দিন পর্যন্ত।’
শ্রম আদালতের এই রায়ের প্রতি পিএসজি সম্মান জানালেও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে কি না, তাৎক্ষনিকভাবে সে বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি পিএসজি।
এমবাপে ২০১৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পিএসজিতে ছিলেন। প্রথমে মোনাকো থেকে ধারে এবং পরে স্থায়ীভাবে ফরাসি ক্লাবটিতে যোগ দিয়ে ১৫টি ট্রফি জিতেছেন। ২৬ বছর বয়সী এই তারকা পিএসজির ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৩০৮ ম্যাচে ২৫৬ গোল করেন তিনি, যার মধ্যে শেষ মৌসুমে ৪৮ ম্যাচে তাঁর গোল সংখ্যা ছিল ৪৪।