
ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ লড়াই করলেও, ওয়েলিংটনে প্রথম ইনিংসে আবার মুখ থুবড়ে পড়ল তারা। ক্যারিবিয়ানদের অলআউট করে দারুণ অবস্থানে এখন নিউ জিল্যান্ড।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৪ রান। আপাতত ১৮১ রানে পিছিয়ে তারা। এর আগে নিজেদের ইনিংসে ২০৫ রানে গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
উইকেটকিপার-ব্যাটার মিচেল হে ও ডানহাতি পেসার মাইকেল রাইয়ের অভিষেক করায় নিউ জিল্যান্ড। আর সব মিলিয়ে দুই দলে পরিবর্তন মোট ৮টি। অভিষেকে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাই। আরেক পেসার ব্লেয়ার টিকনারের শিকার ৪ উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো শুরু পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৬ রান যোগ করেন জন ক্যাম্পবেল ও ব্রেন্ডন কিং। ৩৩ রান করে কিং ফিরলে ভাঙে এই জুটি। আরেক ওপেনার ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
আরও পড়ুন
| ইচ্ছাকৃত স্টাম্পিং ছাড়া, ‘ট্যাকটিক্যাল’ আউট ও ১ রানে হার- সাকিবের দলের ম্যাচে যত ঘটনা |
|
চতুর্থ উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন শাই হোপ ও রস্টোন চেজ। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা হোপের ব্যাট থেকে এবার আসে ৪৮ রানের ইনিংস। আর চেজ আউট হন ২৯ রান করে।
এরপর ছোটখাটো ধসে অলআউট হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। মাত্র ২২৯ রানে শেষের ৬ উইকেট হারায় তারা।
উইন্ডিজের ইনিংসের শেষ দিকে বাউন্ডারি ঠেকাতে গিয়ে কাঁধের চোটে পড়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন নিউ জিল্যান্ডের সফলতম বোলার টিকনার।
দিনের শেষ ভাগে ব্যাট করতে নেমে ৯ ওভারে কোনো উইকেট পড়তে দেননি টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ে। লাথাম ৭ ও কনওয়ে ১৬ রানে নতুন দিন শুরু করবেন।
No posts available.
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম

দুর্নীতির অভিযোগে চার ক্রিকেটারকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে ভারতের আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। গতকাল শুক্রবার অমিত সিনহা, ইশান আহমেদ, আমান ত্রিপাঠি ও অভিষেক ঠাকুরি- এই চারজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় সংস্থাটি।
২০২৫ সালের সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চার ক্রিকেটারের নামে রাজ্য পুলিশের অপরাধ শাখায় এফআইআরও দায়ের করেছে এসিএ। অভিযুক্ত চারজনই বিভিন্ন সময়ে আসামের হয়ে খেলেছেন।
এসিএর অভিযোগ, ওই চার ক্রিকেটার টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া আসামের কয়েকজন খেলোয়াড়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন এবং দুর্নীতিতে জড়াতে উসকানি দেন।
এসিএর সম্পাদক সনাতন দাস জানান, অভিযোগ সামনে আসার পর বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (এএসসিইউ) বিষয়টি তদন্ত করে। একই সঙ্গে ফৌজদারি প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে গুরুতর অসদাচরণে সংশ্লিষ্টদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
চলতি মৌসুমে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির লিগ পর্বের ম্যাচগুলো হয় ২৬ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে সুপার লিগ পর্ব, টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ১৮ ডিসেম্বর।
নিষেধাজ্ঞার সময়কালে অভিযুক্ত চার ক্রিকেটার এসিএ পরিচালিত কোনো রাজ্য পর্যায়ের টুর্নামেন্ট বা ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না। পাশাপাশি জেলা সংস্থা বা সংযুক্ত ক্লাবের কোনো ক্রিকেট কার্যক্রমেও তাঁরা যুক্ত থাকতে পারবেন না।

তিনি যতটা না দৌড়েছেন, তার চেয়েও বেশি চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডের টি-টোয়েন্টি লিগে বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বয়ে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
ম্যাচে এডওয়ার্ডস ৮১টি বল মোকাবিলা করেছেন, যাতে ছিল ২৩টি ছক্কা ও ১৪টি চার। তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ২৮২।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সাব-অর্বস চার্চেস অ্যান্ড কমিউনিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডে ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এডওয়ার্ডস।
উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে ম্যাচটি স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল না। ফলে ২০১৩ আইপিএলে ক্রিস গেইলের খেলা ১৭৫ রানের ইনিংসই টি-টোয়েন্টিতে এখনো সর্বোচ্চ।
এদিন ২৩ বলে ফিফটি করেন এডওয়ার্ডস। ১১তম ওভারে করেন সেঞ্চুরি, ১৭তম ওভারে ছুঁয়ে ফেলেন ১৫০। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২২৯ রানে, আর দলের স্কোর দাঁড়ায় ৩০৪ রান।
রান তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং থামে ১১৮ রানে।

বড় জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু করল ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৩৪ রানে হারিয়েছেন আয়ুষ মাত্রেরা।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪৩৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ৭ উইকেটে ১৯৯ রানে থামে আমিরাতের ইনিংস।
এদিন দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৪ রান করে আউট হন আয়ুষ মাত্রে। এরপরের গল্প শুধুই বৈভব সূর্যবংশী-এর। মারমুখী ভঙ্গিতে চড়াও হতে থাকেন আরব আমিরাতের বোলারদের ওপর। ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের ৫০ রানের মধ্যে সেঞ্চুরি করতে ১৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার খেলেন মাত্র ২৬ বল।
৫৬ বলে শতক ছুঁয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সূর্যবংশী। ৮৪ বলে দেড়শো পেরিয়ে যান এই বাঁহাতি। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯৫ বলে ১৭১ রানে থামেন।
সূর্যবংশীর ইনিংসে ছিল ৯টি চার, ১৪টি ছয়। যুব ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে আজ সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন সূর্যবংশী। ২০০৮ সালে ১২ ছয় মারা নামিবিয়ার ব্যাটার মাইকেল হিল-এর রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। সূর্যবংশী ছাড়িয়ে গেছেন শুবমান গিল, শিখর ধাওয়ান এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল-এর রেকর্ড।
সূর্যবংশীর বিধ্বংসী ইনিংসের সঙ্গে আরও দুই ব্যাটারের ফিফ্টিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত।
জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আমিরাত। ১৪তম ওভারে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ষষ্ঠ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন পৃথ্বী মাধু ও উদিশ সুরি। মাধু ৫০ রানে ফিরলেও ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সুরি। এই দুজনের নৈপুণ্যে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা পায় আমিরাত।

বয়স ৪৩ পেরিয়ে ৪৪ বছরের পথে। তারপরও পেশাদার ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। আগামী মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি।
শৈশবের ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারে অধিনায়কত্ব করবেন অ্যান্ডারসন। গত মৌসুমে দুইবার অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। কিটন জেনিংসের পদত্যাগের পর এবার অ্যান্ডারসনকে স্থায়ীভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছে ক্লাবটি।
২০২৪ সালে ৭০৪ টেস্ট উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান অ্যান্ডারসন। তবে নিজের শেকড় ল্যাঙ্কাশায়ারে খেলা থামাননি। ২০০২ সালে শুরু হওয়া তার ল্যাঙ্কাশায়ার ক্যারিয়ার এখনো চলছে। গত মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।
অধিনায়কত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যান্ডারসন বলেন,
‘ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়ক হওয়া বিশাল সম্মানের। আমাদের দলে অভিজ্ঞতা ও তরুণদের দুর্দান্ত মিশেল আছে। লক্ষ্য একটাই- প্রথম ডিভিশনে ফেরার লড়াইয়ে সফল হওয়া।’
২০২৬ সালের ৩ এপ্রিল ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযান শুরু করবে।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ২৯৭ রানের রেকর্ড রান ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দুবাইয়ে সামির মিনহাজ ও আহমেদ হুসাইন সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩৪৫ রান তোলে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
৩৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আলি রাজা ও মোহাম্মদ সায়্যামের তোপ দাগানো বোলিংয়ে মাত্র ৪৮ রানে গুটিয়ে যায় মালয়েশিয়া। যুব ওয়ানডে ইতিহাসে এটি তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। রানের দিক থেকে পাকিস্তান পেল নিজেদের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়, সব দল মিলিয়ে যুব ওয়ানডেতে সপ্তম।
মালয়েশিয়ার ব্যাটারদের ইনিংস ছিল ১১ ডিজিটের মোবাইল নম্বর! কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। তাঁদের ইনিংসগুলো—০, ৫, ৪, ৯, ৫, ৭, ৯, ২, ০, ১ ও ০। পাকিস্তানের দুই পেসার আলি রাজা ও মিনহাজ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৯.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় মালয়েশিয়া।
সেভেনহি সেভেনস স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মালয়েশিয়ার অধিনায়ক দিয়াজ পাত্র। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল হতাশার। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানে ফেরেন ওপেনার উসমান খান (১)।
পাকিস্তানের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে দশম ওভারে টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার আলি হাসান বালুচকেও (১৪) ফেরান পেসার নাগিনেস্বরন সাথনাকুমারান। পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান তোলে পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেটে মিনহাজ ও আহমেদের ২৩৪ বলে ২৯৩ রান জুটিতে পাকিস্তান গড়ে ৩৪৫ রানের পাহাড়সম স্কোর।
১৪৮ বলে ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার মিনহাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা। ১১৪ বলে ১৩২ রান করেছেন আহমেদ। মেরেছেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কা।