১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১:২২ পিএম
গত বৃহস্পতিবার ৭ গোলের রোমাঞ্চ হেরে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের স্বপ্ন কার্যত শেষ বাংলাদেশের। হাতে থাকা তিন ম্যাচের সবকটিতে পয়েন্ট চাই জামাল ভূইয়াদের। তারপর সমীকরণ মিলবে কি না নিশ্চিত নয়। তবে বাংলাদেশের লক্ষ্য স্রেফ ম্যাচ জয়ে।
তিন চ্যালেঞ্জের প্রথমটি আজ। পাঁচ দিনের ব্যবধানে হংকং, চায়নার বিপক্ষে ফের মাঠে নামছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। হংকংয়ের কাই তাক স্পোর্টস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় গড়াবে ম্যাচটি। সরাসরি দেখা যাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে।
গত বৃহস্পতিবার দুই দলের মধ্যকার বাছাইয়ের প্রথম লেগে ৩-৪ গোলে হার বাংলাদেশ। স্কোরলাইন ৩-১ থেকে ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে ৩-৩ সমতায় ফিরেছিল লাল সবুজেরা। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আবার গোল হজম করে হতাশার পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হামজা চৌধুরী, জামাল, তপুদের।
ফিফা র ্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৩৮ ধাপ এগিয়ে থাকা হংকংয়ের বিপক্ষে কখনও জেতেনি বাংলাদেশ। মোট পাঁচবারের মোকাবিলায় একবারই কেবল ড্র-য়ের সাফল্য ধরা দিয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার জয় না হোক অন্তত ড্র হলেও ভালভাবে টিকে থাকত বাংলাদেশের এশিয়ান কাপের স্বপ্ন।
বাছাইয়ে এটি হবে দুই দলেরই চতুর্থ ম্যাচ। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে হংকং। সমান ম্যাচে দুই হার ও এক ড্রয়ে ১ পয়েন্ট পেয়ে টেবিলের তলানিতে বাংলাদেশ।
এখান থেকেই নতুন স্বপ্ন দেখাতে চান বাংলাদেশ কোচ কাবরেরা। গতকাল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'একই লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবো এবং জানি যে সামনে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের তিন পয়েন্ট পেতেই হবে। আর গত ম্যাচের শেষটা সত্যিই কঠিন ছিল সামলানো। তবে আমরা খেলোয়াড়দের যেভাবে বার্তা দিয়েছি, সেটা খুব স্পষ্ট : যাই হোক না কেন, আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, যেতে হবে, যেতে হবে।'
আগের ম্যাচে কাবরেরার মূল একাদশ নিয়ে হয় সমালোচনা। গোলকিপার মিতুল মারমাও ভুল করেন ম্যাচে। যে কারণে গতকালের সংবাদ সম্মলনে তাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে আবাহনী গোলকিপারের পাশে দাঁড়ালেন কাবরেরা— তার ওপর আজও আস্থা রাখছেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ এই কোচ, 'পারফরম্যান্সের দিক থেকে মিতুল আমার মতে শীর্ষে। সে খুবই নির্ভরযোগ্য এবং ধারাবাহিক, বিশেষ করে বল বিল্ড-আপ বা আক্রমণে সাহায্য করার ক্ষেত্রে। আমাদের জন্য সে একজন অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের মতো। গোলপোস্টে সে সবসময় নিরাপদ। আমরা মিতুল মারমার পারফরম্যান্স এবং মান নিয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।'
কাবরেরা আত্মবিশ্বাসী তার দল নিয়ে। যে যার জায়গায় সবটুকু উজার করে দিতে প্রস্তুত হামজা, তপু, জামালরা। বাংলাদেশ কি পারবে হতাশা কাটিয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে আনতে?
No posts available.
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে
হংকং, চায়নার বিপক্ষে ফিরতি লেগেও জয়বঞ্চিত বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে
সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে হাভিয়ের কাবরেরার দলকে। হংকংয়ের কাই তাক স্পোর্টস পার্কে আজ ম্যাচ
ঘড়ির ৩৬ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা, ৮৪ মিনিটে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। একের পর এক সুযোগ
নষ্টের কারণে ১-১ ড্র নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে জামাল ভূঁইয়াদের।
ম্যাচ শেষে সম্প্রচার চ্যানেলকে কাবরেরা বলেন,
‘খুবই টাইট একটা ম্যাচ হয়েছে। আমরা জানতাম শুরু থেকেই এটি খুব কঠিন হবে। বিশেষ করে প্রথম কয়েক মিনিট মাঠের অবস্থা আর দর্শকদের আবহের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়েছিল। আমি মনে করি, বাংলাদেশ আবারও দুর্দান্ত খেলেছে। স্বাভাবিকভাবে আমার মনে হচ্ছে, আমরা ৩ পয়েন্ট পাওয়ার যোগ্য ছিলাম। কিন্তু এই উইন্ডো শেষ করেছি এক পয়েন্ট নিয়ে। তবে পয়েন্টের হিসাবের বাইরে গিয়ে বললে, ম্যাচটি খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল।’
এদিন একটা পর্যায়ে ১০ জনের
দলে পরিণত হয় হংকং, চায়না। সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। বেশকিছু সহজ সুযোগ
মিস করে সফরকারীরা। এতে এশিয়ান কাপে খেলার আশাও শেষ লাল-সবুজ দলের। তারপরও কাবরেরা
মনে করেন, জয়টা তার দলেরই প্রাপ্য ছিল।
তিনি বলেন,
‘দ্বিতীয়ার্ধেও আমরা প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করেছি। আমার মনে হয়, আমরাই জয়ের দাবিদার ছিলাম। আমাদের দলের পরিচয় এখন স্পষ্ট। দলটা ক্রমাগত উন্নতি করছে। যখন মনে হয়েছিল আগের ম্যাচের পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে যাওয়া কঠিন, তখনও ছেলেরা ভালো ফুটবল খেলেছে। বিশেষ করে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সত্যিই মানসম্পন্ন ফুটবল খেলেছি।’
সর্বোপরি ভক্তদের প্রতি অনুরোধ করে কাবরেরা বলেন,
‘আমরা আবার বলব, বিশ্বাস রাখুন। এই বিশ্বাসের পথটা সার্থক। আমরা সবাই একই লক্ষ্যে একতাবদ্ধ। আমরা জানি আমরা খুব ভালো খেলছি, পারফর্ম করছি, কিন্তু তিন পয়েন্টটাই আমাদের অভাব। একবার সেই তিন পয়েন্ট আমরা পেলে নিশ্চিতভাবেই পরবর্তী ধাপে পৌঁছাতে পারব। আশা করি, ভারতের বিপক্ষে পরের ম্যাচেই সেটা হবে।’
হংকং,
চায়নার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার পর অনেক যদি-কিন্তুর ওপর টিকে ছিল বাংলাদেশের ভাগ্য।
তবে সিঙ্গাপুরের কাছে ভারতের পরাজয়ে নিশ্চিত হয়ে গেল বাংলাদেশের বিদায়। এএফসি এশিয়ান
কাপ বাছাই থেকে মূল পর্বের টিকেট পাওয়া হবে না হামজা চৌধুরি, জামাল ভূঁইয়াদের।
বাংলাদেশের
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরকে স্বাগত জানায় ভারত। ম্যাচের ১৪ মিনিটে গোল
করে এগিয়ে গেলেও, শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় তারা। সিঙ্গাপুরের হয়ে জোড়া গোল
করেন সং উই-ইয়ং।
বাছাইয়ের
'সি' গ্রুপে চার ম্যাচে ভারত ও বাংলাদেশের নামের পাশে সমান ২ পয়েন্ট। তাদের পক্ষে আর
হংকং, চায়না বা সিঙ্গাপুরকে টপকে গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করা সম্ভব নয়।
এই
গ্রুপ থেকে মূল পর্বের লড়াই এখন মূলত হংকং, চায়না আর সিঙ্গাপুরের মধ্যে। দুই দলই ৪
ম্যাচে পেয়েছে ৮ পয়েন্ট। সামনে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামার কথা তাদের। সেই ম্যাচেই নির্ধারণ
হয়ে যেতে পারে, সি গ্রুপ থেকে মূল পর্বে যাওয়া দলের নাম।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের
ফিরতি লেগে পিছিয়ে পড়ার পর রাকিব হোসেনের গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এরপর অপেক্ষা ছিল
জয়সূচক গোলের। ১০ জনের হংকং, চায়নার বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত গোল আদায় করতে পারেনি লাল সবুজেরা।
শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় হাভিয়ের কাবরেরার দলকে।
জাতীয় দলের জার্সিতে রাকিবের
গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৬। দেশের জার্সিতে সমপরিমাণ গোল করেছেন শেখ মোরছালিন ও তপু বর্মন।
হংকংয়ের বিপক্ষে গোলের পর রাকিব কৃতিত্ব দিয়েছেন সতীর্থদের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন,
‘বাংলাদেশের জার্সি পরাটাই অনেক গর্বের। আজকে জার্সি পরতে পেরেছি, দেশের হয়ে গোল করতে পেরেছি— আসলে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে। আমার এবং দলীয় প্রচেষ্টায় আজ গোলটা করতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ।’
রাকিব জানিয়েছেন, শেষ ১৫ দিন তারা যে কষ্ট করেছেন, তার সুফল পেয়েছেন। তিনি বলেন,
‘শেষ ১৫ দিন আমরা অনেক কষ্ট করেছি। এটা সেই কষ্টের ফল। আমরা ম্যাচটা অনেক ভালো খেলেছি। প্রতিটা খেলোয়াড় অনেক পরিশ্রম করেছে। যার কারণে ম্যাচটা ড্র করতে পেরেছি।’
হংকংয়ের বিপক্ষে ড্রয়ের
পরও আক্ষেপ রাকিবের। গোলমুখে কিছু ভুল না হলে দল জিততে পারত বলে মনে করেন অভিজ্ঞ এই
ফুটবলার। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকের ম্যাচটা জিততে পারতাম। কিন্তু অনেক সুযোগ
নষ্ট করেছি।’
১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের যে কোনো ম্যাচ মানেই মাঠের বাইরের উত্তেজনা। ইতালিতে মঙ্গলবার তাদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে স্টেডিয়ামের বাইরে রয়েছে প্রো-ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ। স্টেডিয়ামের বাইরে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করছে প্রায় দশ হাজার মানুষ।
এই ম্যাচ ঘিরে উত্তর-পূর্ব ইতালির শহর উদিনে পুরো শহরজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে। স্নাইপার মোতায়েন করা হয়েছে ইসরায়েল টিম হোটেলের ছাদে।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে খেলা। এরই মধ্যে ম্যাচটি সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতালির উদিনের ব্লুনার্জি স্টেডিয়ামে স্টেডিয়ামের ছাদেও মোতায়েন থাকবে স্নাইপার।
পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল পুলিশ ও সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলের টিম বাসকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হবে। বন্ধ রাখা হয়েছে বেশ কিছু দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ। যেসব দোকানপাট খুলেছে তাদের জন্য দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা।
উদিনে গত বছরও ইতালি-ইসরায়েল ম্যাচ হয়েছিল। ওই ম্যাচের আগে প্রো-ফিলিস্তিন বিক্ষোভ হয়েছিল, যেখানে অংশ নিয়েছিল প্রায় এক হাজার মানুষ। ম্যাচের জন্য এই শহরটি বেছে নেওয়া হয়েছে মূলত এর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে।
স্লোভেনিয়া সীমান্তের কাছে তুলনামূলকভাবে বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ সহজ। স্টেডিয়ামের আশপাশে ব্যারিকেড বসিয়ে এলাকাটিকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
২৫ হাজার আসনবিশিষ্ট ব্লুনার্জি স্টেডিয়ামে মাত্র ৯ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্টেডিয়ামে দর্শকের সংখ্যা বিক্ষোভকারীদের চেয়ে কম হতে পারে।
শুধুমাত্র টিকিটধারী দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে এবং প্রত্যেককেই কঠোর তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
গ্রপ 'আই'য়ে ৬ ম্যাচের সবকটি জিতে প্রথম স্থানে রয়েছে নরওয়ে। ৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইতালি। ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ইসরায়েল। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে এস্তোনিয়া। ৫ ম্যাচে কোন পয়েন্ট পেয়ে পঞ্চম স্থানে মলদোভা।
হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমদের আগমনে বদলে গেছে দেশের ফুটবল। বছরখানেক আগেও দেশের ফুটবলপ্রেমীরা বুঁদ ছিল লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোতে। সেখানে নতুন সুখের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলাররা। প্রিমিয়ার লিগ কিংবা কানাডিয়ান লিগে খেলা হামজা-শমিতদের কল্যাণে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষেও টক্কর দিচ্ছে বাংলাদেশ।
বলার অপেক্ষা রাখে না, আগের চেয়েও জমজমাট এশীয় অঞ্চলের ফুটবল। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে সেটা ভালোভাবেই পরিলক্ষিত। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ কিংবা হংকং, চায়নার বিপক্ষে জামাল ভূঁইয়াদের ম্যাচ বরাবরই উপভোগ্য। মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি ও টিকিট নিয়ে হাহাকারই সেটার সাক্ষ্য দেয়।
এশিয়ান ফুটবলে এমন জাগরণে বেশ উচ্ছ্বসিত হামজা চৌধুরী। লেস্টার সিটির অধিনায়ক আজ হংকংয়ের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচ শেষে এ নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘দারুণ, একেবারে উঁচুমানের অভিজ্ঞতা। ইংল্যান্ডে খেলেছি, কিন্তু এখানকার এই স্টেডিয়ামটিও (কাই তাক স্পোর্টস পার্ক) সম্ভবত সেরাদের মধ্যে একটি। পরিবেশটা অসাধারণ, গোলপোস্টের পেছনে থাকা সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখলেই বোঝা যায়, তারা কতটা দুর্দান্ত।’
হামজা আরও যোগ করেন, ‘এটাই তো ফুটবলে চাই, বিশেষ করে এশিয়ায়। এই খেলাটা আরও বড় হোক, বিশ্বমঞ্চে জায়গা পাক। এজন্য ধন্যবাদ জানাই হংকংয়ের সমর্থকদের। অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশি সেই সমর্থকদেরও, যারা এখানে পর্যন্ত ভ্রমণ করে এসেছে।’
৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার কাই তাক স্পোর্টস পার্কে মুখোমুখির আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছিলেন, ‘খেলার সময় দর্শকদের উপস্থিতি তেমন একটা টের পাওয়া যায় না। কারণ, তখন শরীরে অ্যাড্রেনালিনের (বিশেষ হরমোন) মাত্রা অনেক বেশি থাকে। ফলে মনোযোগ থাকে পুরোপুরি খেলায়।’
আজ পুরোপুরি খেলাতেই মনোযোগ ধরে রেখেছিল সফরকারীরা। তবে ৩৪ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে তারা। পরে ৮৪ মিনিটে ফেরে সমতায়। একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে ১-১ ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে। এশিয়ান কাপে খেলার আশা প্রায় শেষই বলা যায়।
এ নিয়ে খানিকটা অসন্তুষ্ট হামজা, ‘আজ হংকংয়ের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও একটা সময় সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। পরে আমাদের সামনে আবারও কিছু তৈরি করার মতো ভিত্তি তৈরি হয়েছে। তবে দিন শেষে একটু হতাশা রয়ে গেল।’