
টি ব্রেকের পর বোলিংয়ে ফিরলেন মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় বলে তাকে উচ্চাভিলাষী ড্রাইভের চেষ্টা করলেন হ্যারি ব্রুক। বল তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে গেল স্লিপে। মাথার ওপরের উচ্চতার বল ক্যাচ নিলেন স্টিভেন স্মিথ। আর নতুন কীর্তি গড়লেন স্টার্ক।
টেস্ট ইতিহাসে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল এখন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামকে ছাড়িয়ে বাঁহাতি গতিময় বোলারদের মধ্যে সবার ওপরে উঠে গেছেন ৩৬ ছুঁইছুঁই পেসার।
ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে স্টার্কের নামের পাশে ৪১৫ উইকেট। এত দিন ৪১৪ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সবার ওপরে ছিলেন ওয়াসিম। তাকে টপকে এখন এই তালিকার চূড়ায় উঠেছে স্টার্ক।
আরও পড়ুন
| কিংবদন্তি বোলারকে ১৪ বছর পর বাদ দিল অস্ট্রেলিয়া |
|
তবে ইনিংসের হিসেবে স্টার্কের চেয়ে এগিয়েই অবশ্য ওয়াসিম। পাকিস্তানি কিংবদন্তি ৪১৪ উইকেট নিয়েছিলেন ১০৪ ম্যাচের ১৮১ ইনিংসে। বিপরীতে ৪১৫ উইকেট পেতে ১০২ ম্যাচে ১৯৫ ইনিংসে বল করেছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার।
গ্যাবায় দিবারাত্রির টেস্টে প্রথম ওভারেই বেন ডাকেটকে ফেরান স্টার্ক। পরের ওভারে অলি পোপকে বোল্ড করে ওয়াসিমের সমান হন বাঁহাতি এই পেসার। আর দ্বিতীয় সেশনে ফিরে পাকিস্তানি কিংবদন্তিকেও ছাড়িয়ে যান তিনি।
উইকেটসংখ্যায় ওয়াসিমকে ছাড়িয়ে এখন বাঁহাতি বোলারদের মধ্যে সেরা হওয়ার পথে স্টার্ক। ৯৩ টেস্ট ও ১৭০ ইনিংসে ৪৩৩ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি বোলারদের তালিকায় সবার ওপরে শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো তাকে টপকে যাবেন স্টার্ক।
No posts available.

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে মিরপুর শেরে বাংলায় প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছে ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। অদম্য ও অপরাজেয়— এ দুই দলের মধ্যে হবে ম্যাচটি।
অদম্য দলকে নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, আর অপারেজয় দলকে টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, শান্ত-মিরাজদের এই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস প্রাপ্তির চেষ্টা চলছে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস।
অদম্য দলের কোচ হিসেবে থাকছেন স্থানীয় দেশের স্বনামধন্য কোচ সোহেল ইসলাম। ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকবেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ইশতিয়াক সাদেক। মেন্টরের ভূমিকায় থাকবেন জাতীয় দলের সাবেক অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অপরাজেয় বাংলার কোচ হিসেবে থাকছেন স্থানীয় কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকছেন ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) সাবেক পরিচালক শেহজাদ মুনিম। মেন্টরের দায়িত্বে থাকবেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
অপরাজেয় দল:
পারভেজ হোসেন ইমন, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারি, তানজিম হাসান সাকিব, নাসুম আহমেদ, নাহিদ রানা ও সাকলাইন সজিব।
অদম্য দল:
মেহেদী হাসান মিরাজ, হাবিবুর রহমান সোহান, তানজিদ তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আফিফ হোসেন, আকবর আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদ, তানভির ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকার।

অদ্ভুত এক ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশে। পিচের গর্তের কারণে পরিত্যক্ত হলো অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স ও হোবার্ট হারিকেন্সের নারী বিগ ব্যাশ লিগের ম্যাচ। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে ম্যাচ বাতিল হওয়ার কারণ ব্যাখা করেছে অ্যাডিলেড।
ঘটনাটি ঘটে অ্যাডিলেডের ক্যারেন রল্টন ওভালের মাঠে। ইনিংস বিরতির সময় পিচ রোল করা হচ্ছিল। ঠিক তখনই অ্যাডিলেডের ফিল্ডিং ওয়ার্ম-আপের একটি বল গড়িয়ে রোলারের নিচে ঢুকে পড়ে।
পিচের অবস্থা দুই দলের জন্য সমান না থাকায় ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়াররা আলোচনা করে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। দুই অধিনায়কও সিদ্ধান্তে সম্মত হন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স। তবে হারিকেন্সের ইনিংস শুরু করার আগেই বাতিল গেল ম্যাচটি। টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে হারিকেন্স। ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট তাঁদের।
ম্যাচ বাতিল হওয়ায় কঠিন সমীকরণের সামনে অ্যাডিলেড। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে নিজেদের শেষ ম্যাচে হারাতে হবে সিডনি সিক্সার্সকে। ৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে অ্যাডিলেড।

ময়মনসিংহে শুরু হয়েছে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। রাউন্ড–রবিন পদ্ধতিতে এ খেলায় প্রতিটি দলই মুখোমুখি হবে অন্য দলের বিপক্ষে। এতে মোট অনুষ্ঠিত ৫৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিন হবে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে বেলুন উড়িয়ে এ লিগের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় থানাঘাট স্পোর্টিং ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথমে ব্যাটিং করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৪৩ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে থানাঘাট স্পোর্টিং ক্লাব ৪২.৪ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান করে জয় লাভ করে।
ম্যাচসেরা হয়েছেন থানাঘাট স্পোর্টিং ক্লাবের সালমান।
আয়োজকরা জানান, লিগে ১১টি দল অংশ নিয়েছে, যেখানে মোট ৫৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসাদুজ্জামান।

১৪ বছর বয়সেই ভারতের সবচেয়ে বেশি খোঁজ করা ব্যক্তিত্ব হয়েছেন বৈভব সূর্যবংশী। গুগলের ‘ইয়ার ইন সার্চ ২০২৫’–এ দেখা গেছে, এ বছর ভারতজুড়ে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে এই কিশোর ক্রিকেটারকে। আইপিএল, ভারত ‘এ’ দলের ম্যাচ ও সৈয়দ মুসতাক আলি ট্রফিতে টানা দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আলোচনায় আসেন তিনি।
১২ বছর বয়সে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেকের পর থেকেই যেন শুরু সূর্যবংশীর রূপকথার পথচলা। তারপর আইপিএলে ঝড়, ভারত ‘এ’ দলে চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স, ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড, একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়ে গেছেন। গুগলের তালিকায় তাঁর সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন প্রিয়ানশ আর্যা, অভিষেক শর্মা, শায়েক রশিদ, অয়ুশ মাথারে ও জেমিমাহ রদ্রিগেজ।
২০২৫ আইপিএলের মূল মঞ্চেই সবচেয়ে বড় উত্থান সূর্যবংশীর। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে মাত্র ৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলে ইতিহাস গড়েন তিনি। ৩৫ বলে শতক—আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম, আর ভারতের কোনো ব্যাটারের দ্রুততম। সাত চার আর ১১ ছয়ে সাজানো সেই ইনিংস রাতারাতি এই বাঁহাতি ব্যাটারকে পরিচিত করে তোলে ক্রিকেটপ্রেমিদের কাছে।
তারপর কাতারে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে আমিরাতের বিপক্ষে ৩২ বলে সেঞ্চুরিতে আবারও চমকে দেন ক্রিকেটবিশ্বকে। ৪২ বলে ১৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ১১ চার ও ১৫ ছয়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বাউন্ডারি মারার ইনিংসগুলোর একটি।
এক মাস পর সৈয়দ মুসতাক আলি ট্রফিতেও থামেননি সূর্যবংশী। বিহারের হয়ে মহারাষ্ট্রের বিপক্ষে ৫৮ বলে অপরাজিত ১০৮ রান করে টুর্নামেন্ট ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী সেঞ্চুরিয়ান হন বৈভব। এটি ছিল তাঁর তৃতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। কিশোর বয়সে তিন টিটোয়েন্টি সেঞ্চুরির নজির এর আগে ছিল না কারও।

ব্রিসবেনে দিবা-রাত্রির টেস্ট ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ ৩৭৮ রান করে রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। এদিন অন্তত পাচঁটি ক্যাচ মিস করেছে সফরকারীরা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড় লিডের পথে স্বাগতিকেরা।
আজ অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ৩৩৪ রানের জবাবে ৪৪ রানের লিড নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৭৮ রান। তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন অ্যালেক্স ক্যারি (৪৬*) ও মাইকেল নেসার (১৫*)।
এদিন ৯ উইকেটে ৩২৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার জো রুট ও জফরা আর্চার মিলে যোগ করেন ৯ রান। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে আর্চার ফেরার পর ভাঙে রুট-আর্চারের দশম উইকেটে গড়া ৭০ রানের জুটি।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড ও জেইক ওয়েদেরল্ড মিলে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। হেডের ক্যাচ ছাড়েন জেমি স্মিথ। তবে ইনিংস বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। ব্রাইডন কার্সের বলে আউট হওয়ার আগে হেড করেন ৩৩ রান।
এরপর মার্নাস লাবুশেন ও ওয়েদেরল্ড যোগ করেন ৬৯ রান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ওয়েদেরল্ড আউট হওয়ার আগে ৭৮ বলে ৭২ রান করেন।
দ্রুতগতিতে রান তোলেন লাবুশেনও। ৭৮ বলে ৬৫ রান করে তিনি ফেরার পর ইনিংস এগিয়ে নেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ৮৫ বলে ৬১ রান করে আউট হন তিনি। ক্যামেরন গ্রিন যোগ করেন ৪৫ রান। ২৩ রান আসে জশ ইংলিশের ব্যাট থেকে।
এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪৯ রান যোগ করে দিনের শেষ করেন অ্যালেক্স ক্যারি ও মাইকেল নেসার। ক্যারি ৪৬ ও নেসার ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। এই দুজনকে আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেন ইংলিশ ফিল্ডাররা। ক্যারির ক্যাচ ছাড়েন বেন ডাকেট আর নেসারের ক্যাচ লুফে নিতে ব্যার্থ হন ব্রাইডন কার্স।
ইংল্যান্ডের হয়ে কার্স নেন ৩ উইকেট, আর জফরা আর্চার নেন ২ উইকেট। পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।