
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে
সিরিজ খেলতে জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। এই ফাস্ট বোলার যখন
জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁর বাড়িতে তখন ভয়াবহ এক হামলা হলো।
সোমবার সকালে খাইবার পাখতুনখারার লোয়ার দিরের মায়ার এলাকায় নাসিম শাহ এর বাড়িতে বন্দুক হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচজন
অজানা বন্দুকধারী বাড়িতে গুলি চালানোর পর
সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
হামলাকারীরা বাড়িতে পার্ক করা একটি গাড়ি
ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং জানালা ভেঙেছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নাসিম
শাহের বাড়ির প্রধান দরজায় গুলির চিহ্ন আছে। অবশ্য সৌভাগ্যবশত, এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। নাসিম
শাহ ২০০৩ সালে এই
বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
বন্দুক হামলার ঘটনায় পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্যা ট্রিবিউনকে এক পুলিশ মুখপাত্র জানিয়েছেন,
‘অজ্ঞাত হামলাকারীরা জাতীয় ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলার নাসিম শাহের বাড়িতে গুলি চালিয়েছে। গুলিতে প্রধান দরজা, জানালা এবং একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং পাঁচজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। মায়ার থানা একটি মামলা রুজু করেছে, এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় পুলিশের মতে, যদিও তারা
দ্রুত পৌঁছায়, হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পরে মায়ার থানা পাঁচজন সন্দেহভাজনকে
আটক করে এবং তদন্ত
শুরু করে। পুলিশ সিসিটিভি
ফুটেজ যাচাই করছে হামলাকারীদের সনাক্ত
করার জন্য। স্থানীয়রা জানায়, ওই পরিবার শান্তিপ্রিয়
এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাদের কোন শত্রুতা নেই।
এই ঘটনার পর এলাকার নিরাপত্তা
বাড়ানো হয়েছে, বিশেষ করে নাসিম শাহের
বাড়ির আশেপাশে।
লোয়ার দির বা খাইবার
পাখতুনখারার আগে থেকেই অপরাধপ্রবণ
এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। গত সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি
নিরাপত্তা বাহিনী একটি সন্ত্রাস বিরোধী
অভিযান চালায়, যাতে ১৪ জন
আহত এবং সাতজন দির
স্কাউট নিহত হয়। ২০১১
সালে লোয়ার দিরে বোমা বিস্ফোরণে
চারজন নিহত হয়।
নাসিম শাহ সব সংস্করণে পাকিস্তানের
নিয়মিত সদস্য। ২০১৯ সালে মাত্র
১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। পাকিস্তানের হয়ে এখন পর্যন্ত ২০টি টেস্ট,
৩২টি ওডিআই এবং ৩২টি টি-টিয়োন্টি
ম্যাচ খেলেছেন ২২ বছর ডান হাতি পেসার। সব ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ১৪৬টি উইকেট
নিয়েছেন তিনি।
No posts available.

২০২৩ সালে সবশেষ সফরেও বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা নিয়েছিল আয়ারল্যান্ডের লোয়ার অর্ডার। আড়াই বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে নিল- ম্যাককার্থিরাও বেশ ভুগিয়েছে আজ বাংলাদেশ দলকে। এর মধ্যেও সিলেট টেস্টে প্রথম দিনের শেষ বলটাই যেন স্বস্তি দিল স্বাগতিকদের।
তাইজুল ইসলামের অফ স্টাম্প থেকে মিডল–লেগে ঢুকে আসা বল সামনে পা এগিয়ে রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে চেয়েছিলেন জর্ডান নিলঅ তাঁর ব্যাটের ফাঁক দিয়ে বল সোজা গিয়ে লাগে সামনের প্যাডে। দেখেই পরিষ্কার এলবিডব্লিউ মনে হচ্ছিল। তবু হতাশ মুখে রিভিউ নেন নিল। তবে বাঁচতে পারলেন না। দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ২৭০ রানে আইরিশদের ৮ উইকেটে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬০ বলে ৩০ রান করেন নিল। অষ্টম উইকেটে ব্যারি ম্যাককার্থির সঙ্গে ১০৩ বলে ৪৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন তিনি। এই জুটি ভেঙে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার তাইজুল পেলেন সিলেট টেস্টে নিজের প্রথম উইকেট। তাতে ড্রেসিংরুমেও হাসি ফোটে বাংলাদেশের।
৫৬ বলে ২১ রান অপরাজিত আছেন ম্যাককার্থি। আগামীকাল দ্বিতীয় দিন তাঁর জুটি হতে পারেন ম্যাথু হামফ্রেস।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশ নিতে পেরেছিল শুধু ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে ৩টি, তৃতীয় সেশনে ৪ উইকেট। ম্যাচের শুরুটা কী দুর্দান্তই না ছিল বাংলাদেশের! চতুর্থ বলেই আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। কিন্তু তারপর টানা তিন ওভারে ফিল্ডাররা ছেড়ে দিয়েছেন তিন ক্যাচ। যার ফলে সেশনের বাকি সময় রোদে পুড়তে হয়েছে তাদের।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯৪ রান। শুরুতে ব্যালবার্নি ফিরে গেলেও ৯৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে সফরকারীদের এগিয়ে নেন পল স্টারলিং(৬০) ও ক্যাড কারমাইকেল (৫৯)। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে স্টারলিং ও হ্যারি টেক্টরকে (১) দ্রুত ফিরিয়ে খেলার নিয়ন্ত্রণে ফেরে বাংলাদেশ। চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে আবারও পঞ্চাশোর্ধ দুটি জুটিতে ধাক্কা সামলে ওঠে সফরকারীরা।
কার্টিস ক্যাম্ফার (৪৪) ও লরকান টাকার (৪১) থিতু হয়েও অভিষিক্ত হাসান মুরাদের ঘূর্ণিতে নাকাল হলেন। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনেকে (৫) দাঁড়াতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। তৃতীয় সেশনে মূলত ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। প্রথম দিনের সফল বোলার মিরাজ- ৫০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকটে নিয়েছেন মুরাদ। তাইজুল, হাসান ও নাহিদ রানা শিকার একটি করে।

দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মাস তিনেক আগে। দীর্ঘ সময় গোপন রাখার পর অবশেষে নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন রশিদ খান। নেদারল্যান্ডসে কয়েক দিন আগে এক দাতব্য অনুষ্ঠানে এক নারীর সঙ্গে রশিদকে দেখা যাওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। এবার আফগানিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার নিশ্চিত করেছেন, তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন।
নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামে রশিদ লিখেছেন,
‘২০২৫-এর ২ আগস্ট জীবনের নতুন ও অর্থবহ অধ্যায় শুরু করলাম। আমি আমার দ্বিতীয় বিয়ে সম্পন্ন করেছি। এমন একজন সঙ্গীকে বেছে নিয়েছি, যিনি ভালোবাসা ও শান্তিতে জীবনকে পূর্ণ করতে পারেন। অনেকদিন ধরেই এমন একজন জীবনসঙ্গী খুঁজছিলাম।’
নেদারল্যান্ডসে ভাইরাল হওয়া ছবির প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,
‘কয়েকদিন আগে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে একটি চ্যারিটি ইভেন্টে গিয়েছিলাম। কিন্তু যা ধারণা মানুষ পেয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। সত্যি কথা হলো, তিনি আমার স্ত্রী। এখানে কোনো গোপনীয়তা নেই। সবাইকে ধন্যবাদ।’
যদিও রশিদ তাঁর পোস্টে ‘দ্বিতীয় বিয়ে’ শব্দটি উল্লেখ করেননি, তবে পাকিস্তানের একাধিক গণমাধ্যমে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলা হয়েছে।
অবশ্য রশিদ তাঁর স্ত্রীর ছবি কখনো শেয়ার করেননি। আফগান অধিনায়কের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল কাবুলের ইম্পেরিয়াল কন্টিনেন্টাল হোটেলে, গত বছরের অক্টোবরে অত্যন্ত ধুমধামে। রশিদ ও তাঁর তিন ভাই—আমির খলিল, জাকিউল্লাহ এবং রাজা খান একসঙ্গে প্রথমবারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন আফগান দলের তারকা ক্রিকেটাররা, যেমন মোহাম্মদ নবী, মুজিব-উর-রহমান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নজিবউল্লাহ জাদরান, রহমত শাহ, ফজলহক ফারুকি।

দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ইডেন গার্ডেনে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলই ইতিমধ্যে কলকাতায় পৌঁছেছে। আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে অন্তত আট জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়। এখন পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে, ছয়জনের পরিচয় অজানা। বিস্ফোরণের কারণ তদন্তাধীন, তবে একই সময়ে জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশ আন্তঃরাজ্য দুর্বৃত্তের চক্র ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার সতীশ গোলচা জানিয়েছেন, ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে থাকা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা আরও কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক উপাদান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
| ‘শামিকে খেলতে না দেওয়ার কোনো কারণ দেখি না’ |
|
এই ঘটনার পরই কলকাতা পুলিশ ইডেন গার্ডেন ও সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘিরে বাড়তি নজরদারি চালু করেছে। স্টেডিয়াম, দলগুলোর হোটেল থেকে শুরু করে যাতায়াতের প্রতিটি জায়গায় কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রধান প্রবেশ ও প্রস্থান পথে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে সিসিটিভি নজরদারি।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানানো হয়েছে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) ও পুলিশ যৌথভাবে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করছে।
দুটি দল আজ সকাল থেকেই ইডেনে অনুশীলন শুরু করার কথা। পুরো অনুশীলন ও ম্যাচ চলাকালে নিরাপত্তা থাকবে সর্বোচ্চ সতর্কতায়। ইডেন গার্ডেনে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের আগে নিরাপত্তা এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

আড়াইশ ছুঁইছুঁই রান তাড়ায় টপ-অর্ডার থেকে প্রয়োজন ছিল বড় ইনিংস। তিন অঙ্ক ছুঁতে না পারলেও সেই চাওয়া বেশ ভালোভাবেই পূরণ করলেন সৌম্য সরকার। রোমাঞ্চকর এক জয় পেল খুলনা। চমৎকার বল করে ৫ উইকেট নিয়েও পরাজিত দলে রইলেন নাঈম হাসান।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগকে ২ উইকেটে হারায় খুলনা। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ দিন ২৩৭ রানের লক্ষ্য ৬৬.৫ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে খুলনা।
শেষ দিন খুলনার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮৫ রান। হাতে ছিল পুরো ১০ উইকেট। কিন্তু সৌম্য ও শেখ মেহেদি হাসান ছাড়া বাকিদের ব্যর্থতার কারণে একপর্যায়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য জয় পায় দলটি।
আরও পড়ুন
| তিন উইকেট নিয়ে আবার ক্যাচ মিসের আক্ষেপ |
|
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩৫১ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে খুলনার ইনিংস থেমে যায় ২৮১ রানে। ফলে ৭০ রানের লিড পায় চট্টগ্রাম। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৬ রানের গুটিয়ে যায় তারা। ফলে আড়াইশর নিচে লক্ষ্য পায় খুলনা।
তিন ম্যাচে খুলনার এটি দ্বিতীয় জয়। আগের দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র করা চট্টগ্রাম এবার প্রথম পেল পরাজয়ের তেতো স্বাদ।
প্রথম ইনিংসে ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি সৌম্য। ১০ চার ও ১ ছক্কায় ১১৯ বলে তিনি খেলেন ৯২ রানের ইনিংস। দ্বিতীয়বারও তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আশা জাগিয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু নাঈমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৯০ বলে ৭১ রান করে।
পরে আট নম্বরে নেমে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদি। অষ্টম উইকেটে নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তিনি গড়েন ৫৭ রানের মূল্যবান জুটি।
৩২ ওভারে ১০২ রান খরচ করে ৫ উইকেট নেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া নাঈম হাসান। তবে দলকে জেতাতে পারেননি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর থেকে ভারত দলে নেই মোহাম্মদ শামি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাম্প্রতিক সাদা বলের সিরিজেও তাঁকে বিবেচনায় রাখা হয়নি। প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার জানিয়েছিলেন— ফিটনেসজনিত কারণে শামিকে দলে নেওয়া হয়নি এবং তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে নির্বাচকদের। এ ব্যাপারে অবশ্য পাল্টা-পাল্টি অবস্থান রয়েছে দুপক্ষের।
তবে দুঃসময়ে এবার শামি পাশে পেয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে। তাঁর মতে, শামি পুরোপুরি ফিট এবং এখনই জাতীয় দলে ফেরার জন্য প্রস্তুত।
সৌরভ মনে করছেন, শামির ফিটনেস নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বরং রঞ্জি ট্রফিতে লম্বা স্পেলে দারুণ বোলিং করেই তা প্রমাণ করেছেন তিনি। কলকাতার এক অনুষ্ঠানে গাঙ্গুলি বলেন, ‘শামি দুর্দান্ত। রঞ্জির দুই-তিনটি ম্যাচেই তিনি প্রায় একাই জেতালেন বেঙ্গলকে। নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই নজর রাখছেন। ফিটনেস ও দক্ষতার বিচারে শামি সেই শামিই আছে। তাই আমার মতে, টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি— ভারতের হয়ে খেলতে না দেওয়ার কোনো কারণই দেখি না।’
শামি আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি সম্পূর্ণ ফিট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। তবে সাম্প্রতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য তাঁকে নির্বাচিত করা হয়নি।
রঞ্জি ট্রফির চলমান মৌসুমে প্রথম তিন ম্যাচে ৯৩ ওভার বোলিং করে ১৫ উইকেট নিয়েছেন শামি। গড় ১৫.১৩, সেরা বোলিং ৫/৩৮—যা তাঁর ফর্ম ও ফিটনেসের স্পষ্ট প্রমাণ। যদিও চতুর্থ রাউন্ডে তিনি বিশ্রাম নিয়েছেন।
২০২৩ সালে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালই ছিল তাঁর সর্বশেষ টেস্ট। এখন তরুণ ফাস্ট বোলারদের প্রস্তুত করা হচ্ছে, তাই শামির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবু সৌরভের বিশ্বাস, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় শামির মতো বোলারকে সহজে বাদ দেওয়া যায় না।