
গত গ্রীষ্মে পালমেইরাস থেকে রিয়ালে নাম লেখান এন্দ্রিক। তার আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে অভিষেক হয়ে যায় জাতীয় দলে। এরপর খেলেছেন ১৩ ম্যাচ, করেছেন মাত্র তিনটি গোল। অধিকাংশ ম্যাচেই আবার মাঠে নেমেছেন বদলি হিসেবে। চলতি আন্তর্জাতিক বিরতিতেও তাই শুরুতে দলে জায়গা হয়নি ১৮ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। পরে নেইমারের চোটে ডাক পান।
সম্প্রতি সাবেক ব্রাজিল কিংবদন্তি রোমারিওর সাথে এক পডকাস্টে এন্দ্রিক বলেছেন বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে তার আশঙ্কার কথা। “আমার আপনাকে সত্যটা বলতেই হবে। আমার মাথায় সারাক্ষণ একটা চিন্তা ঘুরতেই থাকে। আমার ভয়, হয়ত আমি বিশ্বকাপের দলে থাকব না। কারণ এটা আমার একটা স্বপ্ন। আমি বিশ্বকাপে থাকতে চাই এবং ব্রাজিলকে ষষ্ঠ শিরোপা জিততে সহায়তা করতে চাই।”
আরও পড়ুন
| ব্রাজিলকে গুঁড়িয়ে রাফিনিয়াকে একহাত নিলেন দে পল-পারেদেস |
|
ব্রাজিলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন হলেও বিতর্কের জন্ম দিয়ে রোমারিও বাদ পড়েন ১৯৯৮ বিশ্বকাপ থেকে। সেটা ছিল অবশ্য তার ক্যারিয়ারের শেষের দিকে। তবে এন্দ্রিকের চিত্রটা ভিন্ন। এই মৌসুমে রিয়ালের হয়ে যে নিজেকে প্রমাণের সুযোগই পাচ্ছেন না তরুণ এই ফরোয়ার্ড। ২৮ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল, খেলেছেন মাত্র ৪৯৪ মিনিট।
এন্দ্রিকের আশা, অল্প সুযোগেই বাজিমাত করতে পারবেন তিনি। “আপনিও এর মধ্য দিয়েও গেছেন, আমার বাবা এমনকি আমাকে বলেছিলেন যে, আপনি (১৯৯৮) বিশ্বকাপে খেলার আশা করলেও দলে আর ডাক পাননি। তাই আমার এই ভয়টা আছে। অবশ্যই এটা কঠিন কাজ, বিশ্বের বড় ক্লাবে থাকা, সেরা খেলোয়াড়দের সাথে খেলা… আপনি সবসময় খেলার সুযোগ পেতে পারেন না। তবে জাতীয় দলে যখনই ডাক পাই, আমি নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করি।”
No posts available.
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:৩১ পিএম

‘স্বয়ং ঈশ্বর অনুরোধ করলেও আমি আমার খেলানোর কৌশল পরিবর্তন করবো না’—এমনটাই ঘোষণা দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার রুবেন আমোরিম। নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে ২০২৪–২৫ মৌসুম এবং নতুন বছরেও বেশ সমালোচনার শিকার হন পর্তুগিজ কোচ।
রুবেন আমোরিম অবশ্য নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এখনই সঠিক সময় ম্যান ইউনাইটেডের ফরমেশন পরিবর্তনের। তবে তিনি জানিয়েছেন, গণমাধ্যমের চাপে এমনটা করছেন না তিনি। বরং আগে যদি সেটি আগে করতেন, তাহলে আর ফিরে আসার সুযোগ থাকত না রেড ডেভিলসদের।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম ১২ মাস ৩-৪-৩ ফরমেশনে খেলা পরিচালনা করেন আমোরিম। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ১৫তম স্থানে থেকে যাত্রা শেষ হয় তাদের।
২০২৫–২৬ মৌসুমে ভঙ্গুরদশা কাটিয়ে সফলতার পথে ম্যান ইউনাইটেড। বর্তমানে তারা প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেলে শীর্ষ চারে উঠে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। লিগে আসন্ন ম্যাচে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না ইউনাইটেড। ব্রায়ান এমবেউমো ও আমাদ দিয়ালো আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে ব্যস্ত সময় পার করছে। অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেসও চোটে ছিটকে পড়েছেন।
বক্সিং ডেতে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১–০ গোলের জয়ে ৪–২–৩–১ ফরমেশনে খেলেছিল ইউনাইটেড। আমোরিম আশা করছেন, এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে দল নতুন এই ফরমেশনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠবে।
আমোরিম বলেন,
“গত মৌসুমে যখন আমি এখানে (ম্যান ইউনাইটেড) আসি, তখন বুঝেছিলাম—এই সিস্টেমে ভালো খেলানোর মতো খেলোয়াড় হয়তো আমার হাতে নেই। সেটি ছিল একটি প্রক্রিয়ার শুরুর ধাপ।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা তখন একটি পরিচয় গড়ে তুলতে চাইছিলাম। আজ পরিস্থিতি ভিন্ন। আমাদের হাতে খুব বেশি খেলোয়াড় নেই, তাই মানিয়ে নিতে হচ্ছে এবং খেলোয়াড়দের বোঝাতে হচ্ছে—কেন আমরা এই পরিবর্তন করছি। এটা আপনাদের (গণমাধ্যম) বা সমর্থকদের চাপে নয়।”
পর্তুগিজ কোচ বলেন,
“আপনারা যখন বারবার সিস্টেম বদলানোর কথা বলছিলেন, তখন আমি পরিবর্তন করতে পারিনি। কারণ খেলোয়াড়রা ভাবত—আমি আপনাদের চাপে বদলাচ্ছি। আমরা যখন আমাদের সিস্টেমে ভালো খেলছি, ঠিক সেই সময়টাই পরিবর্তনের সঠিক মুহূর্ত।”

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পল পগবার কাছের সতীর্থ ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গ্লোব সকারে ‘বেষ্ট কামব্যাক অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার জেতার পর পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলেন তিনি।
দুবাইয়ে রবিবার জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বর্ষসেরা প্লেয়ার-ফরোয়ার্ড ও কোচসহ একাধিক পদে বছরসেরা পুরস্কার দেয় গ্লোব সকার । যেখানে উল্লেখযোগ্য ছিল ‘বেষ্ট ক্যামব্যাক অ্যাওয়ার্ড’। পিছিয়ে পড়া বা বাদ পড়ার পর ক্রীড়ায় নিজেকে জিইয়ে রাখার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।
২০২৩ সালে রক্তে নিষিদ্ধ উপাদান পাওয়ায় চার বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন পগবা। যা পরবর্তীতে ১৮ মাসে কমানো হয়। এরপর তিনি মোনাকোর হয়ে ফিরেন। ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ডের প্রত্যাবর্তন ক্রীড়া বিশ্বে চমক সৃষ্টি করে। সমালোচকেরাও শুরুর দিকে ধারণা করেছিলেন, হয়তো তিনি আর ফিরবেন না।
ফেরার পর পগবা বলেন,
“দুঃসময়ের দিন শেষ। আমি সামনে তাকাচ্ছি এবং আবারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি।”
রবিবার পুরস্কার জয়ের পর পগবা বলেন,
“আমি কখনও ইচ্ছে করে অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির নিয়ম ভঙ্গ করিনি। একজন ডাক্তারের পরামর্শে পুষ্টি সাপ্লিমেন্ট নিয়েছিলাম, যা পুরুষ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব ফেলে না। আমি সততার সঙ্গে খেলি। যদিও এটি কঠোর দায়বদ্ধতার লঙ্ঘন হিসেবে ধরা হয়, তবুও কোর্টের বিচারকদের আমি ধন্যবাদ জানাই যারা আমার কথা শুনেছেন। এটি আমার জীবনের জন্য অত্যন্ত চাপের সময় ছিল। কারণ যা কিছু কঠোর পরিশ্রমে অর্জন করেছি, তা সব থেমে গেছে।”
বেষ্ট কামব্যাক অ্যাওয়ার্ড জয়ের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন,
“এটি কখনও সহজ ছিল না। বলা যায়, এই পুরস্কার আমার জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি। মানুষ সবসময় সেরা সময় ও বিশেষ মুহূর্তকে ভালোবাসে। এটি আমার জন্য বিশেষ—আমার জন্য এবং আমার স্ত্রীর জন্য। সে আমাকে সাহায্য করেছে এবং ফিরে আসতে সহযোগিতা করেছে। আমার সন্তানরাও সব সময় আমাকে হাসি জুগিয়েছে।”
পগবা রোনালদোর প্রশংসা করতে ভোলেননি,
“রোনালদোর শৃঙ্খলা অবিশ্বাস্য—আমি এরকম অন্য কারো মাঝে খুব একটা দেখিনি। তাঁর শৃঙ্খলা একেবারেই অন্য স্তরের। অনেক প্রফেশনাল খেলোয়াড় দেখি, তারা সময়মতো আসে, রিকভারি করে, সবকিছু করে। কিন্তু রোনালদো এমন একজন, যিনি প্রতিদিন সেখানে থাকেন এবং থামেন না। সেই ব্যক্তি হলেন ক্রিস্টিয়ানো।”

২০২৬ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিটের দাম নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বেশ। ফুটবল সমর্থকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি স্মরণকালের সবচেয়ে বড় স্ক্যান্ডাল।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো মনে করেন, বিশ্বকাপ টিকিটের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। বরং তিনি এটিকে বিশ্বকাপের প্রতি দর্শকদের “পাগলামি” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সোমবার দুবাই স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড সামিটে ইনফান্তিনো বলেন,
“ইতোমধ্যে আমাদের ৭ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়েছে এবং গত ১৫ দিনে আমরা ১৫০ মিলিয়ন টিকিটের অনুরোধ পেয়েছি। প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন করে টিকিটের অনুরোধ আসছে। এটি স্পষ্ট করে যে বিশ্বকাপ কতটা জনপ্রিয়।”
ইনফান্তিনো আরও বলেন,
“একশ বছরে বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি হয়েছে মোট ৪৪ মিলিয়ন। ভাবা যায় কি? এটা সত্যিই ফুটবলের প্রতি মানুষের ক্রেজ।”
সমালোচনার পর ফিফা ১০৪ ম্যাচের জন্য কিছু সাশ্রয়ী মূল্যের টিকিট চালু করেছে।
বিবিসি স্পোর্টসকে তিনি বলেন,
“আমরা জনগণের প্রতিক্রিয়া শুনেছি এবং এই নতুন টিকিট ক্যাটাগরি চালু করাই সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করেছি।”
ইনফান্তিনো আরও জানিয়েছেন, টিকিট বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিশ্বব্যাপী ফুটবলে পুনঃবিনিয়োগ করা হবে।

প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল লিগে এসেই চমক উপহার দিল বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নাসরিন একাডেমিকে গোলবন্যায় ভাসাল দলটি।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার নাসরিন একাডেমিকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বিকেএসপি। প্রথমার্ধে তিন গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও পাঁচবার জালের দেখা পায় তারা। দারুণ জয়ে লিগ শুরু করল বিকেএসপি।
অনূর্ধ্ব-১৭ ও ১৯ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়েছে বিকেএসপি। ২০২৩-২৪ মৌসুমে তারকা খেলোয়াড়দের সমাবেশ থাকলেও নাসরিন একাডেমি এবার দল গুছিয়েছে অনভিজ্ঞদের নিয়ে।
খেলা শুরুর একাদশ মিনিটে গোলকিপারকে কাটিয়ে ফাঁকা পোস্ট পেয়ে গিয়েছিলেন অয়ন্ত বালা, কিন্তু বলে স্পর্শ জোরে হওয়ায় তিনি নাগাল পাওয়ার আগেই এক ডিফেন্ডার কর্নার করে দেন। পরে অয়ন্ত বালার বাঁকানো কর্নারে বল সরাসরি জালে ঢুকতে যাচ্ছিল, সুমি রানী ক্লিয়ার করেন।
প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রেখে বিকেএসপি এগিয়ে যায় ২২ মিনিটে। কর্নারের পর বক্সের জটলার ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন আইরিন খাতুন। চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলমিনা। নিচু শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
৩৩ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন বিকেএসপির অয়ন্ত বালা। গোলকিপারকে কাটিয়ে নিজেই শট নিতে পারতেন প্রতিমা মুন্দা, কিন্তু তিনি পাস বাড়ান বাম দিকে থাকা অয়ন্ত বালাকে, সহজ শটে জাল খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের খেলায় গতি কিছুটা কমে। এই অর্ধের প্রথম আধা ঘন্টায় কার্যকরী কোনো আক্রমণ শানাতে পারেনি দুই দল। ৭৩ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করার দুই মিনিট পর প্রতিমা দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান বাড়ান। ৮৩ মিনিটে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ফাতেমা আক্তার লক্ষ্যভেদ করেন।
শেষ দিকে ফাতেমার শট গোলকিপার দুইবার ফেরালেও তৃতীয়বার ব্যর্থ হন। যোগ করা সময়ে উম্মে কুলসুমের শট গোলকিপারের হাত ফসকে বেরিয়ে জালে জড়ালে ৮-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিকেএসপি।
দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে ২-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। আগামীকাল একই স্টেডিয়ামে হবে লিগের তিনটি ম্যাচ। খেলাগুলো সরাসরি সম্প্রচার করছে বাফুফের ইউটিউব চ্যানেল।

ভালেন্সিয়া ফুটবল শোকে মাতম। ইন্দোনেশিয়ায় নৌ ভ্রমণের সময় সাগরে ডুবে মারা গেছেন ক্লাবটির ‘বি’ দলের কোচ মার্তিন ও তাঁর তিন সন্তান। রবিবার ক্লাব ভালেন্সিয়া খবরটি নিশ্চিত করেছে।
ইন্দোনেশিয়া ও স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, ইন্দেনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা লাবোয়ান বাজো দ্বীপের কাছে পাদার আইল্যান্ডে প্রচণ্ড খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে ১১ জন যাত্রীসহ নৌযানটি উল্টে যায়।
উদ্ধার অভিযানের কোঅর্ডিনেটর ফাথুর রহমান রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন মার্তিনের স্ত্রী ও তাদের এক কন্যা সন্তানও। তাদেরসহ ওই নৌযানের চারজন সদস্য এবং একজন ট্যুর গাইডকে উদ্ধার করা হয়েছে।