৩ নভেম্বর ২০২৪, ৫:১৫ পিএম
ভারতের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজের আগে দেশটিতে ভারতকে লাল বলের ক্রিকেটে মাত্র দুইবার হারাতে পেরেছিল নিউজিল্যান্ড। এবারও তাই তাদের সিরিজ জয়ের পক্ষে বাজি ধরার মত কেউই ছিলেন না। তবে ভারতের বিস্ময়কর বাজে পারফরম্যান্সে একে একে তিন ম্যাচই জিতে গেছে সফরকারীরা। গোটা সিরিজে রোহিত শর্মা ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। নেতা হিসেবেও পারেননি ব্যবধান গড়ে দেওয়া কিছু করতে। ধবলধোলাই হওয়ার পর তাই ভারত অধিনায়ক স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, দুই ভূমিকাতেই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
মুম্বাইতে রোববার শেষ হওয়া সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে স্রেফ রানের টার্গেট ছিল ভারতের সামনে। ভয়াবহ ব্যাটিং ধসের শিকার হয়ে মাত্র ১২১ রানে গুটিয়ে এই ম্যাচটিও হেরে গেছে রোহিত-কোহলিরা। এর মধ্য দিয়ে দেশের মাটিতে নিজেদের ইতিহাসে তিন বা তার বেশি ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হারের তেতো অভিজ্ঞতা হয়েছে ভারতের। ফর্মের সাথে লড়াই করা রোহিত পুরো সিরিজেই দলকে হতাশ করেছেন। সবশেষ ১০ টেস্টে তার রান মাত্র ১৩৩!
সংবাদ সম্মেলনে এসে তাই অকপটে নিজের ব্যর্থতা মেনে নিলেন রোহিত।
“ছেলেরা দেখিয়েছে কীভাবে এই কন্ডিশনগুলতে ব্যাট করতে হয় (পন্ত, জয়সওয়াল, গিল)। আমরা গত ৩-৪ বছর ধরে এই ধরনের পিচে খেলছি, এখানে এখানে আপনাকে কিছুটা এগিয়ে থাকতে হবে এবং ইতিবাচক হতে হবে। আমরা জানি এখানে কীভাবে খেলতে হয় এবং ভালো করতে হয়। তবে এই সিরিজ এটা কাজে দেয়নি আর এটা হতাশাজনক। ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বলি, ব্যাটার এবং অধিনায়ক হিসাবে আমি আমার সেরা ছন্দে ছিলাম না। এটা এমন কিছু, যা আমাকে নাড়িয়ে দেবে। তবে এটাও ঠিক, আমরা সম্মিলিতভাবেও ভালো পারফর্ম করতে পারিনি এবং আর এটাই এই হারের কারণ।”
এর আগে অসংখ্যবার ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলতে আসলেও কখনই সেভাবে পাত্তা পায়নি নিউজিল্যান্ড। স্রেফ দুটি ভিন্ন ভিন্ন সিরিজে দেখা মিলেছিল দুটি জয়ের। সেই দলটি প্রথমে ভারতকে স্বাদ দেয় ১২ বছর পর দেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ হারের, এরপর করল ধবলধোলাই। এক ইনিংসে তো অলআউট হয়েছে মাত্র ৪৬ রানেও। একসময় ঘরের মাঠে প্রায় অপরাজেয় হয়ে যাওয়া দলটির এমন ভরাডুবি চমক জাগানিয়াই।
রোহিত মনে করেন, কোনো কিছুই তার দলের পক্ষে আসেনি।
“ঘরের মাঠে টেস্ট হারা, সিরিজ পরাজয় এমন কিছু, যা সহজে হজম করা যায় না। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলিনি, সেটা আমরা জানি এবং আমাদের এটা মেনে নিতে হবে। তারা নিউজিল্যান্ড পুরো সিরিজে আমরা অনেক ভুল করেছি। আমরা প্রথম ইনিংসে (বেঙ্গালুরু এবং পুনে) যথেষ্ট রান করতে পারিনি এবং অনেক পিছিয়ে ছিলাম। তবে এখানে ৩০ রানের বেশি লিড ছিল। আমাদের মনে হয়েছিল আমরা এগিয়ে আছি, টার্গেটটাও নাগালের মধ্যেই ছিল। তবে এই পথ পাড়ি দিতে যা করার দরকার ছিল, আমরা সেটা করতে পারিনি।”
No posts available.
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৩ পিএম
ক্রিকেট ইতিহাসে অসংখ্য কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার দাপট দেখিয়েছেন। তবে ক্যারিয়ারসেরা আইসিসি রেটিংয়ের ভিত্তিতে বাছাই করলে অনেক কিংবদন্তিই সেরা দশে জায়গা পাননি। সম্প্রতি উইজডেনের প্রতিবেদনে দেখা যায়, আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সর্বকালের সেরা ১০ পেসারের তালিকায় নেই ওয়াসিম আকরাম, জিমি অ্যান্ডারসন, জসপ্রীত বুমরাহর মতো তারকারা পেসাররা।
আইসিসি প্লেয়ার রেটিং সিস্টেম চালু হয় ১৯৮৭ সালে। পরবর্তীতে অতীতের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেও এটি প্রয়োগ করা হয়। রেটিং সর্বোচ্চ ১০০০ পয়েন্ট পর্যন্ত হতে পারে। কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান সর্বোচ্চ ৯৬১ রেটিং পেয়েছিলেন। বোলারদের মধ্যে সিডনি বার্নস শীর্ষে আছেন ৯৩২ রেটিং নিয়ে। এখন পর্যন্ত ১৮ জন পেসার টেস্টে ৯০০ রেটিংয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
আরও পড়ুন
১৭ বছর পর ফয়সালাবাদে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট |
![]() |
আইসিসির রেটিং অনুযায়ী সর্বকালের সেরা পেসারদের তালিকা
সিড বার্নস
২৭ টেস্ট, ১৮৯ উইকেট, গড় ১৬.৪৩, ২৪ বার ইনিংসে ৫ উইকেট
সেরা রেটিং: ৯৩২
বার্নসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ১৯০১ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত, তাঁর ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ার দীর্ঘ ২৩ বছর, যেখানে তিনি ৭১৯ উইকেট নেন, বোলিং গড় ১৭.০৯। খেলায় সবচেয়ে ভালো বোলারদের মধ্যে বার্নসকে সবচেয়ে এগিয়ে ধরা হয়। পরিসংখ্যান বলে কোনো বোলার টেস্টে তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট নেননি এরচেয়ে কম গড়ে। আইসিসি টেস্ট বোলিং রেটিংয়ে তাঁর চেয়ে উচ্চে পৌঁছায়নি।
বার্নস প্রথমবার ৯০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেন ১৯১২ সালে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৮ রানে ৫ উইকেট এবং ২৯ রানে ৮ উইকেট নেওয়ার পর। এরপর তিনি কখনও ৯০০-এর নিচে নামেননি। শীর্ষ রেটিং অর্জন তাঁর শেষ টেস্টে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবানে। দুই ইনিংসেই ৭টি করে উইকেট নেন, ম্যাচে ১৪-১৪৪ নিয়ে শেষ করেন।
আরও পড়ুন
ড্র-ই ম্যাচের ন্যায্য ফল, বলছেন বাংলাদেশ কোচ |
![]() |
জর্জ লোহম্যান
১৮ টেস্ট, ১১২ উইকেট, গড় ১০.৭৫, ইনিংসে ৫ উইকেট ৯ বার
সেরা রেটিং: ৯৩১
ইমরান খান
৮৮ টেস্ট, ৩৬২ উইকেট, গড় ২২.৮, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৩ বার
সেরা রেটিং: ৯২২
যৌথভাবে গ্লেন ম্যাকগ্রা
১২৪ টেস্ট, ৫৬৩ উইকেট, গড় ২১.৬৪, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৯ বার
সেরা রেটিং: ৯১৪
যৌথভাবে প্যাট কামিন্স
৭১ টেস্ট, ৩০৯ উইকেট, গড় ২২.১০, ইনিংসে ৫ উইকেট ১৪ বার
সেরা রেটিং: ৯১৪
যৌথভাবে কার্টলি অ্যামব্রোস
৯৮ টেস্ট, ৪০৫ উইকেট, গড় ২০.৯৯, ইনিংসে ৫ উইকেট ২২ বার
সেরা রেটিং: ৯১২
যৌথভাবে ভেরন ফিল্যান্ডার
৬৪ টেস্ট, ২২৪ উইকেট, গড় ২২.৩২, ইনিংসে ৫ উইকেট ১৩ বার
সেরা রেটিং: ৯১২
আরও পড়ুন
লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয় জিম্বাবুয়ের |
![]() |
ইয়ান বোথাম
১০২ টেস্ট, ৩৮৩ উইকেট, গড় ২৮.৪০, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৭ বার
ক্যারিয়ারসেরা রেটিং: ৯১১
যৌথভাবে ম্যালকম মার্শাল
৮১ টেস্ট, ৩৭৬ উইকেট, গড় ২০.৯৪, ইনিংসে ৫ উইকেট ২২ বার
সেরা রেটিং: ৯১০
যৌথভাবে রিচার্ড হ্যাডলি
৮৬ টেস্ট, ৪৩১ উইকেট, গড় ২২.২৯, ইনিংসে ৫ উইকেট ৩৬ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
শন পোলক
১০৮ টেস্ট, ৪২১ উইকেট, গড় ২৩.১১, ইনিংসে ৫ উইকেট ১৬ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
ডেল স্টেইন
৯৩ টেস্ট, ৪৩৯ উইকেট, গড় ২২.৯৫, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৬ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
ওয়াকার ইউনিস
৮৭ টেস্ট, ৩৭৩ উইকেট, গড় ২৩.৫৬,, ইনিংসে ৫ উইকেট ২২ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
অক্টোবরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) ২০২৫-২৭ চক্রের প্রথম সিরিজ খেলবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী মাসে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফর করবে প্রোটিয়ারা।
টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এ মাঠে তিন বছরেরও বেশি সময় পর আবার টেস্ট ফিরছে। এ বছরের শুরুর দিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভেন্যুটি নতুন করে সংস্কার করা হয়, তারপরই এটিই হবে প্রথম টেস্ট আয়োজন।
আরও পড়ুন
ড্র-ই ম্যাচের ন্যায্য ফল, বলছেন বাংলাদেশ কোচ |
![]() |
১২ অক্টোবর শুরু হবে প্রথম টেস্ট। জুনে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অভিযান লাল বলে। পাকিস্তানের জন্যও এটি নতুন চক্রের প্রথম সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, যেখানে সম্প্রতি সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে। তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে এ মাঠেই। ২০০৮ সালের পর এবারই প্রথম ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিরছে। চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সিরিজে দুটি টি-টোয়েন্টি আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও সীমান্ত উত্তেজনার কারণে সূচি বদলে গিয়েছিল, ফলে ভেন্যুটি খালি পড়ে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা এই সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৮ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে। এরপর লাহোরে হবে বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি। ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ ফয়সালাবাদে- ৪, ৬ ও ৮ নভেম্বর।
আরও পড়ুন
লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয় জিম্বাবুয়ের |
![]() |
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী সুমাইর আহমেদ বলেন,
‘আমরা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-২৭ অভিযাত্রার প্রথম সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে আছি। বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে শুরু হওয়া নতুন চক্র আমাদের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের জন্য উচ্চমানের ক্রিকেট উপহার দেবে।’
পূর্ণাঙ্গ সিরিজের সূচি:
অক্টোবর ১২-১৬ – প্রথম টেস্ট, লাহোর
অক্টোবর ২০-২৪ – দ্বিতীয় টেস্ট, রাওয়ালপিন্ডি
অক্টোবর ২৮ – প্রথম টি-টোয়েন্টি, রাওয়ালপিন্ডি
অক্টোবর ৩১ – দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, লাহোর
নভেম্বর ১ – তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, লাহোর
নভেম্বর ৪ – প্রথম ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
নভেম্বর ৬ – দ্বিতীয় ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
নভেম্বর ৮ – তৃতীয় ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
হারারেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেসেখেলে জয় পাওয়া শ্রীলঙ্কা পরের ম্যাচেই দেখল বড় হার। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের দ্বিতীয় টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে লঙ্কানরা। সফরকারীদের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের সংস্করণে জিম্বাবুয়ের এটি দ্বিতীয় জয়।
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৮০ রানে অলআউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা করা কঠিনই। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খেলেও ৩৪ বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। শেষ ম্যাচ এখন অলিখিত ফাইনাল। এই বছর আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদও পেল জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন
নেপালের সঙ্গে ড্র করল বাংলাদেশ |
![]() |
৮০ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ছোট লক্ষ্যকে কঠিন বানিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা। তারপর ব্রায়ান বেনেট-রায়ান বার্লের ২৬ রানের জুটি ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়ে দেয়। ১৯ রান করে বেনেট ফিরলেও ২২ বলে ২০ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বার্ল। ছয়ে তাসিঙ্গা মুসেকিউয়া খেলেন ১৪ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন লঙ্কান পেসার দুশমান্ত চামিরা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং ধসে ১৭.৪ ওভারে ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রানের পর এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোনিম্ন স্কোর। বল হাতে ছড়ি ঘুরান সিকান্দার রাজা ও ব্র্যাড ইভান্স। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন রাজা। আর ২.৪ ওভারে ইভান্স নিয়েছেন ১৫ রানে ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন
রাজার ঘূর্ণির কবলে সর্বনিম্ন রানের নতুন রেকর্ড শ্রীলঙ্কার |
![]() |
ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মুজাবারানির বলে ১ রান করে ফিরেন কুসাল মেন্ডিস। দলীয় ১৭ রানে ইভান্সের শিকার হয়ে ফিরেন পাতুম নিসাঙ্কা। এরপর ৩৮ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
ষষ্ঠ উইকেট দাসুন শানাকা-চরিত আসালাঙ্কার ২৬ রানের জুটিই ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ। দলীয় ৬৪ রানে এই জুটি ভাঙার পরই বাকি ব্যাটাররাও দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরেন। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে কামিল মিশারার (২০ বলে ২০) ব্যাট থেকে।
শুরুটা করেন ব্লেসিং মুজাবারানি। তারপর আক্রমণে যোগ দেন সিকান্দার রাজা ও ব্র্যাড ইভানস। জিম্বাবুয়ের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্তমান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার রাজার স্পিন বিষে নীল হতে হলো সফরকারী ব্যাটারদের।
হারারাতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ধসে ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এই সংস্করণে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ল লঙ্কারা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রান তাদের সর্বোনিম্ন স্কোর। এবার অবশ্য ৩ রান বেশি করে নিজেদের সর্বনিম্ন রেকর্ড অক্ষত রাখলো চরিত আসালাঙ্কার দল। মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন রাজা। ইভান্স নিয়েছেন ১৫ রানে ৩ উইকট।
আরও পড়ুন
আরেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য লড়ে যাবেন জোকোভিচ |
![]() |
৮০ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বত্বিতে নেই জিম্বাবুয়েও। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪ রান তুলতে ২ উইকেট খুইয়েছে তারা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মুজাবারানির বলে ১ রান করে ফিরেন কুসাল মেন্ডিস। দলীয় ১৭ রানে ইভান্সের শিকার হয়ে ফিরেন পাতুম নিসাঙ্কা। এরপর ৩৮ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
ষষ্ঠ উইকেট দাসুন শানাকা-চরিত আসালাঙ্কার ২৬ রানের জুটিই ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ। দলীয় ৬৪ রানে এই জুটি ভাঙার পরই বাকি ব্যাটাররাও দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরেন। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে কামিল মিশারার (২০ বলে ২০) ব্যাট থেকে।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না শ্রেয়াস আইয়ারের। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলে ভালো পারফর্ম করেও এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাননি। এবার তাঁর জায়গা হলো ভারতের 'এ' দলে। আইয়ারকে অধিনায়ক করে অষ্ট্রেলিয়ার 'এ' দলের বিপক্ষে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। লখনৌতে দুই দল খেলবে চার দিনের দুটি ম্যাচ।
৩০ বছর বয়সী আইয়ার জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ১৪ টেস্ট খেলে করেছেন ৮১১ রান। আইয়ারের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসার এই সিরিজ একটি সুযোগও বলা যায়। ২০২৪-২০২৫ রঞ্জি ট্রফিতে ৫ ম্যাচে ৪৮০ রান করেন আইয়ার। তাঁর নেতৃত্বে ২০২৫ আইপিএলে রানার্সআপ হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। ব্যাট হাতে করেছিলেন ৬০৩ রান।
আরও পড়ুন
এশিয়ান কাপে খেলার আশা শেষ বাংলাদেশের |
![]() |
এদিকে প্রসিধ কৃষ্ণা, সাই সুদর্শন ও অভিমন্যু ইশ্বরন খেলেছিলেন অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে। তাঁদেরকেও 'এ' দলে রাখা হয়েছে। এন জগদীশানকে শেষ টেস্টের জন্য ইংল্যান্ডে ডাকা হয়েছিল, তিনিও রয়েছেন এই স্কোয়াডে। নীতিশ কুমার রেড্ডি ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট খেলেছিলেন। তারপর চোটের কারণে তিনি মাঠের বাইরে চলে যান, তিনিও ফিরছেন চোট কাটিয়ে।
প্রথম ম্যাচ শুরু হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। অষ্ট্রেলিয়া 'এ' দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ম্যাচের দলে যোগ দেবেন কেএল রাহুল ও মোহাম্মদ সিরাজ। যদিও বিসিসিআই উল্লেখ করেনি তাঁরা কোন দুই খেলোয়াড়ের পরিবর্তে খেলবেন।
ভারত ‘এ’ দল: শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), অভিমন্যু ইশ্বরন, এন জগদীশান (উইকেটকিপার), সাই সুদর্শন, ধ্রুব জুরেল (সহ-অধিনায়ক), দেবদূত পাডিকাল, হর্ষ দুবে, আয়ুশ বাদোনি, নীতিশ কুমার রেড্ডি, তানুশ কোটিয়ান, প্রসিধ কৃষ্ণা, গুরনূর ব্রার, খলিল আহমেদ, ইয়াশ ঠাকুর, মানব সুথার।
দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্ত হবেন: কেএল রাহুল ও মোহাম্মদ সিরাজ।