এশিয়া কাপে হংকংয়ের শুরুটা বাজে হলেও পরের দুই ম্যাচে লড়াকু পুঁজি পায় তারা। দুটি ম্যাচই ফসকে যায় বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে হংকং। সেই রান তাড়া করতে নেমে খাদের কিনারায় পৌঁছে চারিথ আসালাঙ্কারা। যদিও শেষ পর্যন্ত হাসারাঙ্গার বদৌলতে ফল নিজেদের পক্ষে নেয় শ্রীলঙ্কা।
হংকংয়ের ম্যাচ নাগাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার মূলে ক্যাচ মিস। আজ মোট ছয়টি ক্যাচ মিস করেছে তারা। যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কুড়ি কুড়ি ক্রিকেটে এমন আরও চারটি ঘটনা আছে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬টি ক্যাচ ছেড়েছিল ভারত। ২০১৭ সালে একই দলের বিপক্ষে ৬টি ক্যাচ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। আর ২০২৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একই সংখ্যক ক্যাচ মিস করে অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার জয়ে কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ |
![]() |
টুর্নামেন্টে মোট ১২টি ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারে হংকং। ১১টি ক্যাচ মিস করে তারা। আর এই ক্যাচ মিস কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। বেজেছে বিদায়ঘণ্টাও। ক্যাচ মিস নিয়ে দলটির অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা বলেছেন,
"আমরা কয়েকটি ক্যাচ ফেলেছিলাম এবং তাতে খেলাটা হাতছাড়া হয়ে যায়। ইতিবাচক দিক হলো (আমরা) বড় মঞ্চে খেলছি, (এটা) স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই। আমরা (ফিরে যাওয়ার পর) অনেক কিছু ভাবব এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করব।"
No posts available.
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:৪৫ পিএম
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:৩০ পিএম
এশিয়া কাপে গত রোববার ভারতের কাছে সাত উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ব্যাটিং, বোলিং সব বিভাগেই নখদন্তহীন ছিল সালমান আলি আঘার দল। এমন লজ্জাজনক হারের পর পাকিস্তান দলকে একহাত নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। সামা টিভির প্রোগ্রামে দলের তীব্র সমালোচনা করেন এই অলরাউন্ডার।
উদ্বোধনী ব্যাটার সাইম আইয়ুব ভারতের বিপক্ষে প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। তাঁর খেলার ধরনকে ভালোভাবে নিতে পারেননি আফ্রিদি, 'এই ব্যাটারদের রান করতে হবে, তবেই তো ম্যাচ জেতা যাবে। সাইম আইয়ুবের উচিত তাঁর মাথা ঠান্ডা রাখা, তাকে বলো সে যেন তাঁর মাথা ঠান্ডা রাখে। কন্ডিশন দেখো, পিচ দেখো, প্রথম বলটা খেলো। তুমি প্রথম বল থেকেই শহীদ আফ্রিদি হওয়ার চেষ্টা করছো।'
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে নামানো হয়নি হাসান আলি, হারিস রউফের মতো অভিজ্ঞ পেসারদের। এত বড় ম্যাচে দলের অভিজ্ঞ বোলারদের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন আফ্রিদি, 'আসল পেসারদের বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে। এই অর্ধ-মনোযোগী বোলিং আক্রমণ ভারতের বিপক্ষে চলবে না। এই মুহূর্তে এই দলে এমন একজনও ব্যাটার নেই যে ম্যাচ জেতাতে পারে।'
আগামীকাল গ্রপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই ম্যাচের জয়ী দল 'এ' গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করবে। এরই মধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত।
সব গুঞ্জন উড়িয়ে অবশেষে নতুন স্পন্সরের দেখা পেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তিন বছরের জন্য স্পন্সর হিসেবে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলো গুরগাওয়ের টায়ার কোম্পানি অ্যাপোলো টায়ার্স।
এজন্য তাদের গুনতে হয়েছে ৫৭৯ কোটি ভারতীয় রূপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭৯৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এখনও অবশ্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্থান টাইমস, জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর।
সম্প্রতি বেটিং ওয়েবসাইটের ওপর সরাসরি অর্থ লেনদেনে নিষেধাজ্ঞায় আসায়, ড্রিম এলেভেনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয় বিসিসিআই। যে কারণে চলতি এশিয়া কাপ ও নারীদের ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জার্সিতে কোনো স্পন্সর লোগো নেই ভারতের।
নতুন এই চুক্তিতে বড় লাভই হয়েছে ভারতের। কারণ ড্রিম এলেভেনের সঙ্গে তাদের চুক্তি ছিল ৩৫৮ কোটি রুপির। এবার ১২১ কোটি রুপি বাড়িয়ে অ্যাপোলো টায়ার্সের সঙ্গে জুটি বাধল তারা।
ভারতের নতুন স্পন্সর হওয়ার দৌড়ে অ্যাপোলো টায়ার্সের সঙ্গে ছিল ক্যানভা ও জেকে সিমেন্টস। স্পন্সরশিপ পেতে ৫৪৪ কোটি রুপির বিড করে ক্যানভা। আর জেকে সিমেন্টসের বিড ছিল ৪৭৭ কোটি রুপির। এই দুটিকে পেছনে ফেলে দৌড়ে জিতেছে অ্যাপোলো টায়ার্স।
নতুন এই চুক্তিতে সামনের তিন বছরে ১২১টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচ ও ২১টি আইসিসি টুর্নামেন্টের ম্যাচ পাচ্ছে অ্যাপোলো টায়ার্স।
যার মানে প্রতি ম্যাচের জন্য প্রায় ৪ কোটি ৭৭ লাখ রুপির মতো খরচ হচ্ছে তাদের।
তবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসি টুর্নামেন্টের ম্যাচে এই খরচে কিছুটা কম-বেশি হবে। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য ম্যাচ প্রতি সাড়ে ৩ কোটি ও বিশ্বকাপের জন্য ম্যাচ প্রতি দেড় কোটি রুপির ভিত্তিমূল্য বেধে দেওয়া হয়েছিল।
বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হবে অ্যাপোলো টায়ার্সের যাত্রা। এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরে সাদা বলের সিরিজ খেলবে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
এর আগে অবশ্য ভারত 'এ' ও অস্ট্রেলিয়া 'এ' দলের মধ্যকার সিরিজেও, ভারতের জার্সিতে দেখা যাবে নতুন স্পন্সরের লোগো। তবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের জার্সিতে এই লোগো থাকবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফিফটি করে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে পুরস্কার পেলেন স্মৃতি মান্ধানা। ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ফিরে পেলেন ভারতের তারকা ওপেনার।
মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ যথারীতি মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে আইসিসি।
চন্ডিগড়ে রোববার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৬৩ বলে ৫৮ রানের সৌজন্যে ইংল্যান্ডের ন্যাট-সিভার ব্রান্টকে টপকে এক নম্বরে উঠেছেন স্মৃতি। ইংলিশ অধিনায়কের (৭৩১) চেয়ে এখন ৪ পয়েন্ট এগিয়ে ভারতের সহ-অধিনায়ক (৭৩৫)।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের দাবি নাকচ করে দিল আইসিসি |
![]() |
এ নিয়ে তৃতীয়বার ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠলেন স্মৃতি। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এই মুকুট পান তিনি। পরে চলতি বছরের জুলাইয়ে আবার এক নম্বরে বসেন বাঁহাতি ওপেনার। এক মাস পর আবার ফিরে পেলেন নিজের মুকুট।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার বেথ মুনি তিন ধাপ এগিয়ে ৫ নম্বরে উঠেছেন। প্রথম ম্যাচে ফিফটি করে যৌথভাবে ২৫ নম্বরে অবস্থান করছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড ও ফিবি লিচফিল্ড।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা চার নম্বরে উঠেছেন কিম গার্থ। আর অ্যালানা কিং এখন আছেন তার ক্যারিয়ার সেরা পাঁচ নম্বরে। ভারতের অফ স্পিনার স্নেহ রানা পাঁচ এগিয়ে ১৬ নম্বরে উঠেছেন
এই তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের সোফি এক্লেস্টোন। সেরা দশে ভারতের একমাত্র বোলার দিপ্তী শর্মা, সপ্তম।
হারলেই বিদায়, জিতলেও থাকতে হবে অপেক্ষায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য তাই বাঁচা-মরার লড়াই। আর এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুইশ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। চলতি এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ পর্যন্ত এই ফরম্যাটে তাদের মোট ম্যাচ সংখ্যা এখন ১৯৯টি।
কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ১৯৯ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৭৯টি। তারা হেরেছে ১১৫ ম্যাচে। আর ফল আসেনি বাকি পাঁচটিতে। বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে এখন দুইশ ম্যাচ খেলার দুয়ারে দাঁড়িয়ে তারা।
আরও পড়ুন
বৈরী আবহাওয়ায় স্থগিত এনসিএল টি-টোয়েন্টি |
![]() |
আবু ধাবির জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় টস হয়ে গেলেই ২০০ ম্যাচে মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে বাংলাদেশ।
২০০৬ সালে যাত্রা শুরুর প্রায় ১৫ বছর পর, ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই নিজেদের ১০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকারের ফিফটিতে সেদিন ৮ উইকেটে জিতেছিল তারা।
প্রথম একশ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল মাত্র ৩৩টি। বিপরীতে হেরেছিল প্রায় দ্বিগুণ, ৬৫টি ম্যাচ। ফল আসেনি দুই ম্যাচে।
পরের ৯৯ ম্যাচে অবশ্য কিছুটা উন্নতির ছাপ আছে। গত চার বছরে খেলা এই ৯৯ ম্যাচে তাদের জয় ৪৬ ম্যাচে আর হেরেছে ৫০টি। টসের পর পরিত্যক্ত হয়েছে বাকি তিন ম্যাচ।
একশতম ম্যাচের মতো এবার দুইশতম ম্যাচেও জিততে পারলে মিলবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের টিকেট।
বাংলাদেশ চাইলে অনুপ্রেরণা নিতে পারে অন্য দুই সংস্করণ থেকে। কারণ এরকম মাইলফলকের ম্যাচে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে জয় দিয়েই মাঠ ছেড়েছে তারা।
২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের শততম ওয়ানডে ম্যাচে ১৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। পরে ২০০৯ সালে ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেট হারায় তারা।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের ৩০০তম ওয়ানডে। সেদিন অবশ্য জিততে পারেনি তারা। তবে ২০২২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ৪০০তম ওয়ানডে ম্যাচে ১০৫ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
৫০ ওভারের ক্রিকেটে ফিরলেন ম্যাক্সওয়েল |
![]() |
এছাড়া টেস্টে নিজেদের শততম ম্যাচে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে কলম্বোর পি সারা ওভালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দল।
এবার দুইশতম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে লিটন কুমার দাসের দল উৎরে যেতে পারে কিনা সেটিই দেখার।
বাংলাদেশের আগে দুইশ টি-টোয়েন্টি খেলা দলগুলো হলো- পাকিস্তান (২৭৪), ভারত (২৪৯), নিউ জিল্যান্ড (২৩৫), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২২৮), অস্ট্রেলিয়া (২১১), শ্রীলঙ্কা (২১১), ইংল্যান্ড (২০৯) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (২০৬)।
ম্যাচ খেলার তালিকায় সবার ওপরে থাকলেও জয়ের রেকর্ডে অবশ্য শীর্ষে নেই পাকিস্তান। ১৬৬ জয় নিয়ে সবার ওপরে ভারত। তাদের পরেই পাকিস্তান, ১৫৬ জয়। এছাড়া একশর বেশি জয় আছে নিউ জিল্যান্ড (১২৩), অস্ট্রেলিয়া (১১৯), দক্ষিণ আফ্রিকা (১১২) ও ইংল্যান্ডের (১০৯)।
এশিয়া কাপের ম্যাচ রেফারি অপসারণের দাবি তুলে লাভ হলো না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)।তাদের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর। এর আগে সোমবার রাতেই এই বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য ইঙ্গিত দিয়েছিল ক্রিকবাজ।
ঘটনা মূলত গত রোববার ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচের। সেদিন টসের সময় হাত মেলাননি দুই অধিনায়ক। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পিসিবি অভিযোগ করে, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটই দুই দলের অধিনায়ককে হাত মেলাতে মানা করেছিলেন।
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশ যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম’ |
![]() |
তাই তাকে এশিয়া কাপ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় পিসিবি। এই বিষয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে টসের সময় হাত না মেলানো নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সঙ্গে ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের কোনো ভূমিকা ছিল না।
আইসিসি জানায়, পাইক্রফট কেবল মাঠে উপস্থিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কর্মকর্তাদের বার্তাই পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে কিছু না বলে এসিসির নির্দেশই তিনি জানিয়েছেন।
রোববারের ওই ঘটনার পর এখন বুধবারের পাকিস্তান-সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচ ঘিরে নতুন শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই ম্যাচেও ৬৯ বছর বয়সী পাইক্রফটই দায়িত্বে থাকবেন। তবে পিসিবি জানিয়েছে, পাইক্রফট ম্যাচ রেফারি থাকলে তারা মাঠে নামবে না।
এশিয়া কাপের আয়োজক এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) হলেও, সাধারণত আন্তর্জাতিক ম্যাচে সব আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি নিয়োগ দেয় আইসিসি। এসিসি সভাপতি মহসিন নাকভি (যিনি পিসিবিরও প্রধান) এ বিষয়ে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে পিসিবির দাবি, তারা এখনও আইসিসির কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি।