
স্বস্তির নিঃশ্বাস বার্সেলোনা সমর্থকরা এখন নিতেই পারেন। দানি ওলমো ও পাও ভিক্তরকে খেলাতে আদালত থেকে অনুমতি মিলেছে কাতালানদের। একই রাতে তারা স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে হারিয়েছে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে। তাতে মৌসুমের প্রথম শিরোপা জেতা থেকে আর এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে হান্সি ফ্লিকের দল।
বুধবার ম্যাচ শুরুর আগে সুসংবাদ মেলে বার্সেলোনার। স্পেনের শীর্ষ ক্রীড়া আদালত কনসেজো সুপিরিয়র দে দেপোর্তেস (সিএসডি) ওলমো ও ভিক্টরকে অস্থায়ীভাবে খেলার ছাড়পত্র দেন। চূড়ান্ত কোনো রায় হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা বার্সার হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারেবে বলে রায় দিয়েছে আদালত।
এমন খবর বার্সেলোনাকে যেন আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে। মাঠের পারফরম্যান্স অন্তত তাই বলে। লামিন ইয়ামাল ও গাভির গোলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। ম্যাচ শেষে জয়টা বার্সা কোচ উৎসর্গ করেছেন ওলমো ও ভিক্টরকে। সেই সাথে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আদালতের রায় নিয়েও।
“মাঠের উদ্দেশ্যে যখন আমরা বের হয়েছিলাম তখনই খবরটা পেয়েছিলাম। আমাদের পুরো দল তাদের জন্য খুশি। ক্লাবের সবাই খুশি, সঠিক সিদ্ধান্তটাই দিয়েছে আদালত। আমরা যে দল হিসেবে খেলি সেটাই দেখাতে চেয়েছিলাম, আমরা চেষ্টা করেছিলাম তাদের জন্য ম্যচটা জিততে।”
ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় গাভির গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। চোট কাটিয়ে ফেরার পর এটাই প্রথম গোল স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের, দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে গোলের ব্যবধানটা বাড়ান ইয়ামাল। গেল মাসে চোট পড়ে বেশ কয়েকটা ম্যাচ মিস করেছেন ইয়ামাল। ফিরেই গোলের দেখা পেয়েছেন ১৭ বছর বয়সী এই তরুণ।
বৃহস্পতিবার রাতে আরেক সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ লড়বে মায়োর্কার বিপক্ষে। জয়ী দল রবিবার রাতে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনার।
No posts available.

বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা চৌধুরীর, সমিত সোমদের মতো তারকাদের আগমন এবং জাতীয় নারী ফুটবল দলের এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাই করা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বিশ্ব অঙ্গনে। এবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গী হতে এবং বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে পাশে থাকতে। তবে তার আগে সব ধরনের সুযোগ, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ খতিয়ে দেখবে তারা।
আজ রোববার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে এক্সিকিউটিভ কমিটি, নারী উইং এবং নারী রেফারিদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার। সেখানে মূলত দুই পক্ষ একে অপরের সঙ্গে আইডিয়া শেয়ার করে। তবে সামনের দিনে ইইউকে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তাব দেবে বাফুফে।
আজ মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন,
‘আমরা ভবিষ্যতে একটা প্রপোজাল দিব। এই প্রপোজালের উপরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্তৃপক্ষরা বিবেচনা করবে কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা যায়। তবে আমরা চাই অতি দ্রুত একটা পার্টনারশিপে চলে আসতে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অনেক সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে। যেমন সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম, সেফটি প্রোগ্রাম, ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। এবার তারা খেলাধুলায়, বিশেষ করে বাংলাদেশের ফুটবলকে উন্নয়নমূলক জায়গায় নিতে প্রাথমিভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন,
‘আমাদের ফুটবল ফেডারেশনের একটা ভিশন আছে, একটা চলমান কিছু ফর্মূলা আছে এবং কিছু কিছু সাফল্যের গল্পও আছে। এই সবগুলা কিন্তু সাহায্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যারা সিদ্ধান্ত নেন তাদের মন জয় করার জন্য এবং তাদের সহজ করে বুঝানোর জন্য। তারা বিশ্বাস করে স্পোর্টসে একটা অবদান রাখলে এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের একটা গুডউইল ওনারাও তৈরি করতে পারবে।’
ইইউ কর্মকর্তা মিলার সাংবাদিকদের বলেছেন,
‘আমরা এখানে এসেছি কারণ বাংলাদেশের ফেডারেশনকে স্পন্সর করার সুযোগগুলো খতিয়ে দেখতে। আজকের আলোচনা ছিল প্রাথমিক। তবে বাংলাদেশ অত্যন্ত জটিল সময় পার করছে— নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একই সঙ্গে এই দেশের ইতিবাচক দিকগুলোর কথাও বলতে হবে— কীভাবে তরুণরা নিজেদের জন্য ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে, দেশ কীভাবে উন্নত ও এগিয়ে যেতে পারে, এবং কীভাবে বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় নিজেদের ক্রীড়া দলগুলোর পেছনে এক জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ সমর্থন গড়ে তুলতে পারে। এই ধরনের কাজই আমরা আপনাদের সঙ্গে করতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে আপনারা এক জাতি হিসেবে একত্রিত হতে পারেন এবং এক দল হিসেবে খেলতে পারেন— নিজেদের প্রতিভার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে।’

বয়স বাড়ছে, নাকি অন্য কিছু—কে জানে! পেপ গার্দিওলা ইদানিং ক্ষণে ক্ষণে হাসেন, কাঁদছেন, মেজাজও হারাচ্ছেন। যেমন, শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এক সাংবাদিকের কথায় চটে যান সিটি কোচ। ম্যাচের পর শিষ্যদের বড় দিনের শুভেচ্ছাও জানান।
এখানেই শেষ হলে চলতো। এরপরই স্প্যানিশ কোচ আবার তোপ দাগান, শিষ্যদের উন্নতি করার তাগাদা দেন। জানিয়ে দেন, তারা যদি উন্নতি না করে, তবে তিনি মোটেও খুশি হবেন না। পয়েন্ট তালিকায় ম্যানসিটিকে চূড়ায় রাখতে চান গার্দিওলা।
প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ম্যানচেস্টার সিটি। ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট তাদের। শীর্ষে থাকা আর্সেনাল থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলা থেকে চার পয়েন্ট এগিয়ে। বলা চলে, এক এবং তিনের মধ্যে এক প্রকার শীতল যুদ্ধে সিটিজেনরা। সেই কারণে, শিষ্যদের থেকে আরও পয়েন্ট এবং জয় চান স্প্যানিশ কোচ।
আরও পড়ুন
| জন্মদিনে গোল-রেকর্ড উপহার পেলেন এমবাপ |
|
তিনি বলেছেন, ‘‘খেলোয়াড়দের আমি বলেছি, ‘শুভ বড়দিন’, একই সঙ্গে তাদের বলেছি—যদি তোমরা উন্নতি না করো তাহলে এটা যথেষ্ট হবে না। (পয়েন্ট তালিকার চূড়ায় থাকা) ভালো ব্যাপার তবে, তবে আমি তোমাদের বলছি, নিজেদের খেলায় আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জয় আমাদের খুশি করেছে। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। টাইটেলের জন্য এটা যথেষ্ট নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘দলে স্পিরিট আছে, গত মৌসুমে যেটা ছিল না। এই স্পিরিট, আগ্রাসন এবং ক্ষুধা—এই সব বৈশিষ্ট্য ওদের প্রয়োজন। এটা ভেতর থেকে আসে।’’
প্রিমিয়ার লিগে ১১৪ ম্যাচে ১০৪ গোল করেছেন হলান্ড। এভাবে তিনি ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ১০৩ গোল করা পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন। অর্ধেকেরও কম ম্যাচ খেলে তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় হলান্ডকে প্রশংসায় ভাসালেন কোচ।
“ধন্যবাদ আর্লিং। অবশ্যই সব সময় গোলের জন্য তাকে আমার ধন্যবাদ জানাতে হবে।”

এক ম্যাচের কত রঙ, কত বাঁক। গোল, জয়, চোট—প্রিমিয়ার লিগে শনিবার রাতে অনেক কিছুরই স্বাক্ষী হতে হয়েছে লিভারপুলের সমর্থকদের। টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয়ের রানে গোল করেছেন আলেকজান্ডার ইসাক। তবে হাটুর চোটে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল।
শনিবার ম্যাচের ৪৬ মিনিটে কনর ব্রাডলির বদলি হিসেবে নামেন সুইডিশ স্ট্রাইকার ইসাক। মাত্র দশ মিনিটের মধ্যেই দলকে গোল উপহার দেন। ফ্লোরিয়ান ভির্টজের দেওয়া ক্রস থেকে লক্ষ্যবেদ করেন তিনি।
দলকে এগিয়ে নেওয়ার চার মিনিট পর হাটুতে ব্যথা অনুভব করেন ইসাক। দ্রুতই তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বদলি হিসেবে নামেন জেরমি ফ্রিংপং। লিগে সুইডিশ স্ট্রাইকারের গোল এখন মাত্র দুটি। তিনি এ পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে ৬ ম্যাচে ছিলেন শুরুর একাদশে।
ইসাক কবে ও কখন ফিরবেন সে ব্যাপারে লিভারপুল কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। তবে আর্নে স্লট বলেছেন, “তার (ইসাক) জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দেখি কি হয়। যদি একজন প্লেয়ার গোল করে, তারপর চোটে পড়ে এবং সেখান থেকে ফেরার চেষ্টা না করে, সেটা স্বাভাবিক বিষয় নয়।”
অ্যানফিল্ডের দল যে বিপদে পড়েছে, তা স্পষ্ট। মোহাম্মদ সালাহ আফ্রিকা কাপ খেলতে ছুটিতে, কোডি গাকপো চোটে। তালিকায় নতুন সংযোজন ইসাক ।
লিগে লিভারপুলের অবস্থান পঞ্চম। ১৭ ম্যাচে ৯ জয়, ৬ হার ও ২ ড্র তাদের। শীর্ষে থাকা আর্সেনাল সমান ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। দুই পয়েন্ট কম ম্যানচেস্টার সিটি, এক ম্যাচ কম খেলে অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্ট ৩৩ এবং চারে থাকা চেলসির পয়েন্ট ২৯। লিভারপুলের সমান পয়েন্ট তাদের।
আর্নে স্লট জানিয়েছেন, স্বস্তি ফেরাতে তার দলের আরও কিছু জয় প্রয়োজন। রেসে এগিয়ে যেতে তারা সকল ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তারা।

জন্মদিনে এরচেয়ে স্বস্তি এবং মোলায়েম উপহার আর কী হতে পারে! একজন বৃক্ষপ্রেমিককে শতবর্ষী কোনো বনসাই, বইপ্রেমিককে অর্নেস্ট হেমিংওয়ে কিংবা পাওলো কোয়েলহোর ভুবনজয়ী কোনো উপন্যাস। ভ্রমণপিপাসুকে আরব্য রজনীর ইতিহাস মাড়ানোর সুযোগ।
আর যদি ব্যাক্তিটি হয়ে থাকেন ফুটবলার, গোলের নেশা বুঁদ থাকা কোনো স্ট্রাইকার। তবে নিশ্চয় গোল, অ্যাসিস্ট উপহার। অ্যাসিস্টের কথা বললেও কিঞ্চিত রাগ করে বসতে পারেন তিনি। কারণ, রেকর্ড ভাঙা-গড়াতেই যে তাঁর আনন্দ।
নিজের ২৭তম জন্মদিনে কিলিয়ান এমবাপেও পেলেন গোল-রেকর্ড উপহার। তেজি ঘোড়ার মতো দিগ্বিদিক ছোটা ফরাসি ফরোয়ার্ড শনিবার রাতে পেয়েছেন গোল। সেভিয়ার বিপক্ষে ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপিয়ে ভাগ বসান যুগের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ডে।
এক ফুটবলীয় ক্যালেন্ডারে রোনালদোর গোল সংখ্যা ৫৯। শনিবার লা লিগায় রিয়ালকে বার্সেলানার আরও কাছে নিয়ে যাওয়ার দিনে এমবাপে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ২০২৫-২৬ মৌসুমে কোপা দেল রেতে দুই গোলে করে ৫৮ গোল পূর্ণ করা নম্বর টেন এদিন ‘আইডল’ রোনালদোকে ছুঁয়ে ফেলেন।
লিগে ১৮ বার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন এমবাপে। তাঁর অ্যাসিস্টের সংখ্যা ৪টি। লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন রিয়াল তারকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড ফেরান তোরেসের থেকে ৭টি গোল বেশি তাঁর।
জন্মদিনে গোল ও রেকর্ড গড়ে এমবাপে বলেছেন, ‘এটি স্পেশাল দিন। কারণ আজ আমার জন্মদিন। আমি সবসময় বলেছি, জন্মদিনে রিয়ালের হয়ে খেলা ছিল স্বপ্ন। এই ক্লাবটিই আমার স্বপ্ন।’
রিয়াল মাদ্রিদ টিভিতে তিনি আরও বলেছেন, ‘এটাই মূল্য আলোচ্য—ভালো রেজাল্ট এবং অবিশ্বাস্য রেকর্ড দিয়ে বছর শেষ করা।’
লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলস্কোরার এমবাপে। তাঁর গোল সংখ্যা—১৮
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসানো নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো যেটা করেছে, সে রকম কিছু করা সত্যিই আনন্দের। এটা গর্বেরও। সে আমার আইডল। সে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার এবং বিশ্বসেরা।’
২৭ বছর বয়সকালীন ৫৩১ ম্যাচের ২৭২ গোল ও ১০৬টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদো। একই বয়সে ফরাসি ফরোয়ার্ড ৫৪৪ ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ৪১০টি, অ্যাসিস্ট ১৭৬টি। যা রোনালদোর চেয়ে ১৩৮ গোল বেশি।
এমবাপের এর অবদানটা আল নাসর ফরোয়ার্ডকেই দিতে চান। তিনি বলেছেন, ‘আমি রোনালদোকে একটি ইশারা দিতে চেয়েছিলাম, কারণ তিনি সবসময় আমার প্রতি আন্তরিক। তিনি সবসময়ই ভালোভাবে মাদ্রিদে খাপ খাওয়ানোর বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতেন।’
সবচেয়ে বড় কথা, এমবাপের জানিয়েছেন, তার ছোটবেলার আইডল রোনালদো। আইডলকে স্মরণ করে নিজের জন্মদিনে বিশেষ গোলের পর তাঁর মতোই উদযাপন করেছেন তিনি।

২০২৪-২৫ লা লিগায় ইঁদুর-বিড়াল দৌড় চলছে। শীর্ষস্থান দখলে একবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দল এগিয়ে তো, তাদের পেছনে ফেলে ছুটে চলেছে কাতালান যোদ্ধারা। এখন অবশ্য হ্যান্সি ফ্লিকের দল স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। তবে স্বস্তিতে থাকারও সুযোগ নেই তাঁদের।
ঘরের মাঠে শনিবার রাতে সেভিয়াকে আতিথ্য দিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে স্বাগতিক দল। এ জয়ে বার্সেলোনার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে জাবি আলোনসোর দল।
সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা থেকে রিয়াল চার পয়েন্ট দূরে ছিল। লস ব্লাঙ্কোসদের পয়েন্ট ছিল ৩৯, বার্সার ৪৩। পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাওয়াতে শীর্ষের দলের সঙ্গে মাত্র এক পয়েন্ট দূরে এসে দাঁড়ায় রিয়াল।
দারুণ সময় কাটাচ্ছেন রদ্রিগো। বার্সার দুটি গোলে অবদান তার। অন্যদিকে এমবাপে মেতেছেন রেকর্ড ভাঙা গড়ায়
হ্যান্সি ফ্লিকের দলের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, রিয়াল তাদের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। ১৮ ম্যাচে আলোনসোর দলের ১৩ জয়, ৩ ড্র এবং ২ হার। বার্সা ১৭ ম্যাচে ১৪টি জয়, ১টি ড্র এবং ২টি হার। দলটি আজ রাত ৯টায় ভিয়ারিয়ালের অতিথি হবে।
সেভিয়ার বিপক্ষে ডেডলক ভাঙে ৩৮ মিনিটে। রদ্রিগো অ্যাসিস্টে স্বাগতিকদের উৎসব এনে দেন জুড বেলিংহাম। লা লিগায় এটি তার চতুর্থ গোল। দ্বিতীয় গোলটি আসে ৮৫ মিনিটে। ডি বক্সে রদ্রিগোকে ফাউল করে বসেন সানচেজ। রেফারি পেনাল্টি দেন অতিথিদের বিপক্ষে। সেখান থেকে জাল কাঁপান এমবাপে।
এ নিয়ে লিগে ১৮ বার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। তার অ্যাসিস্টের সংখ্যা ৪টি। লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা রিয়াল তারকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফেরান তোরেসের থেকে ৭টি গোল বেশি তাঁর।
এদিন এক ক্যালেন্ডারে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ৫৯ গোলের রেকর্ড স্পষ্ট করেন এমবাপে। ২৭তম জন্মদিনে এরচেয়ে বেশি পাওয়া কি হতে পারে তাঁর জন্য?