২২ অক্টোবর ২০২৫, ১:০০ এম
নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ের পর প্যারিস সেন্ট জার্মেইর বিপক্ষে হার। চ্যাম্পিয়নস লিগের ২০২৫-২৬ মৌসুমে অম্ল-মধুর পথচলা লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা আজ দেখাল তাদের পুরোনো রূপ। নিজেদের দিনে কী করতে পারেন কাতালান যোদ্ধারা— তা আরেকবার দেখল এস্তাদি ওলিম্পিক লুইস স্টেডিয়ামে আগত প্রায় ৫৬ হাজার দর্শক।
ফিফা আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফেরার পর নিজেদের প্রথম ম্যাচে অতিথি অলিম্পিকোসোকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মাতেন হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ৬-১ গোলে তারা স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে গ্রীস জায়ান্টদের। বার্সেলোনার হয়ে ফারমিন লোপেজ তিনটি, মার্কাস রাশফোর্ড দুটি এবং প্যানাল্টি থেকে একটি গোল করেন লামিন ইয়ামাল।
এদিন নিজেদের মাঠে মাত্র ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মধ্যমাঠ থেকে ড্রিবলিং করতে করতে একাই বল টেনে অতিথি বক্সের কাছে চলে যান ফারমিন লোপেজ। সেখান থেকে আলতো শটে বল বাড়ান লামিন ইয়ামাল বরাবর। বক্সের ভেতরে থাকা স্পেন তারকার সুযোগ ছিল জালে লক্ষ্যভেদের।
সেটা ইয়ামাল করেননি, বলতে গেলে পারেননি। গোলকিপার কনস্তান্তিনোস জোলাকিস তাঁর সামনে পড়ে যান। বলটি তিনি তালুবন্দি করতে গিয়ে হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। উপায়ান্তর না পেয়ে ফের লোপেজ বরাবর বল পাঠান ইয়ামাল। অতিথি সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিতে এরচেয়ে বেশিকিছু করার উপায়ও ছিল না স্পেন রাইট উইঙ্গারের। ফারমিন পেয়ে গেলেন ২০২৫-২৬ মৌসুমে নিজেদের দ্বিতীয় গোল। দলকেও এনে দেন উৎসব-আমেজময় লিড।
ফারমিন দলকে দ্বিতীয়বার উৎসবে মাতান ৩৮ মিনিটে। বাঁ-প্রান্ত থেকে বক্সের সামনে স্পেন ফরোয়ার্ডকে পাস দেন ফার্নান্দেজ। কাটব্যাক করে সোজা বক্সে ঢুকে পড়েন ফারমিন। তড়িৎ শট নেন জালে। পেয়ে যান নিজেদের দ্বিতীয় গোল। দল পায় ২-০ লিড।
৫৪ মিনিটে পেনালটি পায় বার্সেলোনা। স্পট কিক থেকে বারের ডান দিকে শট নেন আয়ুব এল কাবি। সিজনি ঠিকঠাক জাম্প দেন। কিন্তু নাগালের বাইরে ছিল বল। বরং বারে লেগে তা জাল স্পর্শ করে সুন্দরভাবে। একটি গোল শোধ করে অতিথিরা।
এর আগে অবশ্য নাটকীয়তা ঘটেছিল। পডেন্সের ক্রসে হেডারে গোল করেন এল কাবি। কিন্তু তার আগে গার্সিয়ার হাত স্পর্শ করে বল। ফাউল দিতে কুন্ঠাবোধ করেননি রেফারি। এরপর আরও কিছু বিশ্লেষণ করা হয়, যেখানে দেখা যায়, পডেন্স গোলের মুহূর্তে অফসাইড ছিলেন। এই কারণে, পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আরও সঠিক ছিল।
৫৬ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় অলিম্পিয়াকোস। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন হেজে। তাতে দুর্বল হয়ে পড়ে দল। আহত দলের ওপর মুর্হুমুহু আক্রমণ শুরু করে স্বাগতিকরা।
৬৮ মিনিটেই সাফল্য পায় বার্সা। মার্কাস রাশফোর্ড ডি বক্সে পড়ে যান। ওয়ান টু পজিশনে ছিলেন তিনি। কেবল গোলকিপার ছিল সামনে। সুযোগও ছিল গোল করার। কাটব্যাক করে ডানপ্রান্তে বলটি পাঠানোর পরই কনস্তান্তিনোস জোলাকিসের হাতে লেগে মাটিতে পড়ে যান ইংলিশ ফরোয়ার্ড। ভিআর চেকে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানায় রেফারি। সেখান থেকে সফল স্পটকিকে গোল করেন লামিন ইয়ামাল। আসরে এটি দ্বিতীয় গোল বার্সা রাইট উইঙ্গারের।
৭০ মিনিটে হ্যাট্রিকের দারুণ সুযোগ মিস করেন ফারমিন। জুলস কুন্ডের পাস থেকে পাওয়া বল শট নিয়েছিলেন গোলমুখে। সেটা বারের ডানপ্রান্ত দিয়ে বের হয়ে যায়। ঠিক একমিনিট পরই দ্বিতীয় গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় ইয়ামালের। বার্সা মধ্যমণি বক্সের ভেতর একাই তিনজনকে পরাস্ত করে বাঁ-পাশ দিয়ে আক্রমণ যান। সেটা ভেস্তে যায়, অলিম্পিয়াকোসের রক্ষণভাগের কল্যাণে।
৭৩ মিনিটে অনেকটা বলে কয়ে গোল দেন রাশফোর্ড। ঠান্ডা মাথায় চোখ বুলিয়ে ডান পায়ের নিখুঁত শট নেন অতিথি জালে। এক্ষেত্রে রোলান্ড আরাউহোর অবদান অস্বীকার করা যাবে না। তার পাস থেকেই গোলটি আদায় করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
৭০ মিনিটে সুযোগ মিস করলেও ৭৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক করতে ভুল করেননি ফারমিন। বালদের চিপ শট বক্সের ভেতর পেয়ে যান স্পেনের ২২ বর্ষী ফরোয়ার্ড। কীর্তি গড়তেও একটুও ভুল করেননি।
রাশফোর্ড আরও একবার দেখান জাদু। মধ্যমাঠ থেকে পেদ্রির দেওয়া লং পাস অলিম্পিয়াকোসের ডি বক্সের সামনে সুযোগ সন্ধানী রাশফোর্ড পেয়ে যান। যদিও তার সামনে ছিল অতিথির রক্ষণ দেয়াল। নিজেকে প্রমাণ করার দিনে এসব বাঁধা যে তুচ্ছ, সেটা প্রমাণ করতে ভুলেননি। ঠিকই ২০২৫-২৬ চ্যাম্পিয়নস লিগে আদায় করে নিলেন নিজের চতুর্থ গোল। একই সঙ্গে জানান দিলেন, স্বপ্নের ক্লাবে স্বপ্নপূরণে তিনি যে কতটা মরিয়া।
নিজেদের মাঠে বার্সার জাল ছিল বিস্তৃত। ৭৩ শতাংশ বল দখলে রেখেছেন পেদ্রিরা। মাত্র ২৭ শতাংশ বল দখলে ছিল অতিথিদের। ১৪টি অলিম্পিয়াকোস মুখে শট ছিল যার, ৭টিই ছিল গোলমুখে। বিপরীতে যাচ্ছেতাই ছিল অতিথিরা। মাত্র ৫টি শট ছিল স্বাগতিকমুখে। যার দুটি ছিল অন টার্গের। গ্রীসের দলটি বড় সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে মাত্র ২ বার।
No posts available.
২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭:০৩ পিএম
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন লর্ড। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
প্রীতি ম্যাচে অংশ বর্তমানে থাইল্যান্ডে আফঈদা খন্দকাররা। সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্পোর্টস সায়েন্সে পিএইডি করা ক্যামেরন।
ব্যক্তিগত ও দলগত ফিটনেস উন্নয়নে পূর্ণাঙ্গ অ্যাথলেটিক প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে কাজ করবেন ক্যামেরন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার এ-লিগের পেশাদার ক্লাব পার্থ গ্লোরিতে এবং মিশরের ক্লাব জেড এফসিতে স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন এই প্রশিক্ষক।
২৪ ও ২৭ অক্টোবর ব্যাংককে স্বাগতিক থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ নারী দল। তারই প্রস্তুতি হিসেবে ব্যাংককের সুখোথাইয়ে পুলিশ তেরো এফসির মাঠে আজ অনুশীলন করেছে সফরকারীরা। ম্যাচের আগে ক্যামেরন লর্ডের অধীনে আরও কয়েকটি অনুশীলন সেশনে অংশ নেবেন খেলোয়াড়রা।
আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন আশরাফ হাকিমি ও মোহাম্মদ সালাহ। গত দুই বছর রানার-আপ হয়ে যাত্রা শেষ করেছিলেন পিএসজির রাইটব্যাক হাকিমি। অন্যদিকে, মিশরের লিভারপুল তারকা সালাহ টানা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ২০১৭ ও ২০১৮ সালে।
হাকিমি ২০২৪-২৫ মৌসুমটি স্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়াও প্যারিস সেন্ট জার্মেইর হয়ে জিতেছেন একাধিক ঘরোয়া লিগ শিরোপা। মিশরের ফরোয়ার্ড সালাহর অবদানও কম নয়। লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পাশাপাশি জিতেছেন গোল্ডেন বুটও।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন এভারটনের ফরোয়ার্ড ইলিমান এনদিয়ায়ে ও টটেনহ্যাম হটস্পারের মিডফিল্ডার পাপে মাতার সার। দু’জনেই সেনেগালকে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন গালাতাসারায়ের নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমহেন। যিনি ২০২৩ সালে আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সেরার দৌড়ে আরও রয়েছেন ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার আন্দ্রে-ফ্রাঙ্ক জাম্বো অ্যাঙ্গিসা, কঙ্গো ডি আর-এর স্ট্রাইকার ফিস্টন মায়েলে, গ্যাবনের ফরোয়ার্ড ডেনিস বুয়াঙ্গা, গিনির স্ট্রাইকার সেরহু গিরাসি এবং মরক্কোর মিডফিল্ডার ওসামা লামলিউই।
সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো—গতবারের সেরা খেলোয়াড় আদেমোলা লুকম্যান এবার সেরা ১০ জনের তালিকায় নেই।
সময়টা দারুণ যাচ্ছে পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। মাঠের পাশাপাশি বাইরেও ছড়াচ্ছেন আলো। এবার বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে বাজারযোগ্য ফুটবলার হয়েছেন তিনি। ১১ ধাপ পিছিয়ে ১৬তম স্থানে লিওনেল মেসি। তালিকাটা এমন খেলোয়াড়দের যাঁকে ব্র্যান্ড, স্পনসর বা বিজ্ঞাপনদাতারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে— কারণ তাঁর জনপ্রিয়তা, প্রভাব, ফলোয়ার, ও পণ্য বিক্রিতে ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম ও ইভেন্ট কোম্পানি ‘স্পোর্টসপ্রো’র ২০২৫ বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে ফুটবলারদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন রোনালদো। পেছনে ফেলেছেন লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে।
বিভিন্ন খেলাধুলার তারকাদের নিয়ে তৈরি ওই তালিকায় সবচেয়ে বাজারযোগ্য ক্রীড়াবিদ হয়েছেন ফর্মুলা ওয়ান রেস কার ড্রাইভার লুইস হ্যামিল্টন। দ্বিতীয় স্থানে আছেন জিমনেস্ট সিমোন বাইলস, তৃতীয় রাগবি তারকা ইলোনা মাহের, চতুর্থ এনবিএ তারকা স্টেফ কারি। চার ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা রোনালদোই তালিকার সবচেয়ে বাজারযোগ্য ফুটবলার। ষষ্ঠ স্থানে আছেন নেইমার।
তালিকার শীর্ষ ৫০ জনের মধ্যে ১৮ জন ফুটবলার রয়েছেন। এর মধ্যে আরো আছেন রবার্ট লেভানদোভস্কি (১১তম), কিলিয়ান এমবাপে (১৩তম), ভিনিসিউস জুনিয়র (১৪তম), লিওনেল মেসি (১৬তম), বুকায়ো সাকা (১৯), লামিন ইয়ামাল (২৩), হ্যারি কেইন (২৮), রাফিনহা (৩০তম), মার্কাস রাশফোর্ড (৩২), আশরাফ হাকিমি (৩৪), আলেক্সিয়া পুতেলাস (৩৬), মোহামেদ সালাহ (৪৩তম), রদ্রিগো (৪৪), জামাল মুসিয়ালা (৪৫), বেথ মিড (৪৬) ও দানি ওলমো (৪৯তম)।
তবে অনেক তারকাই এবার জায়গা পাননি শীর্ষ ৫০-এ। তাদের মধ্যে আছেন আর্লিং হলান্ড, জুড বেলিংহাম, কেভিন ডি ব্রুইনে, কোল পামার ও ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড। বেলিংহাম নেমে গেছেন ৬৬ ধাপ নিচে।
আগামী ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে ভিয়ারিয়াল ও বার্সেলোনার মধ্যে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা বাতিল করেছে লা লিগা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ।
লা লিগা জানিয়েছে, স্পেনে এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে তৈরি হওয়া প্রতিক্রিয়ার কারণে ম্যাচটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর আমেরিকার বাজারে লা লিগার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘রেলেভেন্ট’।
লা লিগার উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার বাজার ধরা এবং ফুটবলকে আরও বিস্তার করা। কিন্তু ম্যাচের আগে লা লিগার খেলোয়াড়দের ১৫ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকা এবং কোচ ও খেলোয়াড়দের আপত্তির মুখে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয় লা লিগা কর্তৃপক্ষ।
পরিকল্পনা বদলের পর জানা গেছে, ভিয়ারিয়ালের হোম গ্রাউন্ড মাঠ এস্তাদিও দে লা সেরামিকায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। সিদ্ধান্ত বদলের পর সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন স্প্যানিশ লিগটির প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস।
তেবাস লিখেছেন, ‘বিশ্ববাজারে নিজেদের মেলে ধরার মতো বড় সুযোগ হারিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল।’ প্রেসিডেন্ট এটিকে সংকীর্ণ মানসিকতা বলেও আখ্যা দিয়েছেন,
‘ঐতিহ্য রক্ষার কথা বলে অনেকেই সংকীর্ণভাবে নিজের স্বার্থ দেখায়, কিন্তু প্রকৃত ঐতিহ্য ধ্বংস করছে বড় বড় নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নিয়ম ও সিদ্ধান্ত।’
তিনি আরও লিখেছেন,
‘স্প্যানিশ ফুটবল টিকিয়ে রাখতে লা লিগা কঠোরতা ও দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে। সেটা হবে এর মূল শিকড়কে সম্মান জানিয়ে এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।’
সবশেষে তিনি জানিয়েছেন, স্প্যানিশ লিগকে একটা লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। সে জন্য কাজ করে যাচ্ছে লা লিগা।
ম্যাচ বাতিলে লা লিগার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা যে বেশ খুশি তা নিশ্চয়ই বলা যায়। এর আগে ৭ হাজার ২০০ কিলোমিটার (৪,৫০০ মাইল) দূরে গিয়ে মৌসুমের একটি নিয়মিত ম্যাচ খেলা নিয়ে কেউ খুশি নন বলে জানিয়েছিলেন বার্সেলোনার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। শুরু থেকেই অতিরিক্ত ভ্রমণের এই পরিকল্পনা পছন্দ করেননি তিনি। জানুয়ারির শুরুতেই কাতালান ক্লাবটিকে সৌদি আরবে যেতে হবে স্প্যানিশ সুপার কাপের জন্য। ফলে এই ভ্রমণ বাড়তি ক্লান্তি আনবে বলে মনে করেন তিনি।
বার্সেলোনার ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি ইয়ং অক্টোবরের শুরুতে বলেছিলেন,
‘এটা খেলোয়াড়দের জন্য ভালো নয়। এত ভ্রমণ করতে হয়, সেটা ক্লান্তিকর। প্রতিযোগিতার দিক থেকেও এটা ন্যায্য নয়—এটা আমাদের জন্য কার্যত নিরপেক্ষ মাঠে একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ হয়ে যেত।’
ম্যানচেস্টার সিটিতে সম্ভাব্য সবধরনের শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা আছে জুলিয়ান আলভারেজের। তবে ইংলিশ ক্লাবটিতে বেশিরভাগ সময় বেঞ্চে থেকেই সাফল্যের স্বাক্ষী হয়েছেন। পেপ গার্দিওলার দলে মাঠে নামার সুযোগ খুব একটা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ঠিকানা পাল্টে স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমান আলভারেজ। তবে দিয়াগো সিমিওনের ক্লাবে এসেও যে ভালো নেই আলভারেজ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল রাতে আর্সেনালের বিপক্ষে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় আলভারেজের ক্লাব আতলেতিকো। ম্যাচে আলভারেজের চেহারায় হতাশা ছাপ ছিল স্পষ্ট। বড় ব্যবধানে হারের পর মাঠ চোখে-মুখে ক্লান্তি সঙ্গে ছিল ক্ষোভ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবারের আসরে তিনটি ম্যাচের মধ্যে একটিতে জিতেছে আতলেতিকো। লা লিগাতেও শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আট পয়েন্ট পিছিয়ে আছে আছে তারা। লিগে রিয়াল-বার্সার মতো বড় ক্লাবের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা কমই। তাতে ক্লাবটির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলভারেজ ক্লাব ক্যারিয়ারে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে খানিকটা দ্বিধায় থাকাটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন
‘মাস্তানতুনো আমাদের সঙ্গে আছে, এটাই সবচেয়ে আনন্দের’ |
![]() |
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ট এর প্রতিবেদন অনুযায়ী আলভারেজের মনে এখন ধীরে ধীরে হতাশা ভর করছে। ক্লাবের বর্তমান দলগত কাঠামোয় বড় কোনো শিরোপা জিতার ব্যাপারে সন্দিহান তিনি। ভবিষ্যতে স্পেন ছাড়ার ব্যাপারেও নাকি ভাবছেন ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। আর তার পুরো পরিস্থিতির দিকে গভীরভাবে নজর রাখছে বার্সেলোনা।
বার্সার বর্তমান ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানোদভস্কির সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি আছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। গুঞ্জন আছে চলতি মৌসুম শেষে পোলিশ ফরোয়ার্ডের চুক্তি আর নবায়ন করবে না কাতালান ক্লাবটি। তাতে স্ট্রাইকার পজিশনে লেভানোদভস্কির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আলভারেজে সমাধান খুঁজতে পারে বার্সা। মাঝেমধ্যে আর্জেন্টাইন তারকার প্রশংসাও করেছেন ক্লাবটির সভাপতি জোয়ান লাপার্তা।
২০২৪ সালের আগস্টে আলভারেজকে ছয় বছরের চুক্তিতে দলে ভেড়ায় আতলেতিকো। ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বড় অঙ্ক খরচা করে তাকে দলে নেয় ক্লাবটি। গুঞ্জন আছে ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে ছাড়তে রাজি আছে আতলেতিকো। তবে আর্থিক দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাওয়া বার্সার জন্য যে এই সংখ্যাটা বিশালই।