৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৭ পিএম

সব সাফল্যের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে অগণিত সংগ্রাম, অশ্রু আর নিঃশব্দ লড়াইয়ের গল্প। সাফল্য ধরা না দিলে সেই সংগ্রামের কথা অজানাই থেকে যায়। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে মহাকাব্যিক এক সেঞ্চুরি করে ভারতকে ফাইনালে তোলা জেমিমাহ রদ্রিগেস সফল। আর তাঁর এই অর্জনের পেছনের গল্প যে কতটা সংগ্রামময়, আবেগঘন ও অনুপ্রেরণামূলক সেটা ম্যাচশেষে চোখের পানি ফেলেই বললেন জেমিমাহ।
অস্ট্রেলিয়ার ৩৩৯ রানের পাহাড়সম রান তাড়া করতে হলে নারী কিংবা পুরুষ দুই ক্রিকেটেই করতে হতো বিশ্বরেকর্ড। ইতিহাস নাম লিখিয়ে ভারত শেষ পর্যন্ত সেই রান তাড়া করেছে। ১৩৪ বলে ১২৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে ভারতকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার কারিগর জেমিমাহ।
ভারতীয় ব্যাটার জেমিমাহ সেমিফাইনালে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার আগে ভয়ংকর মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। টুর্নামেন্টের শুরুতে এতটাই দুঃশ্চিন্ত আর উদ্বেগ পেয়ে বসেছিল ২৫ বছর বয়সী ব্যাটারকে , চাপ সামলাতে প্রায়েই মাকে ফোন করে শুধু কাঁদতেন।
আরও পড়ুন
| ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত |
|
ঐতিহাসকি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জেমিমাহ বলেন, “আমি খুব সংবেদনশীলভাবে বলতে যাচ্ছি, কারণ হয়তো কেউ একই পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। এটা বলার কারণ হলো, কেউই নিজের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলতে চায় না।’
টুর্নামেন্টের শুরুতে উদ্বেগের সময় মা-বাবার সাহায্য মানসিক সমর্থনের পাশাপাশি সতীর্থদেরও পাশে পান জেমিমাহ, ‘আমি ধন্য যে আমার এমন বন্ধু আছে যাদেরকে আমি পরিবার বলতে পারি। তাদের কাছে সাহায্য চাইতে কোনো দ্বিধা নেই আমার।’
জেমিমাহ এবারের বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন ০, ৩২, ০ ও ৩৩ রানে। পরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দল থেকেই ছিটকে পড়েন। সেই সময়টায় নিজের সক্ষমতা নিয়ে নিয়ে সন্দেহ হয় তার। সত্যিই কি সর্বোচ্চ স্তরের ক্রিকেটে সফল হওয়ার যোগ্য কিনা নিজেকেই প্রশ্ন করেন জেমিমাহ।
কতটা মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন জেমিমাহ সেটা তাঁর মুখেই শোনা যাক, ‘উদ্বেগের কারণে শুরু হয়েছিল। তারপর দলে থাকা বাদ পড়া সত্যিই আমাকে আঘাত করেছিল। দলে না থাকলে দলের জন্য অবদান রাখতে পারি না, যা আমাকে আরও চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ফিরে আসার পর আরও বেশি চাপ অনুভূত হয়েছিল, কারণ গত মাসে অনেক ঘটনা ঘটেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস খেলার সময় নিজেকে যেভাবে সামলেছেন জেমিমাহ, ‘আমি জানতাম আমাকে শুধু মাঠে দাঁড়াতে হবে, আর সব কিছুই ঈশ্বর দেখবেন। শুরুতে আমি খেলছিলাম এবং নিজের সঙ্গে কথা বলছিলাম। শেষ দিকে, আমি বাইবেলের একটি শ্লোক মনে পড়ছিল—শুধু স্থির থাকতে হবে এবং ঈশ্বর আমার জন্য লড়বেন। আমি শুধু সেখানে দাঁড়ালাম, আর তিনি আমার জন্য লড়লেন।’
No posts available.
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৩ পিএম
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৭ পিএম

দর্শকরা স্টেডিয়ামের প্রাণ—খেলার আবেগের কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে। তারাই মাঠে উৎসাহ দেন, খেলোয়াড়দের প্রেরণা জোগান। তবে স্টেডিয়ামে প্রায়ই কিছু সমর্থককে দেখা যায় মাত্রাতিরিক্ত উদযাপন করতে। প্রতিপক্ষের সমর্থক বা খেলোয়াড়দের বিরক্ত করাই যেন তাদের প্রধান কাজ। এতে যেমন স্টেডিয়ামের পরিবেশ নষ্ট হয়, তেমনি ক্রিকেটারদের মনোযোগেও আসে ব্যাঘাত।
সম্প্রতি ভালো ও খারাপ দেশের সমর্থকদের নিয়ে একটি র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। যেখানে সবচেয়ে ভালো সমর্থক দেশের তালিকায় রয়েছে ফারো দ্বীপপুঞ্জ, আর সবচেয়ে বাজে আচরণের সমর্থকদের মধ্যে শীর্ষে আছে আলবেনিয়া।
ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কিংবা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ভালো ও খারাপ দেশের সমর্থকদের নিয়ে এমন তালিকা প্রকাশ করত, তবে কোন দেশ এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকত—তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে।
তবে ক্রিকেট মাঠে দর্শকদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি, বিশেষ করে বাংলাদেশি সমর্থকদের ‘ভুয়া, ‘ভুয়া’ স্লোগান, মোটেও পছন্দ নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামির।
বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবক’টি নিজেদের পক্ষে নিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে মাঠ থেকে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ স্লোগান ভেসে আছে। বিষয়টি ভালো লাগেনি স্যামির।
ক্যারিয়ারে নানা সময় বাংলাদেশে আসার সুবাধে বাংলা ভাষাটা কিছুটা রপ্ত স্যামির। তিনি জানেন ভুয়া অর্থ। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বলেছেনও সেটি,
“তারা (দর্শকরা) ক্রিকেটারদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেছে, সেটা আমার ভালো লাগেনি। আমি শুনেছি তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলছে। এর অর্থও আমি জেনেছি। কিন্তু আমি মনে করি না, হোম টিমের দর্শক হিসেবে এমন করা উচিত। কারণ আপনারা তখন সমর্থক। প্রত্যেক ক্রিকেটারই মাঠে আসে তাদের সেরাটা দেওয়ার জন্য। তাই আপনাদের উচিত, তাদের সমর্থন করা।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“তবুও তারা (দর্শকরা) ভালো। তারা নিজেদের দলকে পারফর্ম করতে দেখতে চায়। তবে যত বেশি সমর্থন ও উৎসাহ দেবেন, তারা তত দূর যেতে পারবে। ক্রিকেটারদের অযথা চাপে ফেলবেন না। ফ্যানদের বলব, তাদের (ক্রিকেটারদের) সঙ্গে সুন্দর আচরণ করুন।”

বল হাতে ফাহিম আশরাফ ও সালমান মির্জার রাজত্ব, এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সাইম আইয়ুব। তাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে খুব একটা কষ্ট হয়নি পাকিস্তানের। অতিথিদের বিপক্ষে ৪১ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে সালমান আলী আগার দল।
লাহোরের শুক্রবারের ম্যাচটি ছিল স্বাগতিকদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তান। আজ জয় অধরা থাকলে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কা ছিল। কিন্তু ব্যাট-বলে সমানতালে লড়ে সে ভয় উড়িয়ে দিয়েছে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ১১০ রানে আটকে দেয় প্রথমে। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪১ বল হাতে রেখেই কাজ সারেন সাইম।
এদিন ডোনাভান ফেরেইরাদের দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন সাইম ও সাহিবজাদা ফারহান। ফারহান কিছুটা দেখে-শুনে খেললেও চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন সাইম। দুজনের জুটিতে ফাটল ধরে ফারহান এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে।
ফারহান যখন ২৮ রানে সাজঘরে ফেরেন, তখন পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশ (৫৪) ছুঁয়েছে। এরপর বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা শেষ করেন স্পিন অলরাউন্ডার সাইম। দুজনের জুটি টিকে ছিল শেষ পর্যন্ত। এ জুটিতে আসে ৫৮ রান।
সাইমের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৭১ রান। বাবর আজম অপরাজিত থাকেন ১১ রানে। আর এই ইনিংসেই রীতিমতো টি-টোয়েন্টির ‘রাজা’ বনে যান বাবর । আজ ব্যাট হাতে নামার আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হতে ডানহাতি ব্যাটারের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া বাবর এদিন পেরিয়ে যান রোহিত শর্মাকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবরের মোট রান এখন ৪২৩২, দ্বিতীয় স্থানে থাকা রোহিতের রান ৪২৩১।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সালমান মির্জা ও ফাহিম আশরাফের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত থামে ১১০ রানে। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে ব্রেভিসের ব্যাট থেকে—১৬ বলে ২৫। দলের সাত ব্যাটার দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। ৩.২ ওভার বোলিং করে ২৩ রান দেন এই মিডিয়াম পেসার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেন সালমান মির্জা—তিনি শিকার করেন ৩ উইকেট। মূলত এই দুই বোলারের নৈপুণ্যেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় প্রোটিয়ারা।
তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে শনিবার, লাহোরে। সিরিজ জিততে হলে এই ম্যাচেই জয় পেতে হবে উভয় দলকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বলছেন, এই সিরিজ হারটিকে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত। তার মতে, দলের ব্যর্থতার পেছনে বড় কারণ ক্লান্তি ও কঠিন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি।
সিরিজটি শুরুর আগে লিটন বলেছিলেন, সামনের দুই সিরিজে ক্রিকেটারদের চ্যালেঞ্জে পড়তে দেখতে চান তিনি। শুক্রবার সিরিজ হারের পর তিনি বললেন, সেই চ্যালেঞ্জ পেয়েছে দল।
“সিরিজ শুরুর আগে আমি বলেছিলাম, আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জ চাই এবং আমরা সেটা পেয়েছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দারুণ বোলিং করেছে, আর আমাদের ব্যাটিং প্রত্যাশামতো হয়নি। তবে এমন খারাপ সিরিজ মাঝে মাঝে আসতেই পারে।”
“এটা তেমন উদ্বেগ নয়। দলের ক্রিকেটাররা পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ। কখনও কখনও সবকিছু পরিকল্পনা মতো হয় না। তবে তারা জাতীয় দলে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছে। একটা বিরতি তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করবে।”
দলের ব্যস্ত সূচি নিয়েও কথা বলেন লিটন।
“এই দলটা টানা খেলছে- ফিটনেস ক্যাম্প, একের পর এক সিরিজ, এশিয়া কাপ, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি। ক্লান্তি আসবেই। আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে যে বিরতি আসছে, সেটি খেলোয়াড়দের অন্তত ১০ দিন সময় দেবে নিজেদের রিচার্জ করার।”
মনোবল ধরে রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“ঘুরে দাঁড়ানোর একটাই পথ- ইতিবাচক থাকা ও মনোবল উঁচু রাখা। অতিরিক্ত চিন্তা করলে নেতিবাচক ভাবনা আসে। খেলোয়াড়দের নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে হবে, উন্নতির দিকে মনোযোগ দিতে হবে, আশেপাশে ইতিবাচক মানুষদের রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, তারা আরও ভালোভাবে ফিরবে।”
সিরিজ জুড়ে কঠিন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
“তিন ম্যাচেই আমরা চাপের মধ্যে ভুগেছি। পিচ, শিশির আর আবহাওয়া সবসময় আমাদের পক্ষে ছিল না। কিছু উইকেটে ১৫০-১৬০ রান করাই কঠিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শিশির তাদের ব্যাটিংয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমাদের বোলাররা চেষ্টা করেছে। অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে।”
সিরিজটা হতাশাজনকভাবে শেষ হলেও লিটন আশাবাদী দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
“এই খেলোয়াড়রা জানে কোথায় উন্নতি করতে হবে। অল্প কিছু বিশ্রাম আর লক্ষ্যভিত্তিক অনুশীলনেই তারা আগের ছন্দে ফিরবে এবং প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দিতে পারবে।”
বাংলাদেশের পরবর্তী মিশন আয়ারল্যান্ড সিরিজ। সিলেটে আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এরপর পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।

পিচ কিউরেটর গামিনি সিলভার সঙ্গে প্রায় দেড় যুগের সম্পর্কের ইতি টানল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের সঙ্গে পাট চুকিয়ে শুক্রবার রাতেই নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায় ফিরে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ কিউরেটর।
২০১০ সাল থেকে বিসিবির প্রধান কিউরেটর হিসেবে কাজ করছিলেন গামিনি। সবশেষ চলতি বছরের জুলাই মাসে নতুন করে এক বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করা হয় তার। অর্থাৎ আগামী বছরের জুলাই পর্যন্ত ছিল সবশেষ চুক্তির মেয়াদ।
তবে সেটি পূর্ণ হওয়ার ৯ মাস বাকি থাকতেই গামিনিকে বিদায় জানিয়ে দিল বিসিবি। বোর্ডের গ্রাউন্ডস কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে আছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
গামিনির বিদায়ের মঞ্চ তৈরি হয়ে গেছে গত আগস্ট মাসেই। হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট পদে তখন টনি হেমিংকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিবি। তখন থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন, বিসিবিতে আর বেশি দিন টিকবেন না গামিনি।
তবে এর আগেই চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করে ফেলায় ছিল কিছু জটিলতা। সেসব এড়িয়ে এখন গামিনিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়ে দিল বিসিবি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুক্রবার হোয়াইটওয়াশড হওয়ার ম্যাচে চোটের ধাক্কাও খেয়েছে বাংলাদেশ। গোড়ালির চোটে হাসপাতালে যেতে হয়েছে নুরুল হাসান সোহানের। আর হ্যামস্ট্রিংয়ের অস্বস্তিতে ভুগছেন শরিফুল ইসলাম।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে শেষ ম্যাচে নিজেদের একাদশে ৪টি পরিবর্তন করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে একাদশে ফেরার তালিকায় ছিলেন সোহান। আর সিরিজে প্রথম সুযোগ পান বাঁহাতি পেসার শরিফুল।
ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় ১১তম ওভারে হঠাৎই গোড়ালি চেপে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সোহান। তৎক্ষনাৎ দৌড়ে আসেন ফিজিও। অবস্থার উন্নতি না ঘটায় স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেওয়া হয় তাকে।
পরে পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে গোড়ালির এক্স-রে করানো হয় অভিজ্ঞ ব্যাটারের।
এছাড়াও ম্যাচ চলাকালে হ্যামস্ট্রিংয়ের অস্বস্তির কথা জানান শরিফুল। ম্যাচে ২ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দেন তিনি। কিন্তু চোটের কারণে আর বোলিংয়ে দেখা যায়নি তাকে।
সোহান ও শরিফুলের চোটের ব্যাপারে বিস্তারিত আপডেট জানা যেতে পারে শনিবার।