অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন টেনিস ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় রাফায়েল নাদাল। আসছে নভেম্বরে মালাগায় ডেভিস কাপ খেলে টেনিসকে বিদায় জানাবেন স্প্যানিশ এই কিংবদন্তি।
বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় নাদাল নিশ্চিত করেন তার অবসরের খবর। অবসরের কারণ হিসেবে মূলত চোটের দিকে ইঙ্গিত নাদালের,
“আমি সবাইকে জানাতে চাচ্ছি পেশাদার টেনিস খেলা থেকে অবসরে যাচ্ছি। বাস্তবতা হচ্ছে গত দুই বছর বেশ কঠিন সময়ই পার করতে হয়েছে আমাকে। সীমাবদ্ধতা ছাড়া আমার মনে হয় না খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব।”
গত দুই বছর থেকেই চোটের সাথে লড়াই করে চলছেন নাদাল। খুব একটা খেলার সুযোগও পাননি। তাতে অবসর যে তিনি নিবেন তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল কিছুটা আগে থেকেই। বৃহস্পতিবার সেই ঘোষণাটাই তিনি দিয়ে দিয়েছেন।
গ্র্যান্ডস্ল্যামের দিক থেকে নাদাল পিছিয়ে আছেন কেবল নোভাক জোকোভিচের থেকে। সবমিলে ২২ গ্ল্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন নাদাল, এর ভেতর রেকর্ড ১৪বার জিতেছেন ফরাসি ওপেন। অস্ট্রেলিয়ান আর উইম্বলডন জিতেছেন দুইবার করে।
১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:২৫ পিএম
বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতার ফাইনালে পুরুষ এককে আর্মি অফিসার্স ক্লাবের জারিফ আবরার ৪-৬, ৬-১, ৬-২ গেমে আমেরিকান ক্লাবের মো: রুস্তম আলীকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতেন। পুরুষ দ্বৈতে আমেরিকান ক্লাবের মো: রুস্তম আলী ও মিলন হোসেন জুটি ৬-৩, ৭-৬ গেমে পাশা’র হানিফ মুন্না ও মাহাদি হাসান আলভিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। মেয়েদের এককে বিকেএসপির হালিমা জাহান ৬-২, ৬-১ গেমে বিকেএসপির সুবর্না খাতুনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
নারী দ্বৈতে ঝালকাঠি টেনিস ক্লাবের সুস্মিতা সেন ও সুমাইয়া আক্তার জুটি ৬-১, ৭-৫ গেমে বিকেএসপির সুবর্না খাতুন ও জান্নাত ফেরদৌসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। বালক এককে (অনূর্ধ্ব-১৮) বিকেএসপির কাব্য গায়েন ৭-৬, ৬-২ জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের মো: সায়েমকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বালিকা এককে (অনূর্ধ্ব-১৮) বিকেএসপির হালিমা হাজান ৬-৩, ৬-৩ গেমে বিকেএসপির জান্নাতুন ফেরদৌস মিতুকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। বালক এককে (অনূর্ধ্ব-১৪) বিকেএসপির কাব্য গায়েন ৭-৬, ৬-২ গেমে প্রো টেনিস একাডেমীর মো: আকাশ হোসেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বালিকা এককে (অনুর্ধব-১৪) মাদারীপুর টেনিস ক্লাবের জান্নাত হাওলাদার ৬-১, ৬-১ গেমে প্রো টেনিস একাডেমীর মাসতুরা আফরিনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ৮টি ইভেন্টে জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, বিকেএসপি, অফিসার্স ক্লাব, ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব, গুলশান ইয়ুথ ক্লাব, উত্তরা ক্লাব , ইঞ্জিনিয়ার্স রিক্রিয়েশন সেন্টার, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্স - রাজশাহী, নওগাঁ টেনিস ক্লাব, সিলেট টেনিস ক্লাব, নরসিংদী টেনিস ক্লাব, ঝালকাঠি টেনিস ক্লাব, মাদারীপুর টেনিস ক্লাব, নেত্রকোনা টেনিস ক্লাব, সেনাবাহিনী অফিসার্স ক্লাব, নরডিক ক্লাব, আমেরিকান ক্লাব, ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব, ডাচ ক্লাব, বাগেরহাট টেনিস ক্লাব, পুলিশ মেস অফিসার্স ক্লাব, আজিমপুর কমিউনিটি সেন্টার টেনিস ক্লাব, বোট ক্লাব, উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব, মুন্সীগঞ্জ টেনিস ক্লাব, গুলশান ক্লাব, কাস্টমস ক্লাব, প্রো টেনিস একাডেমি, ইমপেক্ট টেনিস একাডেমি, বাগেরহাট টেনিস ক্লাব মোট ৩০ টি ক্লাব/ সংস্থা হতে মোট ২১০ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করছে।
প্রতিযোগিতায় মোট প্রাইজমানি তিন লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক পিএলসি’র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, সহ-সভাপতি মো: সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ (কারেন), টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম সরকার (সোহেল) ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম.এম. সাইফুল ইসলাম, ব্যাংকের জেএবিপি ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান কে এম হারুনুর রশীদসহ শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ।
মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, রমনায় বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতার বালিকা একক ১৪ বছর গ্রুপে মাদাীরপুর টেনিস ক্লাবের জান্নাত হাওলাদার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।
টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ দিনে, ফাইনালে জান্নাত ৬-১, ৬-১ গেমে প্রো টেনিস একাডেমীর মাসতুরা আফরিনকে পরাজিত করেছেন।
পুরুষ এককের মূল পর্বের খেলায় আর্মি অফিসার্স ক্লাবের জারিফ আবরার ৬-২, ৬-১ গেমে বিকেএসপির তানভির মুন তুষারকে, উত্তরা ক্লাবের জাওয়াদ মোহাম্মদ ভূঁঞা ৬-২, ৬-২ গেমে জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের ফারুক হোসেনকে, মাহাদি হাসান আলভি (পাশা) ৪-৬, ৬-০, ৬-২ গেমে নরডিক ক্লাবের বিপ্লব রামকে এবং আমেরিকান ক্লাবের মো: রুস্তম আলী ৬-৪, ৬-৩ গেমে হানিফ মুন্না [পাশা] কে পরাজিত করে সেমি-ফাইনালে উন্নীত হন।
আরও পড়ুন
টেনিস থেকে অবসরের ঘোষণা নাদালের |
নারী এককের কোয়ার্টার ফাইনালে বিকেএসপির হালিমা জাহান ৩-৬, ৪-৬, ৬-২ গেমে ঝালকাঠি টেনিস ক্লাবের সুস্মিতা সেনকে এবং বিকেএসপির সুবর্না খাতুন ৬-৩, ৬-১ গেমে ঝালকাঠি টেনিস ক্লাবের তানজিলা আক্তারকে পরাজিত করে সেমি-ফাইনালে উন্নীত হয়।
বালক একক ১৮ বছর গ্রুপে বিকেএসপির কাব্য গায়েন ৩-৬, ৬-৩, ৭-৬ গেমে বিকেএসপির মাহাদ বিন মালেককে এবং মো: সায়েম ৬-১, ৬-০ গেমে বিকেএসপির সুবিত বড়ুয়া জয়কে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়।
বালিকা একক ১৮ বছর গ্রুপে বিকেএসপির হালিমা হাজান ৬-২, ৬-১ গেমে ডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কপ্লেক্সের সুমনা বক্সিকে এবং বিকেএসপির জান্নাতুন ফেরদৌস মিতু ৬-৩, ৬-১ গেমে নওগাঁ টেনিস ক্লাবের ইয়ানা কোরেইশি চৌধুরীকে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়।
আরও পড়ুন
টেনিসে ইতিহাস গড়া মাসফিয়া এগিয়ে যেতে চান নতুনদের অনুপ্রেরণা হয়ে |
বালক একক ১৪ বছর গ্রুপের খেলায় বিকেএসপির কাব্য গায়েন ৬-০, ৭-৫ গেমে বিকেএসপির এনএইচ তালুকদারকে, বিকেএসপির তাহমিদ জামজিদ ৬-২, ৬-৪ গেমে বিকেএসপির ইনতেসার হাসিনকে, বিকেএসপির জুবায়ের ইসলাম ৬-২, ৭-৬ গেমে বিকেএসপির সাবির ইসলামকে এবং প্রো টেনিস একাডেমীর মো: আকাশ হেসেন ৬-৩, ৭-৫ গেমে বিকেএসপির পার্থ সমদ্দারকে পরাজিত করে সেমি-ফাইনালে উন্নীত হয়।
আর্চারি জাজেস সেমিনার- ২০২৪, আর্চারি কোচেস কোর্স- ২০২৪ এবং আর্চারি কোচেস কোর্স-২০২৩ এর সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় টঙ্গির আর্চারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার স্টেডিয়ামে।
এই সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড আরচারি এশিয়ার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল সেমিনার ও কোর্সের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৭ জনের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, আরচারি কোচেস ও জাজেস উন্নয়ন সাব-কমিটির সদস্য-সচিব মোঃ রফিক, বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, জাতীয় আরচ্যারী দলের প্রধান প্রশিক্ষকসহ জাজ, কোচ ও জাতীয় আরচারি দলের আর্চারবৃন্দ।
বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় গত ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত টঙ্গির আর্চারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার স্টেডিয়ামে “আরচারি জাজেস সেমিনার ২০২৪” অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে দেশের বিভিন্ন জেলা, ক্লাব ও সংস্থা থেকে ৩৮ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনার শেষে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় নিন্মোক্ত ১৩ জন প্রশিক্ষাণার্থী উত্তীর্ণ হয়ে ন্যাশনাল জাজ হিসাবে ফেডারেশনের অধীনে অ্যাক্রিডিটেড হওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন:
১) ঐশ্যর্য্য রহমান, ২) মারুফ বিল্লাহ্ আল ফাহিম, ৩) আলেহা মোসাম্মৎ রুবাইয়া, ৪) শাহাদাৎ হোসেন, ৫) মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, ৬) মোঃ জাবির উদ্দিন, ৭) প্রিন্স মোঃ সায়েম, ৮) মোঃ মাহমুদুল হাসান রিয়াজ, ৯) মোঃ রুবেল হাসান, ১০) মুস্তফা মোঃ রসুল, ১১) আব্দুন নকিব জিমি, ১২) রোকনুর রহমান ও ১৩) শাহাদাৎ হোসেন সরকার।
আর গত ৫ থেকে ৯ নভেম্বর টঙ্গির আর্চারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার স্টেডিয়ামে “আরচারি কোচেস কোর্স ২০২৪” অনুষ্ঠিত হয়। কোর্সে দেশের বিভিন্ন জেলা, ক্লাব ও সংস্থা থেকে ১২ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
কোর্স শেষে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় নিন্মোক্ত ৭ জন প্রশিক্ষাণার্থী উত্তীর্ণ হয়ে ন্যাশনাল লেভেল-১ আরচারি কোচ হিসাবে ফেডারেশনের অধীনে অ্যাক্রিডিটেড হওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন:
১) মোসাম্মৎ রুবাইয়া আলেহা, ২) মারুফ বিল্লাহ্ আল ফাহিম, ৩) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান, ৪) মোঃ রসুল মুস্তফা, ৫) সাকিবুল, ৬) মোঃ লিটন ও ৭) মোঃ আশিকুর।
এছড়াও ২০২৩ সালের ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর টঙ্গির আর্চারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার স্টেডিয়ামে “আরচারি কোচেস কোর্স ২০২৩” অনুষ্ঠিত হয়। কোর্সে দেশের বিভিন্ন জেলা, ক্লাব ও সংস্থা থেকে ১০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
কোর্স শেষে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় নিন্মোক্ত ৭ জন প্রশিক্ষাণার্থী উত্তীর্ণ হয়ে ন্যাশনাল লেভেল-১ আরচারি কোচ হিসাবে ফেডারেশনের অধীনে অ্যাক্রিডিটেড হওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন:
১) মোঃ তামিমুল ইসলাম, ২) মোসাঃ ফারজানা, ৩) সুস্মিতা বনিক, ৪) মোঃ আবুল কাশেম মামুন, ৫) বিউটি রায়, ৬) আনোয়ার হোসেন ও ৭) মোঃ আশরাফ মোল্লা।
বিদায়ের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছিলেন আরো আগে, ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে ইনজুরি-চোট জর্জরতার কারণে শেষ ম্যাচটায় মালাগায় অনুষ্ঠিত ডেভিস কাপে কোর্টে আদৌও নামতে পারবেন কিনা– জানেন না ক্লে কোর্টের অবিসংবাদিত রাজা রাফায়েল নাদাল। কিন্তু নাদালেরই সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এবং অন্যতম ‘বড় ভক্ত’ রজার ফেদেরার এক খোলা চিঠিতে একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন, নাদালের মতো আর কেউ তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেননি।
নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ফেদেরার তার প্রিয় বন্ধু এবং প্রতিন্দ্বন্দ্বী নাদালের জন্য লিখেছেন খোলা চিঠি। সেখানে ফেদেরার জানাচ্ছেন, নাদালের কারণেই টেনিসকে আরো উপভোগ করেছেন দ্য সুইস মায়েস্ত্রো।
নাদালের মুখোমুখি হয়েছেন অসংখ্যবার। ফেদেরার আর নাদালের লড়াই একবিংশ শতকের শুরুর টেনিসকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। ফেদেরার তার ক্যারিয়ারের ইতিটাও টেনেছেন নাদালকে কাছে রেখে, ২০২২ সালের লেভার কাপে একসঙ্গে খেলে। সে মুহূর্তটাকে ফেদেরার বলেছেন ‘তার ক্যারিয়ারের অন্যতম বিশেষ মুহূর্ত’ হিসেবে।
ফেদেরার তার লেখা খোলা চিঠিতে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, জয়ের চাইতে হারের তেতো স্বাদটা ৪৩ বছর বয়সী সুইস বেশি পেয়েছেন, যখন তিনি নাদালের মুখোমুখি হয়েছেন, “তুমি আমায় অনেকবার হারিয়েছ, অনেকবার। আমি যতবার তোমাকে হারিয়েছি তার চেয়ে অনেক বেশি”, লেখেন ফেদেরার। স্মরণ করেন তাদের প্রথম সাক্ষাতের গল্পটাও, ২০০৪ সালের মার্চ মাসে মায়ামি মাস্টার্সে একেবারে স্ট্রেইট সেটে সে সময়ের বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ফেদেরারকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন র্যাংকিংয়ের ৩৪ তম বাছাই স্প্যানিশ রাফা।
ততদিনে ফেদেরারের নামের পাশে চারটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম, আর নাদালের বয়স কেবল ১৭। ২০০৫ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে নিজের নাম ইতিহাসের বুকে লেখার আগেই ফেদেরারকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে নাদাল টেনিস জগতে রাজত্ব করতে এসেছেন। ফেদেরার-নাদাল রাইভালরিতে জয়ের সংখ্যা কিংবা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়– দুই জায়গাতেই নাদাল ছাড়িয়েছেন ফেদেরারকে। একে অপরের বিপক্ষে ৪০ দেখায় নাদাল জিতেছেন ২৪ বার, আর ফেদেরার শেষ হাসি হেসেছেন ১৬ বার। গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডও নাদাল ভেঙেছিলেন ফেদেরারের ২০ টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে, থেমেছেন ২২ এ এসে।
“আমি ভেবেছিলাম আমিই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ, এবং সেটাই সত্যি ছিল ততদিন পর্যন্ত যেদিন মায়ামিতে তোমার মুখোমুখি হলাম। লাল, হাতাকাটা শার্টে বাইসেপস দেখিয়ে কোর্টে নামলে, আমাকে একদম সহজে হারিয়ে দিলে। তোমার জন্যই আমি খেলাটাকে অন্যভাবে দেখতে শিখেছি,” খোলা চিঠিতে লেখেন ফেদেরার। নাদালের তীব্র টপস্পিন সামলানোর জন্য ফেদেরার নিজের ব্যাকহ্যান্ডে আসলেই পরিবর্তন এনেছিলেন।
ক্লে কোর্টে ১৪ বার ফ্রেঞ্চ ওপেনজয়ী নাদালের উপরে আর কেউ নেই, সেই স্বীকৃতিটা ফেদেরার আরেকবার দিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী স্প্যানিয়ার্ডকে, “ক্লে কোর্টে নামলে মনে হতো তোমার রাজ্যে প্রবেশ করেছি, আর সেখানে তুমি আমার চিন্তা-সামর্থ্যের বাইরে আমাকে খাটিয়ে মেরেছো। বিশ বছর পর, ১৪ টা ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়। কী ঐতিহাসিক এক ক্যারিয়ার। স্পেনকে তুমি গৌরব এনে দিয়েছো। তোমার জন্য পুরো টেনিস বিশ্বও গর্বিত।”
ডেভিস কাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে স্পেন খেলবে মঙ্গলবার রাত ৯ টায়। ডেভিস কাপের ফাইনাল রবিবার ২৪ নভেম্বর। স্পেন তার মূল ভরসা রাখছে আরেক স্প্যানিশ সেনসেশন কার্লোস আলকারাজের উপর। তবে নাদালের ‘ওয়ান লাস্ট ডান্স’টা আদৌ কোর্টে হবে কিনা, সেটা তার শরীরের সামর্থ্যের উপর নির্ভর করবে।
বয়স ক্যালেন্ডারে ৩৮। বয়স বাড়ার সাথে বাড়ছিল চোটও। কাটছিল কঠিন সময়, আগের মতো টেনিস কোর্টে নৈপুণ্যের দ্যুতিও দেখা যাচ্ছিল না। আগেই জানিয়েছিলেন এ মাসে ডেভিস কাপ খেলে শেষবার র্যাকেট তুলে রাখবেন তিনি। রাফায়েল নাদালের সেই শেষের ম্যাচ এই শুরুটা হচ্ছে আজ।
মালাগায় ডেভিস কাপের ডাবলস কোয়ার্টার ফাইনালে ১৯ নভেম্বর রাতে স্পেনের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। নিজ দেশের হয়ে অবশ্য আজ নাদালের কোর্টে নামা নিশ্চিত নয় নাদালের। গত জুলাইয়ে অলিম্পিকে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়ার পর আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি নাদাল।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শেষ নাদালের |
বিদায়ের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগাপ্লুত নাদাল বলেছেন,
‘এখানে আমি অবসরের আনুষ্ঠানিকতা সারতে আসিনি, দলকে সাহায্য করতে এসেছি। হ্যাঁ, এটাই আমার পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ সপ্তাহ। কিন্তু দিন শেষে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছি। শেষ বেলায় আমার আবেগও কাজ করছে।’
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে