
জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড। কঠিন চ্যালেঞ্জে রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত জুটি গড়লেন জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পাননি জাওয়াদ। তবে দুই ওপেনারের দেড়শছোঁয়া জুটিতে রেকর্ড গড়ে এশিয়া কাপে পথচলা শুরু করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শনিবারের ম্যাচে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আফগানদের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলেছে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল।
যুব এশিয়া কাপের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতের। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ২৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল ভারতীয় যুবারা।
এছাড়া সব মিলিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৪ রানের লক্ষ্যে ৬ উইকেটে জিতেছিল তারা।
বাংলাদেশের জয়ের বড় কারিগর দুই ওপেনার জাওয়াদ ও রিফাত। দুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ১৫১ রান। ৯ চার ও ৬ ছক্কায় ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন জাওয়াদ। রিফাতের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান।
গত দুই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এবার হ্যাটট্রিকের মিশনে এশিয়া কাপ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে শুরুটা চ্যাম্পিয়নের মতোই করেছে তারা।
বিশাল লক্ষ্যে শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। মাত্র ১৫ ওভারের মধ্যে একশ রান করে ফেলে তারা। এরপর কিছুটা কমে রানের গতি। শেষ পর্যন্ত ১৬০ বলে ১৫১ রান করে ভাঙে ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটারের উদ্বোধনী জুটি।
যুব এশিয়া কাপে রান তাড়ায় এটি সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। সব মিলিয়ে যুব এশিয়া কাপে এর চেয়ে বড় ওপেনিং জুটি আছে আর একটি। গত বছর ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রান যোগ করেছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাহজাইব খান ও উসমান খান।
৫ চারের সঙ্গে ২ ছক্কা মেরে ৬৮ বলে ৬২ রান করে আউট হন বাঁহাতি রিফাত। কিছুক্ষণ পর জাওয়াদ ছক্কা মারতে গিয়ে ধরা পড়েন লং অফে। সামনে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন খাতির স্ট্যানিকজাই। দুই ওপেনারকেই ফেরান রুহুল্লাহ আরব।
এরপর তামিম ও কালাম সিদ্দিকি এলিনের ৭১ বলে ৬৬ রানের জুটিতে আরও অনেকটা পথ এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩৬ বলে ২৯ রান করে ফেরেন এলিন। অধিনায়ক তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ বলে ৪৮ রান।
শেষ দিকে রিজান হোসেন ১৩ বলে ১৭ ও শেখ পারভেজ রহমান জীবন ৭ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। তিন নম্বরে নেমে দায়িত্ব নেন ফয়সাল শিনোজাদা। ৮ চার ও ৪ ছক্কায় মাত্র ৯৪ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন দারুণ ছন্দে থাকা ব্যাটার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৬ ইনিংসে শিনোজাদার এটির তৃতীয় সেঞ্চুরি। যুব ওয়ানডেতে নির্দিষ্ট কোনো দলের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড।
শিনোজাদার সেঞ্চুরির সঙ্গে উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই ৪৪, আজিজুল্লাহ মিয়াখিল ৩৬, আব্দুল আজিজ ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেললে ৭ উইকেটে ২৮৩ রানের পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ।
একই মাঠে সোমবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
No posts available.
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫০ পিএম
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:১৭ পিএম
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:৪৭ পিএম

দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে বেশি দূর যেতে দিলেন না পাকিস্তানের বোলাররা। মোটামুটি সহজ লক্ষ্য পেয়ে তাই জয়ের স্বপ্ন হয়তো দেখছিল তারা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই স্বপ্নভঙ্গ! ভারতের কাছে হেরে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করেছে পাকিস্তান।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে রোববার পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৯০ রানে হারায় ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আগে ব্যাট করে মাত্র ২৪০ রানের পুঁজি নিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের ১৫০ রানেই অল আউট করে দেয় ভারত।
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে ভারতের যুবারা। এই ম্যাচের শুরুতেও ছিল দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ছাপ। টসের সময় হাত মেলাননি দুই দলের অধিনায়ক।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেন কনিষ্ক চৌহান। সাত নম্বরে নেমে ৪৬ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। পরে বল হাতে মাত্র ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তরুণ অফ স্পিনারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ভারত। আলোচিত মারকুটে ওপেনার বৈভব সুরিয়াবংশী মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান। আরেক ওপেনার আয়ুশ মাত্র ঝড় তুলে মাত্র ২৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান।
তিন নম্বরে নেমে দুই দল মিলিয়েই ম্যাচের সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন অ্যারন জর্জ। এরপর কনিষ্কের চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসের সৌজন্যে আড়াইশর কাছে যায় ভারত।
পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সায়াম ও আব্দুল সুবহান।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় পাকিস্তান। তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেন শুধু তিন ব্যাটার- উসমান খান (৪২ বলে ১৬), ফারহান ইউসুফ (৩৪ বলে ২৩) ও হুজাইফ আহসান (৮৩ বলে ৭০)।
কনিষ্ক ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন দিপেশ দেবেন্দ্র।

দেশের প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য ৩২টি সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বরাবরের ন্যায় আবারও আয়োজিত হতে চলেছে রংপুর রাইডার্স বিএসজেএ মিডিয়া কাপ-২০২৫। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে দেশের খেলাধুলার একমাত্র চ্যানেল টি স্পোর্টস। তাদের প্রতিপক্ষ জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ।
মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বেলা ১১টায় শুরু হবে টি স্পোর্টস ও কালের কণ্ঠের ম্যাচ। ৩২ দলের টুর্নামেন্টে ‘এফ’ গ্রুপে টি স্পোর্টস ও কালের কণ্ঠের পাশাপাশি রয়েছে এটিএন নিউজ ও বাংলা নিউজ।
টুর্নামেন্টের সব খেলাই হবে হকি স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে। সোমবার সকাল ৯টা থেকেই অবশ্য শুরু হয়ে যাবে ব্যাট-বলের লড়াই। তবে টি স্পোর্টসের ম্যাচ দিয়েই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে রংপুর রাইডার্স বিএসজেএ মিডিয়া কাপ-২০২৫ পাওয়ার্ড বাই এইস ডেভেলপার্স।
উদ্বোধনী দিনে সকাল ৯টায় খেলবে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দৈনিক মানবজমিন এবং সময় টিভি ও দৈনিক নয়া দিগন্ত। এরপর সকাল ১০টায় লড়বে এটিএন বাংলা ও ক্রিকফ্রেঞ্জি এবং জাগো নিউজ ও ডিবিসি।
পরে বেলা ১১টায় টি স্পোর্টস ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সঙ্গে পাশাপাশি মাঠে খেলবে চ্যানেল আই ও দৈনিক কালবেলা। আর দুপুর ১২টায় দিনের শেষ দুই ম্যাচে খেলবে ডেইলি সান ও দৈনিক দেশ রুপান্তর এবং ডেইলি স্টার ও দৈনিক কালবেলা।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক টুর্নামেন্টের গ্রুপিং
গ্রুপ এ: যুগান্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, সমকাল, ঢাকা পোস্ট
গ্রুপ বি: ডেইলি সান, ডিবিসি, দেশ রুপান্তর, জাগো নিউজ
গ্রুপ সি: ডেইলি স্টার, চ্যানেল ২৪, ইনকিলাব, দেশ টিভি
গ্রুপ ডি: চ্যানেল আই, বৈশাখি টিভি, কালবেলা, জি টিভি
গ্রুপ ই: সময় টিভি, এন টিভি, নয়া দিগন্ত, এখন টিভি
গ্রুপ এফ: টি স্পোর্টস, এটিএন নিউজ, কালের কণ্ঠ, বাংলা নিউজ
গ্রুপ জি: বাংলাদেশ প্রতিদিন, মাছরাঙা, মানবজমিন, আর টিভি
গ্রুপ এইচ: এটিএন বাংলা, বাংলা ভিশন, ক্রিকফ্রেঞ্জি, দীপ্ত টিভি

আইসিসির এক্স হ্যান্ডলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির প্রচারণামূলক পোস্টার পোস্ট করা হয়। গতকালের সে পোস্টের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বারবার আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া কুড়ি কুড়ির বিশ্বকাপে অংশ নেবে ২০টি দল। তবে আইসিসির প্রচরণামূলক পোস্টারে মাত্র ৫টি দলের অধিনায়কের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
পোস্টারে থাকা খেলোয়াড়রা হলেন— ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব, শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা, দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ ও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক।
পিসিবির এক সূত্র ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেছেন,
‘কয়েক মাস আগে এশিয়া কাপেও আমরা একই সমস্যায় পড়েছি। তখন সম্প্রচারকেরা আমাদের অধিনায়ককে বাদ দিয়ে প্রচারণা চালান।’
সূত্রটি এরপর বলেন,
‘এবার আমরা আবারও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি, টিকিট বিক্রির প্রচারণামূলক পোস্টারে আমাদের অধিনায়ককে রাখা হয়নি।’
পিসিবি সমূহ বিষয় আইসিসিকে জানিয়েছে এবং তাঁরা বিশ্বাস করে, শিগগিরই বিষয়টি মিমাংসা করবে আইসিসি।

সারা বছর ক্রিকেটারদের খেলা কাভার করা সাংবাদিকরা এবার নিজেরা নামবেন ব্যাট-বল নিয়ে। ‘রংপুর রাইডার্স-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ক্রিকেট - ২০২৫, পাওয়ার্ড বাই এইস ডেভেলপার্স’ টুর্নামেন্টের খেলা শুরু হবে সোমবার। মাঠে বসে এই টুর্নামেন্টের খেলা দেখে সাংবাদিকদের ভুল ধরতে চান নুরুল হাসান সোহান।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে সফলতম ও পেশাদারিত্ব ধরে রাখা দল রংপুর রাইডার্সের পৃষ্ঠপোষকতায় এবায় আয়োজিত হবে বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টের পাওয়ার বাই স্পন্সর এইস প্রোপার্টিজ।
মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলবে দেশের একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল টি স্পোর্টস ও জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ। বেলা ১১টায় শুরু হবে খেলা।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন রোববার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অডিটরিয়ামে হয়েছে সংবাদ সম্মেলন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ভবনের অডিটরিয়ামে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রাইডার্সের গ্লোবাল সুপার লিগ জয়ী অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহান, রংপুর রাইডার্সের হেড অব অপারেশন্স তাসভির উল ইসলাম, স্টার নিউজের প্রধান নির্বাহী ও বিসিবির মিডিয়া কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোখসেদুল কামাল ও একমি কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন্স) লেফট্যানেন্ট কর্নেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলি রেজা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সোহান বলেন, এবার সাংবাদিকদের খেলার ভুল ধরার চেষ্টা করবেন তিনি।
“আমি চেষ্টা করবো যেন মাঠে এসে আপনাদের খেলা দেখতে পারি। কারণ আপনারা আমাদের সবসময় ভুল ধরেন, একটু আপনাদেরও ভুল ধরার চেষ্টা করব (হাসি)। মাঠে এসে খেলা দেখতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে।”
“আমার মনে হয়, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। যত খেলা হবে এবং আমার কাছে মনে হয় যে খেলার ভেতরে থাকলে আমরা সবার আসলে মন থেকেও খুশি লাগে। আমি আশা করি, এরকম উদ্যোগ আরও বেশি দেখতে পাব ইনশাআল্লাহ।”
সোহানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের টুর্নামেন্টে কোন দলকে সমর্থন করবেন তিনি? সরাসরি উত্তর না দিয়ে সময়ের হাতে ছেড়ে দেন তিনি।
“আমি আসলে দেখি একটু খেলা দেখে কোন দিকে যায়, কোন টিমটা ভালো খেলতেছে, এটা তো আসলে এখন বুঝতে পারব না। খেলা শুরু হলে তাহলে বুঝতে পারবো ইনশাআল্লাহ।”

খেলোয়াড়ি জীবনে বেশ কয়েকবারই ঢাকায় এসেছেন শোয়েব আখতার। এবার ভিন্ন পরিচয়ে আরেকবার বাংলাদেশে এসেছেন পাকিস্তানের সাবেক গতি তারকা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালস দলের মেন্টর হিসেবে কাজ করবেন শোয়েব।
শনিবার দিবাগত রাতে রোববার প্রথম প্রহরে বাংলাদেশে পা রাখেন গতিময় এই সাবেক পেসার। তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তারা।
শোয়েবের খবর জানিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
“নতুন অভিযানের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ইউনিট গড়ে তুলতে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির তৈরি হওয়ার পথে তার অন্তর্ভুক্তি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। মাঠের ভেতরে ও বাইরে দলকে দিকনির্দেশনা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে শোয়েব আখতারের বিপুল আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, জয়ী মানসিকতা ও নেতৃত্ব।”
এবারের বাংলাদেশ সফরে অবশ্য দুই দিন শুধু ঢাকায় থাকবেন শোয়েব। পরে টুর্নামেন্ট শুরু হলে আবার তিনি আসবেন ঢাকায়। তখন ঢাকা ক্যাপিটালস দলের মেন্টর হিসেবে মাঠেই দায়িত্ব পালন করতে দেখা যেতে পারে তাকে।