৭ মে ২০২৫, ৯:২৯ পিএম

টেস্ট ফর্মটা ভালো না হলেও অধিনায়ক হওয়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলার ছিল জোর সম্ভাবনা৷ তবে সময়ের ডাকে সাড়া দিলেন রোহিত শর্মা৷ লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
গত বছর জুড়েই দেশে ও দেশের বাইরে টেস্টে ভীষণ মলিন পারফরম্যান্স ছিল রোহিতের। এক-দুটি ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন বটে, তবে ব্যাটে ছিল না সেই চেনা ধার। ফর্ম নিয়ে প্রবল চাপের মুখে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অধিনায়ক হয়েও নিজেকে সরিয়ে নেন একাদশ থেকে। এরপর রঞ্জি ট্রফিতে খেলায় আশা ছিল ইংল্যান্ড সিরিজ খেলার।
তবে বুধবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে রোহিত জানিয়েছেন, তার টেস্ট অধ্যায় শেষ। “আমি আপনাদের সবাইকে জানাতে চাই যে আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সাদা পোশাকে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা ছিল আমার জন্য সর্বোচ্চ সম্মান। বছরের পর বছর ধরে আপনাদের ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। আমি ওয়ানডেতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে যাব।”
গত বছর ভারতকে টি -টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়ে রোহিত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন। এই বছরের শুরুতে তার অধিনায়কত্বে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জেতে ভারত। তবে গেল বছর টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তার রেকর্ড ভালো ছিল না। ভারত নিউজিল্যান্ডের কাছে হোম টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়। এরপর বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিও ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় ভারত। যদিও পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনি নেতৃত্ব দেন তিন ম্যাচে। ওপেনিং ছেড়ে ব্যাট করেন মিডল অর্ডারে।
শেষটা মলিন হলেও টেস্টে রোহিতের অভিষেকটা ছিল স্মরণীয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেন ১৭৭ রান। ক্যারিয়ারের শুরুর বছরগুলোতে মিডল-অর্ডারে ব্যাটিংয়ের পর ২০১৯ সালে টেস্টে ওপেনার হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ডানহাতি এই ব্যাটারের।
বিরাট কোহলি ২০২২ সালে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করার পরে রোহিত ভারতের লাল দলের কাপ্তান হন। তার অধিনায়কত্বে ভারত ২০২৩ সালে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছিল।
রোহিত খেলেছেন মোট ৬৭টি টেস্ট। রান করেছেব ৪ হাজার ৩০১। গড় ৪০.৫৭। সেঞ্চুরি ১২টি আর ফিফটি ১৮টি।
No posts available.
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:৫০ পিএম

আইএল টি-টোয়েন্টিতে হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার শিমরন হেটম্যায়ার। ডেজার্ট ভাইপার্স দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি।
গতকাল দুবাই নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে চোট পান হেটম্যায়ার। তাঁর বদলে ডাক পেয়েছেন ইংল্যান্ড ব্যাটার জেসন রয়।
ভাইপার্সের হয়ে সাত ম্যাচ খেলেছেন হেটম্যায়ার। ৬ ইনিংসে তাঁর রান ১১১। সর্বোচ্চ রান ৪৮, যা এসেছে ২৫ বল খেলে।
ভাইপার্সের টিম ডিরেক্টর টম মুডি বলেছেন,
“হেটম্যায়ারের মতো একজন অভিজ্ঞ ও গুণী ক্রিকেটারকে না পাওয়াটা আমাদের জন্য হতাশাজনক।”
হেটম্যায়ার কতদিন মাঠের বাইরে থাকবেন এবং টুর্নামেন্টে তিনি ফিরতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে ভাইপার্স কিছুই জানায়নি।
হ্যামস্ট্রিং চোট কাটাতে সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এর ফলে টুর্নামেন্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বশেষ চলতি বছরের জুলাই মাসে খেলেছিলেন হেটম্যায়ার। এরপর আর মাঠে নামা হয়নি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন ঘরোয়া লিগে নিয়মিত খেলছেন তিনি।

জিম্বাবুয়ের টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন ফার্স্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভা। শনিবার দেশটির বোর্ড মিটিং শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
হারারেতে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত জানায়। ২২ বছর বয়সী ব্রেইন বেনেটকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত বছর জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল এই ব্যাটারের।
জিম্বাবুয়ের নিয়মিত অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর এই পদগুলো ফাঁকা হয়ে পড়েছিল।
২০১৭ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে অভিষেক হয় এনগারাভার। ব্লেসিং মুজরাবানির সঙ্গে বোলিংয়ে তিনি বেশ সফল। জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনিই একমাত্র বোলার, যিনি একশটি উইকেট অর্জন করেছেন এবং এই ফরম্যাটে দেড়শ উইকেট নিয়েছেন।
ব্রেনেটও ধারাবাহিকভাবে সাফল্য দেখাচ্ছেন। ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটার তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করেছেন। এমনকি জিম্বাবুয়ের মধ্যে দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরিটিও তাঁরই।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান তেভেঙ্গা মুখলানি বলেন,
“এনগারাভা পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছেন। তিনি ড্রেসিংরুমে নিজের আস্থা ও সম্মান অর্জন করেছেন। পাশাপাশি সব ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ে দলকে ধারাবাহিকভাবে সফল হতে সাহায্য করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি দলের আগামী অধ্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।”

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের যে কোনো আসর শুরুর আগে আলোচনার বড় অংশ জুড়ে থাকে বিদেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতি। কোন দলের বিদেশিরা আসবে কবে, সেটি নিয়ে শুরু হয় নানান কৌতূহল। সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের পক্ষ থেকে জানানো হল, বিপিএল শুরুর আগে চলে আসবে তাদের ৬ বিদেশি ক্রিকেটার।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে শনিবার দুপুরে নিজেদের প্রথম দিনের অনুশীলন সেরেছে রাজশাহী। এদিন মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম, আকবর আলিসহ ছিলেন দলটির বেশিরভাগ স্থানীয় ক্রিকেটার।
অনুশীলন শেষে রাজশাহীর প্রধান কোচ হান্নান সরকার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, আগামী মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচের ভেন্যু সিলেটে চলে যাবেন তারা।
“আমি জানিয়ে রাখতে পারি আমরা ২৩ তারিখ সিলেট যাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবে ২২ তারিখে ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটার আমাদের দলে ঢুকে যাবে বা ২৩ তারিখ সকালেও যদি আসতে পারে, তাহলে ২৩ তারিখ বিকালের ফ্লাইটে আমরা সিলেট যাচ্ছি।”
“ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গে একসঙ্গে ডমেস্টিকে ফ্লাই করবে। বিদেশিদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সব গ্রিন সিগনাল নিয়ে এগোচ্ছি। আমাদের ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটার ইনশাআল্লাহ সিলেটের প্রথম দিন থেকেই থাকবে।”
কোন ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটারকে শুরু থেকেই পাবে রাজশাহী, সেটিও জানালেন হান্নান।
“ছয়জন আপনারা এরই মধ্যে জানেন যে আমাদের যে ক্রিকেটাররা রয়েছে সবাই জানেন সরাসরি চুক্তি ও নিলাম থেকে নেওয়া। তাদের নাম আপনারা সবাই জানেন। তার মধ্যে আমি যদি নাম মেনশন করি, প্রথম থেকেই সাহিবজাদা ফারহান, হুসাইন তালাত, মোহাম্মদ নওয়াজ, সন্দীপ লামিচানে, বিনুরা ফার্নান্দো ও জাহান্দাদ খান।”
বছরের শুরুর দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তুলনামূলক কম শক্তির আবাহনী লিমিটেডের কোচিং করিয়ে শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন হান্নান। এবার রাজশাহীর হয়েও একই লক্ষ্য জাতীয় দলের সাবেক ওপেনারের।
“বেসিক্যালি চ্যাম্পিয়নের জন্যই কাজ শুরু করি। তবে ধাপে ধাপে এগোতে হয়। আবাহনী যখন করেছি তখনও কিন্তু বলেছি যে চ্যাম্পিয়ন চূড়ান্ত লক্ষ্য।তবে নিশ্চিতভাবেই ধাপে ধাপে সময়ের সঙ্গে ম্যাচ-আপ করে কিভাবে এগোনো যায় সেটা লক্ষ্য থাকবে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম না।”
“বিপিএলে স্বাভাবিকভাবেই টিম মালিক থেকে শুরু করে যখন ম্যানেজমেন্ট দায়িত্ব নিয়েছি, কাজ করা শুরু করেছি- লক্ষ্যটা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ভাগ্যের বিষয়টা সবসময় চলে আসে। সেই বিষয়টা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যাবে। তবে লক্ষ্য অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন ইনশাল্লাহ।”

ঘরের মাঠে সামনের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হবে না শুবমান গিলের। টানা বাজে ফর্মের পর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাননি ভারতের তারকা ব্যাটার। চমক জাগিয়ে প্রায় ২৫ মাস পর দলে ফিরলেন ইশান কিশান।
সংবাদ সম্মেলনে শনিবার আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দলে পরিবর্তন আছে দুইটি।
বাদ পড়েছেন গিল ও জিতেশ শর্মা। তাদের জায়গায় স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন ইশান ও রিঙ্কু সিং। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ২১ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এই স্কোয়াড নিয়েই খেলবে ভারত।
ব্যাট হাতে ২০২৫ সালটি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়ের মধ্যে পার করলেও, সূর্যকুমার যাদবের কাঁধেই থাকছে ভারতের অধিনায়কত্ব। তার ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল।
২০২৩ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের পর আর জাতীয় দলের হয়ে খেলা হয়নি ইশানের। সদ্য সমাপ্ত সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে আলো ছড়িয়ে দুই বছরের বেশি সময় পর এবার ভারতের হয়ে খেলার সামনে ২৭ বছর বয়সী ব্যাটার।
আইপিএলের পর ভারতের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি। ইশানের নেতৃত্বে এবার এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঝাড়খণ্ড। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন ইশান।
ফাইনাল ম্যাচে সেঞ্চুরিসহ ১০ ইনিংসে ২ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে করেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৫১৭ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর তাকে বিশ্বকাপ দলে ফিরিয়েছেন ভারতের নির্বাচকরা। বিশ্বকাপের আগে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজেও খেলবেন বাঁহাতি ব্যাটার।
জিতেশ বাদ পড়ায় ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক হিসেবেই বিশ্বকাপে যাবেন সাঞ্জু স্যামসন।
ভারতের বোলিং বিভাগে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তিন পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ, হর্ষিত রানা, আর্শদিপ সিংয়ের সঙ্গে আছেন দুই স্পিনার কুলদিপ যাদব ও বরুন চক্রবর্তী। এছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে অক্ষর ছাড়াও দলে আছেন হার্দিক পান্ডিয়া, শিভাম দুবে ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে পথচলা শুরু হবে ভারতের। 'এ' গ্রুপে তাদের অন্য তিন প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তান।
ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভাম দুবে, অক্ষর প্যাটেল (সহ-অধিনায়ক), রিঙ্কু সিং, জাসপ্রিত বুমরাহ, হর্ষিত রানা, আর্শদিপ সিং, কুলদিপ যাদব, বরুন চক্রবর্তী, ওয়াশিংটন সুন্দর, ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক)।

চলতি অ্যাশেজ সিরিজে কোনোভাবেই লড়াই করতে পারছে না ইংল্যান্ড। তবে প্রথম দুই টেস্টের তুলনা করলে কিছুটা উন্নতি অবশ্য হয়েছে তাদের। অ্যাডিলেডে প্রথমবারের মতো সিরিজের কোনো টেস্ট পাঁচ দিনে টেনে নিয়েছে সফরকারীরা।
অ্যাডিলেড ওভালে ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৭ রান। ৪৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে ৪ উইকেট বাকি রেখে শেষ দিনে তাদের করতে হবে আরও ২২৮ রান। যা একরকম অসম্ভবই বলা যায়।
তবে চাইলে এই ম্যাচে নিজেদের পারফরম্যান্সে কিছুটা হলেও তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারে ইংল্যান্ড। এর আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে দুই দিন ও চার দিনে হেরে গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে এবার পঞ্চম দিনে খেলতে নামবে তারা।
এই ম্যাচ জিতলে দুই টেস্ট হাতে রেখেই এবারের অ্যাশেজ সিরিজ ও ঐতিহাসিক ছাইদানি নিজেদের করে রাখবে অস্ট্রেলিয়া।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এই দিনে আরও ৪০ রান যোগ করেন আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ট্রাভিস হেড ও অ্যালেক্স কেয়ারি।
১৬ চার ও ২ ছক্কায় ১৭০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন হেড। কেয়ারির ব্যাট থেকে আসে ৬ চারে ৭২ রান। শেষ দিকের ব্যাটাররা কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। তাই মাত্র ৩৮ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জশ টাং। আরেক পেসার ব্রাইডন কারস পান ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নামার আগে ৪৩৫ রানের অসাধ্য সাধনের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড।
সেই অভিযানে দ্বিতীয় ওভারেই বেন ডাকেটের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। কিছুক্ষণ পর অলি পোপকেও ফেরান প্যাট কামিন্স। তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন জ্যাক ক্রলি ও জো রুট। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৭৮ রানের জুটি।
তবে এই জুটিকে বেশি দূর যেতে দেননি কামিন্স। নতুন স্পেলে ফিরে ৩৯ রান করা রুটকে কট বিহাইন্ড করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। এরপর হ্যারি ব্রুককে নিয়ে ৬৮ রান যোগ করেন ক্রলি। ১০২ বলে ফিফটি করে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান ইংলিশ ওপেনার।
ঠিক তখনই নাথান লায়নের ৫ ওভারের জাদু। প্রথম ১০ ওভারে খরুচে বোলিংয়ে ৪৯ রান দেওয়া অভিজ্ঞ অফ স্পিনার পরের ৫ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ৩০ রান করা ব্রুক।
চমৎকার অফ স্পিনিং ডেলিভারিতে অফ স্টাম্প হারান ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। এরপর মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা ক্রলিকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন লায়ন। চমৎকার ক্ষিপ্রতায় বেলস ফেলে ১৫১ বলে ৮৫ রান করা ব্যাটারের বিদায় নিশ্চিত করেন কেয়ারি।
দিনের ৯.৩ ওভারে আর বিপদ ঘটতে দেননি জেমি স্মিথ ও উইল জ্যাকস। শেষ দিনে তাদের কাছ থেকে অলৌকিক কিছুর আশায়ই থাকবে ইংল্যান্ড।