২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ এম

লিভারপুলের ম্যাচে আরও একটি হারের পর প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরা যখন গান গাচ্ছিলেন পেপ গার্দিওলার চাকরি হারানোর, তার জবাবে ছয় আঙুল দেখিয়ে সিটিতে তার ছয় প্রিমিয়ার লিগ জয় ইশারা করে দেন স্প্যানিশ কো। তবে বাস্তবতা অনুধাবন করতে পারছেন সিটি কোচ। এভাবে চলতে থাকলে যে সামনে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, তাও মানছেন তিনি।
দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে কঠিন সময় আগেও পার করেছেন। সমালোচনা হয়েছে অনেক। পেপ গার্দিওলা সরাসরি তার জবাব দেওয়ার চেষ্টা আগে করেননি কখনও। তবে প্রিমিয়ার লিগে টানা চতুর্থ হার ও সব মিলিয়ে টানা সপ্তম ম্যাচে জয়বঞ্চিত থেকে যেন নিজের চেনা রুপও হারিয়ে ফেলছেন গার্দিওলা। এই কারনেই আর্নে স্লটের দলের কাছে ২-০ গোলে হারের পর দেখান ওই প্রতিক্রিয়া।
ম্যাচের পর গার্দিওলা অবশ্য জানান ক্লাবে তার বাস্তব পরিস্থিতির কথাই। “আমি তাদের (লিভারপুল সমর্থকদের) ওভাবে গান গাওয়াটা আশা করিনি। হয়ত আমি বরখাস্ত হওয়ারই যোগ্য। আমি আসলেই এমন কিছু আশা করিনি, তবে এটা ঠিক আছে। আপনি যখন জিতবে, তখন শুধু আপনিই হাসবেন। আর আপনি যখন হারবেন, তখন তারা হাসবে। আর আপনাকে সেটা মেনে নিতে হবে।”
এই ম্যাচের আগে নিজেদের শেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেইনউর্ডের সাথে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেও সিটি ড্র করে ৩-৩ গোলে। কোচিং ক্যারিয়ারে এর আগে কখনই টানা পাঁচ ম্যাচ হার বা টানা সাত ম্যাচ জয়বঞ্চিত থাকার অভিজ্ঞতা হয়নি গার্দিওলার। লিভারপুলের বিপক্ষে তার দল গোলের জন্য লক্ষ্যে শট রাখতে পারে মাত্র দুটি। এই হারে দলটির চেয়ে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে নেমে গেছে সিটি।
সব মিলিয়ে কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময়ে থাকা গার্দিওলাও মানছেন, চ্যালেঞ্জিং সময় অপেক্ষা করছে তার জন্য। “আমি বাস্তববাদী। আমি হতাশাগ্রস্ত নই। যখন আমার মনে হবে যে আমি কাজটা আর চালিয়ে যেতে পারব না, তখন আমি ক্লাবের সাথে কথা বলব। তবে আমার এখনও মনে হচ্ছে আমি কাজটা করতে চাই। জীবন সবসময় একরকম থাকে না। আমরা এখন আগের মত শক্তিশালী নই, এটাই আমাদের বাস্তবতা।”
মৌসুমের এই পর্যায়ে দলের যে হাল, তাতে সিটির লক্ষ্য নিয়েও নির্দিষ্ট কিছু ভাবছেন না গার্দিওলা। “এই ম্যাচের আগেও আমি বলেছি যে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলার মত অবস্থায় নেই। তবে এটা লম্বা একটা মৌসুম।”
No posts available.
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২২ পিএম
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫৬ পিএম

ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে অপ্রাসঙ্গিক অনেক প্রশ্নই আসে। বিশেষ করে ক্লাব ছাড়ার অহেতুক প্রশ্নে একটু বেশিই তিতিবিরক্ত হতে দেখা যায় পেপ গার্দিওলাকে। খানিক মেজাজ হারালেও শান্ত ও সৌম্য থাকার চেষ্টা করে ম্যানচেস্টার সিটি ম্যানেজার জবাব দেন—আপাতত ওয়েস্ট হ্যাম ম্যাচের দিকেই নজর তাঁর।
গতকাল পেপ গার্দিওলা যা বোঝাতে চেয়েছিলেন, আজ তা কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দিলেন শিষ্য আর্লিং হলান্ড ও তিজানী রেইন্ডার্সরা। দারুণ সব কীর্তি গড়ে অতিথি ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে সিটিকে ৩–০ গোলে জিতিয়েছেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। এ জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানে উঠে গেছে সিটিজেনরা।
২০২৪–২৫ প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয়স্থান নির্ধারণকারীরা এবার ১৭তম রাউন্ডেই প্রথমস্থান দখল করেছে। ওয়েস্ট হ্যাম থেকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়া দলটির মোট পয়েন্ট ৩৭। এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্সেনাল। মিকেল আরতেতার দল অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে।
ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ম্যানসিটির হয়ে দুটি গোল করেন হলান্ড। তাঁর প্রথম গোলটি আসে পঞ্চম মিনিটে, দ্বিতীয়টি ৬৯ মিনিটে। সিটির হয়ে অপর গোলটি করেন নেদারল্যান্ডসের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রেইন্ডার্স।
ম্যাচের মাত্র পাঁচ মিনিটে গোল করে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছুঁয়ে ফেলেন হলান্ড। আল নাসর তারকা রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুই দফায় করেন ১০৩ গোল। ‘সিআর সেভেন’-এর চেয়ে ১২২ ম্যাচ কম খেলেই তাঁকে ছাড়িয়ে গেলেন হালান্ড।
এদিন সিটির দ্বিতীয় গোলে রেইন্ডার্সকে সহায়তা করে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে মোট ২০০ গোলে অবদান রাখলেন হলান্ড। মাত্র ১৬৫ ম্যাচে তাঁর ১৬৬ গোল ও ৩৫টি অ্যাসিস্টের অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান দেখে যে কারও চোখ কপালে উঠবে।
ঘরের মাঠে আধিপত্য ধরে রেখেই খেলেছে সিটি। ৬৬ শতাংশ বল দখলে ছিল স্বাগতিকদের। তারা মোট ১৭টি শট নেয়, যার মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে। এর মধ্যে সাতটি ছিল বড় সুযোগ, আরও তিনটি তারা মিস করে।
ওয়েস্ট হ্যামকে একেবারেই অচেনা লেগেছে। যদিও পুরো আসরজুড়েই ইংল্যান্ডভিত্তিক দলটি বেশ ছন্দহীন। এখন পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচ খেলে ১০টিতেই হেরেছে নুনো এসপিরিতো সান্তোর দল। গোলের লক্ষ্যে তাদের শট ছিল মাত্র তিনটি।

যে গতিতে ছুটছিলেন, তাতে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে খুব দ্রুত ছাড়িয়ে ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। চলতি মৌসুমে উড়ন্ত ছন্দে থাকা আর্লিং হলান্ড ছাড়িয়ে গেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আজ ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে পাঁচ মিনিটে গোল করে প্রথমে রোনালদোর পাশে বসেন হলান্ড। এরপর ঘরের মাঠ ইতিহাদে ৬৯ মিনিটে আরেকটি গোল করে ছাড়িয়ে যান পর্তুগিজ মহাতারকাকে।
প্রিমিয়ার লিগে হলান্ডের গোল সংখ্যা এখন ১০৪। তাতে নরওয়েজিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড টপকে গেলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ফরোয়ার্ড রোনালদোকে। আল নাসরের মহাতারকা ‘রেড ডেভিলদের’ হয়ে দু’ দফায় করেন ১০৩ গোল। ‘সিআর সেভেন’ থেকে ১২২ ম্যাচ কম খেলেই তাকে ছাড়িয়ে গেলেন হলান্ড।
২৫ বছর বয়সী হলান্ডের ২০২৫-২৬ মৌসুমে লিগে গোল ১৭ ম্যাচে ১৯টি। এই মৌসুমেই ‘গোলমেশিন’ নামে পরিচিত এই স্ট্রাইকার প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম ‘সেঞ্চুরি’ করার কীর্তি গড়েন।
আজ ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে দু’টি গোলের সঙ্গে একটি অ্যাসিস্ট করে ডাবল সেঞ্চুরিও করেন হলান্ড।
এরলিং হলান্ড ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে এগিয়ে দিয়েছেন। তিজানি রেইন্ডার্সের গোলে সহায়তা করে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে মোট ২০০ গোলে অবদান রাখলেন হলান্ড। তাঁর মাত্র ১৬৫ ম্যাচে ১৬৬ গোল ও ৩৫টি অ্যাসিস্টের অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান দেখে যে কারও চোখ কপালে।

ম্যাচ শুরুর চার মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ২০ মিনিটে জোড়া পূরণ করেন নিক ভোল্টেমেড। তবুও শেষটা সুন্দর হয়নি নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের।
আজ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠ সেন্ট জেমস পার্কে চেলসিকে আতিথ্য দেয় ম্যাগপাইরা। শুরুতে এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে রিস জেমস ও জোয়াও পেদ্রোর গোলে ঘুরে দাঁড়ায় এনজো মারেস্কার দল। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দু’দলকেই।
প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচ পর গোল পেলেন ভোল্টেমেড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচ পর। গোলখরা কাটলেও ড্রয়ে খুব একটা খুশি নন জার্মান এই স্ট্রাইকার। ম্যাচ শেষে টিএনটি স্পোর্টসকে তিনি বলেন,
‘ব্যাপারটা মোটেও ভালো নয়। প্রথমার্ধে আমরা অনেক বেশি এনার্জিটিক ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ভালো কিছু করার সুযোগ থাকলেও আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুটি গোল হজম করেছি।’
তিনি আরও বলেন,
‘প্রথমার্ধে আমাদের খেলা দেখলে বোঝা যায়, আমরা যেকোনো দলের বিপক্ষে জিততে পারি। কেন আমরা দুটি গোল হজম করেছি, তা আমি নিজেও জানি না। আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। প্রথমার্ধের মতো পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারলে আমরা আরও ভালো করতে পারি।’
গত সপ্তাহে সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ১–০ গোলে হেরেছিল নিউক্যাসেল। ওই ম্যাচ প্রসঙ্গে ভোল্টেমেড বলেন,
‘গত সপ্তাহটা আমার জন্য ভালো ছিল না। তবে আজ বুঝেছি, সবাই আমাকে ভালোবাসে এবং গোল করতে দেখাটা উপভোগ করে। ভক্তরা আমার নাম ধরে গান গেয়েছে। আজ গোল করার জন্য আমি খুবই মুখিয়ে ছিলাম। আমার পাশে থাকার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই।’

পুরো ম্যাচে দুই দলের লড়াইটা হলো সমানে সমানে। আক্রমণ-পাল্ট আক্রমণের ম্যাচে প্রথমে জোড়া আঘাত করে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। তবে দমে যায়নি চেলসি। পুনরুদ্দমে ফিরে এসে ‘ব্লুজরা’ প্রতিপক্ষের দূর্গ থেকে অন্তত একটি পয়েন্ট নিয়ে ফিরে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আজ নিউক্যাসলের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে চেলসি। সেন্ট জ্যামস পার্কে নিক ভোল্টেমেডের জোড়া গোলে ম্যাচের শুরুতেই ব্যবধান ২-০ করে স্বাগতিকরা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে রিস জেমসের ফ্রি-কিক থেকে গোলের পর হোয়াও পেদ্রোর নৈপুণ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে চেলসি।
এই ড্রয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের চারেই আছে চেলসি। ১৭ ম্যাচে ৮জয়, পাঁচ ড্র ও চার হারে ২৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে এঞ্জো মারেস্কার দল। সমান ম্যাচ খেলে ২৩ পয়েন্ট পাওয়া নিউক্যাসলের অবস্থান ১১ নম্বর।
প্রতিপক্ষের মাঠে ৫৩ শতাংশ বল নিজেদের কাছে রাখে চেলসি। সফরকারীরা ১৩টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রেখেছে চারটি। বিপরীতে ১১টি শট নেওয়া নিউক্যাসলের গোলমুখে শট ছিল পাঁচটি।
ম্যাচের শুরুতে প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে পাঁচ গোল করা ভোল্টেমেড ঝড়ের কবলে পড়ে চেলসি। জার্মান এই ফরোয়ার্ড ম্যাচের ৪ মিনিটে প্রথম গোলের পর ২০ মিনিটে দলকে ফের এগিয়ে দেন। অ্যান্থনি গর্ডনের নেওয়া শট প্রথমে দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন রবার্ত সাঞ্চেজ। তবে বল পেয়ে যান ভল্টেমেড, ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি।
শুরু থেকে নিউক্যাসলের তীব্র গতির সঙ্গে কূলিয়ে উঠতে পারছিল না চেলসি। প্রথম ২০ মিনিটে মূর্হুমুহু আক্রমণে সফরকারীদের রক্ষণভাগে ত্রাস ছড়াতে থাকে ‘ম্যাগপাইরা’। আক্রমণের তীব্রতার সুফল মেলে দ্রুতই। গর্ডনের ক্রস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ১০ গজ দূর থেকে বল নীচের ডান কোণায় পাঠিয়ে দেন ভল্টেমেড।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে হ্যাটট্রিকও পেয়ে যেতে পারতেন ভল্টেমেড। গর্ডনের আরও একটি দুর্দান্ত ঠিকঠাক লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন এই স্ট্রাইকার।
০-২ গোলে পিছিয়ে পড়া চেলতি বিরতির পর ম্যাচ ফিরে। ৪৯ মিনিটে অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে ব্যবধান ২-১ করেন। ২৫ গজ দূরে নেওয়া ইংলিশ ডিফেন্ডারের শটটি নাগালই পাননি নিউক্যাসলের গোলকিপার অ্যারন রামসডেল।
এরপর আক্রমণের চাপ ধরে রেখে দ্বিতীয় গোলটিও পেয়ে যায় চেলসি। ব্লুজদের গোলকিপার সাঞ্চেজের দারুণ এক অ্যাসিস্ট থেকে সমতায় ফিরে মারেস্কার দল। নিউক্যাসলের একটি শট ঠেকিয়ে দেওয়ার পর প্রায় ৬০ গজ দূরে থাকা জোয়াও পেদ্রোকে বল বাড়িয়ে দেন সাঞ্চেজ। এরপর বাকি কাজটুকু সারেন পেদ্রো। সতীর্থের দুর্দান্ত লং পাস বুক দিয়ে রিসিভ করে বল নিউক্যাসলের একজনকে কাটিয়ে গোলকিপার নিচ দিয়ে নিখুঁত ফিনিশে বল জালে পাঠান।
এরপর উভয় দলই একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে। ৮৮ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে জয়সূচক গোল করার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল নিউক্যাসলের। তবে বল লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে দুই দল।

বর্ণাঢ্য পেশাদার কোচিং ক্যারিয়ারে কার্লো অ্যানচেলোত্তি এখন ব্রাজিলের স্বপ্নের সারথি। বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দলটি দীর্ঘ দিন বুদ হয়ে আছে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্নে।
২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ মিশন পূর্ণতা দিতে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ আনচেলোত্তি পাচ্ছেন নতুন সঙ্গী। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) নিশ্চিত করেছে আবারও দেখা যাবে পিতা-পুত্র জুটি। বাবার সহকারী হিসেবে যোগ দেবেন দাভিদ আনচেলোত্তি।
বিবৃতিতে সিবিএফ জানিয়েছে,
‘দাভিদ আনচেলোত্তি এই সপ্তাহের শেষে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের সঙ্গে যোগ দিতে সাও পাওলোতে পৌঁছাবেন। ৩৫ বছর বয়সী দাভিদ জাতীয় দলের একজন সহকারী কোচ হবেন। তিনি ২০১৫ সালে সহকারী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং নাপোলি, এভার্টন, বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদে কাজ করেছেন।'
গত জুলাইয়ে ব্রাজিলের কাপ বোতাফোগোতে যোগ দেন দাভিদ আনচেলোত্তি। ৩৬ বছর বয়সী দাভিদের এটিই ছিল পূর্ণকালীন কোচ হিসেবে প্রথম দায়িত্ব। এরপর মাত্র পাঁচ মাস বোতাফাগোর কোচের পদে টিকলেন তিনি। বোতাফাগো ব্রাজিলিয়ান লিগ ও কোপা লিবার্তেদোরেসের শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় আনচেলোত্তির ছেলেকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত নয় বছর ধরে পিতার অধীনে সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন দাভিদ। পিতা ও পুত্র আনচেলোত্তির এই জুটির শুরুটা ২০১৬-১৭ মৌসুমে, যখন আনচেলোত্তি বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান কোচ ছিলেন। এই পিতা-পুত্র জুটি নাপোলি, এভার্টন এবং গত চার বছর রিয়াল মাদ্রিদে একসঙ্গে কাজ করেছেন।
বাবার সঙ্গে সহকারী হয়ে দাভিদ বায়ার্নের হয়ে একটি বুন্দেসলিগা শিরোপা এবং দুটি সুপার কাপ জিতেছেন। এছাড়াও দুইটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দুইটি লা লিগা শিরোপা, একটি কোপা দেল রে, দুটি স্প্যানিশ সুপার কাপ, দুটি ইউয়েপা সুপার কাপ, একটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এবং একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন।
দাভিদ আনচেলোত্তি স্কটল্যান্ডের রেঞ্জার্সের প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার পথে ছিলেন। এছাড়া তিনি সিরি আ-র কোমো ক্লাবের প্রধান কোচ হওয়ার সম্ভাব্য তালিকাতেও ছিলেন।
দাভিদকে নিয়োগ দিয়ে সিবিএফ আরও লিখেছে,‘দাভিদ আনচেলোত্তির জাতীয় দলে আগমন সিবি’এফ এর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও নতুন উদ্ভাবনের জন্য এক নতুন ধাপ। তার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতিগুলো খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং আরও প্রতিযোগিতামূলক দল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৪৮ দলের আসন্ন বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘সি’তে জায়গা হয়েছে ব্রাজিলের। গ্রুপপর্বে নেইমার-রাফিনিয়াদের প্রতিপক্ষ মরক্কো, হাইতি ও স্কটল্যান্ড।