মিচেল মার্শের ডাকনাম ‘দ্যা বাইসন’। এর কারণ তাঁর অতি আক্রমণাত্নক ব্যাটিং চরিত্র। এখন এই মিচেল মার্শ যদি ভারতের বিপক্ষে উসমান খাজার সাথে টেস্ট ম্যাচে ওপেন করেন তাহলে কেমন হবে? দারুণ হবে, অন্তত তাই মনে করেন সাবেক পেসার ব্রেট লি। ইংল্যান্ডের ‘বাজ বল’ ক্রিকেটের ভাল একটা জবাব হবে- ‘বাইসন বল’!
ডেভিড ওয়ার্নার অবসর নিয়েছেন। ওপেনিংয়ে উসমান খাজার স্থায়ী সঙ্গী খুঁজে ফিরছে অস্ট্রেলিয়া। দলের সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকে দিয়ে ঐ দায়িত্ব দিয়েও সফল হয়নি দলটি। আর তাই ভারত সিরিজে স্মিথ ফিরে যাচ্ছেন পুরোনো পজিশন ৪ নম্বরে। যে কারণে মিচেল মার্শের নাম উঠে আসছে আলোচনায়, আসছে দারুণ প্রতিভাবান স্যাম কনস্টাসের নামও। ব্রেট লি বলছেন অস্ট্রেলিয়ার বাজি ধরা উচিত তাদের ওপর,” অতি আক্রমণাত্মক কৌশলে অস্ট্রেলিয়া খেলতে পারে, অনেকটা ওয়ার্নারের মতো। হয় মিচেল মার্শকে নিয়ে আসেন নইলে তরুণ স্যাম কনস্টাসকে খেলান, যাকে আমার দারুণ প্রতিভা মনে হয়।’
ইংল্যান্ডের বাজ বল ক্রিকেটই ভিন্ন ভাবনা ভাবাচ্ছে ব্রেট লিকে। ফক্স স্পোর্টসে লি বলেছেন, ‘আমরা বাজবল শুনেছি, তাহলে বাইসন বল কেন নয়? মিচেল মার্শকে ওপরে এনে দেখা যেতে পারে, ওকে দাপট দেখানোর সুযোগ দেয়া যেতে পারে। মিচেল মার্শকে যদি ৫ টেস্টের একটিতেও ওপরে আনা হয়, সেটা সিরিজে জয়–পরাজয়ের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। এটা একটা দারুণ বিকল্প।’
২০১৯ সালে দল থেকে বাদ পড়ার পর মিচেল মার্শ গত বছরের জুলাইয়ে আবার টেস্ট দলে ফিরেছেন। মিডল অর্ডারে দারুণ পারফর্ম করে জায়গাও পাকাপোক্ত করেছেন। মিচেল আসলে মিডধ-অর্ডারে ব্যাট করতে পছন্দ করেন,“ আমি ৬ নম্বরে ব্যাটিং করতে ভালোবাসি। আমি এখানে ভাল করছি। আমি সেটা পরিবর্তনে অনিচ্ছুক।’
যদিও সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি নিশ্চিত করেছেন, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে আবারও মিডল অর্ডারে ফিরবেন স্মিথ। এখন মার্শ যদি শেষ পর্যন্ত রাজি না হয় তবে প্রথাগত ওপেনাররাই আবার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনিংয়ে ফিরছেন। অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডও তাই জহুরির চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছেন- মার্কাস হ্যারিস, ক্যামেরন ব্যানক্রাফট, ম্যাট রেনশ, স্যাম কনস্টাসের দিকে। এখন এরা যদি ব্যর্থ হন, তখন আবার আলোচনায় ফিরে আসতে পারে ব্রেট লি’র ‘বাইসন বল’ থিওরি।
১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এম
ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটে বাংলাদেশের মূল ক্ষতিটা হয়ে গিয়েছিল প্রথম ১৫ ওভারেই। সেখান থেকে চাপের মুখে মাহমুদউল্লাহ দারুণ এক ইনিংস খেললেও তাই বোর্ডে রান কিছু কমই জমল বাংলাদেশের। বল হাতে দুই দফায় কিছুটা আশা জাগালেও তাই রহমানউল্লাহ গুরবাজের সেঞ্চুরিতে ম্লান হয়ে গেল সব প্রচেষ্টা। সাথে আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের অপরাজিত ফিফটি আফগানিস্তানকে এনে দিল জয়।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেছে ৫ উইকেটে। সফরকারীদের করা ৮ উইকেটে ২৪৪ রান ১০ বল হাতে রেখেই পাড়ি দিয়েছে আফগানরা।
তিন ম্যাচের সিরিজ আফগানিস্তান জিতল ২-১ ব্যবধানে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা দল ২৩৫ ও ২৫২ রান নিয়েই পেয়েছে বিশাল জয়। সেই কারণেই ২৪৪ রান করার পরও জয়ের পাল্লা একটু বেশি হেলে ছিল বাংলাদেশের দিকেই। তবে প্রথম দুই ম্যাচে অল্পে ফেরা ‘ডেঞ্জারম্যান’ রহমানউল্লাহ গুরবাজ এদিক ছন্দ ফিরে পান। প্রথম ওভারেই শরিফুলকে চার মেরে হয় শুরু।
আরও পড়ুন
নাহিদ রানায় মুগ্ধ ইয়ান বিশপ, বললেন বাড়তি যত্ন নিতে |
শরিফুলের পরের ওভারে তার ব্যাট থেকে আসে ছক্কার মার। অন্যপ্রান্তে অভিষিক্ত নাহিদ রানা শুরুটা করেন ভালো, নেন মেডেন ওভারও। তবে শরিফুল গুরবাজের কাছে আরেকটি ছক্কা হজমের পর তাকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন মিরাজ। গতির ঝড়ে ব্যাটারদের বারবার বিভ্রান্ত করা নাহিদই শেষ পর্যন্ত এনে দেন উইকেট। ঘন্টায় ১৫১ কি.মি. গতিতে করা এক ডেলিভারিতে ফেরান সেদিকুল্লাহ আটালকে।
মুস্তাফিজুর রহমানকে চাপে ফেলে ছক্কা মেরে আক্রমণে স্বাগত জানান গুরবাজ। তিনি ছন্দে থাকলেও রানের জন্য সংগ্রাম করা রহমত শাহ বেশিদূর যেতে পারেননি। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে তাকে থামান মুস্তাফিজুর। এরপর টানা কয়েকটি ওভারে বোলাররা রানের গতি অনেকটাই কমিয়ে আনেন। এর মাঝেই ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ।
শুরু থেকেই অস্বস্তিতে থাকা হাশমতউল্লাহ শহিদি সাজঘরে ফেরেন মুস্তাফিজুরের শিকার হয়ে, তার আগে ২১ বলে করেন মাত্র ৬ রান। তবে এরপর খুব দ্রুতই বদলে যেতে থাকে ম্যাচের চিত্র। প্রায় প্রতি ওভারেই চার বা ছক্কা মেরে বাংলাদেশ বোলারদের চাপে ফেলে দেন গুরবাজ ও ওমারজাই।
আরও পড়ুন
আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, নাহিদ রানার অভিষেক |
৮২ রানে থাকা অবস্থায় রান আউট প্রায় হয়েই যাচ্ছিলেন গুরবাজ, তবে সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভাঙতে পারেননি বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেন। এরপর আগ্রাসী ব্যাটিং বজায় রেখে পা রাখেন শতকের ঘরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি ওয়ানডেতে।
অন্যপ্রান্তে ওমারজাইও সমান তালে ব্যাটিং করায় দ্রুতই জুটিতেও হয়ে যায় সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার আশা যখন প্রায় শেষ, তখনই হাজির মিরাজ। বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় গুরবাজের ৭ ছক্কা ও ৫ চারে সাজানো ১০১ রানের ইনিংস।
এক ওভার বাদে আঘাত হানেন নাহিদ। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল টাইমিং করতে ব্যর্থ হয়ে আকাশে তুলে দেন গুলবাদাইন নাইব। ক্যাচ নিতে ভুল হয়নি জাকেরের। তবে এরপরও পথ হারায়নি আফগানিস্তান।
চমৎকার এক ফিফটি করা ওমারজাইয়ের সাথে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি মিলে গড়ে তোলেন কার্যকরী এক জুটি, যা দ্রুতই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত তারাই মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করা ওমারজাই অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। আর নবি করেন ২৭ বলে ৩৪।
এর আগে দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিং নেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিরাজ। আগের দুই ম্যাচে তিনে নেমে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেছিলেন দারুণ দুটি ইনিংস। তার অনুপস্থিতিতে টপ অর্ডার ব্যর্থ হয় দলকে শক্ত ভিত দিতে, যদি শুরুটা দুই ওপেনার এনে দিয়েছিলেন ভালো।
প্রথম দুই ম্যাচে ত্রিশের ঘরে গিয়ে আউট হওয়া সৌম্য সরকার এই ম্যাচেও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৮। আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের প্রথম শিকার হওয়া আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। খুব দ্রুতই ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও৷
প্রথম দুই ম্যাচে রানে না থাকা তাওহীদ হৃদয় আরও একবার ব্যর্থ হন। শুরু থেকেই জড়তা ছিল স্পষ্ট। রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে করেন মাত্র ৭ রান। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে রান আউট হন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে আসা জাকির হাসান।
আরও পড়ুন
মাহমুদউল্লাহ ৯৮, মিরাজ ৬৬, বাংলাদেশ ২৪৪ |
৭২ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের জন্য তখন দুইশ রানও মনে হচ্ছিল দীর্ঘ পথ। উইকেটের যে আচরণ প্রথম দুই ম্যাচে, তাতে জেতার জন্য আড়াইশর আশেপাশে থাকা স্কোর গড়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফর্মে থাজা মিরাজ ক্রিজে থাকলেও মাহমুদউল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে রানের মধ্যে ছিলেন না। তবে চাপের মুখেই তো অভিজ্ঞরা নিজেদের মেলে ধরেন।
আর ঠিক সেটাই করে দেখান মাহমুদউল্লাহ। অন্যপ্রান্তে মিরাজ অনেকটাই টেস্ট মেজাজে খেললেও তিনি শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। চাপ কাটিয়ে তাতে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। মিরাজ ৫০ থেকে ৬০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেও মাহমুদউল্লাহ বজায় রাখেন ৯০ এমনকি ১০০ স্ট্রাইক রেটও।
দুজনেই পেয়ে যান ফিফটির দেখা। জুটিতেও হয়ে যায় শতক। দুই সেট ব্যাটার থাকায় বাংলাদেশের চোখ ছিল ২৬০-২৭০ রানের দিকে। তবে আজমতউল্লাহর বলে মিরাজ ৬৬ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর সেই লক্ষ্যটা ক্রমেই নেমে যায়। এর মূল কারণ পরবর্তী ব্যাটারদের অবদান না রাখতে পারা।
বাংলাদেশের বাকি ইনিংস একাই টেনে নেন মাহমুদউল্লাহ। চার-ছক্কার মারে ধরে রাখেন লড়াকু স্কোরের সম্ভাবনা। সেঞ্চুরির ভালো সুযোগও তৈরি হয়েছিল। তবে ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে রান আউট হয়ে শেষ হয় ৯৮ রানের মহামূল্যবান ইনিংস। ৯৮ বলের দারুণ এই ইনিংস ডানহাতি ব্যাটার সাজান ৭ চার ও ৩ ছক্কায়।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে ১১ ডিসেম্বরে। ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রস্তুতি হিসেবে এই টুর্নামেন্টে দেখা যাবে দেশের ক্রিকেটের অনেক বড় তারাকাকে। এবার জানা গেলো, এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবাল খেলবেন পাঁচ ম্যাচ।
এই বছরের মে মাসের পর থেকে আর মাঠেই দেখা যায়নি তামিমকে। তবে এই সপ্তহে মিরপুরে অনুশীলন করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক বিপিএলে ফেরার প্রস্তুতি হিসেবে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন পাঁচ ম্যাচ। টি-স্পোর্টসকে নিশ্চিত করেছেন, ৩৫ বছর বয়সী তামিম নিজেই।
আরও পড়ুন
এক ঘণ্টার বেশি ব্যাটিং অনুশীলনে তামিমের বিপিএল প্রস্তুতি শুরু |
বিপিএলে ঠিক আগের আসরেই তামিমের নেতৃত্ব বরিশাল হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। নিজেও হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা। বিপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এই ব্যাটার এবারও খেলবেন বরিশালের হয়ে। বিপিএলে সবমিলিয়ে ১০৪ ম্যাচে ব্যাটার তামিম ৩৭.৬০ গড়ে ৩৪২২ রান করেছেন। ২৮ ফিফটির তামিমের রয়েছে দুই বিপিএল সেঞ্চুরিও।
১৫ ঘণ্টা আগে
১৭ ঘণ্টা আগে
১৭ ঘণ্টা আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে