দুর্দান্ত একটি ব্যক্তিগত মৌসুম কাটানোর জন্য ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের মৌসুম সেরা হয়েছে সদ্যই। সেই রেশ না কাটতেই আরও বড় স্বীকৃতি পেলেন মোহামেদ সালাহ। প্রিমিয়ার লিগের ২০২৪-২৫ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন লিভারপুল তারকা।
এর মধ্য দিয়ে তিনি নাম লিখিয়েছেন দারুণ এক ক্লাবে। মাত্র পঞ্চন খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের এই পুরস্কার জিতলেন তিনি। অন্য চারজন হলেন থিয়েরি হেনরি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, নেমানজা ভিদিচ ও কেভিন ডি ব্রুইনা। সালাহ প্রথমবার এই খেতাব জিতেছিলেন ২০১৭-১৮ মৌসুমে।
চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে সালাহ ২৮টি গোল করেছেন, সাথে রয়েছে ১৮টি অ্যাসিস্টও। তার এমন পারফরম্যান্স লিভারপুলকে চার ম্যাচ বাকি থাকতে শিরোপা নিশ্চিত করতে রাখে বড় ভূমিকা।
৩২ বছর বয়সী সালাহ এখনও টিকে আছেন গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়ে। বর্তমানে তিনি নিউক্যাসল ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার ইসাকের থেকে পাঁচ গোল এগিয়ে রয়েছেন তালিকার শীর্ষে।
লিভারপুলের এই মৌসুমে লিগে বাকি আছে আর এক রাউন্ড। ৩৮ ম্যাচের লিগ মৌসুমে এর আগে কোনো খেলোয়াড় ৪৬টি গোল অবদানে রাখতে পারেননি গোল, অ্যাসিস্ট মিলিয়ে)। সালাহর সামনে তাই সুযোগ আছে ৪৭ গোলে অবদানের রেকর্ডও ভাঙার, যা যৌথভাবে আছে অ্যালান শিয়ারার ও অ্যান্ড্রু কোলের দখলে। যদিও তারা এই কীর্তি গড়েছিলেন ৪২ ম্যাচের মৌসুমে।
প্রিমিয়ার লিগে অন্য সব খেলোয়াড়ের চেয়ে ছয়টি অ্যাসিস্ট বেশি করে সালাহ একই সাথে গোল্ডেন বুট, গোল্ডেন প্লেমেকার এবং মৌসুমে সেরা খেলোয়াড় – এই তিনটি পুরস্কারই জেতা প্রথম ফুটবলার হওয়ার পথে আছেন।
No posts available.

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো লিভারপুল। শনিবার রাতে অ্যাস্টন ভিলাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
লিভারপুলের জয়ে গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ ও রায়ান গ্র্যাভেনবার্চ। ক্লাবের হয়ে সালাহর এটি ২৫০তম গোল। জয়ে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে অল রেডরা।
ঘরের মাঠ এনফিল্ডে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় লিভারপুল। তবে প্রথমার্ধে কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না দলটি।
আরও পড়ুন
| মেসির গোলের পরও জিততে পারল না মায়ামি |
|
বিরতির ঠিক আগে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ভিলার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসের ভুলে গোলের সুযোগ পান সালাহ। সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করে জালে বল জড়ান।
লিভারপুলের হয়ে এটি মিসরীয় ফরোয়ার্ডের ২৫০তম গোল। ইয়ান রাশ (৩৪৬) ও রজার হান্টের (২৮৫) পর ক্লাবের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আড়াইশ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন সালাহ।
দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল পায় লিভারপুল। ৫৮ মিনিটে রায়ান গ্র্যাভেনবার্চের দারুণ শটে ২-০ হয় স্কোরলাইন। বাকি সময় আর কোনো গোল না হলেও সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্নে স্লটের দল।
ম্যাচের পর সালাহর প্রশংসা করে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট বলেন, ‘এক ক্লাবের হয়ে ২৫০ গোল করা অবিশ্বাস্য। আজ সে শুধু আক্রমণেই না, রক্ষণেও দারুণ খেলেছে।’
চার ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে জয়ে সালাহ নিজেও ছিলেন উচ্ছসিত, ‘জয়টা খুব দরকার ছিল। আমরা কিছু ম্যাচ হেরেছি।এখন আবার জয়ের পথে ফিরেছি। লিভারপুলের মতো ক্লাবের হয়ে ২৫০ গোল করা সত্যিই গর্বের।’
আরও পড়ুন
| মেসির গোলের পরও জিততে পারল না মায়ামি |
|
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিভারপুল। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে সাত পয়েন্ট পিছিয়ে তারা।
অন্যদিকে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে নেমে গেছে অ্যাস্টন ভিলা। আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলবে লিভারপুল।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা হলো অতিরিক্ত ৬ মিনিট। এরমাঝেও আরও বিরতির কারণে সেটি গিয়ে ঠেকল ১৫ মিনিটে। যেখানে একদম শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতে আল নাসরকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে শনিবার রাতে আল ফায়হাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আল নাসর৷ লিগে এ নিয়ে সাত ম্যাচে টানা সাত জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করেছে সৌদি ফুটবলের জায়ান্ট ক্লাবটি।
ম্যাচ জুড়ে দাপট দেখিয়ে খেলে আল নাসর। প্রায় ৬৬ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের কাছেই রাখে তারা। গোলের জন্য করে মোট ১৪টি শট। এর ৫টি ছিল লক্ষ্য বরাবর।
তবে ম্যাচের প্রথম গোলটি করে আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে নামা আল ফায়হাই। স্বাগতিক দর্শকদের চমকে দিয়ে ১৩তম মিনিটে দারুণ দক্ষতায় ফায়হাকে এগিয়ে দেন ডেভিড রেমেসেইরো (জেসন নামে অধিক পরিচিত)।
মিনিট পাঁচেক পর ফায়হার জাল কাঁপান কিংসলে কোম্যান৷ কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় আল নাসর তারকার এই গোল।
তবে ৩৭ মিনিটে ভুল করেননি রোনালদো। হোয়াও ফেলিক্স ও কোম্যানের দারুণ মেলবন্ধনের পর কোম্যানের পাস থেকে ম্যাচে সমতা ফেরান পর্তুগিজ সুপারস্টার।
আরও পড়ুন
| মেসির গোলের পরও জিততে পারল না মায়ামি |
|
এরপর গোলের একাধিক সুযোগ পায় দুই দলই। কিন্তু ম্যাচের স্কোরলাইন বদলাতে পারছিল না তারা। অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে খুলে যায় আল নাসরের ভাগ্য।
আব্দুল্লাহ আল আমরি ডি-বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হলে লম্বা সময় ধরে ভিএআর চেক করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের ১৫তম মিনিটে সেই পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে জেতান রোনালদো৷ জোড়া গোল করে তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

লিওনেল মেসির শেষ সময়ের গোলেও রক্ষা হলো না ইন্টার মায়ামির। রোববার বাংলাদেশ সময় ভোরে মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কাপ প্লে অফের প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগে ন্যাশভিল এফসির কাছে ২-১ গোলে হেরেছে মায়ামি।
২০২১ সালের পর এটাই ন্যাশভিলের প্রথম প্লে-অফ জয়। সেবারও তারা প্রথম রাউন্ডে ২-১ গোলে হারিয়েছিল অরল্যান্ডোকে।
ন্যাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে নবম মিনিটেই পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন স্যাম সারিজ। মায়ামির গোলরক্ষক রোকো রিওস নভো ভুল দিকে ঝাঁপ দিলে সহজেই গোল করেন তিনি।
আরও পড়ুন
| অপ্রতিরোধ্য আর্সেনাল, হোঁচট খেল ইউনাইটেড |
|
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ন্যাশভিল। হানি মুকতারের কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জশ বাওয়ার।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে মায়ামি। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল দলটি। শেষ পর্যন্ত ৯০ মিনিটে গোল করেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। রদ্রিগো দে পলের পাস থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান কমান তিনি।
ন্যাশভিলের বিপক্ষে এটি তার তিন ম্যাচে ষষ্ঠ গোল। তবুও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মায়ামিকে। পুরো ম্যাচে মায়ামির শট ছিল ১০টি, ন্যাশভিলের ৯টি। তবে অন টার্গেটে এগিয়ে ছিল ন্যাশভিল ৫-৩ ব্যবধানে।
এই জয়ে তিন ম্যাচের এই প্লে অফ সিরিজে সমতা ফেরাল ন্যাশভিল। এখন সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে ৮ নভেম্বর, মায়ামির মাঠ ফোর্ট লডারডেলে।
সিরিজের বিজয়ী দল উঠবে কনফারেন্স সেমিফাইনালে, যেখানে প্রতিপক্ষ হবে সিনসিনাটি বা কলম্বাস ক্রু।

শুক্রবার ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গত মৌসুমের গোল্ডেম বুট জিতেছেন কিলিয়ান এমবাপে। এর পরদিনই জোড়া গোলে যেন জানান দিলেন নতুন মৌসুমের জন্যও প্রস্তুত তিনি।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চলতি মৌসুমেও দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন এই তারকা। তার নৈপুণ্যে লা লিগায় বড় জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভ্যালেন্সিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে তারা।
রিয়ালের হয়ে জোড়া গোল করেছেন এমবাপে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে লা লিগায় ১১ ম্যাচে তার গোল এখন ১৩টি। দলের বাকি দুটি গোল করেছেন জুড বেলিংহাম ও আলভারো কারেরাস।
আরও পড়ুন
| অপ্রতিরোধ্য আর্সেনাল, হোঁচট খেল ইউনাইটেড |
|
এই জয়ের ফলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভিয়ারিয়ালের চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপে। ৩১ মিনিটে আরদা গুলারের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই ফরোয়ার্ড।
এরপর আরও একটি পেনাল্টির সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। তবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট রুখে দেন ভ্যালেন্সিয়ার গোলরক্ষক।
এক মিনিট পরই বিরতির ঠিক আগ মূহুর্তে গোল করেন বেলিংহাম। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে বল জালে পাঠান ইংলিশ তারকা। প্রথমার্ধ শেষে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে পুরো সময় নিয়ন্ত্রণে রেখেও গোল পাচ্ছিল না রিয়াল। শেষ পর্যন্ত ৮২ মিনিটে দারুণ এক শটে গোল করেন কারেরাস, ৪-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের।
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকোতে বদলি হিসিবে ম্যাচ থেকে উঠানোর কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভিনিসিয়ুস। তবে এই ম্যাচে শুরু থেকেই খেলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন
| প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা ইয়ামালের |
|
এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১০ জয় ও ৩০ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। এনফিল্ডে আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে তারা।
দিনের অন্য ম্যাচে রায়ো ভায়েকানোকে ৪-০ গোলে হারিয়ে বার্সেলোনাকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভিয়ারিয়াল। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৩। ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বড় দলগুলোর হারের সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে আর্নেনাল। সবশেষ টানা পাঁচ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আরও জেঁকে বসেছে গানাররা। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মিকেল আর্তেতার দল টানা নয় ম্যাচে জয় পেল। একই সময়ের অন্য ম্যাচে টানা তিন জয়ের পর ড্র করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আজ বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। প্রতিপক্ষের মাঠে ভিক্টর ইয়োকেরেসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুন করেন ডেকলান রাইস।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করল আর্সেনাল। এক ম্যাচ কম খেলে দুই নম্বরে থাকা বোর্নমাউথের পয়েন্ট ১৮। আর চলতি মৌসুমে লিগে ষষ্ঠ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে বার্নলে।
নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে বল দখলে ভালোই লড়েছে বার্নলি। তবে আক্রমণে সফরকারীদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। ৫৪ শতাংশ বল দখলে রেখে ১১টি শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রাখে আর্সেনাল। যেখানে পুরো ম্যাচে মাত্র দুটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন ইয়োকেরেস। আরেকবার কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদ করল আর্সেনাল। রাইসের নেওয়া কর্নার থেকে হেডে গোল করেন সুইডিশ ফরোয়ার্ড। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করা গোলটি আসে আগের গোলের যোগানদাতার নৈপুণ্যে। ইয়োকেরের নিঁখুত পাস থেকে বল পান লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ক্রস করলেন িএই উইঙ্গার, সেখান থেকে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান রাইস।
মূল্যবান এক পয়েন্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের
প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে খালি হাতেই ফেরার দিকে এগোচ্ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ৮১ মিনিটে ৮১তম মিনিটে আমাদ দিয়ালো দুর্দান্ত এক ভলিতে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে করম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
নটিংহ্যামের মাঠ সিটি গ্রাউন্ডে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথমে ক্যাসেমিরোর গোলে এগিয়ে যায় রুবেন আমোরিমের দল। বিরতির পর দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে বসে রেড ডেভিলরা। এরপর শেষ দিকে দলকে গুরুত্বপূর্ণি একটি পয়েন্ট এনে দেওয়া গোলটি করেন দিয়ালো।
এই ড্রয়ের পর ১০ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে ইউনাইটেড। বিপরীতে অবনমন অঞ্চলে থাকা ফরেস্ট ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে অবস্থান করছে।
প্রথমার্ধে কাসেমিরোর হেডে থেকে করা গোলে টানা চতুর্থ জয় পেতে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচের চিত্র পুরো উল্টে যায়। ৪৮ মিনিটে ডানদিক থেকে রায়ান ইয়েটসের ক্রসে ফরেস্ট অধিনায়ক মরগান গিবস-হোয়াইট ইউনাইটেডর রাইট-ব্যাক আমাদকে পরাস্ত করে বল দখলে নিয়ে দলকে সমতায় ফেরান।
দুই মিনিট পরই আবার আক্রমণ ফরেস্টের। ডানদিক থেকে আরেকটি বিপদজনক ক্রস ইউনাইটেডের রক্ষণ হুমকির মুখে পড়ে। ইগর জেসুসের হেড কয়েকজন খেলোয়াড়ে থেকে বক্সে পড়লে ঠাণ্ডা মাথায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রেড ডেবিলদের গোলকিপার সানে ল্যামেন্সকে পরাস্ত করেন নিকোলো সাভোনা।
পিছিয়ে পড়ে সমতাসূচক গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে থাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৮১ মিনিটে আসে সুযোগ। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, তারপরই আমাদ এক লাফিয়ে ওঠা বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকেই প্রথম ছোঁয়ায় ভলিতে বল জালে পাঠান।
জয়সূচক গোলটিও পেয়ে যেতে পারত আমোরিমের দল। শেষ মুহূর্তে আমাদের আরেকটি শট জয় ফরেস্টের মুরিলো গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে দলকে রক্ষা করেন।