
প্রথম দিনের খেলা শেষে আম্পায়ার যখন বেলস ফেলে দেন, মুশফিকুর রহিম তখনও ৯৯ রানে অপরাজিত। একটি রানের জন্য তাই অপেক্ষা করতে হয় ১৭ ঘণ্টার বেশি। তবে আবার মাঠে বেশি অপেক্ষা করেননি মুশফিক। প্রথম ওভারেই তিনি করে ফেললেন ইতিহাসগড়া সেঞ্চুরি।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই কাঙ্খিত মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিক। দেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমে শতক করে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম তুলে রাখলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
টেস্ট ইতিহাসে শততম ম্যাচ খেলতে নেমে মুশফিকের আগে সেঞ্চুরি করা ব্যাটার ১০ জন। এবার তিন অঙ্ক ছুঁয়ে যেন একাদশ পূর্ণ করলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
১৯৬৮ সালে প্রথম নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন কলিন কাউড্রি। এরপর একে একে এই তালিকায় যুক্ত হন গর্ডন গ্রিনিজ, জাভেদ মিঁয়াদাদ, অ্যালেক স্টুয়ার্ট, ইনজামাম উল হক, রিকি পন্টিং (দুই ইনিংসেই), গ্রায়েম স্মিথ, হাশিম আমলা, জো রুট ও ডেভিড ওয়ার্নার।
এই দশজনের মধ্যে শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন রুট ও ওয়ার্নার। ২০২২ সালে শততম টেস্টে শতকের তালিকায় যোগ দেন ওয়ার্নার। মুশফিকের সামনে এবার রুট ও ওয়ার্নারের সঙ্গী হওয়ার সুযোগ।
শততম টেস্টে মুশফিকের চেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরি আছে শুধু গর্ডন গ্রিনিজ। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি শততম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন ৩৮ বছর ১১ মাস ১২ দিন বয়সে। এই ম্যাচের শুরুতে মুশফিকের বয়স ৩৮ বছর ৬ মাস ১১ দিন।
টেস্ট ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে মুশফিকের এটি ১৩তম সেঞ্চুরি। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে এটিই সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। ৭৫ টেস্টে ১৩টি সেঞ্চুরি আছে বাঁহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হকেরও।
প্রথম দিন প্রথম সেশনে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছিল মুশফিকের। ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন কিছুটা চাপে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুমিনুলের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন মুশফিক।
মুমিনুল ৬৩ রান করে আউট হয়ে গেলে লিটন কুমার দাসের সঙ্গে জুটি বাধেন মুশফিক। প্রথম দিনে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ৯০ রান।
সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পথে একদমই ঝুঁকি নেননি অভিজ্ঞ ব্যাটার। সাবধানী ব্যাটিংয়ে রয়েসয়ে খেলে ১৯৫ বলে মাত্র ৫ চার মেরে কাঙ্খিত মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।
No posts available.
২০ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৪৫ পিএম
২০ নভেম্বর ২০২৫, ৭:১১ পিএম
২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৫২ পিএম

ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ — টেস্টে অভিষেকের পর ক্রিকেটারদের পাওয়া এই বিশেষ ক্যাপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ। অনেকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায় এই ক্যাপ। রঙচটা, সেলাই উঠে গেলেও তারা তা আগলে রাখেন ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত।
ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ নিয়ে অনেক গল্প–ঘটনাই ঘটেছে। হারিয়ে বা নিখোঁজ হওয়ার পর আকুতি জানাতে দেখা গেছে অনেককেই। ডেভিড ওয়ার্নার তাঁর অভিষেক ক্যাপ হারিয়ে তো রীতিমতো যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়েছিলেন। আইনি পদক্ষেপ কিংবা মামলা করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার।
অনেক ক্রিকেটারই ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ মাথায় দিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। এই ক্যাপ সাক্ষী থাকে অনেক ঘটন–অঘটনের। তাতেই প্রিয় হয়ে ওঠে এই ক্যাপ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম যেমন টেস্ট ক্যারিয়ারের আদ্যপ্রান্তে আগলে রেখেছেন তাঁর বিশেষ ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ।
২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। তৎকালীন অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের হাত থেকে অভিষেক ক্যাপ বুঝে নিয়েছিলেন তিনি। সেই ক্যাপ মাথায় দিয়েই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন নিজের শততম টেস্ট। এই ক্যাপ পরেই দেখা পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরির।
গতকাল ঢাকা টেস্টে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক আজ শতকের দেখা পান। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন তিনি। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে তাঁর ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ নিয়ে।
মুশফিক বলেন,
“আমি মনে করি, তিনটা ফরম্যাটের মধ্যে সবচেয়ে আলটিমেট ফরম্যাট টেস্ট। টেস্টের সবচেয়ে বড় জিনিস—ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ। এটার মর্যাদা যদি একজন প্লেয়ার না বোঝে, সেটা আসলে তাকে বলে বোঝানো যায় না। আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন, আমি এমন কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলিনি যেখানে ক্যাপ পরে ফিল্ডিং বা কিপিং করিনি। সেদিক থেকে বলব, হ্যাঁ, বলা যায় যে এই ক্যাপটা শুধু ফিল্ডিং করতে করতে অবস্থাটা খারাপ হয়ে গেছে। কারণ ক্যাপ পরে খুব কমই আমি ব্যাটিং করি — হেলমেট পরে প্রায় পুরো সময়ই ব্যাটিং করতে হয়। এটা আমার কাছে এক ধরনের প্রতীক। আমি মনে করি, এটা অনেক বড় পাওয়া। মৃত্যু পর্যন্ত এটা নিজের কাছে রাখব আমি।”

একশ টেস্টের ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৩টি সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যে তিন ম্যাচে করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। এছাড়া আরও ২৪টি ফিফটিও করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। ক্যারিয়ারের সব মুহূর্তের মধ্যে মুশফিকের কাছে সবচেয়ে আনন্দের, নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংসটি।
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। সেদিন ঠিক ২০০ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। এরপর করেছেন আরও দুটি ডাবল সেঞ্চুরি।
তবে মুশফিকের কাছে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটি বিশেষ। কারণ তার ওই ইনিংসের পরই বাংলাদেশের অন্য ব্যাটাররাও ডাবল সেঞ্চুরি বা বড় ইনিংস খেলার বিশ্বাস পেতে শুরু করে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে মুশফিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সবচেয়ে কঠিন ও সুখের মুহূর্ত কোনটি। কঠিন মুহূর্তের উত্তরই আগে দেন ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটার।
“বাংলাদেশের জন্য পরের টেস্ট খেলাই সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত। এটা হচ্ছে সবচাইতে বড় বাস্তবতা। আর একজন ব্যাটার হওয়ায়, আমার আর কোনো কাজ নেই (অবদান রাখার)। তাই এটা সবচেয়ে কঠিন। প্রতিটি ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটি ইনিংসই বিশেষ।”
পরে আনন্দের মুহুর্তের কথা জানাতে গিয়ে ২০১৩ সালের গল টেস্টের কথা বলেন মুশফিক।
“সুইট মোমেন্ট যদি বলেন, অবশ্যই আমি মনে করি, যেই ইনিংসে আমি প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছি... আমার মূল লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কীভাবে ওপরে নিয়ে যাওয়া যায়।”
“যতক্ষণ একটা জিনিস আপনার চোখের সামনে কেউ অর্জন করবে না, আসলে ততক্ষণ পর্যন্ত সবার মাঝে ওই বিশ্বাসটা থাকে না। এখন ওই দুইশ করার পর থেকে অন্তত অন্যরাও বিশ্বাস করা শুরু করেছে যে হ্যাঁ আমরাও বড় রান করতে পারি।”

মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট নিয়ে দেশ-বিদেশের সাবেক, বর্তমান অনেক ক্রিকেটারই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উচ্ছ্বাস। মুশফিকের শততম টেস্ট নিয়ে গতকালই ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশের তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরী। লেস্টার সিটির মিডফিল্ডারের ভিডিও বার্তায় আপ্লুত মুশফিকও। কখনও দেখা হলে তাঁকে ধন্যবাদ দেবেন বলে জানিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
নিজের শততম টেস্ট রাঙিয়েছেন মুশফিক। আগের দিন ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা অভিজ্ঞ ব্যটার আজ বৃহস্পতিবার ছুঁয়েছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার (১০৬)। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ৩৮ বছর বয়সি ব্যাটার। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় হামজার ভিডিও বার্তা নিয়ে। সেটি চোখে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে মুশফিক বলেন,
‘জি আমি আজ সকালে শুনেছি। পরে আমি আমার ম্যানেজারের মোবাইল থেকে দেখেছি। তো আমি সত্যিই অবাক হয়েছি এবং এটা দেখে খুশি হয়েছি। আশা করছি যদি সামনাসামনি কখনো দেখা হয়, তখন ধন্যবাদ জানাবো।’
মুশফিকের ১০০ টেস্টকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও বার্তায় হামজা বলেন,
'আসসালামু আলাইকুম মুশফিক ভাই, আমাদের দেশের বড় একজন কিংবদন্তী আপনি। আপনাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আপনার ১০০ তম টেস্টের জন্য অভিনন্দন। ইনশাআল্লাহ আগামীকাল সেরাটা হবে।'

দেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একশ টেস্ট। পরে সেই উপলক্ষ রাঙিয়ে বিশ্বের মাত্র ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি। এক ম্যাচেই মুশফিকুর রহিমের ঝুলিতে জমা হয়েছে বড় দুটি অর্জন। আর এই রেকর্ড তিনি উৎসর্গ করেছেন নিজের দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মুশফিক। এদিনই সকালে দিনের মাত্র দ্বিতীয় ওভারেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। আর আগের দিন তিনি প্রবেশ করেন একশ টেস্টের ক্লাবে।
সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, দারুণ এই অর্জন কাকে উৎসর্গ করতে চান। এসময় দাদা-দাদী ও নানা-নানীর কথা বলতে গিয়ে কিছু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মুশফিক।
“আমার দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে উৎসর্গ করতে চাই। কারণ তারা আসলে আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান ছিলেন, যখন বেঁচে ছিলেন। তারা যখন মারা যান, তার আগে যখন একটু অসুস্থ ছিলেন, আমার এখনও মনে আছে, আমার দাদা-দাদী, নানা-নানীরা বলেছিলেন যে, ;ভাই তোমার খেলা দেখার জন্য হল আমি আরও কয়েকটা দিন বেঁচে থাকতে চাই।' তো এটা... মানে আসলে বিশেষ কিছু।”
মুশফিকের মতে, মুরুব্বিদের দোয়ার সৌজন্যেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এত দূর আসতে পেরেছেন তিনি।
“খুব কম নাতি বা নাতনিদের ভাগ্যে জোটে এরকম। তো সেটা বলব যে তাদের দোয়ার সৌজন্যেই এই আমি আজকে এতদূর। আরও অনেক মানুষ আছে (দোয়া করেছেন)। তবে বিশেষ করে আমি তাদের চারজনকে উৎসর্গ করতে চাই।”

দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একশ টেস্ট খেলবেন, সেই কথা মুশফিকুর রহিম নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি। শততম টেস্টের উপলক্ষ সেঞ্চুরিতে রাঙানোর পর সংবাদ সম্মেলনে সেই কথা বললেন তিনি নিজেই।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে টসের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় উঠে গেছে মুশফিকের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একশ টেস্ট খেলেছেন তিনি। এই ম্যাচে তিনি খেলেছেন ১০৬ রানের ইনিংস।
শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারদের ছোট্ট তালিকায় নাম লিখিয়েছেন মুশফিক। যেখানে তিনিসহ এখন আছেন মাত্র ১১ জন। আর উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে মুশফিকসহ মাত্র তিনজন নিজের শততম টেস্টে করেছেন শতরান।
এমন অর্জনের পর দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বললেন, এত দূর আসবেন, তা নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি।
“আলহামদুলিল্লাহ! এটা তো আসলে আমি নিজেও আসলে বিশ্বাস করতে পারি না... বিশেষ করে একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার ১০০ টেস্ট খেলবে। তো এটা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। শুধু আমার হয়েছে জন্য বলছি না। যে কোনো দেশের, যে কারও জন্য এটা গর্বের মুহূর্ত। অবশ্যই ভালো লাগছে যে সেই ব্যক্তিটা আমি হতে পেরেছি।”
দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে মাইলফলক ছোঁয়ার পর এখন দায়িত্ব আরও বেশি মনে করছেন মুশফিক। তার মতে, অবসরের যোগ্য উত্তরসূরি বের করে যাওয়াই এখন তার বড় কাজ।
“আমার ওপর দায়িত্বটা এখন অন্যরকম বেশি। সেটা চেষ্টা করব। আর যে কয়টা ম্যাচই হয়তো যেভাবেই খেলতে পারি, ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে যেন সেটার প্রতিফলন দিতে পারি। আর এর সঙ্গে যেন আমি (অবসরে) যাওয়ার পরেও ড্রেসিং রুমে যেন এক-দুইজন ক্রিকেটার দিয়ে রেখে যেতে পারি, যাতে সেই গ্যাপটা যেন পূরণ হয়ে যায় ইনশাল্লাহ।”