গেল অক্টোবরে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার। তবে দুই ম্যাচ খেলে আবারও চোটের হানায় ছিটকে যান আল হিলাল তারকা। যাচ্ছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এমন কঠিন সময়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা অবশ্য পেয়েছেন খুশির খবর। বুধবার নেইমারের সঙ্গী ব্রুনা বিয়ানকারদি জানান দিয়েছেন আবারও বাবা হতে চলছেন আল হিলাল তারকা।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় ব্রুনা নিশ্চিত করেন এই দম্পতির অনাগত সন্তানের খবর। জানিয়েছেন, তাদের কোল আলো করে আসছে একটি মেয়ে সন্তান। এটি এই দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।
আরও পড়ুন
সংশয়ের মেঘ সরিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান নেইমার |
২০২২ সালে ব্রুনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নেইমার। নতুন সন্তানের সুখবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ব্রুনা,
“আমরা বেশ দারুণ একটা সময় পার করছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তিনি আমাদের আবারও এমন আনন্দের মুহূর্ত এনে দিয়েছেন। স্বাগতম কন্যা! ঈশ্বর তোমাকে সব সব ধরনের খারাপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করুক।”
নেইমার এই নিয়ে চতুর্থ বারের মত বাবা হতে যাচ্ছেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই প্রথমবার বাবা হন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। নেইমারের প্রথম ছেলে ডেভিড লুকার বয়স ১৩। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেইমারের সাথে নিয়মিতই দেখা যায় লুকাকে।
আরও পড়ুন
নেইমারের সান্তোসে যাওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন এজেন্ট |
অন্যদিকে ব্রুনার সাথে তার প্রথম সন্তান মাভির বয়স দেড় বছর। আর আমান্দা কিমবার্লির সাথে তার মেয়ে হেলেনের বয়স পাঁচ মাস। তার মধ্যে আবারও ব্রুনার সাথে নতুন সন্তানের সুখবর পেলেন নেইমার।
৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৫:৩২ পিএম
৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৩:২০ পিএম
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটাররা প্রায় সবাই পেলেন রানের দেখা। তাতে বোর্ডে জমা পড়ল বিশাল স্কোর। তবে ছন্দে থাকা রংপুর রাইডার্সকে চ্যালেঞ্জই জানাতে পারল না দলটি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রান তাড়ায় উড়ন্ত ফর্মে থাকা রংপুরকে পথ দেখালেন অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসান। একজন শতক মিস করলেও অন্যজন ঠিকই পেলেন সেঞ্চুরি। আর রংপুর তুলে নিল আরও একটি অনায়াস জয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবারের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্স জিতেছে ৮ উইকেটে। সিলেটের দেওয়া ২০৬ রানের টার্গেট দলটি পাড়ি দিয়েছে ১ ওভার হাতে রেখেই। আসরে এটি রংপুরের টানা চতুর্থ জয়।
আরও পড়ুন
সিলেটেও জয়ের ধারায় রংপুর? তাসকিন-বিজয়দের ছন্দ ধরে রাখার লড়াই |
ঢাকা পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুরের দাপুটে জয়ে বড় অবদান ছিল হেলস-সাইফ জুটির। সেদিন অ-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম আউট হয়েছিলেন। এদিনও বজায় থাকে একই ধারা। রানের খাতা খোলার আগেই তানজিম হাসান সাকিবের শিকার হন তিনি। তবে শুরুর সেই ধাক্কা বুঝতেই দেননি অভিজ্ঞ হেলস ও তরুণ সাইফ।
প্রথম কয়েকটা ওভার একটু দেখেশুনে খেলার পর ক্রমেই বোলারদের ওপর চড়াও হন হেলস। আল-আমিন হোসেনের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় নেন ১৫ রান। অন্যপ্রান্তে সাইফও ব্যাট চালান সমান তালে। ছয় ওভার শেষে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫৪।
এই দুই ব্যাটার মিলে সিলেটের কোনো বোলারকেই আর চেপে বসার সুযোগ দেননি। প্রতি ওভারে এক বা একাধিক চার-ছক্কার মারে সচল রাখেন রানের চাকা। তাতে ১০ ওভারেই প্রায় দলীয় সেঞ্চুরি হয়ে যায় রংপুরের। নিহাদউজ্জামানকে ছক্কা মেরে মাত্র ৩০ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন সাইফ। এই বিপিএলে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি।
আরও পড়ুন
সাইফ-হেলসের ব্যাটে চড়ে রংপুরের হ্যাটট্রিক জয় |
নিজের করা প্রথম ওভারে ব্যয়বহুল আরিফুল হক দ্বিতীয় ওভারে দুই ছক্কা হজম করেন সাইফের হাতে। খানিক বাদে আল-আমিনযে চার মেরে ফিফটি তুলে নেন হেলসও। ক্রমেই বল-রানের ব্যবধান কমিয়ে এনে রংপুরের এগিয়ে যায় অনায়াস জয়ের দিকে। মারমুখী হেলস আরিফুলের তৃতীয় ওভারব তিন ছক্কা সহ আদায় করেন ২৩ রান।
একই গতিতে এগিয়ে যাওয়া সাইফের ব্যাটেও ছিল সেরা ছন্দ। তারও জেগেছিল সেঞ্চুরির আশা। তবে রেকর্ড ১৮৬ রানের জুটির অবসান ঘটিয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়ে বিদায় নিতে হয় তাকে। ফিরতি স্পেলে এসে তাকে ক্যাচ আউট বানান তানজিম। এর আগে সাইফের ব্যাট থেকে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় আসে মাত্র ৪৯ বলে ৮০ রান।
এরপর মূল রোমাঞ্চ ছিল জয় ছাপিয়ে হেলসের সেঞ্চুরি। ১৯তম ওভারে আল-আমিনকে টানা দুই ছক্কায় ম্যাচ শেষ করার আগেই শতকের দেখা পান এই ইংলিশ ব্যাটার। হেলস মাঠ ছাড়েন নামের পাশে ১১৩ রান নিয়ে। মাত্র ৫৬ বলের ইনিংস সাজান ৭ ছয় ও ১০টি চারে।
দিনের প্রথম ভাগে সিলেটের ব্যাটাররাও করেন রান উৎসব। দুই ওপেনার জর্জ মুন্সি ও রনি তালুকদার মিলে যোগ করেন ৪৭ রান। এরপর তিনে নামা জাকির হাসানের সাথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন রনি। দলকে বড় সংগ্রামের ভিত গড়ার পাশাপাশি দুজনই তুলে নেন ফিফটি। তবে কেউই পারেননি এরপর ইনিংস লম্বা করতে।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতির ঝড় বিপর্যস্ত সিলেট, রংপুরের দুইয়ে দুই |
ফলে ছন্দে থাকা রংপুরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সিলেটের দরকার ছিল ভালো একটা ফিনিশিং। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটার অ্যারন জোন্স ঠিক সেই কাজটাই করে দেন দলের জন্য। দারুণ সব শট খেলে ৪ ছক্কা ও এক বাউন্ডারিতে মাত্র ১৯ বলে উপহার দেন ৩৮ রানের ইনিংস। তবে দলীয় দুইশ পার করায় অবদান রাখে মূলত জাকের আলি অনিকের ক্যামিও। তরুণ এই কিপার-ব্যাটার তিন ছক্কায় মাত্র ৫ বলে অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।
ম্যাচ শুরুর আগেই তুষারের হানা নর্থওয়েস্ট ডার্বিতে। শঙ্কা জেগেছিল ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য খেলা গড়িয়েছে মাঠে। দারুণ নাটকীয়তা উপহার দেওয়া ম্যাচ শেষ হয়েছে সমতায়। ফেভারিট হিসেবে নেমেও ড্র করার হতাশা তাই পেয়েই বসেছে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটকে। আর ভালো খেলেও জয় নিয়ে মাঠ না ছাড়ার হতাশা রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের।
সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় ইউনাইটেড থেকে বেশ এগিয়ে ছিল লিভারপুল। তবে মাঠের লড়াইয়ে অ্যানফিল্ডে দুই দলই লড়েছে সমান তালে। গোলের সুযোগ তৈরি কিংবা মিস, সেখানেও দুই দল হেঁটেছে একই পথে। জয়ের সুযোগ ছিল দুই দলেরই। তবে গোলের মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে দুই দল।
ফলাফল বিবেচনায় এই এক পয়েন্ট পয়েন্ট টেবিলে ১৩ নম্বরে থাকা ইউনাইটেড সমর্থকদের খুশি করারই কথা। তবে দলটির কোচ আমোরিম মোটেও খুশি নন বলেই ম্যাচ শেষে মন্তব্য করেছেন এই পর্তুগিজ কোচ।
“আমরা এই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট প্রাপ্য ছিলাম, তবে সেটা শুধুই এক পয়েন্ট না। আমি মনে করি অন্য দিনের চেয়ে নিজেদের বেশি ক্ষিপ্ত এবং হতাশ হওয়া উচিত এই ম্যাচ নিয়ে। অন্য ম্যাচগুলো হারলেও আজকে আমরা যেমন পারফর্ম করেছি তাতে জয় না পাওয়া নিজেদের উপর আমাদের হতাশ হওয়া উচিত।”
অন্যদিকে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটের সুরেও ছিল হতাশা। শুরুটা তার দল ভালো করলেও শেষটা ঠিকঠাক হয়নি। ম্যাচ শেষে তাই ড্র-টা হারার মত লাগছে তার কাছে।
“মনে হচ্ছে দুটি পয়েন্ট আমরা হারালাম। ম্যাচ শেষ দিকে ফুটবলারদের মন সংযোগের ঘাটতি ছিল। যার ফলে সহজ গোল মিস করেছে। সব মিলিয়ে ম্যাচটা কঠিনই ছিল। তবে অনেকটা নটিংহাম ফরেস্টের মত একটা ম্যাচই ছিল। যেহেতু দুই দলের খেলার ধরণ একই তাই লো ব্লকে আমাদের বেশ খাটতে হয়েছে।”
বিরতির সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার রয় কিন বললেন, ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড ডিফেন্ডিং করছেন স্কুলের বালকদের মত। লিভারপুল ছাড়ার গুঞ্জনের মধ্যে থাকা ইংলিশ এই ডিফেন্ডারের ভুলেই দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা পেয়ে গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ধাক্কা সামলে দুই গোল করে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল লিভারপুল। তবে আমাদ দিয়ালোর শেষ সময়ের গোল নাটকীয়তা ভরপুর ম্যাচে শেষ করল সমতায়।
অ্যানফিল্ড রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ সমতায়। এই ড্রয়ের পরও শীর্ষেই আছে আর্নে স্লটের দল। পয়েন্ট টেবিলে ১৯ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৪৬ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা আর্সেনালের ২০ ম্যাচে পয়েন্ট ৪০। আর সমান ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৩তম স্থানে রুবেন আমোরিমের ইউনাইটেড।
বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে এক পর্যায়ে ম্যাচটি বাতিল হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত খেলা সময় অনুযায়ী শুরু হলে মাঠ ছিল ভেজা এবং পিচ্ছিল। সাথে বৃষ্টিও থাকায় খেলোয়াড়দের পক্ষে তাদের স্বাভাবিক নৈপুণ্য প্রদর্শন করাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
ষষ্ঠ মিনিটে বক্সের ভেতর ক্রস ফেলেছিলেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা মোহামেদ সালাহ, তবে হ্যারি ম্যাগুইর ক্লিয়ার করে বিপদ হতে দেননি সেই দফায়। শুরুর দিকে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামাল দিতে ব্যস্ত থাকলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে নিজেদের গুছিয়ে নেয় ইউনাইটেড। পজেশনের ক্ষেত্রেও প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে পেছনে ফেলে দেয় লিভারপুলকে। যদিও বলার মত আক্রমণ শানাতে পারেনি দলটি এর মধ্যে।
১৫তম মিনিটেই কোডি গাকপোর ডান পায়ের শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন আন্দ্রে ওনানা। এরপর ফের লিভারপুলের আক্রমণ। এবার তুলনামূলক সুযোগ ছিল অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের সামনে। ছয় গজের ভেতর থেকে তার নেওয়া শটও আটকে দেন চাপের মুখে থাকা ইউনাইটেড গোলরক্ষক।
মিনিট পাঁচেক বাদে অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে সুযোগ তৈরি করে ইউনাইটেড। তবে ১৮ গজ দূর থেকে নেওয়া দিয়াগো দালোতের শট থাকেনি লক্ষ্যেই। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়েই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা, যেখানে ক্রমেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ফেভারিট হিসেবে নামা লিভারপুল।
বিরতির পর অ্যানফিল্ডকে স্তব্ধ করে দেয় ইউনাইটেড। ১৮ গজের ভেতর বল নিয়ে প্রবেশ করে রিভার্স করে বাঁদিকে ফাঁকায় থাকা লিসান্দ্রো মার্টিনেজের কাছে বল পাঠান। বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার। তবে ইউনাইটেডের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
৫৯তম মিনিটে ম্যাথিস ডি লিগটকে কাট করে বক্সের ভেতর প্রবেশ করে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠান গাকপো। অফসাইডের জন্য ভিএআর চেক ছিল, তবে সেখানেও গোলটি বহাল থাকে। প্রিমিয়ার লিগে ডাচ ফরোয়ার্ডের এই মৌসুমে এটি ছয় নম্বর গোল।
সমতা আনার পরপরই লিভারপুল কার্টিস জোন্স এবং লুইস দিয়াসকে উঠিয়ে দারউইন নুনেজ এবং দিয়োগো জটাকে নামায়। খানিক বাদেই নিজেদের বক্সের ভেতর একটি শট ব্লক করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন ডি লিগট। ভিএআর দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি।
স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি সালাহ। মিশরীয় তারকা ইউনাইটেডের বিপক্ষে তার সবশেষ ১১টি প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন ১৩ বার। এই গোলের মধ্য দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে সালাহ করেছেন ১৭৫ গোল, যা লিগের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় যৌথভাবে সপ্তম ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি হেনরির সাথে।
তবে জমে ওঠা ম্যাচের নাটকের যে আরও বাকি। ৮০তম মিনিটে ফের সমতা টানেন আমাদ দিয়ালো। বিরতির পর বদলি নামা আলেহান্দ্রো গার্নাচোর বাড়ানো নিচু ক্রস থেকে বল পেয়ে দিয়ালো বল জালে পাঠিয়ে মেতে ওঠেন উল্লাসে। এই মৌসুমে লিগে এটি তার তৃতীয় গোল।
জয়ের জন্য মরিয়া লিভারপুলকে ৯০তম মিনিটে আবারও হতাশ করেন ওনানা। এবার ফেরান জটার জোরাল শট। ইনজুরি টাইমে ম্যাগুয়ার ও সালাহ পেয়েছিলেন ভালো দুটি সুযোগ, তবে কেউই পারেননি দলকে জেতার মঞ্চ এনে দিতে।
খেলার মাঠে ফুটবলাদের প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে সেখানেও থাকে ভিন্নতা। যেমনটা দেখালেন স্পেনের চতুর্থ বিভাগের ক্লাব বারবার্স্ত্রোর খেলোয়াড় ইসরায়েল গার্সিয়া। শনিবার রাতে কোপা দেল রের ম্যাচে তারা লড়েছে বার্সেলোনার বিপক্ষে। ম্যাচটা তারা হেরেছে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। তবে হার ছাপিয়ে এদিন আলোচনায় তার চমক জাগানিয়া কাণ্ড, কারণ তিনি যে হাজির হয়েছিলেন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে!
বড় ব্যবধান হারলেও দলটির মিডফিল্ডার ইসরায়েল গার্সিয়া ম্যাচ শেষ হতেই স্টেডিয়ামে তার বান্ধবীকে দিয়ে বসেন বিয়ের প্রস্তাব। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে।
ম্যাচ শেষে দুই দলের গন্তব্য যখন ড্রেসিংরুম, তখনই গার্সিয়া হাজির হন তার চমক নিয়ে। মাঠের এক কোণে বান্ধবীকে হাটু গেড়ে রিং পরিয়ে দিয়ে প্রস্তাব দেন বিয়ের। অভিনব এই প্রস্তাবে হতাশ হতে হয়নি তাকে। এমন চমকে বিস্মিত হলেও সম্মতি জানান বিয়ের প্রস্তাবে। মাঠে সমর্থকরাও তার সম্মতিতে তালি দিয়ে অভিবাদন জানান দুজনকে।
শেষ মুহূর্তের এই নাটকীয়াতা বাদে ম্যাচের পুরো সময়টাই ছিল বার্সেলোনাময়। রবার্ট লেভানডফস্কির জোড়া গোলের সাথে এরিক গার্সিয়া ও পাবোলো তোরের একটা করে গোলে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। তাতে টানা দুই ম্যাচের পর আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
শীতকালীন দলবদল শুরু হওয়ার আগে থেকেই আলোচনায় ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে নিয়ে লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদের লড়াই। স্প্যানিশ ক্লাবের দেওয়া প্রাথমিক প্রস্তাব এরই মধ্যে ফিরিয়ে দিয়েছে অল রেডরা। এখানেই না থেমে থেকে, আগামী গ্রীষ্মে ফ্রি এজেন্ট হতে যাওয়া আর্নল্ডকে আটকাতে নতুন ফন্দি এটেছে লিভারপুল। ২৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারকে ধরে রাখতে লিভারপুল নাকি এরই মধ্যে বেশ বড় অর্থের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে তাকে।
অন্তত ইংলিশ গণমাধ্যম মিরোর জানাচ্ছে তেমনটাই। তাদের দাবি, লিভারপুলের পক্ষ থেকে আর্নল্ডকে পাঁচ বছরের নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে সপ্তাহে তিন লাখ পাউন্ড পাবেন তিনি। সব মিলিয়ে পাঁচ বছরে বেতন ও বোনাস সহ ৭৮ মিলিয়ন পাউন্ডের পাবেন তিনি চুক্তিতে সম্মত হলে।
অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে গেলেও বেশ বড় অঙ্কের অর্থই সাইনিং বোনাস হিসেবে পাবেন আর্নল্ড। গেল গ্রীষ্মে কিলিয়ান এমবাপেকে একই ধারায় দলে টেনেছিল ক্লাবটি। ইংলিশ ডিফেন্ডারের ক্ষেত্রেও সেই পথেই রিয়াল হাঁটতে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছে স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো।
তবে এখন পুরোটাই নির্ভর করছে আর্নল্ডের উপর। লিভারপুলের একাডেমি থেকে উঠে আসা এই ডিফেন্ডার আল রেডদের ডেরায় থাকবেন, নাকি নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে রিয়ালে যোগ দিবেন, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে কিছুটা সময়।
আর্নল্ডের মত অবস্থা লিভারপুলের আরও দুই অভিজ্ঞ ফুটবলার ভার্জিল ফন ডাইক ও মোহামেদ সালাহরও। এই দুজনকে অবশ্য এখনো নতুন প্রস্তাব দেয়নি লিভারপুল।
৮ ঘণ্টা আগে
৯ ঘণ্টা আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৯ দিন আগে