২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:০৮ পিএম
শেখ মেহেদি হাসানের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারিতে বড় শটের চেষ্টায় মিড অফে ক্যাচ দিলেন সাইম আইয়ুব। তিন বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারলেন না পাকিস্তানি ব্যাটার। একইসঙ্গে তিনি গড়লেন শূন্যের এক বিব্রতকর রেকর্ড।
ব্যাট হাতে ভুলে যাওয়ার মতো এশিয়া কাপে এ নিয়ে ছয় ম্যাচের চারটিতেই ‘ডাক’ মেরেছেন সাইম। যার ফলে এখন আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কোনো টুর্নামেন্টে এটিই সর্বোচ্চ শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড।
এর আগে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে ওমান, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সুপার ফোরে এসে ভারতের বিপক্ষে ২১ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২ রান করতে পারেন ২৩ বছর বয়সী ব্যাটার।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের আগে ধাক্কা খেল ভারত |
![]() |
সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে আবারও শূন্য রানে আউট হয়ে বাংলাদেশের মাশরাফি বিন মুর্তজা, তানজিদ হাসান তামিম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ও জিম্বাবুয়ের রেগিস চাকাভাকে মুক্তি দিলেন পাকিস্তানের তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার।
২০০৯ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে ৫ ইনিংসে ৩টি ডাক মারেন ফ্লেচার। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে ৫ ইনিংসে ৩টি ডাক মারেন মাশরাফি। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৮ ইনিংস খেলে ৩ বার শূন্য রানে আউট হন চাকাভা।
গত বছরের বিশ্বকাপে ৭ ইনিংস ব্যাটিং করে তিনবার খালি হাতে ফেরেন বাংলাদেশের জুনিয়র তামিম। চলতি এশিয়া কাপেও ৫ ইনিংসে দুইবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি।
No posts available.
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:২৪ এম
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ এম
টসের সময় সালমান আলি আগা বললেন, ১৫০ রান করতে পারলে জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে। কিন্তু তারা করতে পারল ১৩৫ রান। তাই ইনিংস বিরতিতে দলটি ভেবেছিল, ১৫ রান কম হয়েছে। কিন্তু এই ১৩৫ রান নিয়েই ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ল তারা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে কখনও আইসিসির দুই পূর্ণ সদস্য দেশের ম্যাচে এত কম রান করে জিততে পারেনি কোনো দল। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষেই ১৪৪ রান করে জিতেছিল নিউ জিল্যান্ড।
এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৫ রান করে ১১ রানের জয়ে সেই রেকর্ড নতুন করে লিখেছে সালমান আলি আগার দল। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৩৫ রানে থামার পর পাকিস্তান দলের ভেতরেও ভাবনা ছিল, ১৫ রান কম করেছে তারা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সালমান বলেছেন এই কথা।
“আমাদের তখন ইনিংস বিরতিতে মনে হয়েছিল, হয়তো ১৫ রান কম করেছি। এটা অস্বীকার করব না আমি। তবে এটাও বিশ্বাস ছিল যে, আমরা যদি শুরুতে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বোলিং করতে পারি, তাহলে তাদের চাপে ফেলতে পারব।”
তবে অল্প পুঁজি নিয়ে শুরুতেই বাংলাদেশকে চেপে ধরে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লের মধ্যে তারা তুলে নেয় ৩টি উইকেট। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
তাই ম্যাচ শেষে নতুন বলের বোলিংকেই বড় কৃতিত্ব দিলেন সালমান।
“এই ধরনের ম্যাচে, যা মূলত সেমি-ফাইনাল, এসব জায়গায় যখন আপনি শুরুতে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেন, তখন রান তাড়া করা বেশ কঠিন হয়ে যায়। আমার মতে, আমরা সেই কাজটি বেশ ভালোভাবে করেছি।”
“নতুন বলে আমরা খুব ভালো বোলিং করেছি। আর এই ধরনের ম্যাচে যখন নতুন বলে ভালো করবেন, সেটাই আপনাকে ম্যাচ জেতাবে। কারণ এই ধরনের কন্ডিশনে নতুন বল খুব জরুরি।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিকট অতীতে বেশ কিছু সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশ দলের। সর্বশেষ ৭টি মুখোমুখি লড়াইয়ে ৩টিতে উৎসব করেছে বাংলাদেশ। এ বছরের শুরুতে দ্বি-পাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি ২-১ এ জয়ের রেকর্ড পর্যন্ত আছে বাংলাদেশের। সে কারণেই দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশের পক্ষে বাজি ধরেছে অনেকে। এশিয়া কাপে ৪র্থবারের মতো ফাইনালের স্বপ্ন দেখিয়েছে বোলাররা। তবে শেষ পাওয়ার প্লে-তে এসে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের।
দুবাইয়ে এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে শেষ ৩০ বলে ২ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান যোগ করেছে ৫২। সেখানে জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে বাংলাদেশের টার্গেট ৫১। এখানেই তৈরি হয়েছে ব্যবধান।
দুবাইয়ে শ্লো উইকেটে এদিন বাংলাদেশ বোলাররা প্রশংসনীয় বোলিং করেছে। নিয়মিত অধিনায়ক লিটনহীন জাকের আলী অনিকের বোলিং চেঞ্জিং, ফিল্ড প্লেসিং হাততালি পেয়েছে। পাকিস্তানকে ভালই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ বোলাররা। টসে জিতে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১৩৫/৮-এ আটকে রাখাটা কম গর্বের নয়। ২৪ ঘন্টা আগে ভারতের বিপক্ষে ২ উইকেট (২/৩৭), ২৪ ঘন্টা পর শ্লো পিচে পাকিস্তানকে আরও বড় ধাক্কা দিয়েছেন (৪-০-১৮-২) লেগ স্পিনার রিশাদ। অফ স্পিনার শেখ মেহেদী ছোবলও (৪-০-২৮-২) ছিল নাগিন ড্যান্সের আবহ। টি-টোয়েন্টিতে ডট বলের কারিশমাও দেখিয়েছে বাংলাদেশ বোলাররা। ১২০টি ডেলিভারির মধ্যে ৫৫টি ডট। যার মধ্যে পেসার তাসকিন ২৪টি ডেলিভারির মধ্যে দিয়েছেন ১৮টি ডট! ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্রাম নিয়ে ভয়ংকর রূপে ফিরেছিলেন তিনি বৃহস্পতিবার (৪-০-২৮-৩)। শেষ ওভারে ১১ রান খরচের পরও মোস্তাফিজের বোলিং ছিল প্রশংসিত (৪-০-৩৩-১)।
পাকিস্তানকে একটিও বড় পার্টনারশিপ করতে দেয়নি বাংলাদেশ বোলাররা। সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপ ২৪ বলে ৩৮, তা ৭ম উইকেট জুুটিতে। তবে যে দলটির স্কোর এক পর্যায়ে ৪৯/৫, সেই দলটি কীভাবে স্কোর টেনে নিয়েছে ১৩৫/৮ পর্যন্ত ? এটাই প্রশ্ন।
১৪ বছর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩৫/৭-এ পাকিস্তানকে আটকে ফেলে উৎসব করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৫০ রানে হেরে হতাশায় মুষড়ে পড়তে হয়েছে সেই ম্যাচে। ১১ রানে হেরে সেই দুঃসহ স্মৃতিটাই ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে তাসকিন-শেখ মেহেদীর বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ২৭/২-এ আটকে রেখে বীরত্ব প্রকাশ করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৩৬ রানের চ্যালেঞ্জে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে শাহীন শাহ আফ্রিদি-হারিস রউফ তোপে ইমন (০), হৃদয় (৫), সাইফ হাসান (১৮)-কে হারিয়ে স্কোর ৩৬/৩ দিয়েছে শঙ্কার আলামত।
লো স্কোরিং ম্যাচে চাপ কমাতে চার-এর চেয়ে ছক্কায় মনযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। ৬ টি চার এর পাশে ৭টি ছক্কা। তারপরও ব্যাটারদের আত্মাহুতিতে সুপার ফোর-এ থেমেছে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন।
বিগ শট প্রবনতায় ৭ ব্যাটার উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে উইকেট উপহার দিয়েছেন পারভেজ ইমন (০) ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে। আফ্রিদির তৃতীয় ওভারে ক্রস খেলতে যেয়ে হৃদয় দিয়েছেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ ( ৫)। হারিস রউফের বলে সাইফ হাসানও একই পজিশনে দিয়েছেন ক্যাচ (১৫ বলে ১৮)। নেওয়াজের বলে সুইপার কাভারে শেখ মেহেদী (১০ বলে ১১) দিয়েছেন ক্যাচ। অকেশনাল অফ স্পিনার সাইম আইয়ুব (৪-০-১৬-২)পর পর দুই ওভারে লং অফে সোহান (২১ বলে ১৬) এবং একই পজিশনে জাকের আলী অনিককে (৯ বলে ৫) ক্যাচ দিয়ে বোলারদের অর্জন ম্লান করেছেন। লড়াইটা চালিয়ে নিয়েও শেষ পর্যন্ত পূর্বসূরিদের মতো আত্মাহুতি দিয়েছেন শামীম পাটোয়ারী (২৫ বলে ৩০)। শাহীন শাহ আফ্রিদিকে স্কুপ করতে যেয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দিয়েছেন ক্যাচ।
টেল এন্ডার রিশাদ এদিন টপঅর্ডারদের দিয়েছেন শিক্ষা (১১ বলে ১৬*)। শেষ ২ ওভারে ২১ রান যোগ করতে পেরেছে বাংলাদেশ তার চওড়া ব্যাটের কারনে। হারের ব্যবধান কমাতে পেরেছে বাংলাদেশ (১১ রানে হার), এটাই সন্তুষ্টি। ২০১৮ সালের পর এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনার মৃত্যু এভাবেই ঘটিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাটাররা। শাহীন শাহ আফ্রিদি (৪-০-১৭-৩), হারিস রউফের (৪-০-৩১-৩) পেস জুটির উল্লাসে সর্প নৃত্য থেমেছে।
ব্যাট
হাতে গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও ইনিংস আর বোলিংয়ে বাংলাদেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে ৩ উইকেট
নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। সেই স্বীকৃতি তিনি উৎসর্গ করলেন
নিজের স্ত্রী ও পুত্রের জন্য।
দুবাই
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমি-ফাইনালে জয়ের
নায়ক আফ্রিদি। পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার প্রথম ব্যাট হাতে হাতে খেলেন ২ ছক্কার মারে
১৩ বলে ১৯ রানের ইনিংস।
পরে
বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করে নেন ৩
উইকেট। পাওয়ার প্লেতে তার জোড়া শিকারের পর আর পথ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে
তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে আফ্রিদির হাতেই।
ম্যাচ
শেষে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে স্ত্রী-পুত্রকে উৎসর্গ করার কথা বলেন বাঁহাতি পেসার।
“আমি
এই পুরস্কার আমার সুন্দরী স্ত্রী ও পুত্রকে উৎসর্গ করতে চাই। তারা এখানে আছে। তাদেরকে
উৎসর্গ করছি। শুরুতেই আমি উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করি। কারণ দল শুরুতে ব্রেক থ্রু চায়।
আমি সেটির চেষ্টাই করি।”
অথচ
তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি হাসানদের বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১৩৫ রানে আটকে
ফেলেছিল বাংলাদেশ। তখন পাকিস্তানও ভেবেছিল, ১৫ রান কম করেছে তারা।
কিন্তু
শুরুতে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়েই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। আফ্রিদি বললেন, সেটিই
তাদেরকে এগিয়ে দিয়েছে।
“অল্প পুঁজির ক্ষেত্রে আপনার দ্রুত ব্রেক থ্রু দিতে হয়। আমাদেরও সেরকমই পরিকল্পনা ছিল।
পাওয়ার প্লের ওই ৩ ওভার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে আমার মতে।”
অঘোষিত ‘সেমিফাইনাল’ রূপ নেওয়া এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। এ জয়ে এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসের প্রথমবার ফাইনাল খেলবে ভারত–পাকিস্তান। আগামী শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে প্রতিবেশি দুই দেশ।
সুপার ফোরে টানা দুই জয়ে আগেই ফাইনালে পা দিয়ে রাখে ভারত। আসরে টানা জয় সর্বোচ্চ শিরোপাধারীদের। সূর্যকুমার যাদবের দল সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পায়। বাংলাদেশের বিপক্ষেও সহজ জয় পায় তারা। এখনও তাদের আরও একটি ম্যাচ অবশিষ্ট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সে ম্যাচ কেবল নিয়মরক্ষার। জিতলে এক্সর্টা এডভান্টেজ। হারলে আদতে ক্ষতি নেই।
সুপার ফোরের দৌরগোড়ায় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতে সুপার ফোর জমিয়ে দেয়। আর আজ বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে নিশ্চিত করে ফাইনালের টিকিট।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে এর আগে ভারত-পাকিস্তান একে অন্যের প্রতিপক্ষ হলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয়নি তারা।
পাকিস্তানকে হাতের নাগালে পেয়েও হারাতে পারল না বাংলাদেশ। ফিল্ডারদের পর ব্যাটারদের ব্যর্থতায় অঘোষিত সেমি-ফাইনাল হেরে এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাত্র ১৩৫ রানের পুঁজি নিয়েও ১১ রানে জিতে ফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান। ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পারল মাত্র ১২৪ রান।
আগামী রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের পক্ষে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ছাড়া কেউই কিছু করতে পারেননি। ২৫ বলে ৩০ রান করেন তিনি। আর কেউই ২০ রানও করতে পারেননি।
সাইফ হাসান ১৫ বলে ১৮ ও শেষ দিকে রিশাদ হোসেন ১১ বলে ১৬ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন দুই পেসার হারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এর আগে পাকিস্তানকে নাগালের মধ্যে রাখার বড় কারিগর তাসকিন। উইকেটের সেঞ্চুরি করার ম্যাচে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন অভিজ্ঞ পেসার। এছাড়া দুই স্পিনার রিশাদ ও মেহেদি নেন ২টি করে উইকেট।
তাসকিন ও রিশাদের উইকেট অবশ্য আরও বাড়তে পারত। তাসকিনের ওভারে পড়ে একটি ক্যাচ। আর রিশাদের চার বলের মধ্যে ২টি ক্যাচ ছাড়েন ফিল্ডাররা।
পাকিস্তানকে অবশ্য একশর আগেই অলআউট করার সম্ভাবনা জাগিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৭ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। পরে পঞ্চাশ হওয়ার আগেই তারা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট।
এক পর্যায়ে ১২ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৫৫ রান। পরে ইনিংসের বাকি ৮ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাটে ভর করে ৮০ রান তোলে পাকিস্তান। এতে বড় ভূমিকা ছিল বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের।
১ ও ৩ রানে জীবন পেয়ে ১৯ রান করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। একইভাবে মাত্র ১ রানে জীবন পেয়ে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। দুজন মিলে 'বোনাস' পান চল্লিশের বেশি রান।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন মোহাম্মদ হারিস। ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। সপ্তম উইকেটে মাত্র ২৪ বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রানের জুটি গড়েন হারিস ও নাওয়াজ। যা জয়ের জন্য বড় ভূমিকা রাখে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (ফারহান ৪, ফাখার ১৩, সাইম ০, সালমান ১৯, তালাত ৩, হারিস ৩১, আফ্রিদি ১৯, নাওয়াজ ২৫, ফাহিম ১৪*, রউফ ৩*; তাসকিন ৪-০-২৮-৩, মেহেদি ৪-০-২৮-২, সাকিব ৪-০-২৮-০, মোস্তাফিজ ৪-০-৩৩-১, রিশাদ ৪-০-১৮-২)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (সাইফ ১৮, ইমন ০, হৃদয় ৫, মেহেদি ১১, সোহান ১৬, শামীম ৩০, জাকের ৫, সাকিব ১০, রিশাদ ১৬*, তাসকিন ৪, মুস্তাফিজ ৬*; আফ্রিদি ৪-০-১৭-৩, ফাহিম ২-০-১৮-০, রউফ ৪-০-৩৩-৩, আবরার ৩-০-২৩-০, নাওয়াজ ৩-০-১৪-১, সাইম ৪-০-১৬-২)
ফল: পাকিস্তান ১১ রানে জয়ী