দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ও সফল কোচ তিনি। পর্তুগালে ক্লাব পর্যায়ে কোচ করালেও এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের কোচ আর হওয়া হয়ে ওঠেনি জোসে মরিনিয়োর জন্য। ইউরোপিয়ান ক্লাব কোচ হিসেবেই এখন চলে এসেছেন ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়। তবে এখনও স্বদেশের জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আশা ছাড়েননি তিনি। সাবেক চেলসি কোচ বরং জানালেন, ক্যারিয়ারের সেরা সময়েই পর্তুগাল দল বা পর্তুগিজ ক্লাবের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
বর্তমানে তুরস্কের দল ফেনেরবাচের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মরিনিয়ো। ৬২ বছর বয়সী এই কোচের সাথে ক্লাবটির চুক্তির মেয়াদ আছে আরও এক বছর। এর আগে তিনি ছিলেন ইতালিয়ান ক্লাব রোমার দায়িত্বে। দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারের ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তবে কয়েকবার পর্তুগাল দলের কোচ হওয়ার খবর এলেও, সেটা আর সত্য হয়নি নানা বাস্তবতায়।
আরও পড়ুন
এসি মিলানে ‘গড়পড়তা পারফরম্যান্স’ মেনে নেবেন না মদ্রিচ |
![]() |
প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে পর্তুগালের আলবুফেইরায় পোর্তিমোনেন্সের বিপক্ষে জয়ের পর পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মরিনিয়ো বলেন,
“ক্লাব বা জাতীয় দল, দুটিই হতে পারে।”
এরপর মরিনিয়ো আরও বলেন, এর আগে দুই বার তিনি জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং সম্প্রতি পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশনের সাথে তার কোনো আলোচনাও হয়নি।
২০০৪ সালে পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোর হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে কোচ হিসেবে বিশ্ব ফুটবলে আলোড়ন ফেলে দেন ‘স্পেশাল ওয়ান’ খ্যাত মরিনিয়ো। এরপর যোগ দেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসিতে। সেখান থেকে ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রোমাসহ মোট ১১টি ক্লাবে কোচিং করিয়ে তিনি প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ জিতেছেন ২৬টি মেজর শিরোপা।
আরও পড়ুন
ব্যালন ডি’অরের ভোটাভুটিতে ইয়ামালই এগিয়ে |
![]() |
মরিনিয়োর আশা, ক্যারিয়ারের সেরা সময় থাকাকালীন সময়েই পর্তুগালে কোচ হিসেবে ফেরা হবে তার।
“আমি অবশ্যই পর্তুগালে ফিরব। আমি সেখানে কোনো অবসর সময় কাটাতে বা ক্যারিয়ারের শেষ সময়ের জন্য ফিরতে চাই না। আমি তখন ফিরতে চাই, যখন আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী অবস্থায় থাকব।”
No posts available.
৭ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৪৮ পিএম
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে অংশ নিতে গতকাল দলের সঙ্গে যোগ দেন হামজা চৌধুরী। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো করেছেন অনুশীলন। হাভিয়ের কাবরেরার সেশন শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন এই তারকা মিডফিল্ডার। যেখানে দলের প্রয়োজনে ‘রক্ষণ-আক্রমণ’ বিভাগে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হামজা।
লাল সবুজ জার্সিতে হামজার অভিষেক গত মার্চে, ভারতের বিপক্ষে। প্রতিবেশীদের বিপক্ষে সে ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। নম্বর এইটের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভুটান। প্রীতি ম্যাচটি তার জন্য স্মরণীয়। এদিন দেশের জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পান তিনি। পরবর্তীতে ফিরে যান ইংল্যান্ডে। লেস্টার সিটির হয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে।
ভুটানের বিপক্ষে রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি অ্যাটাকিং পজিশনেও খেলেছেন হামজা। তাতেই খেলার মোড় পাল্টে যায়। দল পায় কাঙ্ক্ষিত গোল। ৪ জুনের ওই ম্যাচ ২-০ গোলে এগিয়ে শেষ করে লাল সবুজের দল।
বাংলাদেশের সামনে এবার হংকং, চায়না। ঘরের মাঠে অতিথিদের হারিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্টে চোখ হামজা ও জামাল ভূঁইয়াদের। ম্যাচটিতে লেস্টার সিটির অধিনায়ককে ‘রক্ষণ-আক্রমণ’ দুই দিকেই সামাল দিতে হতে পারে। কোচ কাবরেরার চাওয়াও তেমন।
বিষয়টি ‘চাপ নাকি উপভোগ্যের’, জানতে চাইলে হামজা বলেন, 'জ্বি না (বাড়তি চাপ নয়)। মিডফিল্ডারের সংজ্ঞাই হলো আক্রমণ ও রক্ষণ দুই জায়গায় অবদান রাখা। তাই ইনশা আল্লাহ, আমি দুটোই ভালোভাবে করতে পারব। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, তবে আমি বেশ রোমাঞ্চিত। আমি খুব উপভোগ করছি।'
এএফসি বাছাইয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলে গত ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। ১-২ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন হামজা। যদিও তা মিস করে। সেটি মনে করিয়ে দিতেই আক্ষেপ ঝরল ২৮ বছর বয়সি তারকার কণ্ঠে, 'খুব খারাপ লেগেছিল। সেই মোমেন্টটা রিপ্লেতে আবার দেখেছি আমি। পরের বার ইনশা আল্লাহ সুযোগ কাজে লাগাতে পারব। আমি জানি আমাকে নিয়ে প্রত্যাশা বড়। আমি সেটা পূরণ করতে পারব।'
৯ অক্টোবর রাত ৮টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকং, চায়নাকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল টি-স্পোর্টস।
আগেরদিন দেশে ফিরে অনুশীলনে ঘাম ঝরালেও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি হামজা চৌধুরী। তবে আগ্রহের তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশ দলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আজ কথার ঝাঁপি খুলে দেন সাংবাদিকদের সামনে। জানান নিজের আগ্রহ-অনুভূতি ও হংকং, চায়না ম্যাচ নিয়ে উচ্চাশা।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ নিজেদের দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেন হামজা। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যস্ত সময় পার করা ২৮ বর্ষী তারকার পাখির চোখে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে উত্তরণ। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় হামজা বলেন,
'খুব চান্স আছে। আমি কোচের সঙ্গে মাতছি। আমাদের ট্যালেন্ট আছে, এগ্রেসিভনেস আছে, লাস্ট স্টেপ হলো, বহুত কনফিডেন্স পাইয়া ইনশা আল্লাহ আমরা উইনিং টিম হমু।'
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দুই ম্যাচের একটিতে হার, অন্য ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ফলে বৃহস্পতিবার হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই লাল সবুজ দলের।
ঘরের মাঠে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে চায় বাংলাদেশ। হামজার ভাষ্য,
'খুব আশাবাদী, এ নিয়ে তৃতীয়বার আমি আইছি যে। আমার সম্পর্ক খুব ভালো হইছে কোচদের সঙ্গে, ফুটবলারদের সঙ্গে। টিম সপ্তাহখানেক ধরে হার্ডওয়ার্ক করতেছে, টিমে এসে ভালো লাগতেছে ইনশা আল্লাহ আমরা জিতমু।'
৯ অক্টোবর রাত ৮টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকংয়ের আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল টি-স্পোর্টস।
ক্রিস্টাল প্যালেসে সময়টা দারুণ যাচ্ছে ইংলিশ ডিফেন্ডার মার্ক গেহির। আলো ছড়িয়ে নজর কাড়ছেন বড় জায়ান্ট ক্লাবগুলোরও। ২০২৬ সালের জুনে ক্রিস্টালের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে তাঁর। নতুন চুক্তি না করলে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যেকোনো ক্লাবে নাম লিখানোর সুযোগ তাঁর।
এরই মধ্যে গেহিকে পেতে লড়াইয়ে নেমেছে রেয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখের মতো জায়ান্টরা। গেহির প্রতি মাদ্রিদের আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্কাই স্পোর্টসের সাংবাদিক ফ্লোরিয়ান প্লেটেনবার্গ।
গত মাসে গ্রীষ্মকারীন দলবদলের শেষ দিন গেহির লিভারপুলে যোগ দেওয়া প্রায় নিশ্চিত ছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, খেলোয়াড় ও ক্লাবের মধ্যে ব্যক্তিগত শর্তেও সমঝোতা হয়েছিল। তবে ক্রিস্টাল প্যালেস উপযুক্ত বিকল্প না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে চুক্তিটি আর হয়নি।
ইংল্যান্ড হয়ে ২৫ ম্যাচ খেলেছেন গেহি। ক্লাব ক্যারিয়ারে প্যালেসের হয়ে ১৩৯ ম্যাচে করেছেন ৭ গোল। যদিও জানুয়ারিতে তাঁর দলবদলের সম্ভাবনা কম, তবে আগামী জুনে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে কোনো বড় ক্লাবে যোগ দেওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
গত গ্রীষ্মে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড, ডিন হুইসেন ও আলভারো কারেরাসকে দলে নিয়েছিল রেয়াল। তবে ২০২৬ মৌসুমকে সামনে রেখে তারা আরও একজন ভালো সেন্টার-ব্যাক খুঁজছে। অ্যান্তেনিও রুডিগার ও ডেভিড আলাবার চুক্তির শেষ বছর চলছে। এখনো তাঁদের নতুন কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
এদের মিলিতাও চোটপ্রবণ, ছন্দ হারিয়ে রাউল আসেনসিওর অনিয়মিত। রেয়াল গেহির মতো একজন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডারের সন্ধানে আছে তারা। তবে জাবি আলোনসোর দলকে লড়তে হবে লিভারপুলের সঙ্গে, কারণ সেপ্টেম্বরের ট্রান্সফার উইন্ডোতে গেহিকে তারা একেবারে শেষ মুহূর্তে হারিয়ে ফেলেছিল।
ইনিগো মার্তিনেজকে ছেড়ে দেওয়া, রোনাল্ড আরোউহোর অফফর্ম, পাও কুবার্সিও ছন্দে নেই-বার্সেলোনাও লেগে আছে গেহিকে পেতে।
চলতি মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ছন্দে ফর্মে রয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাঁর ১০ ম্যাচে ১৮ গোল। গত মাসে টটেনহ্যাম কোচ থমাস ফ্রাঙ্ক আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন কেইনকে পুনরায় দলে ফেরানোর জন্য। তবে এই স্ট্রাইকার জানালেন, ইংলিশ লিগে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁর আগের মতো আগ্রহ নেই। বায়ার্নের সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতেও প্রস্তুত কেইন।
প্রিমিয়ার লিগে ফেরার প্রসঙ্গে কেইন বলেন,
‘প্রিমিয়ার লিগের কথা বললে, জানি না। যদি আপনি আমাকে প্রথম বায়ার্নে যাওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করতেন, নিশ্চয় বলতাম অবশ্যই ফিরব। এখন সেখানে কয়েক বছর কাটিয়েছি, আমি সম্ভবত বলব সেই আগ্রহটা কিছুটা কমে গেছে। কিন্তু বলব না যে কখনো ফিরে যাব না।’
৩২ বছর বয়সী কেইন ২০২৩ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে ৮৬.৪ মিলিয়ন পাউন্ডে বায়ার্নে যোগ দেন। জার্মান ক্লাবটির হয়ে এরই মধ্যে ১০৬ ম্যাচে করেছেন ১০৩ গোল। ২০২৪-২৫ মৌসুমে বুন্দেসলিগা জেতাতেও বায়ার্নকে সহায়তা করেছেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। কেইনের ক্যারিয়ারে এটিই ছিলো প্রথম বড় কোনো ট্রফি।
বায়ার্নেই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চান কেইন,
‘বর্তমানে আমরা একটি চমৎকার মুহূর্তে আছি এবং অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি না। যদি বায়ার্নের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর আলোচনা হয়, আমি কথা বলতে প্রস্তুত।’
টটেনহ্যাম ও ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল কেইনের। গত মাসে বায়ার্নের হয়ে ১০০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। সেই সঙ্গে ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে একটি ক্লাবের হয়ে দ্রুততম গোলের সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন এই স্ট্রাইকার।
বায়ার্নের হয়ে গত মৌসুমে শিরোপা জয়কে নিজের অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন কেইন,
‘গত বছর যখন একটি শিরোপা জিতেছিলাম, তখন হয়তো সহজ হতে পারত ভাবা। ঠিক আছে, যা চেয়েছিলাম তা অর্জন করেছি। কিন্তু এটা আমাকে আরও ভালো করতে, আরও অর্জন করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। অন্যান্য শিরোপা এবং বড় শিরোপা জয় করতে চাই।‘
আগামী সপ্তাহে জর্ডানে এএফসি নারী অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাই খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সিরিয়ার বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে তারা। একদিন বিরতি দিয়ে স্বাগতিক দেশের অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে আগামী শুক্রবার জর্ডান যাবে সাইফুল বারী টিটুর দল। তার আগে এই দুটি প্রীতি ম্যাচকে আসল পরীক্ষা মনে করছেন কোচ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঠানো ভিডিও বার্তায় কোচ সাইফুল বারী বলেছেন,
‘এটা ভালো সুযোগ। ফেডারেশনের কারণে আমরা এখানে দুইটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারছি। আমার মনে হয়, জর্ডানের আসল প্রস্তুতিটা এখানে।’
সিরিয়ার বিপক্ষে আজ বাংলাদেশ সময় ১০টায় মাঠে নামবেন অর্পিতা বিশ্বাস ও সুরভী আকন্দ প্রীতিরা। দলটির বিপক্ষে খেলা দেখে নিজ দলের ফুটবলারদের যাচাই করবেন সাইফুল বারী,
‘সিরিয়ার সঙ্গে খেলে আমাদের খেলোয়াড়দের দেখতে পারব, তাদের শক্তি-দুর্বলতা জানতে পারব। সেটা কাজে দেবে জর্ডানের বিপক্ষে ম্যাচে।’
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘এইচ’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক জর্ডান ছাড়াও গ্রুপে অপর দলটি শক্তিশালী চাইনিজ তাইপে।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১৩ অক্টোবর জর্ডানের বিপক্ষে। ১৭ অক্টোবর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপে।
এএফসির এবারের সংস্করণে দারুণ কিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশের মেয়েরা। কোচ টিটু বললেন,
‘আমাদের প্রস্তুতির ব্যাপারে মেয়েরা অনেক সিরিয়াস। যদি একটা জায়গায় আমাদের একটু সমস্যা, গোলকিপার কোচসহ আরও দুজন কোচ আসতে পারে নাই এখানে, কিন্তু ওরা আমাদের সঙ্গে, আমাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আশা করি দ্রুতেই তারা আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে। সব মিলিয়ে আমি বলব, মেয়েরা খুব সিরিয়াস এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার্স নিয়ে।’