১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:০৭ পিএম

বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে আগামী শুক্রবার শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের ২০২৫-২৬ মৌসুম। ওই দিন কুমিল্লায় মুখোমুখি হবে ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এবং সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শিরোপা ধরে রাখতে দলবদলে সেভাবে ঘর গোছাতে পারেনি সাদা-কালোরা। চ্যাম্পিয়ন দলের বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার, বিশেষকরে সুলেমান দিয়াবাতে ও ইমানুয়েল সানডের মতো ফুটবলারদের ধরে রাখতে পারেনি তারা। তারপরও যারা আছেন তাদের নিয়েই শিরোপা ধরে রাখতে মরিয়া মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি। গতকাল শনিবার মেহেদি হাসান মিঠুকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। মোহামেডানে অধিনায়কত্ব পাওয়া এবং নতুন মৌসুমে দলের ও নিজের প্রত্যাশা নিয়ে এই ডিফেন্ডার কথা বলেছেন টি-স্পোর্টসের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুবেল রেহান।
টি-স্পোর্টস: মোহামেডানে তিন বছর কাটানোর পর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেলেন
মেহেদি হাসান মিঠু: আসলে গত বছর সহ-অধিনায়ক ছিলাম, এই বছর অধিনায়ক হলাম। অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাব... আসলে এখানে তো খেলাটাই অনেক বড়; আর অধিনায়কত্ব করা তো আরও বড় ব্যাপার।
টি-স্পোর্টস: অধিনায়ক হওয়টাকে কিভাবে নিচ্ছেন, চাপ নাকি প্রেরণা?
মেহেদি হাসান মিঠু: চাপ মনে করছি না। একটা দায়িত্ব পেয়েছি, চেষ্টা করব দায়িত্ব পালন করতে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে। দলের জন্য ভালো কিছু করতে এটা আমার জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
টি-স্পোর্টস: আপনার অধিনায়ক হওয়াকে সতীর্থরা কিভাবে নিয়েছেন?
মেহেদি হাসান মিঠু: আমি যখন নতুন করে আবার চুক্তি করি, তখন থেকেই সবাই বলছে যে আমিই অধিনায়ক হবো। তাঁরা সবাই খুশি হয়েছেন। সবাই এখানে অনেক সাপোর্টিভ।
টি-স্পোর্টস: লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান, কি মনে হয় শিরোপা ধরে রাখা কতটা কঠিন হবে
মেহেদি হাসান মিঠু: ইচ্ছা তো আছে শিরোপা ধরে রাখার, বাকিটা দেখা যাক কি হয়। আমরা জেতার জন্য খেলি, শিরোপা জিততে খেলি।
টি-স্পোর্টস: সবশেষ দলবদলে মোহামেডান ছেড়ে অনেকেই চলে গেছেন
মেহেদি হাসান মিঠু: আসলে সবাই তো থাকবে না। কেউ থাকবে, কেউ থাকবে না। যারা আছে তাদের নিয়েই এগোতো হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী এই দল নিয়েই।
টি-স্পোর্টস: মোহামেডানের শক্তির দিক কোনটি
মেহেদি হাসান মিঠু: ওইভাবে তো বলা যায় না। গত বছরের তুলনায় ফরোয়ার্ড লাইন কিছুটা দুর্বল; যেহেতু সুলেমান দিয়াবাতে নাই, সানডে নাই, আসলে এই দুজন আমাদেরকে ওপরে অনেক সাপোর্ট করছে। তাদের না থাকা একটু ভোগাবে।
টি-স্পোর্টস: নতুন মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি কেমন?
মেহেদি হাসান মিঠু: আসলে মোহামেডানের নিজস্ব মাঠ না থাকায় আমাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটা একটু কঠিনই। তারপরও সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করে যাতে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি না থাকে।
টি-স্পোর্টস: তারপরও আপনারা মাঠে সেরাটা কীভাবে দেন
মেহেদি হাসান মিঠু: মোহামেডানের মাঠ, অফিসিয়াল, ম্যানেজমেন্ট... এসব নিয়ে আমরা চিন্তা করি না। আমরা চিন্তা করি মাঠেই শতভাগ দেওয়া। প্রমাণ করতে দেওয়া মাঠ না থাকলেও আমরা খেলতে পারি। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে খেলা, মাঠে সর্বোচ্চটা নিংড়ে নেওয়া।
টি-স্পোর্টস: সাদা-কালো সমর্থকদের জন্য কী বলবেন
মেহেদি হাসান মিঠু: সমর্থকদের কাছে চাওয়া- নতুন মৌসুমে আমাদের সাপোর্ট করা। আমরা চাই তারা মাঠে আসুক, আমাদের পূর্ণ সমর্থক দিক।
টি-স্পোর্টস: আগেরবার চ্যালেঞ্জ কাপে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছিলেন। এবারও মৌসুম শুরু হবে চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে। এবার কি আশা করছেন?
মেহেদি হাসান মিঠু: গত বছর আমরা বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছি। এ বছর আমাদের প্রত্যাশা চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করা।
No posts available.
৪ নভেম্বর ২০২৫, ১:১৪ এম

ব্রাজিলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রায় ছয় মাস হলো। তবে এখন পর্যন্ত দলের সেরা তারকা নেইমারকে পাননি কার্লো আনচেলোত্তি। চোট নাম বড় শত্রুর কাছে বিপর্যস্ত হওয়া সান্তোসের ‘রাজপুত্র’ সম্প্রতি মাঠে ফিরেছেন। তবে নেইমারকে ছাড়াই দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল।
আগামী ১৫ ও ১৮ নভেম্বর দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সেলসাওদের প্রথমে ম্যাচে প্রতিপক্ষ উত্তর আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামের ম্যাচটির দুই দিন পর ফ্রান্সের ডেকাথলন স্টেডিয়ামে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার মুখোমুখি হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এই দুই প্রীতি ম্যাচের জন্য ব্রাজিল জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেছেন বাহিয়ার লুসিয়ানো জুবা এবং পালমেইরাসের তরুণ ফরোয়ার্ড ভিত হোকে। তাদের সুযোগ রয়েছে জাতীয় দলে নিজেদের প্রমাণের। এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাসেমিরোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাও আছেন দলে।
আরও পড়ুন
    
| সেনেগাল ও তিউনিসিয়া বিপক্ষে ব্রাজিল দলে চমক দুই তরুণ উদীয়মান | 
     
 | 
        
চোট থেকে সেরে ৪৮ দিন পর সান্তোসের হয়ে মাঠে ফেরা নেইমারের এবারও জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ হলো না। ৩৩ বছর বয়সী তারকাকে নিয়ে আনচেলোত্তি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি নেইমারের সঙ্গে এখনো কথা বলিনি। আমরা অপেক্ষা করব, কখন সে পুরোপুরি সেরে উঠবে এবং আবার খেলতে পারবে।’
এল ক্লাসিকোয় রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে তুলে নেওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায় ব্রাজিলিয়া উইঙ্গারকে। পরে এ নিয়ে এক বিবৃতিতে ক্ষমাও চান স্প্যানিশ ক্লাবটির তারকা ফুটবলার।
এ প্রসঙ্গে ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে সবকিছু মিটমাট হয়েছে বলে জানান আনচেলোত্তি, ‘ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো, যেমনটা অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গেও আছে। আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি, বলেছি সে ভুল করেছে, আর সে সেটা বুঝেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে। আমি মনে করি বিষয়টি মিটে গেছে। সে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, দলকে অনেক সাহায্য করতে পারে।’
আনচেলত্তি আরও যোগ করেন, ‘তার কোনো সমস্যা নেই — না এখানে, না ক্লাবে, না তার কোচ (জাবি আলোনসো) এর সঙ্গে। ব্যক্তিগত জীবন তার নিজের বিষয়। আমি তার বাবা নই, ভাইও নই — আমি শুধু তার কোচ।’
সবশেষ জাপানের বিপক্ষে দু’দফা এগিয়ে যাওয়ার পর ৩-২ গোলের হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। বছরের শেষ দুটি ম্যাচে নিজেদের আগের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে মুখিয়ে আছে তারা।
আরও পড়ুন
    
| ‘মেসি আমার চেয়ে ভালো? এটা আমি মানি না’ | 
     
 | 
        
তবে হারের পরও তরুণদের বাজিয়ে দেখায় সফল হয়েছেন বলছেন আনচেলোত্তি, ‘শেষ দুই ম্যাচে আমরা দল নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। আমার মনে হয় সেই পরীক্ষাগুলো সফল হয়েছে, কারণ আমরা কিছু নতুন খেলোয়াড়কে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি।’
বছরের শেষ দুটি ম্যাচের পর ২০২৬ সালের মার্চে আরো দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারে ব্রাজিল। সেলেসাওদের সমন্বয়ক রদ্রিগো কায়েতানো জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারে ব্রাজিল, যেখানে প্রতিপক্ষ হবে ইউরোপের দুটি দল, যাদের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

ইতিহাসের সেরা ফুটবলার কে ? ফুটবলপ্রেমীদের এই তর্ক চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। একটা সময় দুই কিংবদন্তি পেলে-ম্যারাডোনাকে নিয়ে দু’ভাগ হয়ে যেত ফুটবলবিশ্ব। আর এই শতকে সে জায়গা নিয়েছেন লিওনেল মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সমর্থকরা নিজ নিজ প্রিয় ফুটবলারকে সেরার আসনে বসালেও সেই কিংবদন্তিরা নিজেদের কোথায় দেখেন ?
‘গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ বা সর্বকালের সেরা হিসেবে অনেক আগ থেকেই নিজেকে রেখেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। যখনই সেরার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন, নিজেকে এক নম্বরে রাখতে কোনো কার্পণ্য করেননি ‘সিআর সেভেন’। এবার আরও একবার একই প্রশ্নের একই উত্তরই দিলেন আল নাসরের তারকা।
বিখ্যাত সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গ্যানকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রোনালদো। যেটার পুরো অংশ প্রচারিত হবে আজ। গতকাল এর একটি ছোট অংশ প্রকাশ হয়েছে। যেখানে ফুটবল বিশ্বে গত দেড় দশকের সবচেয়ে আলোচিত ওই বিতর্ক নিয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
‘অনেকে বলে, মেসি আপনার চেয়ে ভালো, আপনি কী মনে করেন?’- এই প্রশ্নের উত্তরে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বলেন, ‘মেসি আমার চেয়ে ভালো? এই মতের সঙ্গে আমি একমত নই। এখানে আমি বিনয়ী হতে চাই না।’
বিভিন্ন সময় ফুটবলের অনেক রথী-মহারথীরা সেরার প্রশ্নে মেসি কিংবা রোনালদোকে বেছে নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারের প্রিভিউ অংশে রোনালদোকে তাঁর সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ ওয়েইন রুনি–র মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। ইংল্যান্ডের এই কিংবদন্তি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘ওরা দুজন দুই রকম খেলোয়াড়। কিন্তু আমার মতে মেসি অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি সে সর্বকালের সেরা, তাই আমাকে মেসিকেই বলতে হবে। তবে রোনালদো একটু দুর্ভাগ্যবান, কারণ অন্য যেকোনো সময় খেললে মেসির পাওয়া সব পুরস্কারগুলো হয়তো ও-ই জিতত। তবে দুজনই ফুটবল ইতিহাসের সেরাদের মধ্যে অন্যতম।’
ব্যাক্তিগত কিংবা দলীয় অর্জনে দু’জনই ক্যারিয়ারে সমানতালে লড়েছেন। তবে মেসির ২০২২ বিশ্বকাপে জয়ের পর অনেকের মতে সেরার দৌড়ে রোনালদো থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন ইন্টার মায়ামি তারকা। এরপরও অবশ্য সেরার তর্ক চলবে যতদিন ফুটবল আছে আর ফুটবলপ্রেমীরা আছে।

১৫ ও ১৮ নভেম্বর দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সেলসাওরা প্রথমে ম্যাচে প্রতিপক্ষ উত্তর আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামের ম্যাচটির দুই দিন পর ফ্রান্সের ডেকাথলন স্টেডিয়ামে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার মুখোমুখি হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার ম্যাচের জন্য আজ ব্রাজিল দল ঘোষণা করেছেন কার্লো আনচেলোত্তি। দলে মূল আকর্ষণ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের নতুন দুই সংযোজন— বাহিয়ার লুসিয়ানো জুবা এবং পালমেইরাসের তরুণ ফরোয়ার্ড ভিত হোকে। তাদের সুযোগ রয়েছে জাতীয় দলে নিজেদের প্রমাণের।
আনচেলোত্তির দলে রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নাম— রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাসেমিরো। আর রক্ষণভাগে রিয়াল মাদ্রিদের এদের মিলিতাও ও পিএসজির মার্কিনিওস।
দল:
গোলকিপার:
বেন্তো মাতেউস (আল নাসর), এডারসন (ফেনারব্যাচ), হুগো সুজা (করিন্থিয়ান্স)।
ডিফেন্স:
অ্যালেক্স সান্দ্রো (ফ্লামেঙ্গো), কাইও হেনরিক (মোনাকো), দানিলো (ফ্লামেঙ্গো), এদের মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো (ক্রুজেইরো), গাব্রিয়েল মাগালাইয়েস আর্সেনাল), লুসিয়ানো জুবা (বাহিয়া), মার্কিনিওস (পিএসজি), পাউলো হেনরিকে (ভাস্কো), ওয়েসলি (রোমা)।
মিডফিল্ড:
আন্দ্রে সান্তোস (চেলসি), ব্রুনো গিমারাইস (নিউক্যাসল), কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), ফাবিনিয়ো (আল ইত্তিহাদ), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হ্যাম), এস্তেভাও (চেলসি)।
ফরোয়ার্ড:
জোয়াও পেদ্রো (চেলসি), লুইজ এনরিকে (জেনিত), মাতেউস কুনিয়া (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), রিচার্লিসন (টটেনহ্যাম), রদ্রিগো (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিত হোকে (পালমেইরাস)।

চ্যাম্পিয়নস লিগে বেশ কয়েকটি হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ মাঠে গড়াবে আগামীকাল। বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় পার্ক দে প্রিন্সে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখকে আতিথ্য দেবে পিএসজি। ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে হ্যারি কেইনদের হারানোর ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কোচ লুইস এনরিকে। একই সঙ্গে স্পেন কোন জানালেন, ম্যাচটি খেলতে প্রস্তুত তার সেরা অস্ত্র।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন এনরিকে। ম্যাচটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে বলে মনে করেন তিনি।
গত জুলাইয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি-বায়ার্ন। দুই দলের লড়াইয়ে ২-০ গোলে জিতেছিল ফরাসি জায়ান্টরা। ওই হারের পর থেকে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ১৫ ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে বায়ার্ন। এর মধ্যে বুন্দেসলিগায় জিতেছে প্রথম ৯ ম্যাচে।
বায়ার্নের মতো পিএসজিও আছে দুর্দান্ত ছন্দে। লিগ ওয়ানে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দলটি। ১১ ম্যাচে ৭ জয় সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। চ্যাম্পিয়নস লিগেও শীর্ষে তারা। টানা তিন জয় ফরাসি জায়ান্টদের।
ম্যাচের আগে লুইস এনরিকে জোর দিয়ে বলেছেন, এই ম্যাচে ইউরোপের সেরা দল নির্ধারিত হবে না। তবে তিনি ঘরের মাঠে নিজের দলের সামর্থ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। এনরিকে বলেন, ‘ইউরোপের সেরা দল কে, সেটা জানতে আমাদের মৌসুমের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
পিএসজির এই স্প্যানিশ কোচ আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটা স্পষ্ট যে তারা (বায়ার্ন) খুব শক্তিশালী। তারা সবসময়ই শক্তিশালী, বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের টানা ১৫ জয় অবিশ্বাস্য। আমরা জানি এই ম্যাচ কতটা কঠিন হবে, তবে আমরা প্রস্তুত।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হয়, এই গ্রীষ্মে ক্লাব বিশ্বকাপে তাদের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটির মতোই একটি ম্যাচ হবে। অবশ্যই একই রকম তীব্র লড়াই হবে। সেই অর্থে, উভয় দলের জন্যই ম্যাচটি হবে খুব আকর্ষণীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ী।’
এ সময় একটি সুসংবাদ দেন এনরিকে। তিনি জানান, বায়ার্ন ম্যাচের জন্য প্রস্তুত ওসমান দেম্বেলে। এনরিকে বলেন, ‘ওসমান গত সপ্তাহজুড়ে অনুশীলনে সময় দিচ্ছে। সে সর্বশেষ দুটি ম্যাচে খেলেছে। আগামীকাল ম্যাচের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ওসমান। তবে সে কতক্ষণ মাঠে থাকবে, সে সম্পর্কে এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’

নভেম্বরে মাঝামাঝিতে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১৩ তারিখ জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজা চৌধুরীদের প্রীতি ম্যাচে অতিথি নেপাল। ১৮ তারিখ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রতিপক্ষ ভারত। প্রতিবেশিদের বিপক্ষে বাংলাদেশ দুই গোলে জিতবে, এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী জাতীয় দলের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই থেকে এরই মধ্যে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। দু’দলের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে। গ্রুপের শীর্ষে হংকং ও চায়না। প্রতিবেশি দু’দলের গ্রুপের প্রথম খেলা গোলশূন্য ড্র হয়। আসন্ন ম্যাচ নিয়মরক্ষার হলেও জয়ের লক্ষ্য দু’দলেরই। এই ম্যাচের জন্য বাছাইকৃত সেরা সদস্যদের নিয়ে সফরের কথা জানিয়েছে ভারত।
ভারত ম্যাচে দারুণ কিছুর প্রত্যাশা বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথের। বর্তমানে চোটের কারণে দলের বাইরে থাকা এই ফুটবলার সোমবার টি-স্পোর্টসকে বলেন, ‘হয়তো বাংলাদেশ এই ম্যাচে ২-০ গোলে জিতবে। না হয় ২-১ গোলে জিতবে।’ জয় উচ্চাশার পাশাপাশি সম্ভাবনার কারণ ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘দেখুন, বাংলাদেশের ফুটবলের একটা জাগরণ শুরু হয়েছে। আমাদের ফুটবল খেলার মান অনেক উন্নতি হয়েছে। আমাদের হোম অ্যাডভান্টেজ পাবো, এটা নিতে হবে। হাজার হাজার দর্শক থাকবে আমাদের পক্ষে। হামজা চৌধুরী থাকবেন। সেই কারণে অনেক আশাবাদী।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে ভারত। প্রতিবেশিরা যেখানে ১৩৬তম, সেখানে লাল-সবুজের অবস্থান ১৮৩তম। র্যাঙ্কিং দিয়ে বাংলাদেশকে বিচার করতে চান না বিশ্বনাথ, ‘সর্বশেষ ৫ বছর আগের যে লেভেল ছিল আমাদের, সেখান থেকে এখন কোন পর্যায়ে পৌঁছেছি সেটা আপনারাও জানেন। একজন ফুটবলার হিসেবে আমি দলের পক্ষেই বলব, আপনারাই তো দেখছেন, এখন ফুটবল ধীরে-ধীরে উপরের দিকে উঠছে। যদিও কিছু ম্যাচের ফল পক্ষে নিতে পারিনি।’
বিশ্বনাথের মতো আক্ষেপ দেশের ফুটবল সমর্থকদেরও। এএফসি বাছাইয়ে চার ম্যাচে বাংলাদেশের নামের পাশে অন্তত পাঁচ পয়েন্ট থাকার সম্ভাবনা ছিল। অথচ দুই পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে হামজাদের। তারপরও শেষ দুই ম্যাচে সমর্থকদের জন্য জয় চায় বাংলাদেশ।
    
দেশের জার্সিতে ৪৩ ম্যাচ খেলা বিশ্বনাথের অভিষেক ২০১৮ সালে। ২৬ বছর বয়সি ডিফেন্ডার ২০১৯ সাল থেকে খেলছেন বসুন্ধরা কিংসে। দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন চোটের সঙ্গে। তবে দলের সঙ্গে এখন পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন করছেন তিনি। শিগগিরই লিগের খেলায় দেখা যাবে টাঙ্গাইল থেকে উঠে আসা এই তারকাকে।
চোটের সময় সহধর্মিণী চৈতি ঘোষকে পাশে পেয়েছেন বিশ্বনাথ। তাঁর জন্যই আবারও ফিরতে চান জাতীয় দলে, ‘খারাপ সময়টাতে পাশে পেয়েছি স্ত্রীকে। যে সব সময় পাশে ছিল, সাহস দিয়েছিল। আমার দুই ভাইও অনেক সাপোর্ট করে।’
    
পরিবারের সদস্যরা বিশ্বনাথকে মিস করে জাতীয় দলেও। বাংলাদেশের খেলা পরিবারের সঙ্গেই টিভিতে দেখেন বিশ্বনাথ। সে সময় নিজেকে মাঠেই মিস করেন তিনি, ‘আমি হয়তো পাঁচ-ছয় বছর জাতীয় দলকে সার্ভিস দিয়েছি। এরপর একটি দুর্ঘটনায় ৫-৬ ম্যাচ মিস করেছি। এ সময়ে বাংলাদেশের ফুটবল নতুন করে জেগেছে। নবজাগরণের সময় দলে না থাকতে পারায় খারাপ লাগছে। কিছু করার নেই, একজন স্পোর্টসম্যান হিসেবে ইনজুরি, ভাল সময়, খারাপ সময়—এসব নিয়েই চলতে হয়।’
বিশ্বনাথের মনোবল ঠিক থাকলে তিনি আবারও বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রার সারথী হয়ে হামজা সমিতদের সঙ্গে মাঠে দাপিয়ে বেড়াবেন। ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষে স্ট্রাইকারকে ‘কড়া ট্যাকেলে’ রুখে দেওয়ার মতোই তাঁর আগাম ভবিষ্যদ্বাণী যেন পূর্ণতা হয়। এটুকুই আপাতত চাওয়া ভক্তদের।