২৬ অক্টোবর ২০২৪, ৭:৩৯ পিএম
চলতি মৌসুম শেষে ম্যানচেস্টার সিটির সাথে চুক্তি শেষ হওয়ার কথা পেপ গার্দিওলার। যদিও গুঞ্জন রয়েছে, আরও এক মৌসুম সিটির সাথে চুক্তি বাড়াবেন এই স্প্যানিয়ার্ড। তাতে সিটি সমর্থকদের মনে কিছুটা অস্বস্তি থাকারই কথা। বিশেষ করে গার্দিওলার অনুপস্থিতিতে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা কেমন করবে, তা নিয়ে আছে সংশয়। কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন যাওয়ার পর যে পথ হারিয়ে ফেলেছে আরেক জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গার্দিওলা অবশ্য সমর্থকদের দিয়েছেন ভরসা। তিনি চলে গেলেও সিটির অবস্থা ইউনাইটেডের মতো হবে না বলেই তার বিশ্বাস।
অ্যালেক্স ফার্গুসন ইউনাইটেড ছাড়ার পর থেকে হেভিওয়েট থেকে গড়পড়তা একটা দল হয়েছে রেড ডেভিলরা। ২০১৩ সালে তার অধীনেই শেষবার প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে ইউনাইটেড। ঠিক বিপরীত চিত্র সিটির। গেল সাত বারের মধ্যে ছয়বারই প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা গেছে তাদের ঘরে। এই সময় দলটি প্রথমবারের মতো জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা।
সিটিকে গার্দিওলা বানিয়েছেন ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি। যদিও তিনি না থাকলে দল সে ধারাটা ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে আছে শঙ্কা। যা গার্দিওলা উড়িয়ে দিয়েছেন নিজেই।
“আমি জানিনা ইউনাইটেডে কী হয়েছে। তবে কেউ একজন চলে ক্লাব ভেঙে পড়া এটা খুবই বাজে দিক। আমি গেলে সিটিও হয়তো বিপদে পড়বে, তবে সেটা কিভাবে কাটাতে হবে তারা সেটা জানে। তারা জানে কিভাবে এই ধরণের পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।”
সিটি যে স্রেফ একজনের ওপর নির্ভরশীল নয়, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সাবেক বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ কোচ।
“ক্লাব বেশ ভালোভাবেই পরিচালিত হচ্ছে, কাঠামো বেশ ভালো। ভালো ক্লাবগুলো একজনের ওপর নির্ভরশীল থাকে না। ক্লাবের কাঠামো শক্তিশালী হলে অন্য কিছু খুব একটা সমস্যা হয় না। এছাড়া সেটা ভালো ক্লাব হতে পারে না।”
গেল মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা ঘরে তুলেছিল সিটি। এবার অবশ্য ৮ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে লিভারপুলের পেছনে।
তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে মেসি-নেইমার-এমবাপেদের মত তারকাদের নিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চূড়ান্ত সাফল্য মেলেনি পিএসজির। সেখানে অনেকটা আনকোরা একটা দল নিয়ে লুইস এনরিকে এই মৌসুমে নিয়ে গেছেন ফাইনালে। শিরোপার মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্প্যানিশ এই কোচ বললেন, সময় এখন তাদের ইতিহাস গড়ার।
এনরিকে যা বলেছেন, সেটা অবশ্য ক্লাব হিসেবে পিএসজির জন্য যথার্থই। বছরের পর বছর ধরে কাড়ি কাড়ি অর্থ গুনে তারকার হাট বসিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ আর পায়নি দলটি। সেরা অর্জন ২০২০ সালে রানার্সআপ হওয়া। শনিবার রাতে মিউনিখে ইন্তার মিলানের বিপক্ষে ফাইনাল তাই নতুন উচ্চতায় যাওয়ার সুযোগ লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের জন্য।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এনরিকে তার দলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে ইতিহাস গড়ার।
“আপনি তখনই ইতিহাস গড়েন, যখন আপনি এমন কিছু করবেন যা ক্লাবের কেউই আগে করতে পারেনি। এই খেলোয়াড়দের অসাধারণ মানসিকতা আছে। আমরা যেখানে থাকতে চেয়েছিলাম, সেখানেই পৌঁছেছি। এখন শুধু মূল কাজটা শেষ করা বাকি।”
২০১৫ সালে এনরিকের হাত ধরে বার্সেলোনা শেষবারের মত জিতেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সেবারও ট্রেবল জিতেছিল দলটি। এবার পিএসজিকে নিয়ে সেই দুর্দান্ত অর্জন থেকে মাত্র একধাপ দূরে আছেন অভিজ্ঞ এই কোচ। এই মৌসুমে হেসেখেলেই লিগ জেতা পিএসজি ইন্তারের সাথে ফাইনালে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে।
তিনবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ইন্তারের চ্যালেঞ্জ সাম্লানোর জন্য নিজের দলকে প্রস্তুত দেখছেন এনরিকে।
“এবারই সময় কিছু করে দেখানোর। এই প্রতিযোগিতার আমাদের শুরুটা কঠিন ছিল। এই পর্যন্ত আসতে প্রতিটি ধাপেই আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। এসবই আমাদের দল হিসেবে আরও দৃঢ় করেছে। আমরা কখনো ভয় পাইনি, আর আগামীকালও (শনিবার) পাব না।”
দুই বছর আগে খুব কাছে গিয়েও হতাশায় পুড়তে হয়েছিল। এই মৌসুমে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইন্তার মিলান। সামনে বাধা পিএসজি, যারা আবার লড়ছে ট্রেবল জয়ের লক্ষ্য, যারা লুইস এনরিকের কোচিংয়ে আছে সেরা ছন্দে। কাজটা তাই কঠিনই মনে হচ্ছে সিমোনে ইনজাগি। ইন্তার কোচ তাই মনে করেন, চাপমুক্ত ফুটবল খেলাটাই হবে তাদের মূল লক্ষ্য।
২০২৩ সালের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল ইন্তার। সেবারও ডাগআউটে ছিলেন ইনজাগি। ভালো খেললেও গোলের সামনে বিস্ময়কর সব মিস করে তালগোল পাকিয়ে হেরেছিল সেই ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাবটি। তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ফাইনালে এমন কিছু এড়াতে চাইবে সেরি আ ক্লাবটি।
সংবাদ সম্মেলনে ইনজাগি সতর্ক করে দিয়েছেন দলকে, আগের ফাইনাল হারের আক্ষেপ মেটাতে তারা যেন মরিয়া না হয়ে ওঠেন।
“আমি খেলোয়াড়দের মধ্যে দৃঢ় সংকল্প দেখছি, তবে সেটা চাপময় নয়। আমাদের উচিত হবে সঠিক মনোযোগ ও সংকল্প নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া। আমি চেয়েছি তারা যেন মনকে মুক্ত রাখে এবং সেরা প্রস্তুতিটা নেয়।”
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্তারের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ায় বড় ভূমিকা আছে লাউতারো মার্তিনেজের। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী এই ফরোয়ার্ড ১৩ ম্যাচে ৯ গোল করেছেন, যা দলীয় সর্বোচ্চ। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেনও দুটি গোল। সাথে অন্যদের দলগত পারফরম্যান্স মিলিয়েই আন্ডারডগ হিসেবেই ফাইনালে চলে গেছে ইন্তার।
ইনজাগির মতে, বড় ম্যাচে চাপ নেওয়ার ক্ষমতা আছে তার দলের।
“আমাদের দলে বিশ্বকাপজয়ী, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় আছে। তাই আমরা জানি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মত একটা ফাইনাল ম্যাচে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। এটা বিশ্বকাপ বা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।”
এছাড়াও ইনজাগি নিশ্চিত করেছেন যে, চোট কাটিয়ে সেমিফাইনাল এবং শেষ চারটি সেরি আ ম্যাচ মিস করা ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন পাভার্ড ফাইনালের জন্য সম্পূর্ণ ফিট আছেন।
ক্যারিয়ারের সেরা একটা মৌসুম কাটাচ্ছেন, সাথে রয়েছে দলের ট্রেবল জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা৷ ইন্তার মিলানের সাথে ফাইনালে পিএসজির জয় তাই বাড়িয়ে দিতে পারে উসমান দেম্বেলের ব্যালন ডি’অর জয়ের দাবি। তবে ফরাসি ফরোয়ার্ডের চিন্তায় আপাতত এই বিষয়টি নেই। স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়াই তার কাছে মূখ্য ব্যাপার।
শনিবার রাতে জার্মানির মিউনিখে ইন্তারের বিপক্ষে মাঠে গড়াবে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব প্রতিযোগিতার ফাইনাল। এই ম্যাচে পিএসজির তুরুপের তাস হতে পারেন দেম্বেলে, যিনি এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০ গোল করেছেন। এর মধ্যে স্রেফ গত ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ১৮ ম্যাচেই রয়েছে ২৪টি গোল।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে দেম্বেলে বলেছেন, ক্লাবের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের দিকেই সব মনোযোগ তার।
“আপনি যখন পিএসজিতে খেলবেন, তখন আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ট্রফি জেতা। আর বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো একটা শিরোপা। আমি ব্যক্তিগত পুরস্কার নয়, বরং দলের সাফল্যের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। ব্যালন ডি’অর নিয়ে চিন্তা আমার মাথায় আছে ঠিকই, তবে এই মূহুর্তে আমি শুধুই দলের কথা ভাবছি।”
দেম্বেলের প্রতিভা নিয়ে সংশয় ছিল না কখনই। বার্সেলোনায় ছয় বছরের অনুজ্জ্বল অধ্যায়ের পর পিএসজিতে প্রথম মৌসুমেও ছিলেন না সেরা ছন্দে। তবে এই মৌসুমে লুইস এনরিকের অধীনে তিনি নতুন করে জ্বলে উঠেছেন।
ফ্রান্স তারকাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত পিএসজি কোচও।
“এই মৌসুমে দেম্বেলে আমাদের দলের সেরা খেলোয়াড়দের একজন, হয়ত সবারই সেরা। সে গোল করে, গোল করায়, পাস দেয়, লড়াই করে, রক্ষণেও সাহায্য করে – এটাই একজন নেতার আসল মানসিকতা। সে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।”
লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার আগে থেকেই আলোচনায় ছিল রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার খবরটি। শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সেটাই হল সত্যি। ইংলিশ ডিফেন্ডারকে ক্লাব বিশ্বকাপেই পাচ্ছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
শুক্রবার রিয়াল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে ১ জুন থেকে নিজেদের স্কোয়াডে নাম লেখানোর ব্যাপারে তারা লিভারপুলের সাথে চুক্তিতে পৌঁছেছে। ইংলিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ক্লাব বিশ্বকাপের আগে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য লিভারপুলকে ৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে রিয়াল।
তবে ২৬ বছর বয়সী রাইট-ব্যাক রিয়ালের সাথে ২০৩১ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ফ্রি এজেন্ট হিসেবেই।
এখন পর্যন্ত পুরো ফুটবল ক্যারিয়ার লিভারপুলে কাটিয়েছেন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। জিতেছেন দুটি প্রিমিয়ার লিগ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ আরও বেশ কিছু শিরোপা। এবার যোগ দিলেন স্পেন ও ইউরোপের সফলতম ক্লাব রিয়ালে।
জাবি আলোনসো রিয়ালের কোচ হওয়ার পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে দলটিতে যোগ দিলেন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। প্রথমজন ছিলেন ডাচ সেন্টার-ব্যাক ডিন হুজিসেন।
দুজনই আগামী ১৪ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু করবেন রিয়াল ক্যারিয়ার।
হতাশায় ভরা এক মৌসুম শেষের পর বিরতি ছাড়াই এশিয়া সফর শুরু করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, যার শুরুটাই দলটি করেছে হার দিয়ে। আসিয়ান অল-স্টার্সের কাছে ১-০ গোলে পরাজয়ের ম্যাচে দর্শকরা দুয়ো দিয়েছেন রুবেন আমোফিমের দলকে। পর্তুগিজ এই কোচ মনে করেন, ক্লাব হিসেবে তাদের এসব প্রতিক্রিয়া মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
ইউনাইটেডের এই ম্যাচ দেখতে ৭২ হাজার দর্শক হাজির হয়েছিলেন। তবে তাদের হতাশ করে ১-০ গোলে হেরে যায় প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। ক্ষোভ আর হতাশা থেকে এক পর্যায়ে তারা ইউনাইটেডের খেলোয়াড়দের দুয়োও দেন।
ম্যাচের পর আমোরিম বলেছেন, দর্শকদের হতাশার কারণ তিনি বুঝতে পারছেন।
“এত খারাপ একটা মৌসুমের পর বিশ্ব জুড়ে থাকা আমাদের ভক্তদের মুখোমুখি হওয়াটা কিন্তু কঠিন। তবে আমরা কোনোভাবেই নিজেদের আড়াল করতে পারি না। এই ক্লাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল হলো এই মুহূর্তে আমাদের ভক্তদের মুখোমুখি হওয়া আর তাদের তাদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা। এই ম্যাচে আমরা খুব একটা মনোযোগী ছিলাম না। আর খেলা দেখতে আসা সবাই সেটা ধরতে পেরেছে। তাই আমি ভক্তদের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের হতাশাটাও বুঝতে পারি।”
ইউনাইটেডেদ জন্য এই হার বড় এক ধাক্কাই। কারণ, মাত্রই দলটি পার করেছে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম বাজে মৌসুম। ১৫তম হওয়ার পরও আশা ছিল ইউরোপা লিগ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার। তবে ফাইনালে টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে হেরে যাওয়ায় আসছে মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলা হবে না আমোরিমের দলের।
এশিয়া সফরে শুক্রবার হংকংয়ের বিপক্ষে খেলবে ইউনাইটেড। ভারত সফরে একটি ক্লাব স্পনসর ইভেন্টে অংশ নিতে যাওয়ায় এই ম্যাচ খেলবেন না হ্যারি মাগুয়ের, আন্দ্রে ওনায়া ও দিয়োগো দালত। তবে আগের ম্যাচ না খেলা ম্যাথুউজ ডি লিগট, ম্যাসন মাউন্ট ও জশুয়া জিরকজির হংকংয়ের বিপক্ষে খেলার আভাস দিয়েছেন আমোরিম।
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৩ দিন আগে