
ক্যারিয়ারে পঞ্চমবার ও টানা তৃতীয় বছরে মত ফোবর্সের বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করা দশ জন ক্রীড়াবিদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন পর্তুগাল ও আল নাসর অধিনায়ক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
রোনালদো বর্তমানে খেলছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসরের হয়ে। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকার আনুমানিক মোট আয় ২৭৫ মিলিয়ন ডলার। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে প্রায় ৯৩৯ মিলিয়ন থাকায় সেখান থেকে বছরে অতিরিক্ত ১৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
| আনচেলত্তির মত কোচেরই ব্রাজিলের দরকার : কাসেমিরো |
|
রোনালদো তার অবস্থান ধরে রাখেলেও রেকর্ড ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসি ১০১.৪ মিলিয়ন ডলার নিয়ে একধাপ অবনমনে পঞ্চম স্থানে নেমে গেছেন। ইন্টার মায়ামির খেলা এই তারকা ফরোয়ার্ড ক্লাবের বার্ষিক বেতনের পাশাপাশি বড় একটা আয় করছেন অ্যাডিডাস ও অ্যাপলের মত হাই-প্রোফাইল ব্র্যান্ডের এম্বোসেডর হিসেবে।
ফুটবলারদের মধ্যে শীর্ষ দশে আর একমাত্র প্রতিনিধি করিম বেনজেমা। সৌদি আরবের ক্লাব আল ইতিহাদ স্ট্রাইকার ১০৪ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করে আছেন অষ্টম স্থানে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী অ্যাথলেট :
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো : ২০৬.৬ মিলিয়ন ডলার
স্টিফেন কারি : ১১৭.২ মিলিয়ন ডলার
টাইসন ফিউরি : ১০৯.৭ মিলিয়ন ডলার
ডাক প্রেসকোট : ১০৩ মিলিয়ন ডলার
লিওনেল মেসি : ১০১.৪ মিলিয়ন ডলার
লেব্রন জেমস : ১০৫.৫ মিলিয়ন ডলার
জুয়ান সোটো : ৮৫ মিলিয়ন ডলার
করিম বেনজেমা : ৭৮.২ মিলিয়ন ডলার
শোহেই ওহতানি : ৭৭ মিলিয়ন ডলার
কেভিন ডুরান্ট : ৭৬.২ মিলিয়ন ডলার
No posts available.

হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না আবাহনী লিমিটেড। ফুটবল লিগের পর এবার ফেডারেশন কাপেও ব্যর্থ হয়েছে আকাশি-নীলরা। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে আবাহনী।
ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল আবাহনী। তবে ২৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর মনোবল ভেঙে যায় মারুফুল হকের দলের। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁদের।
টুর্নামেন্টের শুরুতে ফকিরেরপুল ইয়াংমেনস ক্লাবকে ৪–২ গোলে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামলেও এদিন আবারও হতাশ হতে হয় আকাশি-নীলদের। লিগে পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পাওয়া দলটির জন্য এই হার চাপ আরও বাড়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে সুলাইমান দিয়াবাতে, আল আমিন ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম সমতায় ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠলেও ব্রাদার্সের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা। ফলে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয় নিশ্চিত করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এর আগে তারা রহমানগঞ্জ এমএফএসের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল।
দুটি ম্যাচে এক জয় ও এক ড্র নিয়ে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
দিনের অপর ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফকিরেরপুল ইয়াংমেনস ক্লাবকে ২–০ গোলে হারিয়েছে পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাব। এক ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা।অন্যদিকে, দুই ম্যাচে এক জয় ও এক হারে তিন পয়েন্ট থাকলেও একটি ম্যাচ বেশি খেলার কারণে গ্রুপের তৃতীয় স্থানে রয়েছে আবাহনী।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের
অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেস প্রিমিয়ার লিগের একটি বিশেষ সম্মানজনক ক্লাবে জায়গা করে
নিয়েছেন। এই অভিজাত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন আরও দুই তারকা— লিভারপুল অধিনায়ক মোহাম্মদ সালাহ ও চেলসির সাবেক মাঝমাঠের জাদুকর সেস
ফাব্রেগাস।
সোমবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ওলভসের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জয় পায় ম্যান ইউনাইটেড। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ফার্নান্দেস। তাঁর প্রথম গোল ছিল মাতেউস কুনহার সহযোগীতায় এবং দ্বিতীয়টি পেনাল্টি থেকে। ম্যাসন মাউন্টের গোলেও সহযোগীতা ছিল ফার্নান্দেসের।
২০২৫-২৬ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের টানা চারটি ম্যাচে অ্যাসিস্ট করেছিলেন ৩১ বছর বয়সী ব্রুনো। পঞ্চম ম্যাচে পেলেন ওলভসের বিপক্ষে। লিগে এর আগে মাত্র চারজন প্লেয়ার এ কীর্তি গড়েছেন। যেভানে পঞ্চম ফুটবলার পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
প্রিমিয়ার লিগে ২০২৩ সালে এই কীর্তি গড়েন মোহাম্মদ সালাহ। জেরার্ড দেউলোফেউয়ের এ ক্লাবে ঢুকেন ২০১৫ সালে। ২০২৪-১৫ মৌসুমে চেলসির হয়ে ফাব্রেগাস টানা পাঁচ ম্যাচে অ্যাসিস্ট করেন। এর আগে ২০০৩ সালে লেস্টার সিটির তুর্কী বংশোদ্ভুত মুজি ইজেট বিশেষ এই ক্লাবে ঢুকেন।
ব্রুনো ফার্নান্দেসের সামনে আরও একটি বড় সুযোগ। ১৬ ডিসেম্বর জার্মান্ট জায়ান্ট এএফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচ ম্যান ইউনাইটেডের। এ ম্যাচে অ্যাসিস্ট পেলে লামিন ইয়ামালের কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন তিনি। স্পেন তারকা তার ক্লাব ক্যারিয়ারে টানা ৭ ম্যাচে অ্যাসিস্ট করেছেন। সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট বায়ার্ন উইঙ্গার মাইকেল ওলিসের। টানা ৮ ম্যাচে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
এ নিয়ে ১৬ বার একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন ব্রুনো। তালিকায় সবার উপরে মিশরীয় উইঙ্গার সালাহ। মো. সালাহ মোট ২৭ ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন। ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা ১৭ বার একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন।

৩২ দলের বিশ্বকাপ দেখেই অভ্যস্ত ফুটবলপ্রেমীরা। আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপে বদলে গেছে সেই ধারা। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডার যৌথ আয়োজিত বিশ্বকাপে খেলবে ৪৮টি দেশ। ইতিমধ্যে হয়ে গেল ‘গ্রেটেস্ট শো অর্ন আর্থের’ ড্র’ও। এর মধ্যে থিয়েরি অঁরি একটি ভিডিও ক্লিপ দেখে ধাঁধায় পড়তে পারেন যেকোনো ফুটবল সমর্থকই। ৪৮ নয় আসন্ন বিশ্বকাপে কি তবে ৪৯টি দল দেখা যাবে?
দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কিয়া গতকাল ঘোষণা করেছে, তারা ২০২৬ সালের আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালু করেছে। কিয়া ২০০৭ সাল থেকে ফিফার আনুষ্ঠানিক স্পন্সর হিসেবে রয়েছে।
গত ৬ ডিসেম্বর নতুন একটি টিজার প্রকাশ করে কিয়া। সেই টিজারে দেখা যায় আর্সেনাল কিংবদন্তি অঁরি একেবারে তৈরি হয়ে বিশ্বকাপের ড্র পরিচালনা করছেন। বিশ্বকাপের ড্রয়ের মতোই একটি পাত্র থেকে একের পর এক বল তুলে দেখাচ্ছেন দেশের নাম। যার মধ্যে ইংল্যান্ড, স্পেন, ব্রাজিল এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো – এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামের কাগজের টুকরোও দেখান। একে একে উঠে আসে সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াও মতো দেশের নামও। তবে শেষ বলটিতেই ছিল চমক। বলটি ঘুরিয়ে খোলার পর কোনোও দেশের নাম নয় বরং লিখা আছে ‘৪৯তম দল’। এরপর রহস্য আরও বাড়িয়ে দিয়ে ভ্রু উঁচু করে দর্শকদের দিকেই যেন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন এই কিংবদন্তি।
তবে কি বিশ্বকাপে দেখা যাবে ৪৯ নম্বর দল? না, তেমন কিছুই নয়। এই ‘৪৯তম দল’ আসলে কিয়ার বিশ্বকাপ ক্যাম্পেইনের অফিসিয়াল শিরোনাম। যা টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল ম্যাচ বল বয়দের প্রেরণাদায়ক গল্প ও দক্ষতাকে উদযাপন করে।
এই উদ্যোগটি গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অফিসিয়াল ফিফা বিশ্বকাপ ড্র-এর পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে। আসন্ন বিশ্বকাপে এমন অনেক আড়ালে থাকা নায়কদের অপ্রকাশিত অবদান এবং গল্পগুলো ফুটিয়ে তোলা হবে।
আগামী ১১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া ৪৮ দলের বিশ্বকাপে এখনও ছয়টি দল চূড়ান্ত হয়নি। আগামী বছরের মার্চে ২২ দলের প্লে-অফ শেষে বাকি ছয় দলের টিকিট নিশ্চিত হবে। এরমধ্যে বিশ্বকাপের সূচি ও ভেন্যুও প্রকাশ করেছে ফিফা।

ঢাকায় চলছে লাতিন-বাংলা ফুটবল সুপার কাপ। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের মধ্যে মেলবন্ধনের প্রতীক হিসেবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। সেই প্রীতির টুর্নামেন্টেই ঘটে গেল অপ্রীতিকর ঘটনা।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাস ও গৌরব বহন করে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম। গতকাল বাংলাদেশের রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টার দল ও আর্জেন্টিনার আতলেতিকো চার্লন ক্লাবের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত ও শারীরিক হেনস্থা করেছে দায়িত্বরত এলিট সিকিউটিরি ফোর্সের সদস্যরা।
খেলা শেষ হওয়ার পর স্টেডিয়ামের ভিআইপি গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে সিকউরিটি ফোর্সের লোক দিয়ে স্টেডিয়ামে কয়েকজন সাংবাদিককে শারীরিক হেনস্থা করা হয়। এ সময় টি-স্পোর্টসের সাংবাদিক রুবেল রেহানের ওপর চড়াও হয় ১০-১২ জন ফোর্স সদস্য। সেখানে টুর্নামেন্টের কার্ডধারী লোকজনও ছিলেন।
ঘটনার সময় ভুক্তভোগী সাংবাদিকের পাশেই ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মেহেদী নাঈম। সেই ঘটনার বর্ণনা তাঁর কণ্ঠে, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে আমি ভিআইপি গেইট দিয়ে যাই। যে গেইট দিয়ে সবাই যেতে পারে। আমি দেখছিলাম ম্যাচ শেষ হওয়ার পর অনেক বাইরের লোকজন এবং সাংবাদিকেরাও ভেতরে ঢুকে যায়। আমি আসার কিছুক্ষণ আগে উনি (ঘটনার শিকার হওয়া সাংবাদিক) আসেন। তখন উনি ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু সেখানে তাঁর সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা আমি শুনতে পাইনি। তারপর দেখি ওনাকে ধাক্কা দিয়ে আমার সামনেই দূরে ফেলে দেয়। সেখানে এক-দুই করে অনেকজন প্রথমে ধাক্কা দেয়, তারপর একদম টেনে-হিঁচড়ে হাত দিয়ে আঘাত করে সেখান থেকে বাইরে রাস্তায় বের করে দেয়।’
আরও পড়ুন
| চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কলঙ্কজনক সেই স্মৃতির সামনে বার্সা |
|
ঘটনার সময় কেবল টি-স্পোর্টসের সাংবাদিকই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের শিকার হননি, সেখানে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক প্রতিবাদ করায় তাকেও তোপের মুখে পড়তে হয়। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সেই সাংবাদিককে যখন বের করে দেওয়া হয়, তারপর আমি নিজে প্রটেস্ট করি কেন তাকে মারা হলো। কিন্তু আমি সেখানে একা ছিলাম। আমি ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে চাই, তখন তারা আমার হাত থেকেও ক্যামেরা টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমাকেও তোপের মুখে ফেলে দেয়।'
নাঈম দ্রুতই বিষয়টি সাংবাদিকদের, টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও বাফুফের কয়েকজন কর্মকর্তাকে জানান। নাঈম বলেন, ‘সাংবাদিকরা হচ্ছেন পার্ট অব স্পোর্টস। ক্রীড়াঙ্গনে অ্যাথলেটরা খেলে এবং আমরা সেটি তুলে ধরি, গঠনমূলক সমালোচনাও করি। আমরাও পার্ট অব স্পোর্টস। আমরা একে অপরকে সহায়তা করি। কিন্তু এই ধরনের ঘটনাকে আমি বলব একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা একজন অ্যাথলেটকে লাঞ্ছিত করার সমান। অ্যাথলেটকে মারলে যে বিচার হওয়া উচিত একজন ক্রীড়া সাংবাদিককে মারলেও সেই একই বিচার হওয়া উচিত।’
মাঠে ওই ঘটনার পর মানবজমিন পত্রিকার সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির (বিএসপিএ) সাধারণ সম্পাদক সামন হোসেন এবং দেশ রূপান্তর পত্রিকার সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক সুদীপ্ত আনন্দ ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তাঁরা জানতে চান একজন সাংবাদিক কেন শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হলো? সে সময় এলিট সিকিউরিটি ফোর্সের ইনচার্জ শামীম বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। অস্বীকারই করলেন তিনি, ‘আমি কারো গায়ে হাত তুলিনি বা এখানকার কেউ এসবের সঙ্গে জড়িত না।’ সে সময়ে টেলিভিশেনের ক্যামেরা বের করে সবার সামনে মারধরের ভিডিও দেখানো হয়, সেটি দেখেও তিনি নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। বলেন, ‘এসব ভুয়া।’
কিছুক্ষণ পর এএফবি লাতিন-বাংলা কাপ আয়োজনের প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এই ঘটনার দায় তিনি নেবেন না। কে বা কারা করেছে সেটিও তিনি জানেন না।

খুব কঠিন সময় পার করছে তখন বার্সেলোনা। জাভি হার্নান্দেজের কোচিং কাতালান ক্লাবটি ইউরোপের দ্বিতীয় সারির প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগে খেলতে হয়েছে। তবে সেটা তো লজ্জার কিছু নয়।
২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল, বার্সার সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে অপমানজনক এবং ‘কলঙ্কজনক’ রাতগুলোর একটির স্বাক্ষী হয়েছে এক ম্যাচে। ইউরোপা লিগে জার্মান ক্লাব আইনট্রাখ্ট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে ২-৩ গোলে হারে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। অবশ্য হার-জিত তো ম্যাচে থাকবেই , তাতে লজ্জার কি হলো?
সেই দুঃস্বপ্নের রাতে ফ্রাঙ্কফুর্টের ৩০ হাজার সমর্থক ক্যাম্প ন্যু’কে নিজেদের মাঠ বানিয়ে ফেলেছিল। বার্সার অনেক সমর্থক ওই ম্যাচে নিজেদের টিকিট বেশি দামে ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থকদের কাছে বেচে দেয়। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার জার্মান সমর্থক বার্সেলোনায় ভিড় করে এবং টিকিটের এই ‘কালোবাজারি’ পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে ক্যাম্প ন্যু’এ ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়। পুরো গ্যালারি থেকে সাদা ঢেউ যেন আছড়ে পড়ছিল। ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থকদের সাদা জার্সি আর উল্লাস ধ্বনিতে মনে হচ্ছিল বুঝি কোনো অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলছে বার্সা। সেই ঘটনা বার্সার খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও ক্লাব কর্তাদের মনে গভীর দাগ কেটেছিল।
প্রায় তিন বছর আট মাস পর আবার সেই ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা। আজও ঘরের মাঠে জার্মান ক্লাবটিকে আতিয়েতা দেবে তারা। তবে এবার আর একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হতে দিবে না পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ীরা। বুন্দেসলিগার ক্লাবটির সমর্থকদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যাক আসন বরাদ্দ থাকবে।
আরও পড়ুন
| বিশ্বকাপে নতুন নিয়ম, ম্যাচে থাকবে তিন ধাপের বিরতি |
|
দারুণ ছন্দ নিয়েই ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে মাঠে নামছে বার্সা। সবশেষ তিন ম্যাচে দাপট দেখিয়ে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল। এই তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে আট গোল দিয়েছে রবার্ট লেভানডফস্কি-লামিনে ইয়ামালরা। লা লিগায় পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ থেকে চার পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে তারা।
অবশ্য চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোটেও সুবিধা করতে পারছে না বার্সা। পাঁচ ম্যাচের দুটিতে জয়ের বিপরীতে হেরেছে সমান দুটিতে ড্র হয়েছে অন্যটি। সবশেষ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির কাছে বিধ্বস্ত হয় তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে হলে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বার্সার।
২০২৫-২৬ মৌসুমে ছন্দে নেই ফ্রাঙ্কফুর্ট। বুন্দেসলিগায় ১৩ ম্যাচের ছয়টিতে জিতে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে কেবল একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে ডিনো টপমোলারের দল।
ফ্রাঙ্কফুর্টের রক্ষণভাগ এই মৌসুমে একেবারেই ভঙ্গুর। এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২০ ম্যাচে তারা হজম করেছে ৪৪ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়—আতলেটিতো মাদ্রিদ ও লিভারপুলের কাছে দু’বার ৫-১ ব্যবধানে হার, আটালান্তার কাছে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা। নিজেদের সবশেষ ম্যাচে বুন্দেসলিগায় আরবি লাইপজিগের কাছে ৬-০ গোলে হেরে রীতিমতো ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
প্রতিপক্ষের দূর্বলতার বিপরীতে নিজেরা দারুণ ছন্দে থাকলেও সতর্ক বার্সা কোচ ফ্লিক। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ একটি আলাদা প্রতিযোগিতা, এবং আগের ফলাফল এখানে প্রাসঙ্গিক নয়। ফ্রাঙ্কফুর্ট একটি শক্তিশালী দল, তরুণ ও গতিশীল, এবং বিভিন্ন সিস্টেমে মানিয়ে নিতে সক্ষম। আমরা তিনটি পয়েন্ট নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ স্তরে খেলার চেষ্টা করব। যদিও তাদের শেষ ম্যাচ সেরা ছিল না, আমি তাদের বিপক্ষে সম্ভাব্য বিপদের ব্যাপারে সচেতন।’