৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ এম

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন- ১ সেপ্টেম্বর সিলেটে পরিচালনা পরিষদের সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নাম সুপারিশ করবেন। বিসিবির এই ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছে বিসিবির সাধারণ পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ক্লাব, ক্রিকেটার এবং সংস্থাসমূহ।
নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণে মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) চিঠি দিয়েছে বিসিবি। নির্বাচনের অন্তত: ৩০ দিন আগে স্ব স্ব সংস্থা এবং ক্লাবের কাছে কাউন্সিলর ফরমও পাঠিয়ে দেওয়া শুরু করেছে বিসিবি।
২০১৩ সাল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচন শুরু হয়েছে বিসিবিতে। বিসিবির বিগত ৩টি নির্বাচনে পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিতদের মধ্যে সভাপতি পদে একাধিক প্রার্থী দেখা যায়নি ওই তিনটি নির্বাচনে। নাজমুল হাসান পাপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিবারই সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন
| পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রতিশোধ আফগানদের |
|
তবে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর আগ্রহের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই পদে তামিম ইকবাল বনাম আমিনুল ইসলাম বুলবুলের জমজমাট লড়াইয়ের প্রত্যাশা করছেন এখন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার ক্লাব অফিসিয়ালরা আলোচনার পর আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি খুঁজে পেয়েছেন। বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটার তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। যে প্যানেল থেকে পরিচালক নির্বাচিত হলে সভাপতি পদে নির্বাচন করার কথা এই ক্রিকেট গ্রেটের।
গত এক যুগ ধরে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বে পরিচালিত পরিচালনা পরিষদের কারো জায়গা হচ্ছে না এই প্যানেলে। ফ্যাসিস্টমুক্ত ক্রিকেট বোর্ড গঠনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন মুখ এই প্যানেলের হয়ে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারুণ্য নির্ভর এই প্যানেলে বিগত এক যুগে বৈষম্যের শিকার বেশ ক'জন অভিজ্ঞ সংগঠককেও দেখা যাবে।
তামিমরা যখন ক্যাটাগরি-২ (ঢাকার ক্লাব কোটা) ১২ পরিচালক পদে যোগ্য সংগঠকদের নিয়ে প্যানেল মোটামুঠি ঠিক করে রেখেছে; ক্যাটাগরি-৩ এর প্রার্থীও ঠিক, ক্যাটাগরি-১ এর ১০ পরিচালক পদে প্রার্থীর বেশ ক'জনকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে, ঠিক তখন এই প্যানেলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান এবং বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
গত ২৭ মে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি আশুলিয়ায় নিজের কেনা জমি বিক্রি করবেন বলে। এসেই প্রথমে পেয়েছেন বিসিবির সিইও পদে চাকরির প্রস্তাব। পরবর্তীতে অপ্রত্যাশিতভাবে উপদেষ্টার পক্ষ থেকে সভাপতি পদে প্রস্তাব পেলে তা সাদরে গ্রহণ করেছেন। তাকে সভাপতি পদে দায়িত্ব দিতে ফারুক আহমেদকে অপসারণ করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
আইসিসির ডেভেলপম্যান্ট ম্যানেজারের দায়িত্ব নবায়ন না করে মেলবোর্ন থেকে ঢাকায় এসে তিনদিনের মাথায় (৩০ মে) বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি বিসিবির নির্বাচন পূর্ব পরিচালনা পরিষদের নিয়মিত কর্মকাণ্ডের প্রয়োজনে। দায়িত্বের শুরুতে বলেছিলেন বিসিবির সভাপতি পদে খন্ডকালীন দায়িত্ব নিতে এসেছেন তিনি। বিসিবিতে একটা টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসেছেন।
অথচ, কথা রাখেননি বুলবুল। গত তিন মাস বিসিবিতে তার প্রতিটি কর্মপরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদী। বিসিবির নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে নিজেই সভাপতি পদে নির্বাচনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল- ‘ইতিমধ্যেই বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আমরা (বিসিবির) নির্বাচন করব এবং প্রপার নির্বাচনই করব। বিসিবিতে সভাপতি নির্বাচন হয় না। পরিচালকদের নির্বাচন হয়, সেটা প্রথম লক্ষ্য এবং সেখানে থাকার চেষ্টা করব। পরবর্তীতে যদি সুযোগ হয়, আমি চেষ্টা করব যেভাবে হোক বাংলাদেশকে সার্ভ করার জন্য।’
আইসিসির বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সবাই তার চেনা-জানা, ক্রীড়া উপদেষ্টা তার সমর্থক। ক্রীড়া উপদেষ্টাই তাকে বিসিবিতে নির্বাচিত সভাপতি হতে আগ্রহী করে তুলেছেন। বুলবুলের ঘণিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গেছে তা।
নির্বাচনহীন পরিচালক হয়ে আসতে হলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কোটা থেকে সরাসরি আসতে হবে তাকে। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে অপসারিত করা হয়েছে, ওই ফর্মূলা যে ভবিষ্যতে এনএসসি প্রয়োগ করবে না, তার গ্যারান্টি কই? সে কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হতে চাইছেন না বুলবুল।
ক্যাটাগরি-১ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
আরও পড়ুন
| দুঃস্বপ্নের অভিষেকে বেকারের লজ্জার রেকর্ড |
|
কিন্তু পরিচালক হয়ে বিসিবি সভাপতি পদে নির্বাচনের বৈতরণী পার হবেন কীভাবে বুলবুল? ক্লাবগুলো থেকে নির্বাচিত পরিচালকরা একজোট হলে এবং ক্যাটাগরি-৩ এর পরিচালকের ভোট পেলে সভাপতি পদে তামিম ওড়াবেন বিজয় কেতন। তামিমকে সভাপতি পদে দেখতে বিএনপির নীতি নির্ধারণী মহলের সবুজ সঙ্কেত যখন দেয়া হয়েছে, তখন তামিমের পক্ষে সমর্থন দ্রুত বাড়বে বলেই মনে করছেন ক্রীড়া সংগঠকরা।
বিসিবির নির্বাচন প্রভাবিত করতে পারে কেবল ক্রীড়া প্রশাসন। এবং তা শুধু ক্যাটাগরি-১ (জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা) এ। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহ এখন চলছে এডহক কমিটি দিয়ে। যে কমিটিতে প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠকদের জায়গা হয়নি।
ক্রীড়া প্রশাসনের নির্দেশে ক্যাটাগরি-১ এর কাউন্সিলর মনোনয়নে জেলা প্রশাসক অবস্থান নিতে পারেন। প্রশাসন থেকে মনোনীতদের হাতে কাউন্সিলর ফরম তুলে দিতে পারেন জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ। এ শঙ্কাই করছেন জেলাও বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রীড়া সংগঠকরা। এমন কিছু হলে সংশ্লিষ্ট জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহে বিএনপি সমর্থিত ক্রীড়া সংগঠকরা তীব্র আন্দোলন করতে পারে। সে আভাসও পাওয়া যাচ্ছে।
তারপরও এই ক্যাটাগরিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের পূর্ণ সমর্থনে ১০টি পরিচালক সব কটি এবং এনএসসি কোটার ২ পরিচালকের ভোট-ই সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়- এটাও মাথায় রাখতে হবে বুলবুলকে।
বুলবুল যেখানে সভাপতির চেয়ারে বসে এই চেয়ারের মায়া ছাড়তে পারছেন না, সেখানে পরিস্থিতিই তামিমকে এনেছে সামনে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলেই বিসিবির সভাপতি পদে তামিমের সম্ভাবনার জোর গুঞ্জন ছিল।
আরও পড়ুন
| মহারাজের ঘূর্ণি, মার্করামের ঝড়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ড |
|
অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মোহাম্মদ সজীব ভূইয়া দায়িত্ব গ্রহণের পর তামিমকে সঙ্গে নিয়ে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসে সে আভাসই দিয়েছিলেন। তবে তামিম তখন আগ্রহ প্রকাশ না করায় ফারুক আহমেদের উপর বর্তেছিল ওই দায়িত্ব।
পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান পদটি ফাঁকা রেখেছিলেন ফারুক আহমেদ তামিমের সম্মতির আশায়। ওই প্রস্তাবও বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন তামিম।
একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন তামিম। ভবিষ্যতে বিসিবি সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা পুষে রেখেছিলেন। ঢাকার ২টি ক্লাব পরিচালনা করে ক্লাব অফিসিয়ালদের কাছাকাছি আসতে পেরেছেন। এই পরিকল্পনার প্রাথমিক সুফল এখন দেখতে পাচ্ছেন তামিম।
No posts available.
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৫:১২ পিএম
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩:৩৫ পিএম
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২১ পিএম

ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আনন্দে বড় ধাক্কা দিয়েছে প্রথম টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং ব্যর্থতা। হতাশার পরাজয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করে এখন কিছুটা চাপেই পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক সিআরবিতে উন্মোচন করা ট্রফি ঘরেই রাখতে বাকি দুই ম্যাচে তাদের লিখতে হবে প্রত্যাবর্তনের গল্প।
সেই মিশনে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু সন্ধ্যা ৬টায়।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর মঙ্গলবার অনুশীলন রাখেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়া ক্যারিবিয়রাও বাতিল করে তাদের রুটিন অনুশীলন। তবে ঐচ্ছিক অনুশীলনে সাগরিকার তপ্ত রোদের মাঝের ঘাম ঝরান সফরকারীদের কয়েকজন ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন
| রাব্বির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তাইজুলদের হারাল চট্টগ্রাম |
|
সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে এখন জয়ের বিকল্প নেই। স্বাগতিকরা চাইলে নিজেদের সাম্প্রতিক অতীত থেকেই নিতে পারে অনুপ্রেরণা। যেখানে প্রথম ম্যাচ হেরেও বাকি দুইটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজের ট্রফি জিতেছে তারা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ২৪টি তিন ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৬টি তারা জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। সেই ছয় সিরিজের আবার ২টিতে প্রথম ম্যাচ হারের পরও সিরিজ নিজেদের করেছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম ম্যাচ হেরেও পরের দুইটি জিতে সিরিজ নিজেদের করেছে তারা। চলতি বছর জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরেও প্রথম ম্যাচ হেরে কামব্যাকের গল্প লিখেছে তারা।
এবার মাস তিনেক আগের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে পারলেই মিলবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তৃতীয় সিরিজ জয়ের স্বাদ।
সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য হতাশার উপাখ্যানও কম নেই বাংলাদেশের। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু। এবার আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও, ওয়ানডে সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ।
গত বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর তারা জিতে যায় ওয়ানডেতে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে সিরিজে সব ম্যাচ হারলেও, টি-টোয়েন্টিতে আবার স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।
একই পরিণতি দেখা যায়, চলতি বছরের শ্রীলঙ্কা সফরে। যেখানে ওয়ানডে সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টিতে আবার জেতে তারা। পরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর ওয়ানডেতে মেলে হতাশা।
এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এরই মধ্যে ওয়ানডে সিরিজ জিতে গেছে বাংলাদেশ। তবে গত কয়েক সিরিজের মতো সাদা বলের আরেক সিরিজে নিশ্চয়ই হারতে চাইবে না তারা।
প্রথম ম্যাচে রভম্যান পাওয়েল ও শাই হোপের ঝড়ের পরও সফরকারীদের ১৬৫ রানে থামিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রান তাড়ায় পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকেই যায় তারা। শেষের ব্যাটাররা লড়াই করলেও পরাজয় এড়াতে পারেননি।
আরও পড়ুন
| ফোনে নির্দেশ ‘ভারতকে ছাড় দাও’—বিস্ফোরক অভিযোগ ম্যাচ রেফারির |
|
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অনুমিতভাবেই ব্যাটারদের ব্যর্থতার কথা বলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার তানজিম হাসান সাকিব। তার বিশ্বাস, বাকি দুই ম্যাচে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
“আমরা একদম শুরু থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। আমাদের একটা আত্মবিশ্বাস ছিল যে, আমরা ভালো করে আসছি টি-টোয়েন্টিতে। আজকে একটা আমরা হেরে গেছি, বাজে দিন ছিল। পরবর্তী দুই ম্যাচে আমরা কামব্যাক করব ইনশাল্লাহ। এখানে আর কোনো ব্যাকফুটে যাওয়ার সুযোগ নেই।”
“আরেকটা ম্যাচ হারলে সিরিজ হেরে যাব। আর এটা ঘরের মাঠ, অবশ্যই চেষ্টা করব সিরিজ জেতার, যে করেই হোক। কারণ বিদেশে যেহেতু ভালো করে আসছি, এখানে আমরা একটা বাড়তি সুবিধা অবশ্যই পাব। তাই পরবর্তী দুইটা ম্যাচ আমাদের জিততে হবে।”
পরের দুই ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখতে ব্যাটারদের ভালো করার বিকল্প নেই। চলতি বছর এই ফরম্যাটে ধারাবাহিকভাবে কারও কাছ থেকেই রান পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বিশেষ করে শুরুতেই ভেঙে পড়ছে টপ-অর্ডার।
২০২৫ সালে খেলা ২০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ৬টিতেই ৫০ রান হওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আর ৫টি ম্যাচে দলীয় স্কোর ৩০ ছোঁয়ার আগেই ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন তিন ব্যাটার। যা শুরুতেই পেছনে ঠেলে দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
তাই বাকি দুই ম্যাচে বড় দায়িত্ব নিতে হবে ওপরের সারির ব্যাটারদের।

ভারতকে ওয়ানডে সিরিজ অনায়াসে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কাল থেকে শুরু হচ্ছে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ক্যানবেরায় মঠে নামার আগে সফরকারীদের রীতিমতো হুঙ্কার ছুঁড়লেন অজি ওপনোর ট্রাভিস হেড। অস্ট্রেলিয়ার এই বিধ্বংসী ব্যাটার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের ব্যাটিং লাইনআপ এতটাই শক্তিশালী, ইচ্ছে করলে যেকোনো স্কোর তোলা সম্ভব।
ক্রিকেট ডটকম ডটএইউকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হেড জানিয়েছেন, দলের মিডল ও লোয়ার অর্ডারে এত বেশি ‘পাওয়ার’ আছে, শুরুতে ধীরগতিতে খেলার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বললেন,
‘আমাদের ব্যাটিং লাইনে যত পাওয়ার আছে, শুরু থেকেই সেটা কাজে লাগাতে হবে। টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিস, জশ ইংলিস, ক্যামেরন গ্রিন আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল— এরা সবাই যখন পেছনে অপেক্ষা করছে, তখন শুরুতেই বল নষ্ট করে ফেললে চলবে না। এটা বিশাল শক্তি।’
ডেভিড, স্টয়নিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো পাওয়ার হিটার পেছনের দিকে থাকায় টপ অর্ডাররা দারুণ আত্মবিশ্বাস পায়। হেড আরও যোগ করেন, এ কারণেই অস্ট্রেলিয়া এখন আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে ঝুঁকছে।
অজিদের লক্ষ্য শুরু থেকেই পাওয়ার-প্লে ওভারগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার। হেড বলেন,
‘আমরা যদি শুরুটা ভালো করতে পারি, তাহলে যেকোনো স্কোর তোলা সম্ভব। তাই মিচ (মিচেল মার্শ) আর আমার পরিকল্পনা হলো শুরু থেকেই পাওয়ারপ্লে ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশনকে কাজে লাগানো। এটা গত দুই বছর ধরে আমাদের বড় শক্তি হয়ে আছে। একদিনের ক্রিকেট বা টি-টোয়েন্টি— দুই ফরম্যাটেই আমরা পাওয়ার-প্লের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা বেপরোয়া হতে চাই না, কিন্তু কিছু সময় সেটি দেখতেও পারে এমন মনে হতে। হ্যাঁ, লক্ষ্য একটাই— যত বেশি সম্ভব রান তোলা।’
অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া ইতিমধ্যেই এই সিরিজকে ‘হাই-স্কোরিং ব্যাটল’ বলে আখ্যা দিয়েছে। হেড-মার্শের জুটি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এখন অন্যতম ভয়ঙ্কর ওপেনিং কম্বিনেশন।
এরই মধ্যে হেড নিজের অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) চুক্তি নবায়ন করেছেন। স্থানীয় মিডিয়া এটাকে ‘নো-ব্রেইনার’ পদক্ষেপ বলেই অভিহিত করেছে। কারণ হেড সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য পারফর্মার।

লক্ষ্যটা ছিল পাহাড়সম। তবু লড়াইয়ে কমতি রাখল না রাজশাহী বিভাগ। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না তারা। অনায়াস জয়েই জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) যাত্রা শুরু করল চট্টগ্রাম বিভাগ।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ম্যাচের শেষ দিনে স্থানীয় দলকে ১১২ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। ৪৮২ রানের বিশাল লক্ষ্যে সব উইকেট হারিয়ে ৩৭০ রানের বেশি করতে পারেনি রাজশাহী।
৪২ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল রাজশাহী। শেষ দিনে ৪৪.৫ ওভারের বেশি খেলতে পারেনি তারা। স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে ১৫১ রান।
আগের দিন ৫৪ রানে অপরাজিত থাকা এসএম মেহেরব হাসান দিনের শুরুতেই ফিরে যান ৬০ রানে। আর ৫৬ রান নিয়ে খেলতে নামা প্রীতম কুমার শেষ পর্যন্ত খেলেন ৮৩ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন
| আজই তাহলে টি-টোয়েন্টির ‘রাজা’ হচ্ছেন বাবর |
|
সপ্তম উইকেটে তাইজুল ইসলাম ও শাকির হোসেন শুভ্র মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। ৩০ বলে ৩০ রান করে আউট হন তাইজুল শাকিরের ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৯৬ বলে ৫২ রান।
চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। এছাড়া আহমেদ শরীফ ও নাঈম হাসানের শিকার ২টি করে উইকেট।
দলের বড় জয়ের নায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি। প্রথম ইনিংসে ১২৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান অভিজ্ঞ মিডল-অর্ডার ব্যাটার। তবে ৯২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার অবশ্য তিনিই জেতেন।
প্রথম ইনিংসে রাব্বির সঙ্গে জয়ের সেঞ্চুরিতে ৪০১ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে সাব্বির হোসেন ও সাব্বির রহমান ফিফটি করলেও ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী।
পরে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৭৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে চট্টগ্রাম। বাকি কাজ সারেন বোলাররা।

ভারতের প্রভাবে বদলে যেত ক্রিকেটের নিয়ম! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন আইসিসির সাবেক ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। নিজের দুই দশকের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন, দায়িত্ব পালনকালে একাধিকবার তাঁকে ভারতীয় দলের প্রতি ‘সহনশীল’ হতে বলা হয়েছিল। এমনকি স্লো ওভাররেটের ঘটনাতেও ভারতকে ছাড় দিতে ফোনে নির্দেশ এসেছিল তাঁর কাছে।
ব্রড ধীর ওভাররেটের ঘটনাবে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ‘অস্বস্তিকর’ অভিজ্ঞতাগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেছেন। দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক ইংলিশ রেফারি বলেন, ‘একটি ম্যাচে ভারত তিন-চার ওভার পিছিয়ে ছিল। নিয়ম অনুযায়ী এর জন্য জরিমানা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষে আমি একটি ফোন কল পাই। সেখান থেকে বলা হয়, ভারত বলে একটু ছাড় দাও, কিছু সময় খুঁজে বের করো। তখন ভাবলাম, ঠিক আছে, কোনোভাবে সময় বের করতে হবে। তাই আমরা কিছু সময় খুঁজে বের করলাম, যাতে জরিমানার সীমা অতিক্রম না করে।’
আরও পড়ুন
| রিয়ালে প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ ভিনিসিয়ুসের |
|
ব্রড দাবি করলেন, পরের ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সে প্রসঙ্গে বললেন, ‘পরের ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটল। (সৌরভ গাঙ্গুলি) কোনো ‘হারি-আপ’ সংকেত মানছিল না। তখন আমি ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম, এবার কী করতে হবে? আমাকে বলা হলো, এবার তাকে করো (শাস্তি দাও)।’
এই অভিজ্ঞতার পর ব্রড উপলব্ধি করেন, ক্রিকেট প্রশাসনের ভেতরে ভারতের প্রতি এক ধরনের বিশেষ আচরণ চলে আসছে, যা নিয়মের কাঠামোতেও প্রভাব ফেলছে।
দীর্ঘ ২০ বছর ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ব্রড। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসির সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। বললেন, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও চুক্তি নবায়ন করা হয়নি, ‘আমি খুবই খুশি ছিলাম কাজ চালিয়ে যেতে। কিন্তু ২০ বছর ধরে আমি অনেকগুলো এড়িয়ে চলেছি— রাজনৈতিকভাবেও, শারীরিকভাবেও। এখন ফিরে তাকিয়ে মনে হয়, ২০ বছর এই কাজটা করার জন্য যথেষ্ট দীর্ঘ সময়।’
ব্রড বলেন, প্রায় দুই দশক ধরে তিনি বিভিন্ন দেশের রাজনীতি, বোর্ডের চাপ এবং মাঠের অনিশ্চয়তার মধ্যেও নিজের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন।
ক্রিস ব্রডের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার ভিন্স ভ্যান ডার বিজিল আইসিসির আম্পায়ার ম্যানেজার থাকাকালে রেফারিদের যথেষ্ট সমর্থন পেতেন, কারণ তিনি ছিলেন ক্রিকেটীয় ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা একজন মানুষ। কিন্তু তাঁর বিদায়ের পর আইসিসির ম্যানেজমেন্ট দুর্বল হয়ে পড়ে, আর তখন থেকেই ভারতের আর্থিক প্রভাব দ্রুত বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন
| আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে ‘তর সইছে না’ মেসির |
|
ব্রড বলেন, ‘আমরা ভিন্স ভ্যান ডার বিজিলের সময় ভালো সমর্থন পেতাম, কারণ তিনি ক্রিকেট থেকে উঠে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পর ম্যানেজমেন্ট অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। ভারত সব টাকা পেয়ে গেল এবং এখন কার্যত আইসিসিকে দখল করে নিয়েছে— অনেক দিক থেকেই।’
পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য এখন আর দায়িত্বে নেই ব্রড। তাতেই যেন খুশি তিনি, ‘আমি খুশি যে এখন আর আমি ওই জায়গায় নেই। কারণ এখনকার অবস্থান আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক হয়ে গেছে।’
দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারটি ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। এখন পর্যন্ত আইসিসি বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কারও পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, ক্রিস ব্রডের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তাঁর অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দিয়েছে— যেখানে অর্থ ও প্রভাব বাড়ে, সেখানে নিয়ম ও ন্যায়বিচার অনেক সময়ই দ্বিতীয় সারিতে চলে যায়।

কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ছন্দহীন থাকায় প্রায় বছরখানেক দলের বাইরে ছিলেন বাবর আজম। সবকিছু ঠিক থাকলে দীর্ঘ বিরতির পর আজ টি-টোয়েন্টি খেলতে মাঠে নামবেন পাকিস্তারের টপ অর্ডারের ব্যাটার।
রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। আর এই ম্যাচেই ইতিহাসে নাম লেখানো থেকে এক কদম দূরে আছেন বাবর আজম। পুরুষদের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ‘রাজা’ হতে ডান হাতি ব্যাটারের প্রয়োজন আর মাত্র ৯ রান। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এই ম্যাচেই রোহিত শর্মাকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার সুযোগ বাবরের।
টি-টোয়েন্টিতে ১৫৯ ম্যাচে রোহিত শর্মার রান ৪২৩১। ৫ সেঞ্চুরি ও ৩২ ফিফটিতে ৩২ গড়ে এই রান করে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সর্বোচ্চ রান ভারতীয় ওপেনারের। আর তালিকায় দুইয়ে থাকা বাবর ৩৯.৮৩ গড়ে ১২৮ ম্যাচে করেছেন ৪২২৩ রান। সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩, ফিফটি ৩৬।
শীর্ষে থাকা রোহিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ইতোমধ্যেই। ৪১৮৮ রান নিয়ে রানের তালিকায় তিনে থাকা রোহিতের সতীর্থ বিরাট কোহলিও ক্রিকেটের এই সংস্করণকে বিদায় বলেছেন। তাতে বাবর আজম চূড়ায় নিচের জায়গা আরও পোক্ত করার অনেক সময়ই পাবেন।
লম্বা সময় দলের বাইরে থাকা এই তারকা ব্যাটারের ব্যাটিং পজিশন কি হবে- নিশ্চিত করেছেন কোচ মাইক হেসন। টি-টোয়েন্টিতে অধিকাংশ ম্যাচে ওপেনিংয়ে খেলেছেন বাবর। তবে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ জানিয়েছেন, এবার ব্যাট হাতে দেখা যাবে তাঁকে তিন নম্বরে।
আরও পড়ুন
| শামীমকে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে বললেন লিটন |
|
গত পরশু সংবাদ সম্মেলনে হেসন বলেন, ‘আমি অবশ্যই তাঁর দলে ফেরাকে সমর্থন করি। ফখর জামানকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঠানো হয়েছে, ফলে আরেকজন টপ অর্ডার ব্যাটারের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। বাবরের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। সম্ভবত সে তিন নম্বরে ব্যাট করবে, আর আমি আত্মবিশ্বাসী—এই ভূমিকায় সে দারুণ করবে।’
প্রায় এক দশক পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের উজ্জ্বল মুখ হিসেবে পরিচিত বাবর আজম। নিখুঁত কভার ড্রাইভ আর চাপের মধ্যে শান্ত থাকার স্বভাব তাঁকে বাকি সবার থেকে আলাদা করে তুলেছে।
অবশ্য এই টি-টোয়েন্টিতেই তার ব্যাটিং নিয়ে তীব্র সমালোচনাও করেছেন নিন্দুকেরা। বাবরের ব্যাটিং টি-টোয়েন্টি সুলভ নয়, এমন মন্তব্য প্রায় শোনা যায় অনেকের মুখে। ৩১ বছর বয়সী ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই নয় বলে সবশেষ এশিয়া কাপে পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়েন।
তবে সমালোচনার চাপে পিষ্ট হননি বাবর। ঠিকই দলে নিজের জায়গা আদায় করে নিয়েছেন। পাকিস্তানও আস্থা রেখেছে দলের সর্বোচ্চ রানের মালিকের ওপর। এবার নিজেকে প্রমাণের সঙ্গে দলের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার পালা বাবরের।