নেপালের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় পড়েছিল ক্যারিবীয়রা। তবে শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাবেক দু’বারের চ্যাম্পিয়নরা। রেকর্ড ১০ উইকেটের জয়ে শেষটা সুন্দর করল তারা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টস হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে সর্বসাকুল্যে স্কোরবোর্ডে ১২২ রান জমা করে নেপাল। রান তাড়ায় নেমে ১০ উইকেটে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে নেপাল শুরুটা ভালো করলেও মাঝখানে পথ হারায়। ওপেনার কুশল ভুর্তেল খেলেন দলের সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস। ২৯ বলের তার ইনিংসে ছিল ২ চার ও ৩ ছক্কা। তবে অন্যরা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। অধিনায়ক রোহিত পাউডেল করেন ১৭, সুনদীপ জোরা ১৪, কুশল মাল্লা ১২ ও গুলশান ঝা করেন ১০ রান। বাকিদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ১২২ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন তরুণ পেসার রেমন সিমন্ডস। ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট।
১২৩ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৪৭ রান। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১২.২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ক্যারিবীয়রা। ওপেনার আমির জঙ্গো ৪৫ বলে ৭৪ এবং আকিম অাগস্টে ২৯ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান।
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ১০ উইকেটের জয়। তবে শেষ ম্যাচে হেরে গেলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করল নেপাল।
No posts available.
১ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৫২ পিএম
১ অক্টোবর ২০২৫, ৯:২৫ পিএম
১ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৫৮ পিএম
১৭তম এশিয়া কাপে সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে রশিদ খানের দল। অথচ আফগানদের এশিয়ার ‘দ্বিতীয় শক্তিশালী’ দল হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন অনেক মহারথী। যতটা হাইপ তৈরি হয়েছিল, মাঠে ততটা পারফরম্যান্স ছিল না আফগানদের। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের ভালো ফারফর্ম করে আবারও ছন্দে ফিরতে চায় আফগানিস্তান।
দুবাইয়ের শারজাতে আগামীকাল থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরু তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ । তার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশকে হারিয়ে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানালেন।
রশিদ খান বলেন,
‘এশিয়া কাপের জন্য অনেক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা হেরে যাই। এটাই খেলা। আপনি সবসময়ই আপনার ভুল থেকে শেখেন। সিরিজটি আমাদের জন্য একত্রিত হওয়ার এবং বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার একটি ভালো সুযোগ। বিশ্বকাপের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত থাকাই গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপ আমাদের জন্য এক ধরনের প্রস্তুতি ছিল, এই সিরিজটিও তাই। মূল ফোকাস, কীভাবে বিশ্বকাপের জন্য একটা ব্যালেন্সড দল তৈরি করতে পারি।’
শক্তিমত্তার বিচারে নিশ্চিতভাবেই এশিয়ার সেরা দল ভারত। দ্বিতীয়তে পাকিস্তান এগিয়ে থাকলেও অনেকে এ স্থানে আফগানিস্তানের নাম ব্যবহার করছে। দলটির অধিনায়ক রশিদ খান জানিয়েছেন, ‘দ্বিতীয় সেরা’ কথাটি মিডিয়ার তৈরি।
তিনি বরেন,
'মিডিয়া এটাই করে, বুঝলেন। তারা টেবিলে এমন কিছু নিয়ে আসে যেখানে লোকেরা আলোচনা করে এবং এটা নিয়ে মজা করে। আমি মনে করি আজকাল আপনি যত বেশি কাউকে নিয়ে মজা করবেন, তত বেশি লোক আপনাকে পছন্দ করবে। আমি মনে করি এটা অন্য একটা পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এটা দেখতে ভালো লাগে না।'
রশিদ বলেন,
'আমরা ২০২৪ সালে সেমিফাইনালে গিয়েছিলাম, সেই কারণেই লোকেরা আমাদের 'দ্বিতীয় সেরা' ট্যাগ দিয়েছে। বিশ্বকাপে সেরা পারফরম্যান্স করেছি আমরা। নিউজিল্যান্ডকে ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি আমরা, যারা বড় দল ছিল। অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন ছিল এবং আমরা তাদের গত বিশ্বকাপে হারিয়েছি। তাই আমরা এই ট্যাগ পেয়েছি।'
এশিয়া কাপের ফাইনালের ওঠার একটা সম্ভাবনা জেগেছিল বাংলাদেশের। সুপার ফোরে বাঁচা-মরা রূপ নেওয়া সেই ম্যাচে পাকিস্তান থামিয়ে দিয়েছে জাকের আলীদের। সে দুঃখ এখনও তাজা। তার মধ্যে আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বাংলাদেশের।
দুবাইয়ের শারজাতে আগামীকাল সিরিজ শুরুর আগে লাল সবুজ দলের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাকের আলী। তিনি জানালেন, দুঃখ ভুলে এগিয়ে যেতে চায় দল। একই সঙ্গে দলের পরিকল্পনাও জানালেন তিনি।
এশিয়া কাপে বোলিংয়ে বেশ সাফল্য পেলেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যাটিং ছিল যাচ্ছেতাই। এগিয়ে যাওয়ার মিশনের আগে জাকের বলেছেন,
'চ্যালেঞ্জ বলতে নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলতে হবে। আগের সিরিজে আমরা অবশ্যই দল হিসেবে ভালো খেলতে পারিনি। তাই আমাদের মূল পরিকল্পনা থাকবে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ভালো পারফরম্যান্স করা। যেহেতু এশিয়া কাপেও ব্যাটিংয়ের কারণে আমাদের ভুগতে হয়েছে, তাই ব্যাটিং ইউনিটের দিকেই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে।'
পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। অথচ আট জাতির টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী থাকেন দু’জন। ইমন চার ম্যাচে করেছেন মাত্র ৪০ রান। তানজিদ ৫ ম্যাচে ৬৭ রান। তবে স্বস্তি দিয়েছেন সাইফ হাসান। নিয়মিত রান করেছেন এই স্পিন অলরাউন্ডার।
সাইফের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন জাকের,
'সাইফ হাসান খুবই ভালো করছে। আমরা চাইব যে এই সিরিজেও সে এরকম বড় রান করতে পারে। ওর সাথে সাথে অন্য ব্যাটাররাও যেন ভালো করতে পারে তাহলে আমাদের জন্য সিরিজটি খুব ভালো হবে।'
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) ২০২৫-২৬ মৌসুমের আন্তর্জাতিক রিটেইনার চুক্তির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট, জশুয়া ডি সিলভা ও কাভেম হজ। ১৫ জনের তালিকায় স্থান পেয়েছেন জাস্টিন গ্রিভস, শেরফান রাদারফোর্ড ও জোমেল ওয়ারিকান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের নারী চুক্তিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। জ্যানিলিয়া গ্লাসগো ও শওনিশা হেক্টর ১৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্থান পেয়েছেন। তবে শামিলিয়া কনেল, চেরি অ্যান ফ্রেজার, চেডিয়ান নেশন ও রাশাদা উইলিয়ামস তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) পরিচালক মাইলস বাসকম্ব জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের বর্তমান পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই চুক্তিতে সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে। নতুন চুক্তি কার্যকর হবে ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে।
২০২৫-২৬ চুক্তিতে যারা রয়েছেন
অ্যালিক অ্যাথানাজ, কেসি কার্টি, রোস্টন চেইজ, জাস্টিন গ্রিভস, শাই হোপ, আকিল হোসেইন, আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, গুদাকেশ মোতি, রোভম্যান পাওয়েল, শেরফেন রাদারফোর্ড, জেইডেন সিলস, রোমারিও শেফার্ড ও জোমেল ওয়ারিকান।
এছাড়া জুয়েল অ্যান্ড্রু, জেডিয়াহ ব্লেডস ও জোহান লেইন পেয়েছেন স্টার্টার চুক্তি। পাশাপাশি ১৫ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী ক্রিকেটারকে অ্যাকাডেমি চুক্তি প্রদান করা হয়েছে।
বৈভব সূর্যবংশী শুধুই সাদা বলের ক্রিকেটার। এমন কথার দিন বুঝি ফুরোলো। আইপিএল ছাড়াও লাল বলের ক্রিকেটেও তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শে পটু ১৪ বর্ষী এই ব্যাটার।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে আজ দেশটির অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ৭৮ বলে সেঞ্চুরি সেঞ্চুরি হাঁকায় সূর্যবংশী। যুব টেস্ট ইতিহাসে এটা চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমে টেস্টে আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া গতকাল প্রথম দিনে ৯১.২ ওভারে ২৪৩ রানে অলআউট হয়। আজ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮৬ বলে ১১৩ রান করে সূর্যবংশী। ৮ ছক্কা এবং ৯ চারে ইনিংসটি সাজায় সে। এখানেও রেকর্ড গড়ে সূর্যবংশী। যুব টেস্টে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা তার। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে ৮টি ছক্কা মেরেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ক্রেগ ম্যাকমিলান।
সেঞ্চুরির রেকর্ডের দিনে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের পাশে বসেছে সূর্যবংশী। ম্যাককালামের পর দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে যুব টেস্টে ১০০–এর কম বলে একাধিক সেঞ্চুরি পেল সে।
যুব টেস্টে সূর্যবংশীর প্রথম সেঞ্চুরি ৫৮ বলে। গত বছর চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরিটি করেন। যুব টেস্টের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ৫৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মঈন আলী।
ম্যাচ তখন সমান সমান, ভাগ্য যেন দাঁড়িয়ে ফিফটি-ফিফটিতে। শেষ ১২ বলে রংপুরের চাই ২২ রান। বল হাতে দায়িত্ব নিলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ১৯তম ওভারের প্রথম ডেলিভারি-আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট চালালেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। কিন্তু ব্যাটের মাঝখান নয়, লেগেছে কোনায়। চার–ছক্কার বদলে বলটা উঠল সোজা আকাশে, ক্রিজ লাইনও পেরোল না। সেখানেই যেন ভাঙল রংপুরের আশা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এনসিএলে আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৩ রানে জয় পেয়েছে খুলনা। আসরে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এলো খুলনা।
এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রংপুরের অধিনায়ক আকবর আলী। আমন্ত্রণে খুলনার ব্যাটারদের সমন্বিত নৈপুণ্যে স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৪৯ রান। জবাব দিতে নেমে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর।
এদিন রংপুরের আমন্ত্রণে খুলনার হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ইমরানুজ্জামান ও এনামুল হক বিজয়। উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইমরানুজ্জামানের বিদায়ে ৪৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন বিজয়। সে চেষ্টা ফিকে হয়ে আসে নাসির হোসেনের বলে আলাউদ্দিন বাবুর হাতে ধ্রুব ক্যাচ দিয়ে ফিরলে।
টপঅর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারানোর পরও ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান বিজয়। যদিও তার চলা ছিল কিছুটা শ্লথ। জাহিদ জাভেদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়ার আগ পর্যন্ত ৩৪ বলে করতে পারেন কেবল ৩৫ রান।
বিজয় যখন ফেরেন তখন দলীয় সংগ্রহ ছিল ১২ ওভারে ৬৮। এরপর মূল দায়িত্ব এসে পড়ে অধিনায়ক মিথুনের ওপর। খুলনার কাপ্তান সে দায়িত্ব ভালোভাবেই সামাল দেন। দলকে বিপদমুক্ত করে ফেরার আগে ১৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে দিয়ে যান।
খুলনার জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন জিয়াউর রহমান। ১৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন এই পেস অলরাউন্ডার। যাতে ছিল ৪টি ছক্কা। নাহিদুলের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ৫০ রানের। তাতে ১৪৯ রানের পুঁজি পায় দল।
মিথুনের দলের যাত্রা থামে লক্ষ্যের ৩ রান আগে। তানভির হায়দার একাই চেষ্টা চালিয়ে যান শেষ পর্যন্ত। অপরাজিত ছিলেন ৬০ রানে। জাহেদ জাভেদের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে টিকে ছিলেন ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। যোগ্য সঙ্গীর অভাবে আসরে আরেকটি হারের সঙ্গী হলো রংপুর।
দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো রংপুর দ্বিতীয় জুটিতে পায় ৪৬ রানের জুটি। অনিক সরকারকে নিয়ে বন্দরে পৌঁছানোর যে পরিকল্পনা ছিল তা ভেস্তে দেন জিয়াউর রহমান। ব্যাট হাতে খুলনার হয়ে ঝড় তোলা এই পেসার বল হাতেও রংপুরের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ান।
রংপুরের আশা-উচ্চাশা ছিল শেষ পর্যন্ত। তবে স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান আবদুল গাফফার-আলউদ্দিন বাবুরা। তাদের অহেতুক আসা-যাওয়ার মিছিলে শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে রংপুর। শেষ পর্যন্ত থামতে হয় ১৪৬ রানে।
খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট ঝুলিতে ভরেন রবিউল হক। একটি করে উইকেট তোলেন নাহিদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় ও জিয়াউর। ব্যাট-বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন জিয়াউর।