ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের কোনটি বেশি প্রিয় বাংলাদেশের? এমন প্রশ্নের সমর্থকদের প্রায় সবাই বলবেন- ওয়ানডে ফরম্যাট। ৫০ ওভারের ক্রিকেটটা বাংলাদেশ খুব ভালোভাবেই রপ্ত করা। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশকে সমীহ করত যে কোনো প্রতিপক্ষ। কিন্তু সেই ‘প্রিয়’ সংস্করণেই খেই হারিয়েছে তারা। যেন জিততে ভুলে গেছে একদিনের ম্যাচ।
রাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানদের কাছে ৫ উইকেটের হার। আবুধাবিতে আজ হারলেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে মেহেদী হাসান মিরাজদের।
ম্যাচের আগে ভাবাচ্ছে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। গত এক বছরে ১২ টি ওয়ানডে খেলেছেন মিরাজ-লিটনরা দাসরা। তার মধ্যে জয় কেবল দুটিতে। যার একটি ছিলো গত বছর শারজায় এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই।
আরও পড়ুন
অধিনায়কত্ব করলেই চ্যাম্পিয়ন, যা বললেন আকবর |
![]() |
গত নভেম্বর-ডিসেম্বর হওয়া দুটি সিরিজে হেরেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ পরাজয় ২-১ ব্যাবধানে।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুটি ম্যাচ খেলে একটিতেও জেতেনি বাংলাদেশ। জুলাইয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে চলতি বছর ওয়ানডেতে প্রথম জয় পায় তারা। তবে সিরিজ হারতে হয়েছিল ২-১ ব্যবধানে।
এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য অনেকাংশেই দায়ী ব্যাটিং পারফরম্যান্স। চলতি বছর খেলা ৬টি ওয়ানডের একটিতেও বাংলাদেশ পেরুতে পারেনি আড়াইশোর ঘর। সব মিলিয়ে গত একবছরে ১২ ম্যাচে আড়াইশ’ পেরোয় মাত্র তিনবার। গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে আড়াইশ’ পেরোয় দুইবার; আর নভেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে একবার। এর মধ্যে উইন্ডিজের বিপক্ষে দলীয় স্কোর একবার তিনশ’ পেরোয়।
চলতি ওয়ানডে সিরিজের আগেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়ন্টি সিরিজে সবকটি ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। তবে সাদা বলের লঙার ভার্সনে এসেই টাইগারদের হার দেখতে হয়েছে প্রথম ম্যাচে। আবুধাবিতে ২২১ রানেই অলআউট হয়ে যায় ফিল সিমন্সের দল। সে ম্যাচে পাঁচ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় আফগানরা। সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচে তাই জিততে হবে বাংলাদেশকে; যার দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটারদেরকেই।
No posts available.
১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৪৮ পিএম
১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৯:২৭ পিএম
১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮:০৯ পিএম
গত বিশ্বকাপের পর থেকে একের পর এক হতাশাজনক পারফরম্যান্সের ফলে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বরে নেমে গেছে বাংলাদেশ। যে কারণে এখন প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাবে তো তারা?
এসব নিয়ে অবশ্য ভাবতে চান না রিশাদ হোসেন। তার মতে, সরাসরিই বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ।
২০২৭ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াতে। এতে স্বাগতিক দেশ হিসেবে খেলার সুযোগ পাবে আইসিসির দুই পূর্ণ সদস্য দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে। তারা ছাড়া র্যাঙ্কিংয়ের সের ৮ দলও পাবে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকা এরই মধ্যে সেরা আটের ভেতরে থাকায়, র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে থাকলেও কাজ হয়ে যাবে বাংলাদেশের। বর্তমানে ৭৫ রেটিং নিয়ে ১০ নম্বরে বাংলাদেশ। আর ৯ নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের নামের পাশে আছে ৮০ পয়েন্ট।
চলতি আফগানিস্তান সিরিজের পর ৭টি ভিন্ন সিরিজে ২৩টি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। তাই র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির যথেষ্ট সুযোগই তাদের সামনে। এ কারণেই মূলত বাছাইপর্ব খেলা নিয়ে ভাবতে চান দলের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগের দিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেই কথাই বললেন তরুণ এই ক্রিকেটার।
“আসলে আমরা এত কিছু চিন্তা করছি না। আমাদের সবার ১০০% বিশ্বাস আছে যে আমরা কোয়ালিফাই বা এসব নিয়ে কোনো চিন্তাই করছি না। আমরা স্বাভাবিক আছি। আমরা সরাসরি বিশ্বকাপ খেলব ইনশাআল্লাহ।”
“আমাদের ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং যেদিন ক্লিক করবে, সেটা হোক ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড- কেউ আমাদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।”
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এর মধ্যে সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে নামবে তারা। এরপর দেশে ফিরে আবার আগামী শনিবার থেকে শুরু হয়ে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ।
তাই শেষ ম্যাচ জিতে ক্যারিবিয়ান সিরিজের জন্য অনুপ্রেরণা নিতে চান রিশাদরা।
“আসলে শেষ ম্যাচটা... যেহেতু আমরা দুইটা হেরেছি, তো ২-০ তে আছি এখন। আমাদের সবার একটাই পরিকল্পনা যেন, শেষ ম্যাচটা জিতে ভালোভাবে দেশে ফিরে পরের সিরিজটা কীভাবে ভালো করা যায় ওই পরিকল্পনায় আছি সবাই আর কি।”
আগামী মাসে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সম্মানের অ্যাশেজ সিরিজ। তার আগ থেকেই প্রেডিকশন ও কথার যুদ্ধ চলছে। ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুকের পূর্বের মন্তব্য ‘নৈতিক জয়’ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। যিনি সিরিজ নিয়েও তার ভবিষ্যদ্বাণী দিয়েছেন।
ওয়ার্নার বলেছেন,
‘‘আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়া অ্যাশেজ সিরিজ ৪-০ তে জিতবে (একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাবে)। ইংল্যান্ড এই সময় শুধু ‘নৈতিক জয়ের’ চিন্তাতেই ব্যস্ত থাকবে।”
অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ অ্যাশেজ দলের সদস্য ছিলেন ওয়ার্নার। ২০২৩ সালের সেই টেস্ট সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হয়েছিল। সে সময় সিরিজের শেষ টেস্টের আগে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক মন্তব্য করেছিলেন, সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করতে পারলে সেটাই হবে তাদের জন্য একটি ‘নৈতিক জয়’।
ওয়ার্নার মূলত ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেছেন,
‘আমরা অ্যাশেজ খেলব। তারা নৈতিক জয়ের জন্য খেলবে।’
তার ভবিষ্যদ্বাণী ছিল,
‘আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়া ৪-০ তে জিতবে। কোথাও একটা ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাবে, সাধারণত সিডনিতেও সেটা হতে পারে। যদি ইংল্যান্ডের অধিনায়ক না খেলেন, তাহলে হয়তো একটা ম্যাচ জিততে পারে তারা।’
এসময় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ইনজুরি নিয়েও কথা বলেছেন ওয়ার্নার। ইনজুরির কারণে কামিন্স প্রথম টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন। যদি তিনি ২১ নভেম্বর পার্থে প্রথম টেস্টের জন্য ফিট না হন, তাহলে সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ দলের নেতৃত্ব দেবেন এবং স্কট বোল্যান্ড পেস আক্রমণে যুক্ত হবেন।
কামিন্স এ বিষয়ে বলেছেন,
‘টেস্ট খেলতে চাইলে অন্তত দিনে ২০ ওভার বোলিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
পাকিস্তানের মোহাম্মদ ভাইদের জ্যেষ্ঠ সদস্য ওয়াজির মোহাম্মদ আর নেই। দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যের বর্মিংহ্যাম শহরে বসবাসরত এই সাবেক ক্রিকেটার সোমবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ওয়াজির মোহাম্মদের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি।
পাকিস্তানের মোহাম্মদ ভাইদের গল্প ক্রিকেট ইতিহাসে কিংবদন্তির অংশ। হানিফ মোহাম্মদ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি পরিচিত, যার নামের পাশে লেখা আছে ৪৯৯ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস। সেই হানিফেরই বড় ভাই ছিলেন ওয়াজির মোহাম্মদ, যিনি নিজেও সম্মানিত ও সমাদৃত ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটে।
পাকিস্তানের জার্সিতে ২০টি টেস্ট খেলেছেন ওয়াজির মোহাম্মদ। করেছেন ৮০১ রান। তাঁর ব্যাটিংয়ের টেকনিক ও দৃঢ়তা (সলিড ব্যাটিং) ছিল প্রশংসিত। ১৯৫০-৬০ দশকে পাকিস্তান ক্রিকেটের উত্থানে তাঁর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়াজির মোহাম্মদের মৃত্যুতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মহসিন নাকভি শোক প্রকাশ করেছেন। ক্রিকেটে তার অবদানের জন্য গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছেন তিনি।
মহসিন নাকভি এক শোকবার্তায় বলেন,
‘পাকিস্তান ক্রিকেটে ওয়াজির মোহাম্মদের অবদান চিরস্মরণীয় থাকবে। আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁকে স্মরণ করি।’
লাহোরে দ্বিতীয় দিন সকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। সেনুরান মাথুসামির ঘূর্ণি জাদুতে ইনংসের শেষ ১৬ রানে স্বাগতিকেরা হারায় ৫ উইকেট। বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েও প্রোটিয়া বাঁহাতি স্পিনারের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেমে যায় ৩৭৮ রানে।
প্রথম দিন ইমাম-উল হকের পর আজ সেঞ্চুরির আক্ষেপ পুড়লেন অধিনায়ক সালমান আলি আগাও। ৫ উইকেটে ৩১১ থেকে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ১৬৩ রান। ৭৫ রানে রিজওয়ানকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মাথুসামি।
লোয়ার অর্ডারে নুমান আলি ও সাজিদ খান রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। শাহিন শাহ আফ্রিদি ফেরেন ৭ রানে। একপ্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন সালমান। তবে অপরপ্রান্ত থেকে পাচ্ছিলেন না সঙ্গ। শেষ উইকেট হিসেবে প্রেনেলান সুব্রায়েনের শিকার হওয়ার আগে ৯৩ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ১৪৫ বলে ৯৩ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কা ও ৫টি চার।
গতকাল ওপেনার ইমামও আউট হয়েছিলেন ৯৩ রানে। শান মাসুদ করেছিলেন ৭৬ রান। আজ রিজওয়ানও ফেরেন সত্তরের ঘরে। ৩২ ওভার বল করে ১১৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন মাথুসামি। টেস্টে এই বাঁহাতি স্পিনারের সেরা বোলিং ফিগার এখন এটি।
তবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো অবস্থায় নেই দক্ষিণ আফ্রিকাও। ওপেনার রায়ান রিকেলটন (৭১) ও টনি ডি জর্জি ফিফটি করলেও দিন শেষে ২১৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট নেই অতিথিদের। ৮১ রানে অপরাজিত আছেন জর্জি, ৬ রানে মাথুসামি। পাকিস্তানের ৯টি উইকেট নিয়েছেন প্রোটিয়া স্পিনাররা। পাল্টা ঘূর্ণি জাদুতে নাকাল হচ্ছে সফরকারীরাও। নুমান এরই মধ্যে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাজিদ ও সালমান।
টুমি সেখুখুনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে পয়েন্টের দিকে খেললেন স্বর্ণা আক্তার। দ্রুত ১ রান নিতে পড়ে গেলেন রান আউটের শঙ্কা। কিন্তু উইকেটরক্ষকের ভুলে উল্টো ওভারথ্রো থেকে তিনি পেয়ে গেলেন ২ রান। পৌঁছে গেলেন ব্যক্তিগত পঞ্চাশে, গড়লেন রেকর্ড।
মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচে সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঝড় তুলেছেন স্বর্ণা আক্তার। মাত্র ৩৫ বলে তিনি খেলেছেন ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৩টি চারের সঙ্গে দুর্দান্ত শটে ৩টি ছক্কা মেরেছেন তরুণ অলরাউন্ডার।
এই ইনিংস খেলার পথে মাত্র ৩৪ বলে ফিফটি করেছেন স্বর্ণা। ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের ব্যাটারদের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। চলতি বছরের এপ্রিলেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯ বলে ফিফটি করেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৬ মাসের মধ্যে সেই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন স্বর্ণা।
সব মিলিয়ে মেয়েদের ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়ান্দ্রা ডটিনের। ২০১৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ২০ বলে ফিফটি করেছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি।
এছাড়া ছক্কার রেকর্ডেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে নিজেকে সবার ওপরে তুলেছেন ১৮ বছর বয়সী ব্যাটার। তার আগে বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার ওয়ানডেতে এক ম্যাচে ৩টি ছক্কা মারতে পারেননি।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এত দিন ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ছিল জ্যোতির। ২০২৩ সালের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫১ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলার পথে ২টি ছক্কা মেরেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার এই রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন স্বর্ণা।
পাঁচ নম্বরে নামা স্বর্ণার তাণ্ডবে শেষ ৫ ওভারে ৫৭ রান পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৩২ রান। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা করেছিলে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান।
ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রয়েসয়ে মন্থর শুরু করে বাংলাদেশ। একাদশে ফেরা ফারজানা হক পিঙ্কি ৭৬ বলে ৩০ ও আরেক ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ৫২ বলে করেন ২৫ রান।
পরে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন জ্যোতি ও শারমিন আক্তার সুপ্তা। জ্যোতির ব্যাট থেকে ৪২ বলে ৩২ রান। সুপ্তা খেলেন ৭৭ বলে ৫০ রানের ইনিংস।
এরপর পাঁচ নম্বরে নেমে তাণ্ডব চালান স্বর্ণা। যার সৌজন্যে এই প্রথম বিশ্বকাপে এক ইনিংসে দুই ফিফটি করার সাফল্য পায় বাংলাদেশ।