১০ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:১৩ পিএম
আগেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে এসেছেন ইফতিখার আহমেদ। এবার খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে, যেখানে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে গতিময় বোলার নাহিদ রানাকে। এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সম্ভাবনাময় পেসার হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে তরুণ এই বোলারকে। কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতায় নাহিদে মুগ্ধ ইফতিখার। একই সাথে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ফিনিশিং স্কিলও পাচ্ছে তার প্রশংসা।
এখন পর্যন্ত আসরে ছয় ম্যাচ খেলে ছয়টিতেই জিতেছে রংপুর। গতির ঝড় তুলে আলোড়ন ফেলে দেওয়া নাহিদ এর মধ্যে দুই বার হয়েছেন ম্যাচ সেরা। একবার নিয়েছেন চার উইকেট, যা এই ফরম্যাটে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারও। নিয়মিতভাবেই ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে নাহিদ এখন সময়ের অন্যতম আলোচিত পেসার।
আরও পড়ুন
প্রথম বলের ছক্কায় জয়ের বিশ্বাস পেয়েছেন সোহান |
শুক্রবার সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় নাহিদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন অলরাউন্ডার ইফতিখার। “আমার কাছে নাহিদ রানাকে এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা বোলার বলেই মনে হচ্ছে। সে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি টাচ করছে। তার বোলিংটা আমি দারুণ উপভোগ করছি। ১৫০ গতির একটা বোলার দলে থাকলে, সেটা আপনি দারুণ উপভোগ করবেনই।”
রংপুরের শেষ ম্যাচের জয়ের নায়ক অবশ্য নাহিদ নন। সেটা ছিলেন অধিনায়ক সোহান, যিনি তার ক্যারিয়ারে ফিনিশার হিসেবে অনেক ম্যাচ আগে জিতিয়েছেন। তবে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে যা করেছেন, তা ছিল অবিশ্বাস্যই। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ৩০ রান নিয়ে দলকে এনে দেন নাটকীয় এক জয়।
ক্যারিয়ারে অসংখ্য ম্যাচ খেলে ফেলা ইফতিখারের কাছে সোহানের ইনিংসটি পাচ্ছে ‘স্পেশাল’ মর্যাদা। “দেখুন, আমি ক্যারিয়ারে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। শেষ ওভারে ২৬ রান নিয়ে দলকে জিতিয়ে দেওয়া, এটা আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস। পৃথিবীর যে কোনো কন্ডিশনে, যে কোনো বোলারের বিপক্ষেই এটা একটা কঠিন কাজ। এমন ফিনিশিং আমার ক্যারিয়ারের দেখা অন্যতম সেরা ছিল।”
১০ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৪২ পিএম
১০ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:২২ পিএম
৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২০ পিএম
পাকিস্তান ক্রিকেটে অবদানের দারুণ স্বীকৃতি পেলেন দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা চার জন ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ইনজামাম-উল-হক, মিসবাহ-উল-হক, সাঈদ আনোয়ার ও মুশতাক মোহাম্মদ এবং সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
এই চার জন্য যুক্ত হবেন এখন পর্যন্ত এই সম্মান পাওয়া আরও দশজনের সাথে। পিসিবি হল অব ফেম চালু করেছে ২০২১ সাল থেকে।
পাকিস্তানের ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদ্যস ছিলেন ইনজামাম। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১২০টি টেস্ট, ৩৭৮টি ওয়ানডে এবং একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। টেস্টে প্রায় ৯ হাজার রানের পাশাপাশি ওয়ানডেতে করেছেন ১১ হাজারের বেশি রান। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে দেশটির ইতিহাসের টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর (৩২৯ রান)।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতিতে মুগ্ধ ইফতিখার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহানের |
পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়কদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় মিসবাহকে। ২০১০ সালে পাকিস্তান ক্রিকেটের কুখ্যাত স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর তিনি অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। তার হাত ধরে ২০১৬ সালে পাকিস্তান টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে চলে গিয়েছিল।
হল অব ফেমের অন্যজন, সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তানের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার। ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে তার করা ১৯৪ রান একটা লম্বা সময় ধরে ছিল ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। ৫৫ টেস্টে ৪ হাজারের বেশি রানের পাশাপাশি ২৪৭টি ওয়ানডেতে তার নামের পাশে রয়েছে ৮ হাজার ৮২৪ রান।
আর মুশতাকের ১৯৫৯ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তার টেস্ট অভিষেক হয়। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ অভিষিক্ত ক্রিকেটার। তিনি ১৭ বছর বয়সে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। সব মিলিয়ে খেলেছেন ৫৭টি টেস্ট এবং ১০টি ওয়ানডে। তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে।
রংপুর রাইডার্সের প্রধান কোচ হিসেবে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দায়িত্ব পালনের মধ্যেই অন্য ক্লাবে বিস্তৃত হল মিকি আর্থারের ভূমিকা। কাউন্টির দল ডার্বিশায়ারের ক্রিকেটের প্রধান হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নর্দার্ন সুপারচার্জার্স-এর ক্রিকেট পরিচালক হিসেবেও।
ডার্বিশায়ার ২০২৪ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ভীষণ বাজেভাবে শেষ করেছিল। ডিভিশন টু-তে ১৪ ম্যাচে জিতেছিল মাত্র একটি ম্যাচে। এছাড়া টি-২০ ব্লাস্ট ও মেট্রো ব্যাঙ্ক ওয়ানডে কাপে ব্যর্থ হয় নকআউট পর্বে যেতে।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতিতে মুগ্ধ ইফতিখার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহানের |
বিশ্ব ক্রিকেটে এই মুহূর্তে অন্যতম অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত কোচদের একজন হিসেবে বিবেচিত আর্থার। ফ্র্যাঞ্চাইজির পাশাপাশি অভিজ্ঞতা আছে জাতীয় দলের সাথে কয়েকবার কাজ করারও। সবশেষ ছিলেন পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে। সেই আলোকেই তাকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে ডার্বিশায়ার। নতুম ভূমিকায় তিনি কাজ করবেন ক্লাবটির ছেলেদের ও মেয়েদের দলের সাথে।
আর্থার দ্য হানড্রেডে দলকে খেলোয়াড় নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেবেন এবং প্রধান কোচদের সমর্থন দেবেন। অভিজ্ঞ এই কোচ মেট্রো ব্যাঙ্ক ওয়ানডে কাপের সময় কাউন্টির সাথে থাকবেন, যখন আবার একযোগে দ্য হানড্রেডও চলবে।
আর্থার এই মুহূর্তে ব্যস্ত বিপিএল নিয়ে। গ্লোবাল সুপার লিগ দিয়ে প্রথমবার নেন রংপুরের দায়িত্ব। তার কোচিংয়ে পাঁচ দলের আসরে শিরোপা জেতে দলটি। এবারের বিপিএলেও আছে স্বপ্নের ফর্মে। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জিতে আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
আরও পড়ুন
বিফলে গেল সাব্বিরের ঝড়ো ফিফটি, চিটাগংয়ের স্বস্তির জয় |
টপ অর্ডার ব্যাটাররা সেভাবে রান না করতে পারায় দুর্বার রাজশাহীর ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে ১৭০ প্লাস স্কোর বেশ কঠিন বলেই মনে হচ্ছিল। তবে ইয়াসির আলি ও রায়ান বার্লের দুটি ফিফটি ছুঁইছুঁই ইনিংসে সেটাই পেয়ে গেল দলটি। রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হলো না খুলনা টাইগার্সের। সেট হয়েও ধীরগতির দুটি ইনিংসে উল্টো দলকে চাপে ফেলে দিলেন অভিজ্ঞ আফিফ হোসেন ও নাইম শেখ। তাতে শেষ পর্যন্ত আশা জাগিয়েও বড় ব্যবধানেই হার মানতে হল মেহেদি হাসান মিরাজের দলকে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৫তম ম্যাচে ২৮ রানের জয় পেয়েছে রাজশাহী। ১৭৯ রানের টার্গেট দিয়ে প্রতিপক্ষকে ১৯.৩ ওভারে ১৫০ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে দলটি। আসরে পঞ্চম ম্যাচে এটি দলটির দ্বিতীয় জয়।
নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে চার ও ছক্কা মেরে রাজশাহীর ইনিংসের শুভসূচনা করেন মোহাম্মদ হারিস। বেশ কয়েকটি বাউন্ডারিতে এরপর বিশের ঘরে প্রবেশ করেন পাকিস্তান ব্যাটার। তবে বেশিদূর আর যেতে পারেননি। পাওয়ার প্লেতে নাসুমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতিতে মুগ্ধ ইফতিখার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহানের |
এক বাউন্ডারিতে ৭ রানে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়ও। অন্যপ্রান্তে যাওয়া-আসার মিছিলের মধ্যে সেট হলেও ইনিংসের শুরু থেকেই একশর বেশি স্ট্রাইক রেটে আর ব্যাট করতে পারেননি জিসান আলম। মন্থর এক ইনিংস খেলে দশম ওভারে দলীয় ৬৭ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকেও।
আবু হায়দারকে টানা দুই চার মেরে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন ইয়াসির। রায়ান বার্লও দেন যোগ্য সঙ্গ। তাতে ১৫ ওভার শেষে রাজশাহীর স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১২২ রান। দ্রুতই দুজন জুটিতে যোগ করে ফেলেন ফিফটি।
দুজনই চলে গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত ফিফটির খুব কাছাকাছি। তবে পারেননি কেউই। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ বলে ৪১ রানে ইতি ঘটে ইয়াসিরের ইনিংসের। আর ২৯ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন বার্ল। শেষের দিকে নেমে মাত্র ৯ বলের ইনিংসে দর্শকদের বিনোদন আকবর আলি। রাজশাহী অধিনায়ক ২১ রান করেন ৩ চার ও ও এক ছক্কায়।
ছক্কা মেরে রান তাড়া শুরু করেছিলেন উইলিয়াম বোসিস্টো। তবে জিসানের একই ওভারে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ আউটে শেষ হয় তার ইনিংস। তিনে নেমে দলকে হতাশ করে মিরাজ ফেরেন স্রেফ এক রানেই। রান বের করতেই সংগ্রাম করা খুলনার ব্যাটাররা ছয় ওভারে মাত্র ৩৪ রান করে চাপে পড়ে যান।
পরের চার ওভারেও বজায় থাকে একই ধারা। দলকে বিপদে ফেলে ওয়ানডে গতির এক ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন। কম যাননি নাইম শেখও। সোহাগ গাজির প্রথম শিকার হওয়ার আগে ২৮ বলে করেন মোটে ২৪। এক ওভার বাদে অভিজ্ঞ এই স্পিনারের বলেই আউট হতে হয় আফিফকেও। বাঁহাতি এই ব্যাটারের নামের পাশে ছিল ৩০ বলে ৩৩ রান।
আরও পড়ুন
ডার্বিশায়ারে নতুন দায়িত্ব পেলেন রংপুর রাইডার্স কোচ আর্থার |
৬ বলে ১৭ রানে ক্যামিওতে মৃত্যুঞ্জয় চেষ্টা করেছিলেন বল ও রানের ব্যবধান কমাতে। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ক্রমেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা। নিজের শেষ ওভারের শেষ বলে মোহাম্মাদ নাওয়াজকে রিটার্ন ক্যাচে ফেরান এসএম মেহেরব।
কয়েকটি বড় শটে খুলনা শিবিরে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন নাসুম। তবে তিনিও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। সমান দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, বার্ল ও গাজি।
আসরের শুরু থেকেই ঢাকা ক্যাপিটালসকে ভোগাচ্ছেন ব্যাটাররা। এদিন অবশ্য তাড়া কাজের কাজটা ঠিকই করে দিলেন। নিজের সেরা সময়কে মনে করিয়ে দেওয়া এক ইনিংসে সাব্বির রহমান রীতিমত ছড়ি ঘোরালেন বোলারদের ওপর। চিটাগং কিংসের রান তাড়ায় ইনিংসের শুরুটা ভালো হলেও মাঝে কিছুটা লড়াই করেছিল ঢাকা। তবে মোহাম্মদ মিঠুন ও শামিম হোসেনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল চিটাগং।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৪তম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ঢাকা করেছিল ৫ উইকেটে ১৭৭ রান। চিটাগং সেটা তাড়া করেছে ৭ উইকেট ও ৩ বল হাতে রেখে।
রান তাড়ায় চিটাগংয়ের শুরুটা হয় ইতিবাচক। প্রথম কয়েকটি ওভারে পারভেজ হোসেন ইমন সেভাবে সুবিধা না করতে পারলেও উসমান খান ছিলেন ইতিবাচক। পাকিস্তান ব্যাটার প্রায় প্রতি ওভারেই চার ও ছক্কার মারের মাধ্যমে রানের চাকা সচল রাখেন। পাওয়ার প্লের শেষের দিকে গিয়ে ছন্দ পান ইমনও। তাতে বোর্ডে বিনা উইকেটে জমা হয় ৫৫ রান, যা জয়ের পথ অনেকটাই সুগম করে দিয়েছিল দলটির।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতিতে মুগ্ধ ইফতিখার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহানের |
এরপর আক্রমণে এসেই ইমনকে ফেরান ফরমানউল্লাহ সাফি। তবে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরার আর সুযোগ না দিয়ে এরপর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেওয়া জুটি গড়েন উসমান। ঢাকা অধিনায়ক থিসারা তার করা প্রথম ওভারেই হজম করেন ১৮ রান।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফিফটি করার পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উসমান। ৩৩ বলে ৫৫ রান করার পর শিকার হন মুস্তাফিজুর রহমানের। তবে তার আগেই চিটাগংয়ের পূর্ণ হয় দলীয় শতক।
সেট ব্যাটার ক্লার্ক একপ্রান্ত আগলে এরপর এগিয়ে নেন ইনিংস। সাথে পেরেরার ওভারে ১২ রান দিয়ে তাল মেলান মোহাম্মদ মিঠুনও। তবে ১৪ থেকে ১৬, এই তিন ওভারে মাত্র ১৯ রান নিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় চিটাগং।
তবে সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মিঠুন ও শামিম হোসেন। ৩২ রানের অপরাজিত জুটিতে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। অভিজ্ঞ মিঠুন ২১ বলে করেন ২৯, আর শামিম মাত্র ১৪ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় করেন ৩০ রান।
এর আগে সন্ধ্যায় আগে ব্যাট করা ঢাকার ইনিংসকে অনায়াসেই ভাগ করা যায় দুই ভাগে। একটিতে থাকবেন সাব্বির রহমান, যেখানে তিনি রান করেছেন অবলীলায়। আরেক দলে থাকবেন অন্য ব্যাটাররা, যাদের রান করতে কিছুটা ভুগতেই হয়েছে।
আরও পড়ুন
সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নেই সাইফের, আরও ভালো করার প্রত্যয় |
লিটন দাসকে ছাড়াই এই ম্যাচ খেলতে নামা ঢাকাকে হতাশ করে মাত্র ১ রানেই আউট হয়ে যান তারকা ব্যাটার জেসন রয়। স্টিফেন এস্কিনাজিকে নিয়ে এরপর জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম। তবে দুই ব্যাটাররা পারেননি সেভাবে চালিয়ে খেলতে। ফলে ঢাকার রান সেভাবে এগিয়ে যেতে পারেনি এই সময়ে।
এস্কিনাজির বিদায়ের পর হতাশ করেন এস্কিনাজিও। সাব্বির ক্রিজে গিয়ে শুরুতে খুব একটা আশা জাগাতে পারেননি। প্রথম ৯ বলে করেন মাত্র ৪ রান। অন্যপ্রান্তে ৪২ বলে ফিফটি করেন তানজিদ। তিন ছক্কা ও দুই চারে আরাফাত সানির এক ওভারেই ২৬ রান নিয়ে সাব্বিরের ঝড়ের শুরু এরপরই।
পাকিস্তান পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমকে টানা দুই ছক্কার পর হাঁকান একটি চারও। চোখ জুড়ানো সব শটে সাব্বির মনে করিয়ে দেন তার সেরা সময়কে। পঞ্চাশ পা রাখেন স্রেফ ২০ বলে। অন্যপ্রান্তে সেভাবে আর সমর্থন না পেলেও এরপর একাই ঢাকাকে লড়াকু পুঁজি এনে দেওয়ার কাজটা করেন সাব্বির। অপরাজিত থাকেন মাত্র ৩৩ বলে ৮২ রানে, যেখানে ছিল ৯টি ছক্কা ও ৩টি চার।
এক ম্যাচ আগেই দল জেতার পর বলেছিলেন, বাউন্ডারি ছোট করাটা ঠিক হয়নি। এটা বোলারদের জন্য কাজটা কঠিন করে ফেলেছে। সেই তামিম ইকবাল রংপুর রাইডার্সের কাছে রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ বলে হারের পর প্রশংসাই করলেন টুর্নামেন্টের। হাই-স্কোরিং ম্যাচে দল হারলেও দর্শকদের দিক বিবেচনায় খুশিই বরিশাল অধিনায়ক।
ঢাকার পর এবারের বিপিএলে বাউন্ডারি সীমানা কিছুটা ছোটই রাখা হয়েছে। ভালো উইকেটের পাশাপাশি এই কারণেও শুরু থেকেই তাই দেখা মিলছে বড় স্কোরের। পাল্লা দিয়ে রান করেছেন দেশি ও বিদেশী ব্যাটাররা। তারই ধারায় রংপুরের বিপক্ষে ১৯৭ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছিল বরিশাল। তবে দুর্দান্ত এক রান তাড়ায় শেষ ওভারে ২৬ রান নিয়ে জিতে যায় রংপুর।
আরও পড়ুন
প্রথম বলের ছক্কায় জয়ের বিশ্বাস পেয়েছেন সোহান |
ম্যাচের পর তামিম তাই বড় করে দেখলেন উইকেট ও জমজমাট ক্রিকেটেরই। “এমন ম্যাচ পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই হচ্ছে। হেরে খারাপ লাগলেও তাই খুশি যে, টুর্নামেন্টটা ভালো হচ্ছে। এজন্য মাঠ কর্মীদের কৃতিত্ব দিতে হবে। যেভাবে উইকেট তৈরি করা হচ্ছে, সেটা দুর্দান্ত।”
এই ম্যাচে দিয়ে দীর্ঘ সময় পর রানের মধ্যে ফিরেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক ও বরিশাল ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। সাথে তামিমের ভালো ইনিংসের পর মায়ার্সের খুনে ফিফটিতে জয়ের সুবাসই পাচ্ছিল দলটি। তবে সেই মায়ার্সের করা ২০তম ওভারেই সব মিলিয়ে ৩০ রান তুলে ৩ উইকেটের জয় তুলেন নুরুল হাসান সোহান।
অমন অবিশ্বাস্য ইনিংসের জন্য তামিমের বাহবা পেলেন সোহান। “শান্ত আজকে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। দারুণভাবে শুরুর দিকের চাপ সামাল দিয়েছে। মায়ার্সও দুর্দান্ত ছিল। আমরা হয়ত এই ম্যাচটা হেরে গেছি, তবে সোহানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। সে যেভাবে ব্যাট করেছে, সেটা ছিল অবিশ্বাস্য। শেষ ওভারে ২৬ রান ডিফেন্ড করাটা যেকোনো বোলারের জন্যই সহজ কাজ। সোহানের তাই কৃতিত্ব প্রাপ্যই।”
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
২০ দিন আগে
২৩ দিন আগে