মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে আল নাসরে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর প্রভাব
বেশ চোখে লাগার মতই। চারদিকে গুঞ্জন কোচ নিয়োগ কিংবা খেলোয়াড় কিনতেও বেশ কার্যকরী ভূমিকা
পালন করেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। তারই ধারাবাহিকতায় খবর আসছে,রোনালদো চাইছেন আল নাসরের
মিডফিল্ডের শক্তি বাড়াতে। যার জন্য ৩৯ বছর বয়সী তারকার প্রথম পছন্দ ম্যানচেস্টার সিটি
মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনাকে। এরই মধ্যে নাকি ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে তিনি যোগাযোগও
করেছেন ডি ব্রুইনাকে কেনার জন্য।
চলতি মৌসুম শেষেই সিটির সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ডি ব্রুইনার।
তবে বেলজিয়ান মিডফিল্ডারকে নতুন চুক্তির জন্য অফার করবে বলে জানাচ্ছে ইংলিশ গণমাধ্যগুলো।
সেক্ষেত্রে তাকে বেতন কিছুটা কমাতে হবে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে ইএসপিএন। যা আল নাসরের জন্য
বড় সুযোগ হিসেবেই দেখছেন রোনালদো। স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো বলছে রোনালদো
ভালোভাবেই বিশ্বাস করেন ডি ব্রুইনাকে দলে ভেড়ানো সম্ভব। সে জন্য অবশ্য বেশ বড় অঙ্কের
অর্থই খরচ করতে হবে তাদের।
সংবাদমাধ্যমটির মতে, বর্তমানে সিটিতে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ডের
মতো বেতন পান ডি ব্রুইনা। তাকে দলে ভেড়াতে হলে আল নাসরকে সেই সংখ্যাটা করতে হবে দ্বিগুণেরও
বেশি। মুন্দো দেপর্তিভো বলছে সপ্তাহে কমপক্ষে ১ মিলিয়ন ডলার বেতনই কেবল ডি ব্রুইনাকে
নিয়ে আসতে পারে আল নাসরের ডেরায়।
ডি ব্রুইনাও মাঝে সৌদি আরবে যাওয়ার ব্যাপারে দিয়েছিলেন গ্রিন লাইট।
তখন থেকেই তার সাথে আল নাসরের নাম জোড়া হচ্ছে। বর্তমানে চোটে থেকে ফেরার লড়াইয়ে আছেন
সিটি তারকা।
অন্যদিকে নতুন কোচ স্টেফানো পিওলির অধীনে উড়ন্ত শুরু পেয়েছে আল
নাসর। জয় পেয়েছে টানা চার ম্যাচে। শনিবার রাতে আল ওরোউবাকে তারা হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেছেন রোনালদো।
যা চলতি মৌসুমে আল নাসরের জার্সি গায়ে রোনালদোর ৮ নম্বর গোল।
৬ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:২০ পিএম
৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা মিডিয়া খবর অনুযায়ী বর্তমানে সিঙ্গেলই আছেন কিলিয়ান এমবাপে। যদিও সেটা এখন প্রায় বদলেই যাচ্ছে। স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে এসে যেন নতুন প্রেমিকাই খুঁজে পেলেন ফরাসি অধিনায়ক। তবে সেটা মাঠের বাইরে নয়, মাঠের ভেতর অফ সাইডের প্রেমে মজেছেন এমবাপে। অন্তত পরিসংখ্যান প্রমাণ দিচ্ছে তাই।
লা লিগায় এখন এখন পর্যন্ত এমবাপে ম্যাচ খেলেছেন ১৭ টি। পরিসংখ্যান বলছে ১৭ ম্যাচেই এমবাপে ধরা পড়েছেন অফ সাইডের জালে। করেছেন ১০ গোল, তবে গোলের চেয়ে তার অফসাইডের সংখ্যাটা প্রায় তিনগুণ। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৯ বার অফ সাইডের ফাঁদে পা দিয়েছেন এমবাপে। শুধু বার্সেলোনা ম্যাচেই সেই সংখ্যাটা আট।
শেষ ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষেও চার বার আটকা পড়েছেন এই অফ সাইড ট্র্যাপে। এই ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়েছে তার দারুণ এক গোলও। তাতে রিয়াল সমর্থকরা এমবাপের গোলের পর উদ্যাপন করতে গিয়ে নিজেদের সামলে নিয়েছেন। বারবারই যে তাদের পড়তে হয়েছে ঐ ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের মত বিড়ম্বনায়।
আরও পড়ুন
এমবাপের সেরাটা বের করার পথ বাতলে দিলেন ভালভের্দে |
নতুন ক্লাব নতুন পজিশনে খেলা এমবাপের জন্য কাজটা অবশ্যই কঠিন। যেটার সাথে মানিয়ে নিতে বেশ বেগই পাচ্ছেন। বিশেষ করে মুভমেন্টের ক্ষেত্রে এখনো পাকাপোক্ত হতে পারেননি ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার। রান মেকিং কিছুটা আগে করে ফেলেন বিধায় বারবারই তাকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে।
প্রতিপক্ষ ফুটবলাররাও এমবাপের এই অফ সাইড প্রেম ভালোভাবেই ধরতে পারছে। তাইতো সেই সুযোগটাও নিচ্ছে ভালোভাবেই। স্পিডে এমবাপেকে আটকে রাখা যে কোনো ডিফেন্ডারের জন্যই কঠিন কাজ, তবে মুভমেন্টে এমবাপেকে খাবি খাওয়াচ্ছে লা লিগার প্রায় সব দলই।
শুরুটা এমবাপে যেভাবে করেছেন মাদ্রিদে সেখান থেকে ধীরে ধীরে ফিরে আসছেন। রিয়াল সমর্থকরা এবার অপেক্ষায় অফ সাইডের সাথে এমবাপের বিচ্ছেদের। তা যত শীঘ্রই হবে ততই মঙ্গল রিয়ালের জন্য, সেই সাথে এমবাপের জন্যও। আর এই বিচ্ছেদে এমবাপে হয়তো খুব একটা মনোকষ্টে ভুগবেন না, বরং সাদরে আমন্ত্রণই জানাবেন।
মাঠের ফুটবলে নায়কের ভূমিকা লুইস সুয়ারেজের জন্য নতুন না। তবে ইন্টার মায়ামি স্ট্রাইকার এবার নায়ক বনে গেছেন মাঠের বাইরের এক কাণ্ডে। বান্ধবীর জন্য আত্মহত্যার চেষ্টা করা এক লোককে বাঁচাতে সাহায্য করেছেন সুয়ারেজ। সাহায্য করেছেন তার সিদ্ধান্ত বদলাতে।
২০ ঘণ্টার নাটকীয়তার পর সেই লোকের সিদ্ধান্ত বদলানো সম্ভব হয়েছে। অবশ্য সে জন্য করতে হয়েছে কঠিন পরিশ্রম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে মিডিয়া কর্মী সেই সাথে লুইস সুয়ারেজের উপস্থিতি আর এনজিওকর্মীদের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত শনিবার সকালে ৪৯ বছর বয়সী সেই লোককে বোঝানো সম্ভব হয়েছে।
ঘটনা শুরু গেল শুক্রবার বিকেলে। মার্কার মতে, শুক্রবার রাতে উরুগুয়ের কানেলোনেস ডিপার্টমেন্টের সিউদাদ দে লা কস্তা শহরে ৪৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ৬ মিটার উঁচু একটি গাছে উঠে আত্মহত্যার হুমকি দিতে শুরু করেন। লোকটির দাবি করেন, যদি তাঁর সঙ্গী সেখানে এসে দেখা না দেন, তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন। তার এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে স্প্যানিশ গণমাধ্যমটি জানাচ্ছে পারিবারিক অস্থিরতা।
আরও পড়ুন
মায়ামিতে মেসি-সুয়ারেজদের বন্ধু নয়, কোচ হয়েই কাজ করতে চান মাসচেরানো |
এমন কাণ্ডে কিছুক্ষণের মধ্যে জড়ো হতে শুরু করে মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশও। উপস্থিত থাকা সবাই বোঝানোর চেষ্টা করলেও সেটা কানে নেয়নি সেই লোক। তাতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠে।
তখনই সেখানে উপস্থিত হন লুইস সুয়ারেজ। যদিও সেটা একেবারে কাকতালীয়ভাবে। ঘটানাস্থলের পাশেই ছিল সুয়ারেজের বাসা। স্ত্রী সোফি বালবিকে নিয়ে হাঁটতে বের হলে এমন পরিস্থিতি দেখে সেখানে হাজির হন সুয়ারেজ। চেষ্টা করেন সেই লোককে গাছ থেকে নামিয়ে আনার।
সুয়ারেজের উপস্থিতির কথা জানান দিয়েছেন স্থানীয় একটি এনজিওর সদস্য আন্দ্রেয়া। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সবার পরিচিত উরুগুয়ের ফুটবলার সুয়ারেজ আমাদের কাছে এসেছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা লোকটির সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলার চেষ্টা, যাতে এটা দীর্ঘ সময় না গড়ায়। যদিও তিনি একদিন আগের থেকেই নিজের জীবনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল।”
আরও পড়ুন
মেসি-সুয়ারেজদের লিগে দর্শক উপস্থিতির নতুন রেকর্ড |
লম্বা সময় চেষ্টার পর নিচে নামার পর লোকটিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পারিবারিক সহিংসতা বিভাগে নেওয়া হয়েছে। যেখানে তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানাচ্ছে স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো।
গত বছরটা দারুণভাবে শেষ করা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র নতুন বছর শুরু করেছেন লাল কার্ড দেখে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা তবে তাতেও সমর্থকদের মন গলেনি। সমালোচনা হচ্ছে তার মাঠের আচরণ নিয়ে। কঠিন সময়ে ভিনিসিয়ুস অবশ্য পাশে পেয়েছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। ইতালিয়ান এই কোচের মতে, ভিনিসিয়ুস হওয়াটা ভীষণ কঠিন কাজ।
মাঠের পারফরম্যান্স ভিনিসিয়ুস এখন বিশ্ব সেরাদের কাতারে। গত বছর প্রথমবারের মত জিতেছেন ফিফার দ্য বেস্ট খেতাব। তবে নানা কারণে নিয়মিতই প্রতিপক্ষ সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হয় তাকে। বিশেষ করে অ্যাওয়ে ম্যাচে ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে বরাবরই সমর্থকরা কিংবা প্রতিপক্ষ ফুটবলাররা ক্ষেপিয়ে তোলার ফন্দি আটেন। যেখানে নিয়মিতই পা দিতে দেখা যায় ভিনিসিয়ুসকে। তেমনই একটি দৃশ্যপটের পুনরাবৃত্তি হয় ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে।
আরও পড়ুন
ছুটির মাঝেই আনচেলত্তিকে ‘কঠিন বার্তা’ এন্দ্রিকের |
ম্যাচ শুরুর আগেই ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর না জেতার ফেস্টুন নিয়ে হাজির হন ভ্যালেন্সিয়ার সমর্থকরা। ম্যাচ শুরু হতেই তার পায়ে বল যেতে শিস দিয়ে বার বার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করে তারা। সমর্থকদের সামাল দিতে পারলেও ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপারের পাতা ফাঁদে ঠিকই পা দিয়েছেন ভিনিসিয়ুস। তাতে লাল কার্ড দেখে ছেড়েছেন মাঠ। আর আরও একবার তৈরি করেন সমালোচনার প্রেক্ষাপট।
ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি দাবি করেছিলেন, লাল কার্ড দেখানো ঠিক হয়নি ভিনিসিয়ুসকে। রিয়ালের কোপা দেল রের পরবর্তী ম্যাচের আগে ফের তার শিষ্যের প্রতি জানিয়েছেন সমর্থন।
“এটা লাল কার্ড ছিল না, সর্বোচ্চ হলুদ কার্ড দেওয়া যেতো। সে জন্য আমরা আশা করছি সে নিষেধাজ্ঞা পাবে না। তার জায়গায় নিজেকে রাখলে বোঝা যায়, এমন পরিস্থিতি সামলানো কতটা কঠিন। যে পরিমাণ অপমান তাকে সইতে হয়, তা সহ্য করা সত্যি কঠিন। এটা কঠিন, তবে সে নিজেকে আরও পরিপক্ক করতে চেষ্টা করছে। সে লাল কার্ড নিয়ে দুঃখিত, নিজের ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ এরই মধ্যে করেছে। আমাদের এখন তাই সামনের দিকে তাকাতে হবে।”
আরও পড়ুন
রিয়ালের হয়ে শিরোপা জেতা সবচেয়ে সহজ কাজ: আনচেলত্তি |
তবে সমালোচনা যতই হোক, ভিনিসিয়ুস নিজের ছন্দটা ঠিকই ধরে রেখেছেন। এরই মধ্যে চলতে মৌসুমে ২১ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩ গোলের পাশাপাশি ৯টি অ্যাসিস্টও।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটাররা প্রায় সবাই পেলেন রানের দেখা। তাতে বোর্ডে জমা পড়ল বিশাল স্কোর। তবে ছন্দে থাকা রংপুর রাইডার্সকে চ্যালেঞ্জই জানাতে পারল না দলটি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রান তাড়ায় উড়ন্ত ফর্মে থাকা রংপুরকে পথ দেখালেন অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসান। একজন শতক মিস করলেও অন্যজন ঠিকই পেলেন সেঞ্চুরি। আর রংপুর তুলে নিল আরও একটি অনায়াস জয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবারের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্স জিতেছে ৮ উইকেটে। সিলেটের দেওয়া ২০৬ রানের টার্গেট দলটি পাড়ি দিয়েছে ১ ওভার হাতে রেখেই। আসরে এটি রংপুরের টানা চতুর্থ জয়।
আরও পড়ুন
সিলেটেও জয়ের ধারায় রংপুর? তাসকিন-বিজয়দের ছন্দ ধরে রাখার লড়াই |
ঢাকা পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুরের দাপুটে জয়ে বড় অবদান ছিল হেলস-সাইফ জুটির। সেদিন অ-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম আউট হয়েছিলেন। এদিনও বজায় থাকে একই ধারা। রানের খাতা খোলার আগেই তানজিম হাসান সাকিবের শিকার হন তিনি। তবে শুরুর সেই ধাক্কা বুঝতেই দেননি অভিজ্ঞ হেলস ও তরুণ সাইফ।
প্রথম কয়েকটা ওভার একটু দেখেশুনে খেলার পর ক্রমেই বোলারদের ওপর চড়াও হন হেলস। আল-আমিন হোসেনের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় নেন ১৫ রান। অন্যপ্রান্তে সাইফও ব্যাট চালান সমান তালে। ছয় ওভার শেষে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫৪।
এই দুই ব্যাটার মিলে সিলেটের কোনো বোলারকেই আর চেপে বসার সুযোগ দেননি। প্রতি ওভারে এক বা একাধিক চার-ছক্কার মারে সচল রাখেন রানের চাকা। তাতে ১০ ওভারেই প্রায় দলীয় সেঞ্চুরি হয়ে যায় রংপুরের। নিহাদউজ্জামানকে ছক্কা মেরে মাত্র ৩০ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন সাইফ। এই বিপিএলে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি।
আরও পড়ুন
সাইফ-হেলসের ব্যাটে চড়ে রংপুরের হ্যাটট্রিক জয় |
নিজের করা প্রথম ওভারে ব্যয়বহুল আরিফুল হক দ্বিতীয় ওভারে দুই ছক্কা হজম করেন সাইফের হাতে। খানিক বাদে আল-আমিনযে চার মেরে ফিফটি তুলে নেন হেলসও। ক্রমেই বল-রানের ব্যবধান কমিয়ে এনে রংপুরের এগিয়ে যায় অনায়াস জয়ের দিকে। মারমুখী হেলস আরিফুলের তৃতীয় ওভারব তিন ছক্কা সহ আদায় করেন ২৩ রান।
একই গতিতে এগিয়ে যাওয়া সাইফের ব্যাটেও ছিল সেরা ছন্দ। তারও জেগেছিল সেঞ্চুরির আশা। তবে রেকর্ড ১৮৬ রানের জুটির অবসান ঘটিয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়ে বিদায় নিতে হয় তাকে। ফিরতি স্পেলে এসে তাকে ক্যাচ আউট বানান তানজিম। এর আগে সাইফের ব্যাট থেকে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় আসে মাত্র ৪৯ বলে ৮০ রান।
এরপর মূল রোমাঞ্চ ছিল জয় ছাপিয়ে হেলসের সেঞ্চুরি। ১৯তম ওভারে আল-আমিনকে টানা দুই ছক্কায় ম্যাচ শেষ করার আগেই শতকের দেখা পান এই ইংলিশ ব্যাটার। হেলস মাঠ ছাড়েন নামের পাশে ১১৩ রান নিয়ে। মাত্র ৫৬ বলের ইনিংস সাজান ৭ ছয় ও ১০টি চারে।
দিনের প্রথম ভাগে সিলেটের ব্যাটাররাও করেন রান উৎসব। দুই ওপেনার জর্জ মুন্সি ও রনি তালুকদার মিলে যোগ করেন ৪৭ রান। এরপর তিনে নামা জাকির হাসানের সাথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন রনি। দলকে বড় সংগ্রামের ভিত গড়ার পাশাপাশি দুজনই তুলে নেন ফিফটি। তবে কেউই পারেননি এরপর ইনিংস লম্বা করতে।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতির ঝড় বিপর্যস্ত সিলেট, রংপুরের দুইয়ে দুই |
ফলে ছন্দে থাকা রংপুরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সিলেটের দরকার ছিল ভালো একটা ফিনিশিং। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটার অ্যারন জোন্স ঠিক সেই কাজটাই করে দেন দলের জন্য। দারুণ সব শট খেলে ৪ ছক্কা ও এক বাউন্ডারিতে মাত্র ১৯ বলে উপহার দেন ৩৮ রানের ইনিংস। তবে দলীয় দুইশ পার করায় অবদান রাখে মূলত জাকের আলি অনিকের ক্যামিও। তরুণ এই কিপার-ব্যাটার তিন ছক্কায় মাত্র ৫ বলে অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।
ম্যাচ শুরুর আগেই তুষারের হানা নর্থওয়েস্ট ডার্বিতে। শঙ্কা জেগেছিল ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য খেলা গড়িয়েছে মাঠে। দারুণ নাটকীয়তা উপহার দেওয়া ম্যাচ শেষ হয়েছে সমতায়। ফেভারিট হিসেবে নেমেও ড্র করার হতাশা তাই পেয়েই বসেছে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটকে। আর ভালো খেলেও জয় নিয়ে মাঠ না ছাড়ার হতাশা রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের।
সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় ইউনাইটেড থেকে বেশ এগিয়ে ছিল লিভারপুল। তবে মাঠের লড়াইয়ে অ্যানফিল্ডে দুই দলই লড়েছে সমান তালে। গোলের সুযোগ তৈরি কিংবা মিস, সেখানেও দুই দল হেঁটেছে একই পথে। জয়ের সুযোগ ছিল দুই দলেরই। তবে গোলের মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে দুই দল।
ফলাফল বিবেচনায় এই এক পয়েন্ট পয়েন্ট টেবিলে ১৩ নম্বরে থাকা ইউনাইটেড সমর্থকদের খুশি করারই কথা। তবে দলটির কোচ আমোরিম মোটেও খুশি নন বলেই ম্যাচ শেষে মন্তব্য করেছেন এই পর্তুগিজ কোচ।
“আমরা এই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট প্রাপ্য ছিলাম, তবে সেটা শুধুই এক পয়েন্ট না। আমি মনে করি অন্য দিনের চেয়ে নিজেদের বেশি ক্ষিপ্ত এবং হতাশ হওয়া উচিত এই ম্যাচ নিয়ে। অন্য ম্যাচগুলো হারলেও আজকে আমরা যেমন পারফর্ম করেছি তাতে জয় না পাওয়া নিজেদের উপর আমাদের হতাশ হওয়া উচিত।”
অন্যদিকে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটের সুরেও ছিল হতাশা। শুরুটা তার দল ভালো করলেও শেষটা ঠিকঠাক হয়নি। ম্যাচ শেষে তাই ড্র-টা হারার মত লাগছে তার কাছে।
“মনে হচ্ছে দুটি পয়েন্ট আমরা হারালাম। ম্যাচ শেষ দিকে ফুটবলারদের মন সংযোগের ঘাটতি ছিল। যার ফলে সহজ গোল মিস করেছে। সব মিলিয়ে ম্যাচটা কঠিনই ছিল। তবে অনেকটা নটিংহাম ফরেস্টের মত একটা ম্যাচই ছিল। যেহেতু দুই দলের খেলার ধরণ একই তাই লো ব্লকে আমাদের বেশ খাটতে হয়েছে।”
৮ ঘণ্টা আগে
৯ ঘণ্টা আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৯ দিন আগে