৪ মার্চ ২০২৫, ৫:০৩ পিএম

প্রায় দুই বছর ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটে চলছে কোচ ও অধিনায়ক বদলের হিড়িক। কাউকেই যেন থিতু হতে দেওয়া হচ্ছে না। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথেও হল ঠিক সেটাই। সাদা বলের অধিনায়ক হওয়ার ছয় মাসের আগেই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন এই কিপার-ব্যাটার। সেই সাথে তাকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দল থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। চমক জাগিয়ে বাদ পড়ার তালিকায় আরও আছেন তারকা ব্যাটার বাবর আজমও।
মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ ও ৫০ ওভারের সিরিজের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ক হয়েছেন সালমান আঘা।
ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে রিজওয়ানকেই। আছেন বাবরও। এই ফরম্যাটের দল থেকে আবার বাদ পড়েছেন টি-টোয়েন্টি দলে থাকা তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এর মধ্য দিয়ে খুব অল্প সময়েই শেষ হয় রিজওয়ানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব অধ্যায়। গত বছরের শেষের দিকে নেতৃত্ব পাওয়ার পর মোটে খেলেন পাঁচটি ম্যাচ। আর সবগুলোতেই হারের তেতো অভিজ্ঞতা হওয়া তার। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয় তাকে। সেবার অধিনায়কত্ব করেন আঘা।
দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ হারিস। জায়গা ধরে রেখেছেন পেসার হারিস রউফ। তবে বাদ পড়েছেন আরেক পেসার নাসিম শাহ।
ওয়ানডে দলে শাহিনকে বাদ দেওয়া ছাড়া আর কোনো বড় পরিবর্তন করা হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাদ পড়ার পর দলে ফিরেছেন ব্যাটার আবদুল্লাহ শফিক। প্রথমবারের মত ওয়ানডেতে ডাক পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার আকিফ জাভেদ।
আগামী ১৬ মার্চ থেকে শুরু হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। এরপর দল দুটি খেলবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
No posts available.
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:২২ পিএম

২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুইবার এশিয়া কাপ জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজিজুল হাকিম তামিম নেতৃত্বাধীন যুবারারা হ্যাটট্রিক শিরোপার পথেই ছিল। তবে সেমিফাইনালে পাকিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে ৮ উইকেটে হেরে ভেঙে গেল শিরোপা স্বপ্ন।
দুবাইয়ে আজ ভেজা মাঠের কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে ২৭ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। আগে ব্যাট করতে নেমে ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ১৬.৩ ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বাজে। দলীয় ২৪ রানে ২ উইকেট হারায় লাল সবুজ দল। চতুর্থ ও পঞ্চম ওভারে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার রিফাত বেগ (১৪) ও জাওয়াদ আবরার (৯)।
শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক আজিজুল। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। আব্দুল সুবহানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২০ রান করে।
ছাইমুন বসির রাতুল ছাড়া বাকিরা ছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন রাতুল। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। নির্ধারিত ২৭ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই অলআউট হয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পাকিস্তানের হয়ে আব্দুল সুবহান সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন, আর হুজাইফা আহসান শিকার করেন ২ উইকেট।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই ওপেনার হামজা জাহুরের উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আরেক ওপেনার সামীর মিনহাজ ( ৫৭ বলে ৬৯ রান)। উসমান খান করেন ২৭ রান, আর আহমেদ হুসেইন ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
রোববার ফাইনালে লড়বে ভারত-পাকিস্তান। চলতি বছর বড়দের পর ছোটদের এশিয়া কাপেও দেখা হবে দুই দলের।

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশী দুই দেশ—ভারত ও পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সেই ম্যাচে জয় পায় সূর্যকুমার যাদবরা।
এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপেও ফাইনালে উঠেছে ভারত ও পাকিস্তান। আজ শেষ চারের প্রথম সেমি ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে ম্যান ইন ব্লুরা। দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে একই ব্যবধানে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পায় পাকিস্তান।
দুবাইয়ে ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২১ ডিসেম্বর।
বয়সভিত্তিক এশিয়া কাপে গ্রুপ ‘এ’-তে ছিল ভারত ও পাকিস্তান। শতভাগ জয় নিয়ে শেষ চারে ওঠে আয়ুষ মহাত্রের দল। পাকিস্তান তিন ম্যাচের দুটিতে জয় পায়। তাদের দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল ভারতের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ভারত ৯০ রানের বড় জয় পায়।
গ্রুপ ‘বি’ থেকে সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। শতভাগ জয় ছিল ইয়াং টাইগারদের। আজিজুল হাকিমের দল প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে নেপাল ও আফগানিস্তানকে পরাজিত করে। শেষ চারে ওঠা অন্য দল শ্রীলঙ্কার জয় ছিল দুটি। লঙ্কানরা নেপাল ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পায়।
শেষ চারে গ্রুপ ‘এ’-এর চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে গ্রুপ ‘বি’-এর রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়। আর গ্রুপ ‘বি’-এর সেরা দল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয় গ্রুপ ‘এ’-এর পাকিস্তান।
গ্রুপ ‘এ’-এর সেরা ভারত শিরোপার মঞ্চে উঠতে পারলেও গ্রুপ ‘বি’-এর সেরা বাংলাদেশের কপাল পুড়েছে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২৭ ওভারে নেমে আসা খেলায় মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয় জুনিয়র টাইগাররা। জবাবে মারমুখী ব্যাটিং করে ১৬.৩ ওভারে আট উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুইবার এশিয়া কাপ জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গ্রুপ পর্বে টানা তিন জয়ে সে পথেই ছিলেন আজিজুল হাকিমরা। তবে নক আউটে এসে কপাল পুড়ল তাঁদের।

অন্তঃকোন্দল ও মতবিরোধের জেরে আগামী মাসে পদ ছাড়ছেন নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) প্রধান নির্বাহী স্কট উইনিঙ্ক। দেশটির ক্রিকেটের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এনজেডসির এক বিবৃতিতে উইনিঙ্ক বলেন,
‘ভেবেচিন্তে বুঝতে পেরেছি, নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার, দীর্ঘমেয়াদি দিকনির্দেশনা এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভূমিকা নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি কয়েকটি সদস্য সংস্থা ও অংশীজনদের থেকে আলাদা।’
উইনিঙ্ক বলেন, 'এই মতপার্থক্যের কারণে মনে করি, সংস্থার স্বার্থেই এখান থেকে নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া সবচেয়ে ভালো।’
২০২৩ সালের আগস্টে এনজেডসির দায়িত্ব নেন স্কট উইনিঙ্ক। তবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মধ্যেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কাঠামো নিয়েই মূলত এই সংকটের সূত্রপাত। উইনিঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ব্যক্তিমালিকানাধীন নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর প্রস্তাব তিনি বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন।
এনজেড-টোয়েন্টি নামে ছয় দলের নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। নিউ জিল্যান্ডে বর্তমানে একমাত্র ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সুপার স্ম্যাশের জায়াগা নেবে এই লিগ।
ছয়টি বড় সদস্য সংস্থা এবং নিউজিল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেটারদের স্বাধীন প্রতিনিধি সংগঠন নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনজেডসিপিএ) নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালুর পক্ষে ছিল। তবে উইনিঙ্কের প্রস্তাব ছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে কিউই দল পাঠানোর। এই ভিন্নমতের কারণেই শেষ পর্যন্ত পদ ছাড়লেন তিনি।

নিজের ডেরায় ব্যাটে করতে নামলে একটি বেশিই জ্বলে উঠেন ট্র্যাভিস হেড। অ্যাশেজ সিরিজে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার পার্থে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরির পর আজ অ্যাডিলেডে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন।
অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে জন্মস্থানে সেঞ্চুরি করে হেড জায়গা করে নিয়েছেন এলিট এক ক্লাবে। একই ভেন্যুতে টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরি করা অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ ব্যাটার এখন হেড। বাঁহাতি ব্যাটারদের মধ্যে এই রেকর্ড একমাত্র তাঁরই।
এই কীর্তি গড়তে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন হেড। আজ তৃতীয় দিনের খেলায় ৯৯ রানে আউট হওয়ার দুর্ভাগ্য হতে পারত তাঁর। ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক হেডের ক্যাচ ফেলেন। পরের ওভারেই শতক পূর্ণ করেন ৩১ বছর বয়সী অজি ব্যাটার।
অ্যাডিলেড ওভালে টানা চার ম্যাচে হেডের সেঞ্চুরির প্রথমটি আসে ২০২২ সালে- ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৭৫ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২০২৪ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে করেন আরেকটি সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে গত বছরের ডিসেম্বরে ১৪০ রানের ইনিংস খেলেন হেড। অ্যাশেজে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ হাঁকালেন আরেকটি সেঞ্চুরি।
এর আগে একই মাঠে টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছিলেন- ডন ব্র্যাডম্যান, মাইকেল ক্লার্ক ও স্টিভ স্মিথ। ব্র্যাডম্যান এই রেকর্ড গড়েন মেলবোর্ন ও হেডিংলিতে, ক্লার্ক অ্যাডিলেডে আর স্মিথ মেলবোর্নে। চলতি দশকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই কীর্তি কেবল হেডেরই।
এখনো পর্যন্ত কোনো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার টেস্ট ক্রিকেটে একই ভেন্যুতে টানা পাঁচ ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। হেডের সামনে অনন্য এই কীর্তি গড়ার সুযোগ রয়েছে।
হেডের ব্যাটে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেটে ২৭১ রান তুলে দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিনশেষে ১৪২ রানে অপরাজিত রয়েছেন হেড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিকদের লিড এখন ৩৫৬ রানের। আরেকটি অ্যাশেজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে অজিরা।

জফরা আর্চারকে সঙ্গে নিয়ে ১০৬ রানের জুটি বেন স্টোকসের। অ্যাডিলেড টেস্টে এইটুকু সময় কিছুটা আধিপত্য দেখা গিয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ডের। মিচেল স্টার্কের বলে ক্যারিয়ারের ১২তম বারের মতো আউট হওয়ায় স্টোকসের লড়াইয়ের সমাধি সেখানেই। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া পায় ৮৫ রানের লিড। এরপর ট্রাভিস হেডের দারুণ শতকে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেছে অজিরা।
অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে মোকাবিলা করছে ইংল্যান্ড। আগের দুই টেস্ট হারায় এই টেস্ট ছিল ইংলিশদের জন্য সিরিজে ফেরার চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সিরিজ বাঁচাতে এখন আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে স্টোকসের দল। তৃতীয় দিনেই অস্ট্রেলিয়ার লিড ৩৫৬ রানের। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে আগামীকাল মাঠে নামবে তারা। ১৪২ রানে অপরাজিত থাকা হেডের সঙ্গে চতুর্থ দিন শুরু করবেন ৫২ রানে অপরাজিত আরেক ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি। দুজনের তুলেছেন ১২২ রান।
এর আগে ৮ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে শুক্রবার ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। দলীয় আরও ৬১ রান যোগ করার পর স্টোকসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্টার্ক। ইংলিশ অধিনায়ক ফেরেন ব্যক্তিগত ৮৩ রান করে। দলীয় আর ১২ রান যোগ করার পর গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। আর্চারের লড়াই থামে ব্যক্তিগত ৫১ রানের মাথায়। প্রথম ইনিংসের অস্ট্রেলিয়ার ৩৭১ রানের জবাবে ইংল্যান্ড থামে ২৮৬ রানে।
৮৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে অজিরা। শুরুতে স্বাগতিকদের দুই উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেয় ইংলিশ বোলাররা। সেটি খানিক পরেই মিলিয়ে যায় উসমান খাজা আর হেডের প্রতিরোধের সামনে। খাজা ৪০ রানে ফেরার পর ক্যামেরুন গ্রিনও ক্রিজে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ; জস টাংয়ের বলে আউট হয়েছেন ৭ রান করে।
এরপর আর হেড-ক্যারির জুটি ভাঙতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৬ উইকেট হাতে থাকতেই অস্ট্রেলিয়া পায় লড়াইয়ের পুজি। এই টেস্টের এখনও বাকি দুই দিন। ইতোমধ্যে পাওয়া ৩৫৬ রানের লিডটাকে বাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া কোথায় নিয়ে যায় সেটি থাকবে দেখার অপেক্ষা। তবে এই টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে অতিমানবীয় কিছুই করে দেখাতে হতে হবে ইংল্যান্ডকে।
আগের দুই টেস্টের মতো অ্যাডিলেড টেস্টেও পরাজয় বরণ করলে শত বছরের অ্যাশেজ সিরিজের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে সিরিজ হারানোর লজ্জায় ডুববে ইংল্যান্ড।